জ্যোৎস্নাডুব

। শর্মিলা দত্ত ।

[প্রতাপ : অনলাইন-১৪]

বারান্দা থেকে চাঁদের বলয়কে দেখছিল দাক্ষায়ণী। ছোট্ট একটি ঘর সহ এ বারান্দা তার ভাড়ায় নিজস্ব। 

কোজাগরী রাত ফেলে গেছে দু দুটো নিশিসময় আগে আজকের এই রাতকে। কিন্তু বলয় এখনো ফিকে হয়ে রয়ে গেছে চাঁদকে ঘিরে। এ ফিকে বলয় যেন অতীত-কথা। মনকে তার ডহরে টেনে নেয়। 

দাক্ষায়ণী ভাবে বলয় কি তবে খুব অপরিহার্য? 

বলয় কি কখনো বেড়ি হয়ে যেতে পারে? 


পরাশর আসলে সুহৃদ হতে পারেনি কখনো অথবা হতে চায়নি। একদিকে ভালই হলো দাক্ষায়ণীর জন্য। 


চাঁদ তখনো বলয়ে ফেরি করছিল তার কিছু উর্যা। দাক্ষায়ণীর বিষন্ন চাঁদপানা হাসি যেন সেই উর্যারই সামিল। 


কিন্তু আশ্চর্য!! পরাশর গোপনে চুরি গেছে সেই লক্ষ্ণীমন্ত কোজাগরী রাতে। নিজের বলয়ে সেই পরাশর-চাঁদ নিজেরই কস্তুরী গন্ধে আত্মঘাতী। 

বলয় আখের গোছায় কোনো এক আগামী কোজাগরীর জন্য। 


এমন চাঁদঘাতী পরাশররা প্রায়শই দাক্ষায়ণীদের বারান্দা থেকে জ্যোৎস্নাডুব দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : অনলাইন-২৯

  এই সময়টা আমার নয়           । শৈলেন দাস । এই সময়টা আমার নয় মেঘে বাদলে জুটি কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ সেই ঘর যেখানে আমি থাকি। পুরো কবিতাটি পড়ু...