মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ছোট জাতের মেয়ে

 

   ।। সুনীল রায় ।।

 

আজ থেকে প্রায় দু শত বছর আগে

নাম সাবিত্রী, জন্মেছিল মালীর কুলে

বাবা ঠাকুরদারা ফুল ফুটোয় তাই ফুলে,

কত লোকে ঘৃণা করত ছোট জাত বলে।

সেই সাবিত্রী যখন  মাত্র আঠার হলো

স্বামীর সাহায্যে মেয়েদের স্কুল খুলেছিল।

প্রথম নারী বিদ্যালয় ভারত উপমহাদেশে,

নারী শিক্ষার প্রথম প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হলো।

আরও এক ছোট জাতের মেয়ে নাম রাসমণি

দু শত ত্রিশ বছর আগে বঙ্গে জন্মে ছিলেন যিনি।

উচ্চ বর্ণের বিরোধেও গড়েন মন্দির মায়ের

দক্ষিণেশ্বর কালী বাড়ি আজ আস্থা সকলের।

পাগল ঠাকুর রামকৃষ্ণকে চিনেছিলেন যিনি

সেই ছোট জাতের মেয়ে প্রণম্য রানী রাসমণি,

বঙ্গ দেশের রাসমণি তেজে ছিলেন ঝান্সির রানী।

মানুষ মানুষই হয় ছোট বড় কর্মে তাকে চিনি।।

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

কবিতা

 


।। আদিমা মজুমদার ।।

 

কবিতা আমার মায়ের মুখ

বাবার শাসন,

কই যাস, বড় হয়ে গেছিস বুঝি?

কবিতা আমার চাতালের ধান

সোনালি ধানে শালিকের খুনসুটি।

কবিতা আমার বিধবা পিসি

আকাশ নীল সাদা থান।

কবিতা আমার বিকল্প পরিবার

একটাই জায়গা নিজেকে চেনার।

কবিতা আমার কাশ্মীর ফাইল

প্রপাগেন্ডার কি নিদারুন স্টাইল।

কবিতা আমার ডাস্টবিন থেকে

কুড়িয়ে খাওয়া আওয়ারা শিশু।

কবিতা আমার চুল দাড়ি না কামানো

ফুটপাতে বসা মলিন রবীন্দ্রনাথ।

যার জোব্বা জল মাখেনি অনেকদিন।

কবিতা আমার নিত্য মার খাওয়া

চার বাড়ি কাজ করা পুতুলি দাস।

কবিতা আমার রোজকার দীর্ঘশ্বাস

কবিতা আমার আঁধার রাতের পেট্রমাক্স।

কবিতা আমার শ্রেণী সংগ্রামের হাতিয়ার

ভাতের সাথে রক্ত মাখে পাকস্থলী ভর্তি করে।

কবিতা আমার জাগ্রত চেতনার খোলা খাতা

বন্ধক দিয়েছি আম্বানীর রিলায়েন্স কোম্পানিতে।

রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বসন্ত

 


- মঞ্জরী রায় হীরামণি

            বসন্ত নাকি ঋতুরাজ! বসন্তের কোকিল আর রঙের বাহারে প্রকৃতি নাকি অপরূপা হয়ে ওঠে। এমনটাই স্কুলের রচনা খাতায় ব্ল্যাকবোর্ড থেকে টুকে এনেছিল  শুভা। সে থেকে শুভা জানে কোকিল যখন কুউউ করে ডাকে তখনই বসন্ত আসে। বসন্তের সৌন্দর্যকে  চারপাশে খুঁজে ফিরে।

            ঝাটিঙ্গার তীর ঘেষে শিমুল মন্দাররা যখন ফুলে ফুলে সেজে ওঠে, তখন শহর থেকে দলে দলে মানুষ আসে শুভাদের এই ইটখোলা গাঁয়ে। তারা বসন্তের শোভা দেখেন। ক্ষীণস্রোতা ঝাটিঙ্গায় নেমে জলকেলি করেন। ছবি তোলেন। কিশোরী শুভা আলগা থেকে দাঁড়িয়ে এসব দেখে। ওদের কথাবার্তাও কানে আসে। এমন কী মাঝে মাঝে ছবি তোলার জন্য শুভা আর ওর  সঙ্গী সাথীদের ছবিও তোলেন তারা। শুভারা অবশ্য এতে খুশিই হয়। কারণ নিজেদের ওমন ঝলমলে ছবি মোবাইলে তো ওরা তুলতে পারে না। ওই ছবিগুলো যখন উনারা কাছে ডেকে মোবাইলে দেখান তখন নিজের ছবিকেই কেমন যেন অচেনা মনে হয়। এ ছাড়া চিপস্ চকোলেট বিস্কুট ইত্যাদির প্রাপ্তিও ঘটে বটে! সব মিলিয়ে শুভার মনে হয় বসন্ত বুঝিবা একারণেই ঋতুরাজ!

