। শিপ্রা দাশ ।
ছোটখাটো একটা চাকরি করে সুপ্রিয়া, একাই থাকে। সারাদিন অফিসের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত সুপ্রিয়া ঘরের টুকিটাকি কাজ সেরে কিছু একটা খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। ততক্ষণে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে প্রায়। বিছানা যেন সুপ্রিয়াকে ছাড়ছেই না…
একলাফে উঠে সুপ্রিয়া বিছানার পাশের খোলা জানালাটা বন্ধ করতে যায়। তখন মনে হলো, কী যেন একটা ছায়ার মতো উঁকি মারছে। সুপ্রিয়া মনে মনে হাসল—ও কিছু না, হয়তো মনের ভ্রম। নিয়মমাফিক রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ল।
পরদিন অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন আবার তার মনে হলো—কী একটা ছায়া উঁকি মারছে। সুপ্রিয়া চেঁচিয়ে উঠল, “কে? কে ওখানে? কে তুমি?” কোন উত্তর নেই।
তৈরি হচ্ছিল সুপ্রিয়া, আজ বড্ড দেরি হয়ে গেছে তার। আবার উঁকি! সুপ্রিয়া অবাক হল। জানালার পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে ছায়াটি বলল, “শুনবে আমার কথা?”
“কি?”
ফিনফিনে সুরে ছায়াটি বলল, “আমাকে অনুসরণ করো।”
সুপ্রিয়া তখন ওর পিছন পিছন চলছে। ছায়াটি বলে, “তুমি ভয় পাচ্ছ? ভয় পেয়ো না গো, কিছু হবে না তোমার।”
ছায়াটি সোজা একটা বিপণির সামনে নিয়ে গিয়ে থামল। আঙুল দেখিয়ে বলল, “দেখো, ওই প্রাণহীনে রয়েছে নানা রঙের আভরণ।”
আর একরকম অদ্ভুত হাসি হেসে সে বলল—“দেখো, এই দেহে প্রাণ রয়েছে, অথচ নিরাবরণ…”

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন