সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

সমাজকে এগিয়ে নিতে চাই সঠিক নেতৃত্ব

বিমলকান্তি দাস


মানুষের অগ্রগতির ইতিহাস যতই পর্যালোচনা করা যায়, দেখা যায় আদিম অবস্থা থেকে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছতে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। নানা সময়ে নানা সঙ্কট সভ্যতার অগ্রগমনে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। কখনও যুদ্ধের দামামা, কখনও বা ধর্মীয় কিংবা ভাষা-বর্ণের বিপর্যয় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এই সমস্ত কিছু থেকে উত্তরণের উপায় বের করেছে এক শ্রেণির মানুষই। এদের ত্যাগ তিতিক্ষা এবং বহুস্তরীয় আত্মবলিদান সঙ্কট নিরসনের পথ বাৎলে দিয়েছে। যদিও এদের এই মহানুভবতার সঠিক মূল্যায়ণ অনেক ক্ষেত্রেই করা হয়নি। এমনকি অনেকের জীবদ্দশায়ই বরং বিরূপ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এরপরও তাঁরা থেমে থাকেন নি। নিন্দা বা প্রশংসায় বিচলিতও হননি। মানুষের কল্যাণের জন্য যেটুকু করতে হবে সেটাই করে গেছেন বিনা দ্বিধায় এবং নিজস্ব তাগিদে।


সমাজ দেহের এরা চালিকা শক্তি। বিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু। এক কথায় এরা সমাজের নেতা। কিন্তু এই নেতৃত্বে এদের কেউ বৃত করেন না। আহ্বান কিংবা সহযোগিতাও না। উল্টে এদের সমূলে বিনষ্ট করতে একটি চক্র উঠে পড়ে লাগে। কায়েমি স্বার্থে অন্ধ ওইসব ফরেববাজদের কাহিনি কারও অজানা নয়। এরপরও সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে। এবং ভবিষ্যতে আরও দ্রুততর লয়ে এগিয়ে যাবে মানুষের জয়যাত্রা।


নেতৃত্ব কারা দিতে সক্ষম? তার আভাস আমরা এই কছত্র লেখায় কিছুটা হলেও পেয়েছি। স্বামী বিবেকানন্দ, কেশবচন্দ্র সেন, রাজা রামমোহন রায়, হাজি মহম্মদ মহাসিন, সক্রেটিস, কিং মার্টিন লুথার, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী কোপারনিকাস কিংবা গ্যালিলিও প্রমুখ এবং আরও অনেকে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে মানুষের ভ্রান্ত ধারণাগুলি ভেঙে দিয়েছেন। এদের অনমনীয় ভূমিকা সমাজকে এগিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করেছে, একই ভাবে সমাজদেহ পুনর্গঠনে মাইল ফলকের মতো কাজ করেছে। তবে এঁদের কেউই কারও হাতের পুতুল বা কোনও শক্তির দ্বারা পরিচালিত নন। সমাজের অসুস্থতা দূর করতে এঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন। এবং তাদের মহামূল্যবান অবদানের জন্য কোনও বিনিময় মূল্য প্রত্যাশা তো করেনই নি, বরং অনেকেই তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন- অসহনীয় যাতনা, কঠোর সমালোচনা এমনকী কঠিন কঠোর মৃত্যুর পরোয়ানা।


সমাজের বৃহত্তর অংশকে ছেড়ে দিলেও ছোট ছোট গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের অগ্রগমনে একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়। গোষ্ঠীপতি বা মোড়লরাও তাদের গোষ্ঠী পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে, বর্তমানেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে নেতার ভূমিকা কতটা নিখুঁত, তার ওপরই আসলে নির্ভর করে সেই সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী সমাজে কী অবদান রাখবে।


অবশ্য, সমাজের বিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে কোনও গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের সংজ্ঞা পাল্টেছে। সেভাবেই এসেছে ধর্মীয় গোষ্ঠী, অর্থনৈতিক গোষ্ঠী, সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়, জাতিগত বা আঞ্চলিক গোষ্ঠী, ভাষিক গোষ্ঠী এবং উগ্রপন্থী সংগঠন বা গোষ্ঠী। কর্পোরেট জগতের আনাচ-কানাচগুলি না হয় এই আলোচনা থেকে বাদই দেওয়া গেল। আমাদের মূল প্রতিপাদ্য- 'সমাজ গঠনে বা একে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই সঠিক নেতৃত্ব।" যে বিষয়টি বর্তমান সময়ের কানাগলিতে হারিয়ে গিয়ে এক অথৈ সাগরে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।


কিন্তু তা বলে কি সমাজ বসে রয়েছে? সে তো তার মতো করে এগিয়ে যেতে চাইছে। তার ডানায় লেগে যাওয়া কটুগন্ধী কাদা ছাড়াতে যারপরনাই চেষ্টা সে করেই চলেছে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন, প্রশাসন ও পুলিশে ঘুষনীতি, শিক্ষার জালিয়াতি, বাণিজ্যে ভেজাল বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি সৎচিন্তায় স্থবিরতা যে সার্বিক সঙ্কট তৈরি করেছে- এর থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু মানুষকেই দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ আত্মবলিদান। মানুষকে নিয়েই তো সমাজ, ফলে এর প্রতিটি সদস্য যদি নিজেদের ভালটুকু নিংড়ে দিতে চান এবং তা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় দিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই কিন্তু প্রত্যাশিত ফলটুকু পাওয়া হয়ে গেল!


এরজন্য যা দরকার- তা হল, সামনে একটা অটল আদর্শ। এবং একজন রোল মডেল। যাকে কেন্দ্র করে সমাজের ছোট ছোট টুকরোগুলো একটা পরিচিত ফোর্স নিয়ে এগিয়ে আসবে। অসম্ভাবনার অনেক জটিলতা পেরিয়ে আসতে পারে মনের জোর। আদর্শটা কী বা সেই রোল মডেলই বা কে- এই প্রশ্নটাও স্বাভাবিকভাবে পাঠককে নাড়া দিতে বাধ্য। আসলে পুণ্যভূমি এই ভারতে কোনও একটি আদর্শ মানুষের জীবনচর্যাই তাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। অতীতে এমন ঘটনা বারবার ঘটেছে। যার ফিরিস্তি দিতে থাকলে এই ছোট্ট পরিসরে কুলোবে না। কিন্তু পর্যালোচনাটা যে একেবারেই গালগল্প নয়, তা বোদ্ধা পাঠককে বলে দিতে হবে না।


এই লেখা তাদের জন্য- যারা সমাজকে নিয়ে ভাবেন, ভাল কিছু করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন এবং কল্যাণকামী মানুষদের নিয়ে একটা দল গড়ার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে থেকেই বেরিয়ে আসে কাঙিক্ষত নেতৃত্ব। কেননা, নেতা তো গঠিত হয় না, নেতা জন্মায়। সমাজকে ভালবেসে, সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি শেকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে এরা নিজেরাই একদিন সক্রিয় হয়ে ওঠেন। আর তখনই সমূহ অচলায়তন কেটে গিয়ে শুরু হয় নতুন দিনের অনন্ত পথচলা। অন্ধকার কেটে গিয়ে আসে আলোর ঝর্ণা ধারা।

 

শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

নতুন দিগন্ত

 


। কুসুম কলিতা ।


বুকের মাঝে মৃদু ছন্দে আঘাত করে যায়,

বাতাসে ভাসে মহানন্দে সুর শুনতে পায়।


প্রকৃতি ডাকে সাড়া বিশ্বে খুশি ছড়িয়ে পড়ে,

মনের মধ্যে রয়েছে ইচ্ছে আনন্দ যেন ভরে।


নানান রকম ফুলের গন্ধ হৃদয় করে জয়,

মৌমাছি অলি হয়েছে অন্ধ ফুলের লাগে ভয়।


পাখির গানে আনে আনন্দ মন ভালো লাগে,

অপূর্ব শোভা রূপে স্বাচ্ছন্দ্য হৃদি মাঝে জাগে।


নীল আকাশে অসীম অনন্ত মেঘ উড়ে গেলো ,

হৃদয় জুড়ে নতুন দিগন্ত রবি আলো দিলো।

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ নিয়ে প্রথম লেখা

 

। আরতি দাশ ।

মানব জাতির অস্তিত্ব এবং তার ভবিষ্যতের জন্য নিরলস সাহিত্যচর্চা যে কত জরুরি তাই উঠে এসেছে গত রবিবার মালিনীবিল হংসবীণা ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়। কবি শৈলেন দাস সম্পাদিত 'প্রতাপ' সাহিত্য পত্রিকার উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিক, শিল্পী এবং প্রবুদ্ধ নাগরিকরা খোলা মনে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেন এবং সাহিত্যই যে পীড়িত মানুষের পরম নিশ্চিত আশ্রয় হতে পারে তার উল্লেখ করেন।

জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী বারীন্দ্র দাস কর্তৃক উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের পর তরুণ আইনজীবী সুবীর দাস অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। শহর সংলগ্ন হওয়া সত্ত্বেও (পুরসভার অন্তর্ভুক্ত) এই অঞ্চলটি খুবই পশ্চাদপদ, খেটে খাওয়া দিনমজুরদের আবাসস্থল। এই অঞ্চল থেকে শৈলেন দাস যে পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তার পেছনেও রয়েছে পিছিয়ে পড়া, অজ্ঞাত, উপেক্ষিত লোকদের আশা-আকাঙক্ষা তুলে ধরা এবং গ্রামগঞ্জ মফস্বলের লেখক-লেখিকা, যাঁরা প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তাঁদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা।

প্রখ্যাত কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ এবং ছবি গুপ্তা কর্তৃক সাময়িকীটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর উপস্থিত সুধীবৃন্দ তাঁদের বক্তব্য রাখেন। বয়োবৃদ্ধ কবি ছবি গুপ্তা অসুস্থ শরীর নিয়েও ছুটে এসেছেন শৈলেন দাসের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালভাসার টানে। তিনি জানান, নিতান্ত কৈশোর থেকে শৈলেনকে বড় হতে দেখেছেন এবং তাঁর কাব্যচর্চার সঙ্গে প্রথম থেকেই তিনি পরিচিত। সুতরাং শৈলেন দাস কর্তৃক সম্পাদিত পত্রিকা প্রকাশ তাঁর জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। একই অনুভূতি ব্যক্ত করলেন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানটি খুবই ব্যতিক্রমী। বই-পুস্তক বা পত্রপত্রিকার প্রকাশ অনুষ্ঠান সাধারণত হয়ে থাকে শহরের কয়েকটি বিশেষ চিহ্নিত স্থানে-বাঁধাধরা গতানুগতিক পরম্পরায়। কিন্তু এখানে শহরে থেকেও সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশে, উন্মুক্ত মাঠে মেরাপ বেঁধে চন্দ্রাণ্ডপ টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত হয়েছেন সর্বশ্রেণির মানুষ। শহরের পোশাকি ভদ্রলোকরাই শুধু নন, খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরাও মঞ্চ আলোকিত করে বসেছেন। তিনি বলেন, সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ এই ভঙ্গুর ক্ষয়িষ্ণু সমাজের জন্য নিশ্চিতভাবেই এক সুসংবাদ। সাহিত্য মানববিদ্যা চর্চার হাতিয়ার। মানুষ যত সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহী হবে, ততই বিত্ত-বাসনার অন্তহীন ইঁদুর দৌড় থেকে মুক্তি পাবে। হৃদয়বৃত্তি থেকেই সাহিত্যের সৃষ্টি হয়, মানুষ এই চর্চা থেকে যত দূরে সরে যাচ্ছে ততই দানব হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির গণধর্ষণের কথাও উঠে আসে। তিনি রাষ্ট্রনায়কদের অভিযুক্ত করে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষকে নীতিহীন, লম্পট, প্রতারক এবং পরস্বাপহরণকারী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা বা নীতিপাঠ এখন বাধ্যতামূলক নয়, সন্তানদের অর্থ উপার্জনকারী রোবট হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এই ভোগবাদী মানসিকতায় নীতি, নৈতিকতা, সংবেদনশীলতা কোনও কিছুরই স্থান নেই। তাই পাহাড় সমান কেলেঙ্কারি আর নারীদের প্রতি এ ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে। যত সু- সাহিত্য চর্চা হবে, ততই মানুষ আবার মনুষ্যত্বের পথে ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি বিজয়কুমার ভট্টাচার্য, কবি-সাংবাদিক বিমলকান্তি দাস, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও লেখক নবারুণ দে, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী গৌতম ভট্টাচার্য, পুর কমিশনার দিলীপকুমার পাল, বিশিষ্ট নাগরিক নবেন্দুকুমার দাস, কবি মৃদুলা ভট্টাচার্য, শিল্পী বারীন্দ্রকুমার দাস, সমাজকর্মী অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ। সব বক্তাই সমাজ জীবনে সাহিত্যের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবের উল্লেখ করেন এবং পড়াশোনার দিকে মানুষ যত ঝুঁকবে ততই সমাজ জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

[ সৌজন্যে, দৈনিক যুগশঙ্খ ]

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৯

একটি পবিত্র তীর্থস্থান নুনকুলি
। রাহুল দাস।

    বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার অন্তর্গত একটি গ্ৰাম হলো শ্রীকোনা লালমাটি। গ্ৰামটি শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্ৰামে "নুনকুলি" নামে একটি পবিত্র তীর্থস্থান রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর "শিব চতুর্দশীর" দিনে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। ভক্তের সমাবেশে ঐ দিন মেলাও বসে সেখানে। প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়, কারণ অনেক দূর থেকে ভক্তবৃন্দরা এদিন পুজো দিতে আসে। এই স্থানটির "নুনকুলি" নামকরণের একটি কারণ আছে। সেটি হল   পুরোটা পড়ুন ❤


   তোদের দেখতে ইচ্ছা করে

                  । সুনীল রায় ।

রোজ সকালে তোদের প্রভাতী শুভেচ্ছা পাই 

আমিও যথারীতি আগে পরে শুভেচ্ছা জানাই।

এই যান্ত্রিক সৌজন্য বিনিময়, প্রাণ হীন ভালবাসা 

এখন নাই একে অপরের ঘরে রোজ যাওয়া আসা।

জানিস, সেদিন সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম তোর ঘরে    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


    সামাজিক কার্পেট

           । মৃদুলা ভট্টাচার্য ।

এক,

ভাবনার অভিন্ন হৃদয়ে পথ চলতে চলতে

নিয়ন্ত্রণহীন জীবন থমকে দাঁড়ায় -

ধুলো কাদা মাখা সামাজিক কার্পেট নীচে।

অস্থি মজ্জা শরীর শুষে নেওয়ার আবেগ 

উত্তেজনায় ছট্ফট্ করে, রক্ত ঝরে ফিনকি দিয়ে   পুরো কবিতা পড়ুন ❤


      রক্ত ক্ষরণ

     । সৈকত মজুমদার ।

আমার একজন ভাঙা হৃদয়ের মানুষ প্রয়োজন 

যাকে কেউ ভালোবেসে ছেড়ে গেছে বিনাদোষে!

যার একটা নিষ্পাপ হৃদয় ছিল, আর আজ

প্রাক্তনের অবহেলায় সে দিবানিশি ভুগছে!  

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤


       বেকারত্ব

         । রাজু দাস ।

বয়সটাও প্রায় ত্রিশ এর কাছাকাছি 

সংসারের অনটন ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে 

এদিকে জিনিস পত্রের দাম বলতে  কাশ ছুঁয়া

বাবারও সেই আগের মতো ইনকাম নেই

মাথার উপর তিন তিনটি বিয়ে, 

কিন্তু আমি?       পুরো কবিতা পড়ুন ❤

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...