। রঞ্জন কুমার বণিক ।
শালুক ফুলের দিঘীর মালকিন, চুইয়ে পড়া জোৎস্নার চাঁদ,
ঝিরি ঝিরি শ্রাবণধারায় জুড়ালো আমার কাব্যময়ী রাত ।
গ্রীষ্মের দহন বেলায় পোড়ে তছনছ হল হৃদয়,
তারপরেও কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বেঁচে কিছু রয় ।
কদম কেয়া ফুটলো মনে, বৃষ্টিবাজের কী দোষ ?
শালুক ফুলের দিঘীর মালকিনের এত রোষ !
শালুক ফুলের এতই কদর, নেই যে তার কোনো সুবাস,
ফিরে দ্যাখো, ঝরে যাওয়া পাপড়িগুলোর কী দীর্ঘশ্বাস !
দহন বেলায় বইছি হিয়ার মাঝের ক্ষত বিক্ষতের দাগ,
শ্রাবণে বারিধারা ঢেলে উজার আকাশ, তুমিই বিরাগ !
এমন বেহেমিয়ানায় ভেঙে চুরমার হৃদয় হল চঞ্চল,
মুছে নাই স্মৃতিপটে আঁকা বৃষ্টিভেজা তোমারই আঁচল ।
বইছে দামাল বাতাস, শ্রাবণে মেঘঢাকা ধূসর আকাশ,
শালুক ফুলের হাসিতে যেন জোৎস্না ঝরা তোমারই প্রকাশ ।
কেতকী দোপাটি ফুটলো আমার দোয়ারখোলা মুক্ত আঙিনায়,
তারপরেও শালুক ফুলের দিঘীর পাড়ের দৃষ্টি এড়ানো কি যায় ?
ধরা দাও, ধরা দাও. মুক্ত করো উছল এ রাঙানো প্রাণ,
শুনাও তো মেঘপরীর অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ার গান ।
আষাঢ়ের অশান্ত বাদল, শ্রান্ত শ্রাবণে থিতু কি হয় !
তোমার হাতের গুচ্ছ শালুক ফুলগুলি আমার তরে কেন নয় ?
খুব সুন্দর স্যার।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুন