রাহুল দাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাহুল দাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৯

একটি পবিত্র তীর্থস্থান নুনকুলি
। রাহুল দাস।

    বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার অন্তর্গত একটি গ্ৰাম হলো শ্রীকোনা লালমাটি। গ্ৰামটি শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্ৰামে "নুনকুলি" নামে একটি পবিত্র তীর্থস্থান রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর "শিব চতুর্দশীর" দিনে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। ভক্তের সমাবেশে ঐ দিন মেলাও বসে সেখানে। প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়, কারণ অনেক দূর থেকে ভক্তবৃন্দরা এদিন পুজো দিতে আসে। এই স্থানটির "নুনকুলি" নামকরণের একটি কারণ আছে। সেটি হল   পুরোটা পড়ুন ❤


   তোদের দেখতে ইচ্ছা করে

                  । সুনীল রায় ।

রোজ সকালে তোদের প্রভাতী শুভেচ্ছা পাই 

আমিও যথারীতি আগে পরে শুভেচ্ছা জানাই।

এই যান্ত্রিক সৌজন্য বিনিময়, প্রাণ হীন ভালবাসা 

এখন নাই একে অপরের ঘরে রোজ যাওয়া আসা।

জানিস, সেদিন সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম তোর ঘরে    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


    সামাজিক কার্পেট

           । মৃদুলা ভট্টাচার্য ।

এক,

ভাবনার অভিন্ন হৃদয়ে পথ চলতে চলতে

নিয়ন্ত্রণহীন জীবন থমকে দাঁড়ায় -

ধুলো কাদা মাখা সামাজিক কার্পেট নীচে।

অস্থি মজ্জা শরীর শুষে নেওয়ার আবেগ 

উত্তেজনায় ছট্ফট্ করে, রক্ত ঝরে ফিনকি দিয়ে   পুরো কবিতা পড়ুন ❤


      রক্ত ক্ষরণ

     । সৈকত মজুমদার ।

আমার একজন ভাঙা হৃদয়ের মানুষ প্রয়োজন 

যাকে কেউ ভালোবেসে ছেড়ে গেছে বিনাদোষে!

যার একটা নিষ্পাপ হৃদয় ছিল, আর আজ

প্রাক্তনের অবহেলায় সে দিবানিশি ভুগছে!  

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤


       বেকারত্ব

         । রাজু দাস ।

বয়সটাও প্রায় ত্রিশ এর কাছাকাছি 

সংসারের অনটন ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে 

এদিকে জিনিস পত্রের দাম বলতে  কাশ ছুঁয়া

বাবারও সেই আগের মতো ইনকাম নেই

মাথার উপর তিন তিনটি বিয়ে, 

কিন্তু আমি?       পুরো কবিতা পড়ুন ❤

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৫

    "তেমন রাবার নেই মুছে উনিশে মে" কবি করুণা রঞ্জন ভট্টাচার্যের এই বাণী শ্বাশত। বরাকে বাঙালীর দৈনন্দিন জীবনে হাজারও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ভাষা কেন্দ্রিক আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে উনিশের চেতনাকে স্তিমিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যারা তাদের জানিয়ে রাখি, কবির এই প্রদীপ্ত ঘোষণাই আমাদেরও দৃঢ় অঙ্গীকার।
- শৈলেন দাস



মহান উনিশ, তুমি আছো

  । সীমা পুরকায়স্থ ।

উনিশ, তুমি আছো ট্রেনে ঘুরে ফেরা
ফেরিওয়ালার মুখের বেসুরো গানে।
বাংলায় কথা বলা, রুমাল, টর্চ, ঘড়ি
চেইন, পার্স আদি বিক্রেতার মুখের বুলিতে
তুমি আছো কৃষকের ঘরের
অভাবী ছাত্রের বর্ণমালার বইয়ে।
ওরা মূর্খ! ইংরেজি, আসামি, হিন্দী
অনেকেই বোঝে না।
ওরা দেশ, রাজ্য, ভাষা, জাতি, ধর্ম
বিভাগের চিন্তায় বিভোর নয়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত এক করে
নিজে বাঁচে, পরিবার বাঁচায়, দেশকে বাঁচায়।
বড়লোকের সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ে নয়,
বাঁচায় মাটি - গ্রামের ক্ষেতে, বৃহদাকার বটবৃক্ষে।
সুরক্ষিত করে প্রাণের ভাষা - নবান্ন উৎসবে,
লোক সংস্কৃতিতে, লোক গানে।
আনে প্রশান্তি বাংলার ঘরে ঘরে, 
শস্য শ্যামল সোনার ক্ষেতে।

 


 । রাহুল দাস।

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
রক্ষা করতে বঙ্গ মায়ের সম্মান
হাসতে হাসতে তোমরা করে দিলে
কত সতেজ প্রাণের বলিদান।
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় 
কত না করলে লড়াই,
অবশেষে রেল জংশনে 
জীবন উৎসর্গ করলে,
একটি ভগিনী আর দশটি ভাই।

 

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
ওহে অমর শহীদ তোমাদের চরণে 
জানাই আমি শতকোটি প্রণাম 
আশীর্বাদ করুন আমাকে 
যেন আমিও রক্ষা করতে পারি 
আমার মায়ের সম্মান।

 


। সপ্তমিতা নাথ ।

ফাগুনের রং লাগিয়ে সবে গেল বসন্ত ,
কোন তান্ডবের জোয়ার নিয়ে বৈশাখ দ্বারে দ্বারস্ত,
যে স্টেশনে ছুটে যায় সবাই বরণ করিতে অতিথি আগন্তুক,
সেই স্টেশনেই শেষ ঠিকানা ফেরাতে মাতৃভাষার তরী ডুবন্ত।

মস্ত বড় এক জামাট আবেগ ভেঙ্গে চুরমার
রাজপথে সেদিন লাঞ্চিত মা, হয়ে তার ভাষা ছারখার
প্ত রোদে হঠাৎ হলো বৃষ্টিবিহীন বজ্রপাত,
যখন ওরা কারা করলো ভাষার শরীরে আঘাত।

বরাক সেদিন স্তব্ধ বধির, গভীর নিরাশায়
কেমনে বইবে? গাইবে? কলকল নীরব বিদিশায়
হাজার পাখির সুরের মূর্ছনা মুছে গেল
বেদনায়, স্কুল-কলেজের সিলেট পেন্সিল
ব্ল্যাকবোর্ডও কথা দিল কথা না বলার।

তবে ভাইয়েরা হাল ছাড়েনি হার মানেনি
মিছিলের পর মিছিল করে বুক পেতে দিতে ওরা পিছায় নি।
রাউন্ডের পর রাউন্ড পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করতে ওরাও থামেনি !!
রক্ত হাতে একে অপরে ধরে দশ ভাই এক বোন
মাটিতে লুটায়, তবুও মাকে লুটাতে দেয়নি।

বিরাট আয়োজনে তারাপুর রেল স্টেশন থেকে,
প্রেমতলা দিয়ে ভাষার ভাষা প্রেম রক্ত বয়ে যায়।
বিজয় কলসে প্রেম ধারা ভরে রাখে সবাই,
উনিশ এলে কলস খুলে নিজেকে নিজে রক্ত তিলক পরায়।


 

  । পুষ্পিতা দাস ।


৬১ আর ৭১ এ যারা, 

ত্যাগ করেছেন নিজ প্রাণ।

তাদের জন্য গাইছি আমরা,

উনিশ, একুশের গান।

দুই বাংলার বীর শহীদদের জানাই,

আজ শতকোটি প্রণাম।

তোমার জন্য হয়েছে আজ,

বিশ্ব বাংলার নাম।

রবী আমার অহংকার,

নজরুল আমার ভালোবাসা।

তোমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে,

পেয়েছি এই বাংলা ভাষা।


তোমাদের স্মরি


 । জয়ন্তী দত্ত ।

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
ঐ শোনা‌ যায় মহাকালের ডাক
খড়্গ হাতে উদ্যত, করিতে ছেদন
আমাদের সাধের বাংলাভাষা।
কত সাধনার ধন, কত রক্তের বন্যায় রঞ্জিত মাটি,
ত আত্মত্যাগ্ এগুলো কি বিফলে যাবে? 

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
মহাকালের বারতা। হিংসাস্রয়ীর কপটতা
আগ্রাসনে লিপ্ত চিত্ত
ধূর্ত শকুনীর দলের ভাবনা
কিভাবে করা যায় নির্মূল 
মাতৃ দুগ্ধ সম মোদের মাতৃভাষা।

ওগো তোমরা শোনো 
তোমরা কান পেতে শোনো 
যে শ্লোগান মুখরিত ছিল তোমাদের বিজয় ধ্বনি
যাতে পেল স্হান মাতৃভাষা।
লাঞ্ছনার কবলে পড়ে সে 
যন্ত্রণায় কাতরায় তবু ছাড়ে না নিজ অধিকার,
ভুলেনি তোমাদের শেখানো বুলি
"প্রাণ দেবো, ভাষা দেবনা",
"রক্ত দেবো তবু জবান‌ দেবোনা"।

তোমাদের তেজস্বীতা গেঁথে আছে বরাকের জনমন। 
এখনো আছে প্রতিবাদে মুখর
তোমরা কান পেতে শোনো।
বরাকের জনগণ তোমাদের স্মরণে শ্রদ্ধায়, 
প্রেরণায় প্রদীপ্ত।

