চৈত্রকে বিদায়!

সুরজ শুক্লবৈদ্য
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।

পশ্চিমের সূর্যকে দেখি অস্ত যেতে,
এ বছরের শেষ সূর্যাস্ত যেন
আমি প্রভাতে দেখিয়াছি,
প্রভাত এক সাক্ষী হয়ে রয়েছে সেই অন্তিম– 
সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়।
রবি যখনি উদিল,
হৃদয়খানি এক করুণ বেদনায় লিপ্ত হইল
উদ্ভিদ দাড়িয়ে তাহা নিরাশা অনুভব করিল
যেইখানে দেখি তাহা;
সেই দিন সেই রাত্রি।
তবুও যেন কেমন লাগে—
শেষ হয়ে গেছে এক ক্যালেন্ডার।
ঝরে ঝরে পড়ছে পুরাতন স্মৃতি
সঙ্গে গাছের পাতাও,
কয়েক ফোঁটা অশ্রু চোখে সম্মিলিত,
সময় ফুরিয়ে যায়– অবিরত,
তবে বিদায় বেলায় একরাশ ক্রন্দনে আশাও।
ব্যথা-বেদনায় সময় বাহিয়া যায়,
মূল্যটুকু কহে—
    "আমাকে এ মুক্ত আকাশে উড়তে দাও,উড়তে দাও,
     এ কেমন বদ্ধ পরিসর,
     এ কেমন অসংগতির অক্ষর,
     শেষ বেলা সেই নবীন অনুভূতি পেতে দাও।"
ধরিত্রী করছে শুধু বৃষ্টিধারার আশ্বাস,
নবীন প্রভাতে দমকা হাওয়ার সাথে এক নতুন বিশ্বাস,
এ হেন দিবস আসবে যেন কিছুক্ষণের পর;
তারি মাঝে প্রভাত বলে—
    "চৈত্রকে বিদায়!"
    "চৈত্রকে বিদায়!"

1 টি মন্তব্য:

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ : শুভজিৎ পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের...