। মঙ্গলা দত্ত রিমি ।
নীলাম্বু সৈকতে আছড়ে পড়া লোনা জলের ঢেউ টাও জানে জুবিন দা,
আজও তোমার কন্ঠস্বরে সুনামির হিল্লোল খেলা করে হৃদয়ের আনাচে কানাচে।
তুমি বড্ড প্রিয় জুবিন দা, বড্ড প্রিয়।
ভেঙে পড়া স্তম্ভের গায়েও লেগে থাকে তার বিশাল ইতিহাসের গন্ধ,
আর তুমি ভাবছো,
কেউ তোমায় মনে রাখবে কি রাখবে না?
জুবিন দা,
তুমি সেই নিঃসীম সন্ধ্যা যে সন্ধ্যার সাঁঝ বাতির আলো কখনো নেভে না,
তুমি সেই তিথির যার কন্ঠ ছুঁয়ে এসেছে ব্রহ্মপুত্রের গভীরতা, যে ছুঁয়ে দেখেছে বরাক।
যার শব্দ ধ্বনি তে ছুটে চলেছে মেঘের মিছিল,
মনের মণিকোঠায় যার মায়াবিনী সুর জাগিয়েছিল প্রথম প্রেমের কবিতা।
তুমি সেই সীমাহীন দিগন্ত জুবিন দা,
যার কোনো জাত নেই, ধর্ম নেই , নেই কোনো গণ্ডী।
যে উন্মুক্ত ক্যানভাসে ছবি আঁকতো নিজের মতো করে,
ঘুরে বেড়াতো পাড়ার দামাল ছেলের ভীড়ে।
তুমি সেই মানুষ জুবিন দা, যে চিরটাকাল মানুষের হয়ে থেকে গেছে মানুষের মাঝে।
তোমার মতো কে পেরেছে বলো নিজেকে উদিত সূর্যের আলোর মতো উন্মুক্ত করে দিতে,
কে পেরেছে সবার মাঝে নিজেকে ছড়িয়ে দিতে?
তুমি পেরেছো জুবিন দা, তুমি পেরেছো।
পেরেছো বলেই আজ কোনো জাতি কিম্বা ধর্ম তোমার জন্য পথে নামেনি জুবিন দা,
নেমেছে মানুষ, রক্ত মাংসের মানুষ।
যাদের জীবন জুড়ে কেবল তুমি লেগে আছো,
জুবিন দা
কেবল তুমি লেগে আছো।
তোমায় কেউ বিদায় দিচ্ছে না জুবিন দা,
শুধু ভালোবাসার ফুলগুলি লুটিয়ে পড়ছে তোমার পথের পাশে।
যাকে ছাড়া জীবন এর গান অসম্পূর্ণ তাকে কী করে যেতে দেই বলো তো জুবিন দা ?
জীবন এর বায়ুকোণ জুড়ে তুমি সেই ধ্রুবতারা,
যে চিরকাল উজ্জ্বল অমলিন, তুমি সেই অমলতাস পুষ্পস্তবক
যার পাপড়ির প্রতিটি ভাঁজে কেবল স্নিগ্ধ সৌরভ।
তুমি ছিলে, তুমি থাকবে জুবিন দা,
জীবনের গান যে তোমায় ছাড়া বাঁচবে না।
তোমায় ছাড়া বাঁচবে না, জুবিন দা
জীবন এর গান যে তোমায় ছাড়া বাঁচবে না।
ভালো থেকো জুবিন দা,
ভালো থেকো, ভালো থেকো।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন