। সপ্তমিতা নাথ ।
ফাগুনের রং লাগিয়ে সবে গেল বসন্ত ,
কোন তান্ডবের জোয়ার নিয়ে বৈশাখ দ্বারে দ্বারস্ত,
যে স্টেশনে ছুটে যায় সবাই বরণ করিতে অতিথি আগন্তুক,
সেই স্টেশনেই শেষ ঠিকানা ফেরাতে মাতৃভাষার তরী ডুবন্ত।
মস্ত বড় এক জামাট আবেগ ভেঙ্গে চুরমার
রাজপথে সেদিন লাঞ্চিত মা, হয়ে তার ভাষা ছারখার
তপ্ত রোদে হঠাৎ হলো বৃষ্টিবিহীন বজ্রপাত,
যখন ওরা কারা করলো ভাষার শরীরে আঘাত।
বরাক সেদিন স্তব্ধ বধির, গভীর নিরাশায়
কেমনে বইবে? গাইবে? কলকল নীরব বিদিশায়
হাজার পাখির সুরের মূর্ছনা মুছে গেল
বেদনায়, স্কুল-কলেজের সিলেট পেন্সিল
ব্ল্যাকবোর্ডও কথা দিল কথা না বলার।
তবে ভাইয়েরা হাল ছাড়েনি হার মানেনি
মিছিলের পর মিছিল করে বুক পেতে দিতে ওরা পিছায় নি।
রাউন্ডের পর রাউন্ড পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করতে ওরাও থামেনি !!
রক্ত হাতে একে অপরে ধরে দশ ভাই এক বোন
মাটিতে লুটায়, তবুও মাকে লুটাতে দেয়নি।
বিরাট আয়োজনে তারাপুর রেল স্টেশন থেকে,
প্রেমতলা দিয়ে ভাষার ভাষা প্রেম রক্ত বয়ে যায়।
বিজয় কলসে প্রেম ধারা ভরে রাখে সবাই,
উনিশ এলে কলস খুলে নিজেকে নিজে রক্ত তিলক পরায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন