। রাজীব কুমার দাস ।
গগনের অন্তহীন সীমানায় সময়ের নিঃশব্দ স্রষ্টা
অসীম পথ পেরোয়- সূর্যোদয় থেকে নক্ষত্রের বিলয়,
আদি থেকে অন্ত- সে এক সীমাহীন গণিত
এক নিঃশ্বাসে জন্মধারা, এক নিঃশ্বাসে প্রলয়।
সময় গুণে না ঘড়ির কাঁটা,
গুণে শ্বাসের গতি চোখের নীরবতা,
মোহ-মায়া আর হিসেবের অস্পৃস্য বাঁধন
জন্ম মৃত্যুর মধ্যবর্তী এক অলক্ষ্য সেতুর দীর্ঘতা।
সে ছুটে চলে অবিরাম, জানে না ফেরার ভাষা
সময়ের আদলে গড়ে তোলে নতুন দৃশ্যপট,
অলীক স্বপ্নে বুনে যায় আগামীর বীজ
মুছে ফেলে অজানায় অতীতের ধুলোমাখা জট।
তার বুকে নেই রাগ, নেই ক্ষমার পরিমাপ,
নেই ভালোবাসা, ঘৃণার নেই আধার,
অনন্ত ধারা সে বয়ে চলে নিঃশব্দে
যেন অদৃশ্য নদী—যার নেই তীর, নেই পার।
সে অসীম সর্বব্যাপী অদৃশ্য নামহীন
সে অন্তীম দেখা নিয়তির লেথা অজানা ভয়,
সে মহাবিশ্বের ধমনীতে প্রবাহিত এক শ্বাস,
তার স্পন্দন আদি-অন্তের এক অজানা ক্ষয়।
জীবন- এক প্রভাতের আলোর মতো নেয় জন্ম
মৃত্যু- রাত্রির মতো নীরবে ঢেকে দেয় সব মায়ায়,
সময় যেখানে নিরপেক্ষ সাক্ষী হয়ে থাকে দাঁড়িয়ে
অনন্ত সব টেনে নেয় বুকে কালপুরুষের চিরন্তন ছায়ায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন