![]() |
রঞ্জন কুমার বণিক |
কাঠফাটা রোদ্দুর, তপ্ত দুপুর,
খাঁ খাঁ করা বুকচেরা মাঠ বিস্তৃত বহুদূর।
নিস্তব্ধ পাখি, হারিয়েছে কোকিল তার সুর,
একাকী শিশুটির আজ কিছুই যেন নয় মধুর।
একটু জিরোনোর আশায় উন্মুক্ত বাতায়ন,
কোথায় সমীরণ? ফাঁকা বুলি সবুজ বনায়ন।
ইট পাথরে বিছানো সভ্যতার নগরায়ন।
শিশুটির পরীক্ষায় প্রশ্ন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
শুনশান পথঘাট, রুদ্র তাপসের কষাঘাত,
চাহিদার তুঙ্গে উঠা বাতানুকূল বাজারজাত।
পথে থাকে শ্রমিক, আর বাতানুকূলে অভিজাত,
মানুষের তৈরী সভ্যতার সাথে মানুষের সংঘাত।
গ্রীষ্মের দহনবেলায় বইছে দৈত্যপুরের বাতাস,
একটু স্বস্তির বারিধারার জন্য তুমুল হা হুতাশ।
সাদা মেঘের ভেলায় ঢেকে যায় নীল আকাশ,
আহ্লাদী মেঘ রবির লুকোচুরিতে উঠে নাভিশ্বাস।
মহুয়ার নেড়াগাছ, ম ম আশপাশ,
পিপাসার্ত ধরণীর করুণ আত্মপ্রকাশ।
গ্রীষ্মের প্রলয়নাচনে জেরবার আকাশ,
শিশুটি পায়নি পড়ন্ত বিকেলে খেলার অবকাশ।
নেই বৃষ্টি, নেই মাটির সোঁদা গন্ধ,
উন্মুক্ত বাতায়ন, দ্বার আজ বন্ধ ।
খসে পড়ে আম, শিশুটির মনে জাগে ধন্দ,
স্বপ্নের জলকেলিতে খুজে পায় হারানো শৈশবের আনন্দ।
নুইয়ে পড়ে ফুল, লতা, পল্লবশোভিত বৃক্ষ,
বোঝেনি সে প্রকৃতি আজ কেন এত রুক্ষ।
ছেড়ে কথা বলার নয়, যতই হোক মানুষ বিজ্ঞানে দক্ষ,
বেড়ে উঠা সভ্যতা কখনো নয় প্রকৃতির সমকক্ষ।
বৈচিত্রময় ঋতুতে প্রকৃতি নিজেকে করেছে উজার,
সভ্যতার বড়াই নয়, সভ্যতাই হোক প্রকৃতির অংশীদার।
Very nice
উত্তরমুছুনধন্যবাদ স্যার
মুছুনধন্যবাদ
মুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুন