অন্তহীন ভাবনা
চুকিয়ে দিয়ে সকল খেলা
ধ্রুবতারার দেশে যাব,
মানস লোকে আপন-ভোলা
শূন্য দোলায় দোল খাব।
ক্লান্ত পথিক শূন্য হাতে
সসীম খেলায় ক্ষান্ত হব,
পাগল পারায় গতির নেশায়
অনন্তকাল বিভোর রব।
এবার আমি চুকিয়ে দিয়ে
ভূবন ঘরের পাওনা দেনা,
তিমির মাখা আলোক লোকে
মত্ত হয়ে দেব হানা।
থামব না কোনো আঘাত পথে
পূর্ন করব মন-বাসনা,
এ যে আমার স্বাধীন মনের
এক অনন্তহীন ভাবনা।
...
আকাশ মাটির যুগলবন্দী
মন পবনের নাও ভাসিয়ে বিশেষ কারো খবর
অসীম গাঙের সসীম তীরে নিয়েছি আজ জবর।
পাইনি খুঁজে অচিন পাখির নাগাল
মন মাঝি তার বৈঠা বেয়ে চলছে চিরকাল।
তোমার আমার খেলার মাঝে-কাজের ফাঁকে
ময়না দ্বীপের অচিন নারী আমায় ডাকে।
ভাবছি আমি কাজের শেষে সারা বেলা
ভাসিয়ে দেব শ্যামের বাঁশির সুরের ভেলা।
প্রাণের খেলায় মত্ত হয়ে অভিসারে
অসীম পথে পা বাড়াব রাধার মত চুপিসারে।
বৃন্দাবনের পথের ধূলায়-ফুলের দোলায়
কৃষ্ণ-রাধার নবীন বাসর কুসুম মালায়।
ছুটির মাঝেও কাজের ছুটি হয়না আমার কোনোদিন
মনের আকাশ যুগান্তরে আশার দিশায় রঙিন।
নিরুদ্দেশে মাত্রা পথে যাত্রা কবে হবে শুরু
সেই আশাতে বক্ষ আমার করে দুরু দুরু।
মনের ভিতর অচিন পাখি কখন আসে যায়
পড়লে ধরা হৃদয় শিকল দিব পাখির পায়।