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৩

নববর্ষ উদযাপন বাঙালী সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। তাই বাংলা সাহিত্যে নববর্ষ একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। প্রচুর গল্প, কবিতা রচিত হয়েছে নববর্ষকে উপলক্ষ করে। আমাদের এই সংখ্যাটি এরই একটি সংযোজন। নববর্ষের আলোয় সবার জীবনের সকল অনুভূতি সত্য হোক।

-শৈলেন দাস


বর্ষ আবাহন

। সুস্মিতা অধিকারী ।

গভীর আলোয় চির নতুন বৈশাখী প্রভাত
চিহ্ন রেখে যাক তবে সুখপাখিটার। 
মনের কোণে যত আবছা স্মৃতি মুছে যাক শেষের পথে
জাপটে ধরে থাক তবে তীব্রতর চির নতুনের উত্তরাশা।


নববর্ষের বার্তা 

। প্রণীতা দাস ।

পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে

এলো নববর্ষ

সকলের হৃদয়ে জাগে তাই

নতুনের আনন্দ।    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


নতুন বছর

। পায়েলিয়া চক্রবর্তী ।

নতুন বছর নিয়ে আসুক সবার মনে,
এক মুঠো ‌নতুন আশা।
ঐ পথভুলা পাগল গ্রেমিকের‌‌ মনে‌‌ নতুন বছর
ফিরিয়ে আনুক তার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ।

‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤


পহেলা বৈশাখ

। রাহুল দাস ।

পহেলা বৈশাখ 
বড় আনন্দের দিন
চৈত্র শেষে আসে।
নব রঙে, নব উদ্যমে, 
খুশির ডঙ্কা বাজে।     ‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤


প্রতিজ্ঞা

। ছন্দা দাম ।

নতুন প্রভাতের অরুণ আলো প্রাণবায়ু ভরে যায় হৃদঅলিন্দে

নব নব স্বপনে মননে গোপনে, নব ইচ্ছেরা সতত সুর সাধে।

কত ব্যর্থ আশা, জমাট দূরাশা গুমরে গুমরে মরে অবচেতনে..

চায় মেলতে ডানা, ঝাপটায় দোটানা, তবু সাহসী মন না মানে।।


 যুদ্ধের পাখি -২

। কিশোর রঞ্জন দে।

কথা ছিল  ১৪৩১এর প্রথম রবিবারে 

গুটিগুটি পায়ে জানালা খুললেই

নাকে আসবে গন্ধরাজের তুমুল বাতাস। 

 'ভারতবর্ষের শাশ্বত প্রাণ-বীণা' ঢুকবে কানে,

‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-২

 
বাংলা সাহিত্য অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আমরা শুরু করেছি আমাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে। ভালো লাগলে উৎসাহ দেবেন অন্যথায় এড়িয়ে যাবেন। এই সংখ্যায় কেউ জীবনে প্রথমবারের মতো কলম ধরেছেন তো কেউ প্রতাপ এ প্রথম লিখেছেন।

সবাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন আমাদের এই সামান্য প্রয়াসকে। - শৈলেন দাস



পথহারা পথিক
। রাহুল দাস ।

পথহারা পথিক আমি

নেই কোনো ঠিকানা।

উদ্দেশ্যে বিহীন পথে

আমার অবাধ আনাগোনা।

                                                                                     পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔


আমার অতীতে বসন্ত ...
। সুচরিতা দাস ।


আমার অতীতের রং ধূসর, 

সমস্ত মলিনতার আস্তরণে বিবর্ণ, ফানসে। 

আমার অতীতে কোনোদিন দোল উৎসব আসেনি, 

কে জানে কখনও হয়তো বসন্ত এসে চলেও গেছে! 
                                     পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔
 

অপরূপা নববর্ষ
। শুভ্রাংশু নাথ মজুমদার ।


নববর্ষ, তুমি তখনই হর্ষ।

যখন দাও জ্ঞানের স্পর্শ।।

নববর্ষ, তুমি তখনই বিমর্ষ।
                                                                        থাকে না যখন হৃদয়ের স্পর্শ।।

পুরনো স্মৃতি
। সুজিতা দাস ।


অনেক পুরনো স্মৃতি

আজ অবধি মনে পড়ে

হৃদয়ে বাজে

তোমার মধুর কন্ঠ -


পাখির মাঝরাত
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।


কখন ডুবে গেল বেলা;

কিন্তু পাখির চিকির-মিকির,

অন্ধকারেও সেই শব্দধ্বনি,

ক্লান্ত শরীর গাছের আগায়
                                   পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...