। রুমা দাস ।
শরতের নীলিমায় ভেসে আসে অদৃশ্য সঙ্গীত,
শিউলির সুবাসে ভিজে ওঠে প্রভাতের অন্তরঙ্গতা।
কাশদোলায় নদীর তীরে যেন প্রকৃতি নিজেই
উৎসবের আহ্বানপত্র পাঠায় সমগ্র জগৎকে।
শিশুর চোখে নতুন পোশাকের উজ্জ্বল আনন্দ,
ঢাকের গর্জনে থরথর করে ওঠে হৃদয়ের তাল।
আলপনার রঙিন বৃত্তে বোনা থাকে মিলনের আকাঙ্ক্ষা—
মানুষ খুঁজে পায় আপন জনপদের অদৃশ্য সেতু।
ধূপের ধোঁয়ার ভাঁজে মিশে থাকে অর্ঘ্য প্রার্থনা,
শঙ্খধ্বনিতে জেগে ওঠে সুপ্ত সাহসের দীপশিখা।
মা দুর্গা তখন নেমে আসেন—
অশুভের পর্দা ছিন্ন করে শুভ্র আলোর বিস্তার ঘটাতে।
নারীর শক্তি দীপ্ত হয়ে ওঠে অনন্ত জ্যোতিষ্মান,
ভয় ও অন্ধকার লীন হয় নিস্তব্ধতায়।
মানুষ ভেদাভেদ ভুলে সমবেত হয় এক অঙ্গনে—
আনন্দ সেখানে রূপ নেয় মহামন্ত্রে।
তবু গোধূলির ছায়ায় মিশে যায় বিদায়ের সুর,
আলোর অন্তরালে নেমে আসে মধুর বেদনা।
হৃদয়ের গহীনে রয়ে যায় এক নিরন্তর প্রতীক্ষা—
আবার আসবে মা,
আশ্বাসে ভরে দেবে আমাদের পথের প্রান্তর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন