রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৬

    আমাদের গল্প কবিতা গানে ছবিতে নৃত্যে নিত্যদিনের আলাপচারিতায় ধ্বনিত হক এই অঙ্গীকার "উনিশ আত্মপরিচয় আমার" 

- শৈলেন দাস



আমি বাংলাকে ভালোবাসি
      । সুজিতা দাস ।

বাংলা আমার প্রথম ভাষা

শিখেছি মায়ের কাছে ....

আমি বাংলায় হাঁসি বাংলায় কাঁদি

বাঁচি আমি বাংলাকেই ভালোবেসে

                                     পুরো কবিতাটি পড়ুন 


শর্মিষ্ঠা দেবনাথ এর নৃত্য ]

 

মাতৃভাষার আত্মা দর্শনে এক খোঁজ

। অসিত চক্রবর্তী ।

    জানি, বলে লাভ নেই। লিখে লাভ নেই। যা লিখবো বা বলবো, তাতো সবার জানা। চুপ করে কিল হজম করছেন সবাই। কারণ, অভিযুক্ত তো নিজেই। আসামে বাংলার সর্বনাশ করছি আমরাই।

   উনিশে মে'র আত্মবলিদানের‌ লক্ষ্যবিন্দু ছিল  মাতৃভাষা বাংলায় শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেটা পেতে গিয়ে রক্ত দিতে হল। বরাকে সরকারি ভাষা পেল বাংলা। আমরা কি মাতৃভাষা বাংলায় পড়াচ্ছি সন্তানদের? আমরা কি মাতৃভাষা বাংলাকে বরাকে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুইজ হিসাবে ব্যবহার করছি? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আসামে বাংলার প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে এই প্রশ্নেই।   পুরোটা পড়ুন ❤


  ভাষার চেতনা
       । শর্মি দে ।

নতুন করে জেগে উঠলো 'কবির শহর'...
নিভৃত শব্দে ফুঁসছে কলম, 
কবে শুনবে "ওরা" ভাষার আর্তনাদ 
কেন আজও জ্বলে ওঠে এগারো শহিদের
রক্তমাখা বিশ্বাস?
কেন ওরা দেখতে পায় না---
                                    পুরো কবিতাটি পড়ুন 



উনিশে মে

। অভিজিৎ পাল ।


উনিশ আমার জাতিসত্তা, অহং
রক্তমাখা লাল, 
উনিশে আমি শহীদ বাঙালি
শচীন্দ্র, কানাইলাল। 
উনিশ আমার স্টেশন চত্বর
শোকের রক্তবন্যা,   পুরো কবিতাটি পড়ুন 


উনিশের একাদশ
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।

উনিশো একষট্টির সেই উনিশে মে,
নিশি কেটে রবি যেন উদিল থেমে,
'বাংলা' নিয়ে মাতামাতি লাগিল যখন
প্রতিবাদের সাহায্য নিতে হলো তখন,
চারিদিক ক্ষোভ সহ শুধু অনশন—
                                পুরো কবিতাটি পড়ুন 

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৫

    "তেমন রাবার নেই মুছে উনিশে মে" কবি করুণা রঞ্জন ভট্টাচার্যের এই বাণী শ্বাশত। বরাকে বাঙালীর দৈনন্দিন জীবনে হাজারও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ভাষা কেন্দ্রিক আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে উনিশের চেতনাকে স্তিমিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যারা তাদের জানিয়ে রাখি, কবির এই প্রদীপ্ত ঘোষণাই আমাদেরও দৃঢ় অঙ্গীকার।
- শৈলেন দাস



মহান উনিশ, তুমি আছো

  । সীমা পুরকায়স্থ ।

উনিশ, তুমি আছো ট্রেনে ঘুরে ফেরা
ফেরিওয়ালার মুখের বেসুরো গানে।
বাংলায় কথা বলা, রুমাল, টর্চ, ঘড়ি
চেইন, পার্স আদি বিক্রেতার মুখের বুলিতে
তুমি আছো কৃষকের ঘরের
অভাবী ছাত্রের বর্ণমালার বইয়ে।
ওরা মূর্খ! ইংরেজি, আসামি, হিন্দী
অনেকেই বোঝে না।
ওরা দেশ, রাজ্য, ভাষা, জাতি, ধর্ম
বিভাগের চিন্তায় বিভোর নয়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত এক করে
নিজে বাঁচে, পরিবার বাঁচায়, দেশকে বাঁচায়।
বড়লোকের সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ে নয়,
বাঁচায় মাটি - গ্রামের ক্ষেতে, বৃহদাকার বটবৃক্ষে।
সুরক্ষিত করে প্রাণের ভাষা - নবান্ন উৎসবে,
লোক সংস্কৃতিতে, লোক গানে।
আনে প্রশান্তি বাংলার ঘরে ঘরে, 
শস্য শ্যামল সোনার ক্ষেতে।

 


 । রাহুল দাস।

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
রক্ষা করতে বঙ্গ মায়ের সম্মান
হাসতে হাসতে তোমরা করে দিলে
কত সতেজ প্রাণের বলিদান।
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় 
কত না করলে লড়াই,
অবশেষে রেল জংশনে 
জীবন উৎসর্গ করলে,
একটি ভগিনী আর দশটি ভাই।

 

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
ওহে অমর শহীদ তোমাদের চরণে 
জানাই আমি শতকোটি প্রণাম 
আশীর্বাদ করুন আমাকে 
যেন আমিও রক্ষা করতে পারি 
আমার মায়ের সম্মান।

 


। সপ্তমিতা নাথ ।

ফাগুনের রং লাগিয়ে সবে গেল বসন্ত ,
কোন তান্ডবের জোয়ার নিয়ে বৈশাখ দ্বারে দ্বারস্ত,
যে স্টেশনে ছুটে যায় সবাই বরণ করিতে অতিথি আগন্তুক,
সেই স্টেশনেই শেষ ঠিকানা ফেরাতে মাতৃভাষার তরী ডুবন্ত।

মস্ত বড় এক জামাট আবেগ ভেঙ্গে চুরমার
রাজপথে সেদিন লাঞ্চিত মা, হয়ে তার ভাষা ছারখার
প্ত রোদে হঠাৎ হলো বৃষ্টিবিহীন বজ্রপাত,
যখন ওরা কারা করলো ভাষার শরীরে আঘাত।

বরাক সেদিন স্তব্ধ বধির, গভীর নিরাশায়
কেমনে বইবে? গাইবে? কলকল নীরব বিদিশায়
হাজার পাখির সুরের মূর্ছনা মুছে গেল
বেদনায়, স্কুল-কলেজের সিলেট পেন্সিল
ব্ল্যাকবোর্ডও কথা দিল কথা না বলার।

তবে ভাইয়েরা হাল ছাড়েনি হার মানেনি
মিছিলের পর মিছিল করে বুক পেতে দিতে ওরা পিছায় নি।
রাউন্ডের পর রাউন্ড পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করতে ওরাও থামেনি !!
রক্ত হাতে একে অপরে ধরে দশ ভাই এক বোন
মাটিতে লুটায়, তবুও মাকে লুটাতে দেয়নি।

বিরাট আয়োজনে তারাপুর রেল স্টেশন থেকে,
প্রেমতলা দিয়ে ভাষার ভাষা প্রেম রক্ত বয়ে যায়।
বিজয় কলসে প্রেম ধারা ভরে রাখে সবাই,
উনিশ এলে কলস খুলে নিজেকে নিজে রক্ত তিলক পরায়।


 

  । পুষ্পিতা দাস ।


৬১ আর ৭১ এ যারা, 

ত্যাগ করেছেন নিজ প্রাণ।

তাদের জন্য গাইছি আমরা,

উনিশ, একুশের গান।

দুই বাংলার বীর শহীদদের জানাই,

আজ শতকোটি প্রণাম।

তোমার জন্য হয়েছে আজ,

বিশ্ব বাংলার নাম।

রবী আমার অহংকার,

নজরুল আমার ভালোবাসা।

তোমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে,

পেয়েছি এই বাংলা ভাষা।


তোমাদের স্মরি


 । জয়ন্তী দত্ত ।

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
ঐ শোনা‌ যায় মহাকালের ডাক
খড়্গ হাতে উদ্যত, করিতে ছেদন
আমাদের সাধের বাংলাভাষা।
কত সাধনার ধন, কত রক্তের বন্যায় রঞ্জিত মাটি,
ত আত্মত্যাগ্ এগুলো কি বিফলে যাবে? 

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
মহাকালের বারতা। হিংসাস্রয়ীর কপটতা
আগ্রাসনে লিপ্ত চিত্ত
ধূর্ত শকুনীর দলের ভাবনা
কিভাবে করা যায় নির্মূল 
মাতৃ দুগ্ধ সম মোদের মাতৃভাষা।

ওগো তোমরা শোনো 
তোমরা কান পেতে শোনো 
যে শ্লোগান মুখরিত ছিল তোমাদের বিজয় ধ্বনি
যাতে পেল স্হান মাতৃভাষা।
লাঞ্ছনার কবলে পড়ে সে 
যন্ত্রণায় কাতরায় তবু ছাড়ে না নিজ অধিকার,
ভুলেনি তোমাদের শেখানো বুলি
"প্রাণ দেবো, ভাষা দেবনা",
"রক্ত দেবো তবু জবান‌ দেবোনা"।

