বিশ্বপ্ৰেম

যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস

প্রতাপ : অনলাইন-২২ ]

। যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতির ফলে প্রকৃতির উপর আধিপত্য বিস্তার করতে মানব জাতি আজ অনেকাংশেই সক্ষম। সমগ্র জড় বস্তুজগত যেন তার দৃষ্টি, জ্ঞান ও উপলব্ধির পরিধিতে চলে আসছে। বিশ্বব্যাপী নানাবিধ চিন্তা স্রোতের সাথে সম্মিলন সংমিশ্রণ বর্তমানে অতি সাধারণ এক প্রাত্যহিক ব্যাপার, যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বিজ্ঞান প্রযুক্তিরই প্রাপ্য।

কিন্তু তার সাথে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তিকে বিকশিত ও প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে কি মানুষ? বর্বরোচিত হৃদয়বিহীন দ্বেষ - ঘৃণা, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, ধর্ম ক্ষমতার নামে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা প্রমান করে যে মানব জাতি আজও এই নৈতিক আধ্যাত্মিক শক্তিকে সামগ্ৰিক ভাবে আয়ত্ত করতে সক্ষম হয় নি। যার ফলে সে সর্ববিধ বিরোধের উর্ধ্বে উঠে পারস্পরিক মেলবন্ধনে বেশিদিন থাকতে অক্ষম। তুচ্ছাতিতুচ্ছ পর্যায়ে জাতি ও সমাজের পারস্পরিক বিবাদ ও মত পার্থক্য আজও প্রবল্ভাবে বিদ্যমান। ধ্বংসাত্মক তাড়না বা প্রেরণা যেন মানব সমাজকে আবিষ্ট করে রেখেছে। মানব জাতিকে আজ চয়ন করতে হবে সে সমস্ত ভেদাভেদ ভূলে জীবনের পথে নিজেকে আরো মহীয়ান ও গরীয়ান করে তুলতে ব্রতী হবে, নাকি নিজেরা ভেদাভেদ করে মানব জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।

দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্মের সামগ্রিক ও সমন্বয়কারী অনুশীলন এবং যুগোপযোগী নবীন ধারণা, মানব অভিপ্রায়ের অন্বেষণায় জীবনের প্রকৃত মূল্যবোধ ও গভীর তাৎপর্যকে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে মানবতার সার্বিক লক্ষ্য স্থির করে মানব প্রজাতির সম্ভাব্য বিনাশ হতে রক্ষা করতে তৎপর হয়ে উঠতেই হবেই।

প্রতিটি ব্যক্তি চেতনাই সচেতন বা অচেতন ভাবে চায় বিশ্বচেতনায় রূপান্তরিত হতে। সে নিজেকে ব্যাপ্ত করে দিতে চায় সবার মধ্যে এবং সবাইকে অনুভব করতে চায় নিজের মধ্যে। কেউ কাউকে বাদ দিয়ে নয়। প্রত্যেক সত্বা চায় প্রত্যেকের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করতে। তাই

সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। 

- এই বোধই সর্ব প্রকার মানবিক সম্পর্ককে চির মধুর করে বিশ্বপ্রেমের সূচনা করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ : শুভজিৎ পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের...