। রাজু দাস ।
বয়সটাও প্রায় ত্রিশ এর কাছাকাছি
সংসারের অনটন ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে
এদিকে জিনিস পত্রের দাম বলতে আ কাশ ছুঁয়া
বাবারও সেই আগের মতো ইনকাম নেই
মাথার উপর তিন তিনটি বিয়ে,
কিন্তু আমি?
আমার স্কুল জীবনের আমিই রয়ে গেলাম,
রোজ দিনের মতো দশ টাকার ফর্ম
ফিলাপ করে জমা দেই একটি চাকরির আশায়।
মা-ও কি জানি একটা বলবে বলবে
হয়তো এটাই, আমি যা ভাবছি-
এ ভাবে আর কয়দিন চলবে? কিছু তো একটা কর।
টেনশন আমার হয়, কোনো উপায় নেই
রাতের ঘুমও যেনো শত্রু হয়ে গেছে।
বালিশ বেজা সকাল, দুচোখ লাল টকটক
কিছু না খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে
দিনও প্রায় শেষের দিকে, উপবাসে ক্লান্ত শরীর
ডাক পিওন এসে আমাকেই আমার নাম জিজ্ঞেস করে
হাতে একটা খাম ধরিয়ে দেয় ...
খুলতেই চোখের সামনে ব্যাংকের ইন্টারভিউ লেটার!
দীর্ঘ শ্বাস নিই, চাকরিটা এবার হয়ত হয়ে যাবে
কিন্তু ইন্টারভিউর তারিখ কুড়ি দিন আগেই চলে গেছে।
তবুও ছুটতে রইলাম ....
পিছনে বেকারত্ব আর সামনে আমি।
Daraun Raju da
উত্তরমুছুনTnq
উত্তরমুছুন