রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৬

। ভাষা শহীদ অমর রহে; মাতৃভাষা অমর রহে।



উনিশে মে আমাদের আত্মপরিচয়

। মহুয়া চৌধুরী ।

    মহাকালের নিরবর্ত্তি পথ পরিক্রমায় মানব সভ্যতা সেই সুদূর অতীত থেকে কালে কালান্তরে বিভিন্ন উপাদানকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে। এই অন্তহীন যাত্রায় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি একটি-অপরিহার্য উপাদান।

    মানব শিশু জন্ম থেকে মাতৃনির্ভর। মাকে অনুসরণ করেই তার জীবনপথে চলার শুরু। তাই ভাষা শিক্ষাও সে তার মায়ের কাছ থেকেই পেয়ে থাকে। মুখের ভাষা এজন্যই আমাদের কাছে মাতৃভাষা।

    আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। হাজার বছরের কালের পরিক্রমায় বাংলা ভাষা একটি নির্দিষ্ট রূপ গ্রহন করে বর্তমানে এক ঐতিহ্যময় ভাষায় পরিগণিত। সমগ্র বিশ্বের সভ্য সমাজে বাংলা এক বিশিষ্ট ভাষা রূপে সর্বজন স্বীকৃত।  বিশদে পড়ুন...


       উনিশ মে আন্দোলনের বীরাঙ্গনাদে

র গল্প

। শতদল আচার্য ।

    পৃথিবীর অনেক আন্দোলনের মত উনিশ মে ৬১ এক ইতিহাস তৈরী করে আছে। বড় বড় বিপ্লবের সাথে উনিশ মে-র মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বরাক উপত্যকার মতো ছোট ভূখন্ডের এই আন্দোলন আজ এক ইতিহাস। এই রক্তাক্ত ঘটনা অনেক আন্দোলন থেকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিচার করলে অনেক বড়। উনিশের মে'র আন্দোলন নিজের মাতৃভাষা বাঁচানোর আন্দোলন। অনেকের মতো এই বরাক উপত্যকাকে প্রান্তিক বলে চিহ্নিত করতে চাই না। যদিও এই উপত্যকা রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত হয়েছে বারবার তবুও এখানের এ প্রাণশক্তি সমস্ত বেড়াজালকে বারবার ভেঙেছে। বিশদে পড়ুন...



        উনিশ  তুমি

  । পরিমল কর্মকার। 

উনিশ   তুমি শুধু দুটি সংখ্যা নও,। 

তোমার ভিতরে রয়েছে মাতৃভাষা কেড়ে নেওয়ার বুলেটের গন্ধ। 


রক্তে ভেজা শহীদের আত্মত্যাগে ভাষা সম্মান বাঁচিয়ে রাখার চেতনা। 

বিশদে পড়ুন...



 উনিশ -একুশে বলি 

 । অসিত চক্রবর্তী ।

    উনিশে মে একটি তারিখ মাত্র নয়, একটি দিন। সে দিনটি শুধুমাত্র একটি দিনই নয় - ইতিহাস। প্রত্যেক মাতৃভাষাপ্রেমী মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। কেননা মাতৃভাষা রক্ষার জন্য এই দিনটি এক বলিদান দিবস। আমি এই দিবসটিকে "শহীদ" দিবস বলবো না। বলবো না দুটি কারণে। প্রথমতঃ এটি আরবি শব্দ, যে ভাষাকে ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সে রক্তের দাগ এখনো টাটকা, গাঢ় লাল। কালো হয়ে যায়নি।‌ সেই রাজাকাররা আজ আবার বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আবার বাঙালিদের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছে। যেন ঠিক পহেলগাঁও, পরিচয় জিজ্ঞেস করে বাঙালি হিন্দু নিধন। পাক‌সেনারা সেদিন যেভাবে খুঁজে খুঁজে হিন্দু পাড়ায় হামলা চালিয়েছিল আজ পঞ্চান্ন বছর পর তারই পুনরাবৃত্তি চলছে।‌ আজ আবার ভারত শত্রু-রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।  বিশদে পড়ুন...



