শরৎ


। রঞ্জন কুমার বণিক ।

আকাশে কালো মেঘের আনাগোনায় বিদায়ের করুণ সুর,

সিক্ত পৃথিবীতে অবাধ্য মেয়ের রেখে যাওয়া স্মৃতি অম্লমধুর।

দাবদাহে জ্বলেপুড়ে খাক্ হয়ে যাওয়া পৃথিবীতে কত অভিযোগ!

অথচ ভুলে যাওয়া মানুষের জন্য নেই তার কোনো অনুযোগ।

অশ্রুমাঝে পাল তুলে চলে যায় সাদা মেঘের ভেলা,

যেন শরৎএর আগমনে ঐ অবাধ্য মেয়ের বিদায়ের পালা।

মাঠ জুড়ে সবুজের যৌবনের হাতছানিতে মনে দেয় দোলা,

শরৎএর আগমনে স্বাগত জানাতে সজ্জিত প্রকৃতির দ্বার খোলা।

প্রভাতে শিউলি, হিমঝুরি, ছাতিম, শেফালির ঘ্রাণে মাতোয়ারা

রূপসী শরৎ ভুলিয়ে দেয় ঐ চঞ্চল মেয়ের গল্প, ছিল যখন আত্মহারা।

নববধূর সাজে শান্ত স্নিগ্ধ শরৎ বাতাসে আঁচল উড়িয়ে,

কাশবনে ঢেউ তুলে জানান দেয় আমি তোমারি দ্বারে দাড়িয়ে।

শিশির ভেজা ঘাসের উপর এঁকে দিলাম আলতা মাখা পায়ের চিহ্ন,

ফুলকুড়ানি আসবে জেনো, খোপায় শেফালী ফুলের মালা বাধার জন্য।

মাছরাঙ্গা দাঁড়িয়ে আমগাছের ডালে, লম্বা ঠোঁটে একদৃষ্টে তাকিয়ে,

রূপালী মাছের আশায় নাছোড়, ভেসে বেড়ায় খঞ্জনা ডানা ঝাকিয়ে।

নিশিতে পূর্ণিমার চাঁদের জোৎস্নায় জোট বাঁধে লক্ষীপেঁচার দল,

আগমনীর সময় হয়েছে মর্তে আসার, জলাশয়ে জলাশয়ে শতদল।

হিমেল হাওয়ায় নিয়ে এসেছে শরৎ ভুলে যাওয়ার বার্তা,

দগ্ধ রিক্ত সিক্ত হওয়ার দিন ফুরিয়েছে, শীত এখন গড়পড়তা।

হালকা কুয়াশার চাদর জড়িয়ে, পরেছে শরৎ খুশির মুকুট,

মায়ের আগমনে এই খুশির জোয়ারে থাকুক প্রকৃতির সাথে বন্ধন অটুট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...