তোমাদের তেজস্বীতা গেঁথে আছে বরাকের জনমন। 
এখনো আছে প্রতিবাদে মুখর
তোমরা কান পেতে শোনো।
বরাকের জনগণ তোমাদের স্মরণে শ্রদ্ধায়, 
প্রেরণায় প্রদীপ্ত।

বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৪

আজ 'রবি পুজোর' দিন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। নিজের সাহিত্যকীর্তির মাধ্যমে আজও তিনি সকলের মাঝে জীবিত, তাঁর সৃষ্টি অমর।আজকের এই বিশেষ দিনে আমাদের পক্ষ থেকে সবার প্রতি রইল অফুরান শুভেচ্ছা। নিজের পছন্দের মানুষকে শেয়ার করে রবিকবির জন্মদিনের বার্তা পৌঁছে দিন ঘরে ঘরে।  - শৈলেন দাস


ড. অর্পিতা রানী দাস

"বাঙালির গর্বিত সংস্কৃতির ইতিহাসে বেঁচে আছে দুটি-তিনটি বাংলা তারিখ -১লা বৈশাখ, ২৫শে বৈশাখ, ৭ই পৌষ, ২২শে শ্রাবণ। এর মধ্যে তিনটিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামক মহাপুরুষকে ঘিরে।" রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হতো, ঘটা করে সাড়ম্বরে এ দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি, বাঙালির ভাষা ও সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন-মানসিকতা বিকাশে রবীন্দ্রনাথের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের প্রতি ঋণ স্বীকার করে।  পুরোটা পড়ুন ❤


রূপালী গুহ

রবীন্দ্রনাথ ও বৈশাখ মাস একে অপরের পরিপূরক। বাঙালির কাছে দুয়েরই গুরুত্ব অপরিসীম। বছরের যা কিছু পুরোনো সেসব বিদায় দিয়ে যেমন বৈশাখ সাড়ম্বরে নুতনকে বরণ করে, তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন আধুনিক বাঙালির রুচির নির্মাতা। পুরোটা পড়ুন ❤


অঞ্জু এন্দো

২৫ শে বৈশাখ আপামর বাঙালির আত্মশ্লাঘার দিন। এ যে আমাদের প্রাণের ঠাকুর বরীন্দ্রনাথের শুভ জন্মদিন। নতুন বছর২৫ শে বৈশাখবাংলা ভাষাউনিশের একাদশ ভাষা শহিদ যেন বিনি সুতোয় মালা গাঁথা। বাংলার নববর্ষ বয়ে আনে বাঙালির অহংকারের দিন পঁচিশে বৈশাখকেআবার বিশ্বজুড়ে বরাকের আত্মপরিচয়ের দিন উনিশ আসে পঁচিশের জন্ম শতবর্ষের হাত ধরে। পুরোটা পড়ুন ❤


বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

বিশ্বজনীন একাত্মতার এমন আকুল আর্তির সত্যিই কি কোনো প্রয়োজন ছিল? আত্মসংযম আর মূর্ত বিনয়ের প্রতীক বিশ্বকবির এ স্বীকারোক্তিই আজ যুগ যুগান্ত ধরে উত্তরসূরিদের পাথেয় হয়ে আছে। সুনিপুণ হাতের গাঁথা মালা কি কোনোদিন শুকোতে পারে? সে সংগীতের কুসুম আবহমান কাল ধরে হয়ে আছে স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক। এর তুলনা আগেও কোনোদিন ছিল না আর পরেও কোনোদিন হবে না। এ ফুলের তুলনা শুধু নিজেই।  পুরোটা পড়ুন ❤

 

শান্তনু গঙ্গারিডি

তোমাকে যেতে হয়নি চিকেন-নেক পেরিয়ে নরকাসুর পাহাড়ের পাশে বয়ে যাওয়া সুশীতল পানীয়ের খোঁজে।

ট্রেন থেকে নেমে নদী পারাপার। ঘাটে নেমে অনেকটা কষ্ট করে বন্ধুর সৌজন্যে একখানি মটর-গাড়ির বন্দোবস্তে চড়াই উতরাই পেরিয়ে শৈল শহরে পৌঁছে প্রশান্তির সারি সারি পাইনাস খাসিয়া। এদিকে ওদিকে ছড়ানো ঝরনার শব্দ। ঘণ্টার সুরের মতো ঝিঁঝি পোকার একটানা গান।

কলিকাতা হইতে আগত কবিকে "কুবলেঈ" বলে স্বাগত জানায় এক শ বছর আগের সেদিন ১৯১৯এর ১১ই অক্টোবর।  পুরোটা পড়ুন ❤

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...