বাংলা ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

। সুনীল রায়।

    *মে মাস* এলেই মনে হয় এটা ভাষা আন্দোলনের মাস। মাতৃ ভাষার তথা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত ঢেলে দেবার ইতিহাসের মাস। ১৯৬১ র মে মাস বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষের মাস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষে দেওয়া শ্রদ্ধার্ঘ্য, এর ফুল গুলো তখনও সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায় নি । ১৯৬১ সনে একাদশ ভাষা শহিদ, শতাধিক আহত দের রক্তে রবীন্দ্রনাথ, ঋষি বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, জীবনানন্দ, নজরুল, মাইকেল মধুসূদন, শরৎ চট্টোপাধ্যায়ের তথা বিশ্বের মাতৃভাষা বাংলা ভাষার বেদী মূলে বুকের রক্ত ও আত্ম বলিদান দিয়ে ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেল শিলচরের ভাষা সেনানীরা। স্বাধীন ভারতের সব চাইতে কলঙ্কের দিন - যে এই প্রথম স্বাধীন ভারতের সশস্ত্র পুলিশ নিরস্ত্র নিরপরাধ সম্পূর্ণ শান্তি পূর্ণ ভাবে শিলচর স্টেশন নিকট বর্তী দাবদাহে তপ্ত রেল লাইনে ৫ জৈষ্ঠ্যের (১৩৬৮ বঙ্গাব্দ ) দগ্ধ হয়ে অবস্থান রত সত্যাগ্রহীদের বর্বরের মতো ঠান্ডা মাথায় খুন করার কলঙ্কিত ইতিহাস। পৃথিবীর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম সেদিনই শিলচরে সদ্য ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে আসা কিশোরী কমলা ভট্টাচার্য্যকে হত্যা করেছিল আসাম পুলিশ। আর একজন ছাত্র শচীন্দ্র পালকেও হত্যা করেছিল। তিনিও সে বছরই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছেন। সঙ্গে আরও নয় জনকে হত্যা করেছিল পুলিশ।  বিশদে পড়ুন...

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৫


     মেঘলা আকাশ 

         । অপর্ণা কুমার ।

     ঝড়ের শেষে দুপুর দেশে

     লালন বুকে পলাশ চোখে, 

     মনের ভেতর মেঘের হাওয়া বয়

     প্রিয় তোমার কিসের এত ভয়। 

     Continue reading...



     মৃত্যুর ওপারে

     । ড. কাত্যায়নী দত্ত চৌধুরী ।

আমি কোনোদিন জীবাশ্ম হতে চেয়েছি।

জন্মের ওপারে, মৃত্যুর ওপারে 

চিতা-ভস্ম-হাড়-গোড় ঠেলে দিচ্ছি ভূগর্ভে,

আরো নীচে - আরো গভীরে,

যেখানে জীবাণুর জনপদ নেই, কেউ নেই,

আমার অবশিষ্টাংশের সাথে আমি একা ও অভিন্ন

Continue reading...



      দেখা হবে না

           । সুস্মিতা দাস ।

মরা গাছটাতেও নতুন পাতা জন্মাবে 

পাড়ার সবচেয়ে বখাটে ছেলেটাও বদলে যাবে ,

অগোছালো ছেলেটাকেও

কেউ ভালোবেসে আপন করে নেবে 

কিন্তু, আমাদের আর দেখা হবে না ।




      আছে আলো সেই পাড়ে

                    । রুনা পাল।

      নিভে গেলে দীপের শিখা 

      হয় না সব কিছু শেষ,

      তিমির ছুঁয়ে ওঠে আবার 

      প্রভাতের এক চিরন্তন আবেশ।





  হঠাৎ দেখা

। দীপান্বিতা ভট্টাচার্য ।

এক যুগ পর আবার হঠাৎ দেখা ট্রেনের কামরায়,

কেনো জানি না

আজ ডুবতে ইচ্ছে করছে উল্টোমুখী হাওয়ায়!

মনে হচ্ছে মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞেস করবো...

কেমন আছো?

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ : শুভজিৎ পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের...