আত্মহনন

। পিয়ালী ঘোষ ।

শ্রীভূমি জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম বারইগ্রাম নামক জায়গার একটি মধ্যবিত্ত পরিবার হচ্ছে দাস বাবুদের পরিবার। পরিবারে দাস বাবু অর্থাৎ গোপি দাস, উনার স্ত্রী রাধারানী আর দুই মেয়ে জ্যোতি ও আরতি। দাস বাবু এবং রাধারানীর প্রথম কন্যা সন্তান হচ্ছে জ্যোতি। ছোটবেলা থেকেই অনেক দুঃখ-কষ্ট, বঞ্চনার মধ্যে বড় হয়েছে এই দুই বোন। দাস বাবু খুব একটা বিশেষ টাকা উপার্জন করতেন না। চাষবাসের মাধ্যমে যা টাকা উপার্জন করতেন, তা দিয়ে খুব কষ্টে তাদের জীবন কাটতো। মা-বাবার পড়াশোনা নেই বলে কম কথা শুনতে হয়নি দুই বোনকে। আরতি খুব একটা পড়াশোনায় ভালো নয়, তবে জ্যোতি বেশ অনেকটাই মেধাবী ছিল। গান, নাচ, চিত্র আঁকা, রান্নাবান্না—কোন কিছুই তার অজানা ছিল না পড়াশোনার সাথে সাথে। এক কথায় বলতে গেলে সর্বগুণসম্পন্ন হচ্ছে জ্যোতি। দুই বোনই ভীষণ ভালোবাসে নিজেদের মা-বাবাকে। তবে যখন টাকার অভাবে বাবার সমস্ত রাগ গিয়ে পড়তো মায়ের উপর, তখন জ্যোতি খুব কষ্ট পেত। কিন্তু কখনোই সে কথা মুখ ফুটে বলতে পারেনি, প্রতিবাদ করে উঠতেও পারেনি কখনোই জ্যোতি। মা-বাবার পড়াশোনা নেই, কিন্তু এইদিকে নিজে পড়াশোনায় ভালো বলে নানান লোকজনের কাছ থেকে নানা কুমন্তব্য শুনতে পেত সে। জ্যোতির বন্ধুরা তাকে বলতো, জ্যোতি নাকি খুব শক্ত প্রকৃতির মেয়ে, কারো কথায় সে পাত্তা দেয় না। ভালো-খারাপ মিলিয়ে জীবন, জীবনে খারাপটাকে দূরে সরিয়ে ভালোটাকে বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—এই বিষয়টা যদিও সে ভালই বুঝতো।

    স্কুলে ভালো রেজাল্ট করে পাস করার পর গুটি গুটি পায়ে সে এগিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। টাকা-পয়সার অভাবে অনেক কষ্ট করেছে জীবনে সে। যে পরিবারে দুবেলা দুমুঠো অন্নের যোগান দেওয়া ছিল আকাশের চাঁদ ধরার সমান, সেখান থেকে সে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিল। তবে এখানে একটা কথা বলতেই হয়—জ্যোতির নামের মতোই তার কাজ ছিল। যেখানেই জ্যোতি যেতো, পুরো জায়গাকে যেন আলোকিত করে তুলতো। কখনো কথায়, কখনো নাচে, গানে, গল্পে যেন মাতিয়ে রাখতো। পুরো গ্রামের মানুষ যখন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, গায়ের রং কালো বলে তাচ্ছিল্য করে, তখন এতজন লোকের ভিড়েও তাকে কয়েকজন ঠিকই ভালোবাসতো। তারা হলেন জ্যোতির স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য যতটুকু টাকার দরকার ছিল, তার অধিকাংশই জ্যোতিকে ভালোবেসে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দিয়েছিলেন। হাজারটা বাধা পেরিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিল। বলা বাহুল্য, জ্যোতি কখনোই একা থাকেনি। পড়াশোনার জন্যই হোক কিংবা ঘোরাফেরার জন্য, সে কখনোই দু’রাত্রির বেশি বাড়ির বাইরে থাকেনি। তবে পড়াশোনার জন্য তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হবে, সেটা জ্যোতি ততক্ষণে প্রায় বুঝে নিয়েছিল। প্রথম প্রথম এক-দু’মাস ভালো কাটলেও পরবর্তীতে জ্যোতি যেন নিজেকে গুটিয়ে নিতে শিখে গেছে। যে মেয়েটা সব সময় হাসিখুশি থাকতো, তার মুখে যেন আজ আর সহজে হাসি দেখা যায় না। চার-পাঁচ মাস এভাবেই কেটে গেল।

    হঠাৎ একদিন জ্যোতির আলাপ হয় ইংলিশ বিভাগের এক সদ্য নতুন চাকরি পাওয়া রাহুলের সাথে। প্রথম দিনের আলাপ বেশ ভালই লাগলো দুজনের কাছে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে এক ভালোবাসার সম্পর্ক। জ্যোতি যখন বলতো, “আমার তো গায়ের রং কালো। আর তুমি দেখতে পুরো ফর্সা, লম্বা, একবার তাকালে আর চোখ ফেরানো যায় না রাহুল। দুজনকে পাশাপাশি দাঁড়ালে মনে হয় যেন একজন পূর্ণিমার চাঁদ আর আরেকজন কয়লা খনি থেকে তোলা কয়লা।” তখন রাহুল কথাটা শুনে বলতো, “তোমার যতসব আজেবাজে কথা! ভালোবাসা থাকলে সবকিছুই সুন্দর, মধুর। তুমি আমার থেকে কিসে কম বলতো? লেখাপড়ায় ভালো, গান জানো, কী সুন্দর নাচ করো, আমার ছবিটা কী সুন্দর এঁকে দিয়েছিলে সেদিন, তোমার হাতে রান্না আমার এত প্রিয়! এত কিছু গুণ থাকার পরও তুমি শুধু গায়ের রংটাই দেখলে?”

    বেশ দু’বছর ধরে রাহুল আর জ্যোতির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। দেখতে দেখতে জ্যোতির বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ হলো। এবার বাড়ি যাওয়ার পালা। তবে হঠাৎ করেই যেন জ্যোতির জীবনে এসে পড়ে এক অজানা ঝড়। রাহুল না ফোন ধরছে দু’সপ্তাহ ধরে, না কোনো ধরনের যোগাযোগ করছে। অবশেষে একটা ফোন আসে রাহুলের ফোন থেকে। জ্যোতির কোনো কথা শোনার আগেই রাহুল যেন ঝড়ের বেগে বলতে থাকে, “তোমার গায়ের রঙের জন্য আমার পরিবারের কেউ তোমাকে মেনে নিতে চাইছে না। তাই এ সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার কোনো মানেই নেই। আমাদের মধ্যে যা ছিল আজ থেকে তা শেষ। আজ তুমিও মুক্ত, আমিও মুক্ত। ভালো থেকো।” বলেই ফোনটা কেটে দিল।

    জ্যোতি কোনো কিছু না বুঝে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। সে বোঝতে পারে, রাহুল মাঝরাস্তায় একা ফেলে জ্যোতিকে অন্য রাস্তায় যাত্রা করছে। নিজের মনকে শক্ত করে জ্যোতি বাড়ি এসে পড়ে। সেখানে একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়ানোর সুযোগ সে পায়। বেশ এক-দু’মাস সেখানে পড়িয়েছে। জ্যোতির মধ্যে যেন কোনো একটা পরিবর্তন সবাই লক্ষ্য করতে পারছে। জ্যোতি নিজেও নিজের পরিবর্তনকে বুঝতে পারছে। যে মেয়েটা সবাইকে মাতিয়ে রাখতো, সেই মেয়েটা আজ যেন নদীর স্রোতের মতো শান্ত হয়ে যাচ্ছে। কেউ বেশি কথা বললে বিরক্তি অনুভব করছে। খেতে ভালো লাগছে না, বাইরে বেরোতে ভালো লাগছে না, কিছুই যেন আজ আর করতে ভালো লাগছে না তার। মধ্যবিত্ত পরিবারে নিজের কথা ভাবলে শুধু হয় না, সেটা ভেবে জ্যোতি এত কিছু না ভেবে নিজের কাজে মনোযোগ দেবে বলে ঠিক করে। তবে যত দিন বাড়ছে, ততই যেন জ্যোতি আনমনা হয়ে যাচ্ছে।

    জ্যোতির এক বন্ধু তাকে একজন ডাক্তারের নাম্বার দিয়ে বলে, “তুই ডাক্তারের কাছে যা, তোর অসুবিধার কথাগুলো জানা, তোর মধ্যে যে পরিবর্তন হচ্ছে সেগুলো নিয়ে কথা বল। দেখবি, উনি সব ঠিক করে দেবেন।” জ্যোতি নিজের বন্ধুর কথা ফেলতে না পেরে মা-বাবা, বোনকে না জানিয়েই শহরের এক ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে। ডাক্তারের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর ডাক্তারবাবু বলেন, জ্যোতির নাকি ডিপ্রেশন হয়েছে। জ্যোতি পড়াশোনায় ভালো হলেও এইসব ব্যাপার নিয়ে তার কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতা নেই। জ্যোতি ভালোভাবে জানতে চাইলে ডাক্তারবাবু বলেন, “তোমার ডিপ্রেশনটা চরম পর্যায়ে আছে, তোমাকে শুধু ঔষধ দিয়ে লাভ হবে না, তোমার ভিতরে চাপা কষ্টগুলো বের করতে হবে।” জ্যোতি হয়তো নিজেও বুঝতে পারছে না, তার মনে কিসের এত চাপা কষ্ট। ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়ে দেন, জ্যোতিকে আরো চারবার আসতে হবে। জ্যোতি বাড়ি চলে আসে। নিজের অসুস্থতার কথা সে মা-বাবাকে জানায়। দাস বাবু জ্যোতির কথায় বিশেষ পাত্তা দিলেন না। জ্যোতির মা বলে উঠলেন, “এসব তোর মনের ভুল ধারণা। এইটা আবার কোন ধরনের অসুখ! তুই বেশি ভাবছিস, তাই এরকম হচ্ছে। ব্যস্ত রাখ নিজেকে, সব ভালো হয়ে যাবে।”

    জ্যোতির পরিবারের কথা শুনে ডাক্তারবাবুর কাছে পুনরায় আর চিকিৎসার জন্য গেল না। ধীরে ধীরে জ্যোতির এই বিরক্ত হওয়া, ভালো না লাগা, হঠাৎ করে কান্না, হঠাৎ করে চেঁচিয়ে ওঠা যেন বাড়তেই থাকে। গ্রামের কিছু সংখ্যক লোক জ্যোতিকে ততদিনে পাগল বলা প্রায় শুরু করে দিয়েছে। দাস বাবু এই কথাগুলো জেনে এক অজানা ভয় পেতে শুরু করেন। ঘরে এসে তিনি বলেন, “এই কথাগুলো যদি আরো জানাজানি হয়, তাহলে দুই মেয়েরই নাকি বিয়ে হবে না। এত পড়াশোনা করে লাভ কী, যদি বিয়েটা না হয়!” জ্যোতি ততদিনে এটা অনুভব করে ফেলে, ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন তার। সেজন্য সে ডাক্তারবাবুর কাছে যেতে চায়, কিন্তু জ্যোতির বাবা অর্থাৎ দাস বাবু লোকে কী বলবে, লোকলজ্জার ভয়ে জ্যোতিকে ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখেন। একজন গ্রামের মধ্যবিত্ত লোকের পক্ষে ডিপ্রেশন বা এই ধরনের কোনো বিষয় বোঝাটা এত সহজ ছিল না, ঠিক তবে পিতা হয়ে নিজের মেয়ের কষ্ট দেখেও লোকলজ্জার ভয়ে চুপ করে থাকেন—তিনি সেটা ভেবে জ্যোতি কষ্ট পায়।

    অবশেষে নিজের পরিবারের কথা ভেবে একদিন জ্যোতি গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা মায়ের পাশ থেকে উঠে, বিছানার পাশে থাকা কলমটি নিয়ে একটা সাদা কাগজে “আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজে দায়ী” বলে লিখে ঘর থেকে একটি দড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। পরদিন সকালবেলা রাধারানী ঘুম থেকে উঠে জ্যোতিকে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি করতে শুরু করেন। গ্রামের সবাই জেনে যায়, জ্যোতি ঘরে নেই। জ্যোতিকে খুঁজে না পেয়ে অনেকেই মন্তব্য করে, জ্যোতি নাকি পালিয়ে গেছে কোনো পুরুষের সাথে। অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল জ্যোতির—একটি আমগাছের ডালে, শান্ত পুকুরের পাশে, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায়।

    জ্যোতির বোন, মা, বাবা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। গ্রামের সবাই যেন শান্ত হয়ে গেছে জ্যোতির এই দৃশ্য দেখে। জ্যোতির বন্ধুরা এই খবর শোনা মাত্রই ছুটে চলে আসে। বারবার তারা বলতে থাকে, “তোকে আমরা সবাই শক্ত মনের, অনেকটা সাহসী বলতাম। তবে তুই কেন আজ এইভাবে পালিয়ে গেলি?” জ্যোতির বন্ধুর কাছে হঠাৎ সেই সময় ফোন আসে সেই ডাক্তারবাবুর—যিনি জ্যোতির চিকিৎসা করতে চেয়েছিলেন। জ্যোতির বন্ধুর মুখে তার আত্মহত্যার কথা শোনা মাত্রই সেই ডাক্তারবাবু গ্রামে ছুটে চলে আসেন। জ্যোতি কেন আত্মহত্যা করেছে? মধ্যবিত্ত পরিবারের হলেও জ্যোতির মধ্যে আত্মশক্তি ছিল প্রবল—তবে কেন সে আত্মহত্যা করল? তার কি কোনো প্রেম ছিল? নাকি তার থেকেও বড় কোনো ঘটনা ঘটিয়েছে সে, যার জন্য এভাবে আত্মহত্যা করল? এই ধরনের নানান প্রশ্ন গ্রামের লোকজন বলতে শুরু করে।

    ডাক্তারবাবু ততক্ষণে এসে পড়লেন সেই স্থানে, যেখানে ঝুলছে জ্যোতির দেহ। তিনি সবাইকে বললেন, “আপনারা সবাই... এমনকি জ্যোতির পরিবারের মানুষজন, আপনারা সবাই জ্যোতিকে আত্মহত্যার মুখে ঠেলে দিয়েছেন। আপনারা সবাই হচ্ছেন খুনি।” ডাক্তারবাবুর মুখে এই কথা শুনে অনেকেই তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ডাক্তারবাবু তখন বলেন, “মানুষের যেমন শরীরে অসুখ হয়, মাথায় অসুখ হয়, ঠিক তেমনি মানুষের দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, অনুভব করা এই হৃদয়টারও অসুখ হয়, যাকে আমরা ডিপ্রেশন বলি। ডিপ্রেশন মানে কেউ পাগল হয়ে গেছে, এমন নয়। নিজের মনের যন্ত্রণাগুলো যখন মনের মধ্যে চাপা পড়ে পাহাড়সমান হয়ে ওঠে, কাউকে যখন সেই কথাগুলো বলতে গিয়েও বলা হয়ে ওঠে না, তখন আমাদের অনেকেরই এই মনের অসুখ হয়। কেউ কেউ অসুখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে খুব সহজে, তবে জ্যোতির মতো অনেকেই আছে যারা চট করে বেরিয়ে আসতে পারে না এই অসুখ থেকে। তাদের প্রয়োজন চিকিৎসকের। ছোট থেকেই জ্যোতি অনেকের কথা শুনে বড় হয়েছে—গায়ের রং নিয়ে হাসাহাসি করছে অনেকেই, পরিবারের নানান অশান্তি, কিংবা প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারিত হওয়া—জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নিজেকে বাইরে থেকে শক্ত দেখালেও ভিতরে ভিতরে সবকিছু মিলিয়ে জ্যোতি যেন অনুভব করছিল শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজ যেভাবে জ্যোতি আত্মহত্যা করেছে, কালকে হয়তো ঠিক আপনার আপনজন কেউ এই পথটি বেছে নেবে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করছি—জ্যোতিকে তো বাঁচাতে পারলাম না, কিন্তু কারোর যদি এই অসুখ হয় আমরা সবাই যেন চেষ্টা করি তাকে সেই অসুখ থেকে বের করে আনার। হাসাহাসি করে কিংবা সমালোচনা করে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাতে খুনি না হয়ে উঠি।”

    অবশেষে জ্যোতির বন্ধু-বান্ধবদের এবং ডাক্তারবাবুর কথা শুনে গ্রামের সবার চোখে নিজের অজান্তেই জল চলে আসে। দাস বাবু জ্যোতির পা দু’খানা ধরে হালকা ভাবে চুম্বন করে বারবার বলতে থাকেন, “মা, আমায় ক্ষমা করে দে। আমার ভুল হয়েছে।” গ্রামের প্রত্যেক ব্যক্তি একসাথে বলে, “কোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে আজ এক নিষ্পাপ মেয়ের মৃত্যু হলো।” তাই তারা সবাই একসাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় যে, যে সমস্ত জায়গায় আজও অর্থাৎ ডিপ্রেশন কিংবা এই ধরনের বিষয়গুলো সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই কারোর, সেই সমস্ত জায়গায় এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে ঠিক করেন। সবাই আবারও একসাথে বলে ওঠে, “আমরা একটা জ্যোতিকে হারিয়েছি, তবে আজ থেকে আর আমরা এইভাবে কোনো জ্যোতিকে হারাতে পারব না।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৮তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩২)

সম্পাদকীয়  … শরতের আকাশে মেঘের ভেলা ,  দিগন্তে কাশফুলের শুভ্র হাসি —  যেন বাংলার মাটিতে ফিরে আসে এক চিরন্তন প্রতীক্ষার ঋতু। ঢাকের আওয়াজ , ...