ফটোবাজি আর চিপস চকোলেট পর্ব সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে অবশ্য সে রং ফিঁকে হতে হতে উধাও হয়ে যায়। মা প্রচুর বকা ঝকা করেন। ঘরে এক ফোঁটা জল নেই। পুকুরগুলো শুকিয়ে কাঠ। কূয়োর হালও তথৈবচ এ অবস্থায় ঝাটিঙ্গার ক্ষীণ স্রোতই ভরসা। ছোট্ট ভাইটিকে ঘরে রেখে মা তো জল আনতে যেতে পারেন না। শুভাকেই প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে নদীর চড়াই উতরাই ভেঙে জল আনতে হয়। শুভা যদি সেই এক কলস জল আনতেই আধ বেলা কাটিয়ে দেয় তাহলে মা তো আর তাকে মন্দার ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানাতে পারেন না!  অগত্যা...

 

প্রচুর গাল মন্দ খেয়েও শুভার দুচোখে ভীষণ স্বপ্ন। ছবিওয়ালা ওই দিদিমণিটির মতো সে-ও একদিন ওমন ঝকঝকে হলুদ শাড়ি পড়বে। ঘাড়ের উপর থাকবে আলতো খোঁপা। আর তাতে গুঁজে দেবে লাল মন্দার...

শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দূরত্বের নির্জনতায়

 


   ।। চন্দ্রিমা দত্ত ।।

 

সবকিছুর সাথে দূরত্ব বেড়ে গেলে

বুঝি, কোনও এক ঝড়োরাত্রি আসন্ন-

মনে হয়  যে ক্ষত শুশ্রুষাযোগ্য  নয়

তারজন্য  অকারণ চিন্তা কেন?

সবার জন্য আরোগ্যনিকেতন নয়

আনন্দনিকেতনও নয় ...

 

দূরত্ব এক আগুনরেখা, ঝলসে যায় পা,

দূরত্ব এক উদাস-আখড়ার ক্লান্ত সুরে

বৈষ্ণবীর  বিষাদ-যাপন কথা ...

যা চলে যায় যেতে দিতেই হয়

যে থাকবে না সে যাবেই সুদূর

আদর্শ, স্বপ্ন, বিপ্লবী ও বিপ্লবের উত্থান

সব-ই একদিন অর্ধসমাপ্ত গল্পে থেকে যায়,

হারিয়ে যায়, 'স্মৃতিঘর' পরে রয় একা নির্জনে ...

 

দূরত্বে ও নির্জনে  রচিত হয় যে বন্ধুত্ব

অন্তহীন প্রবাহে মায়া-জীবনে এটুকুই সত্য –

বিবর্ণ

 


।। মৃদুলা ভট্টাচার্য ।।

 

সৃষ্টির তুলিতে যে গভীরতা রয়েছে

বোধের সচেতন অঙ্কুরিত বীজ

তা কজন জানে! ছড়ানো জনজীবনে

রহস্যের মায়াজাল বোনা হচ্ছে

অন্তরালে ব্যাপক বিশালতা

প্রতিনিয়ত আবদ্ধ মানবিক বোধ!

বিদ্বেষ আর হিংসার সাম্প্রদায়িক ভূমিতে

ওইসব বীজের অঙ্কুর মুষড়ে অজানা

এক অমোঘ ছায়ায় সমাজ নামক শরীরে

লেপন করা হয় কর্দমাক্ত বিবর্ণ রঙ

অজানা আতঙ্ক আশঙ্কায় টুটিটিপে

ভালবাসার সবুজ হৃদয়।


পতাকার রঙ

 


।। শ্রীমান দাস ।।

 

উড়ালপুলের তলা যার ঘর

ফুটপাত যার উঠোন,

তার কাছে তো বহুকাল আগেই

ফিকে হয়ে গেছে পতাকার রঙ।

 

তার অর্ধাহারী পেট জানে

দুটো পোড়া রুটির জন্যেও

কতটুকু স্বাধীনতা বিক্রি করেছে সে।

 

তার কাছে অর্থহীন যত প্রতিশ্রুতি

ইশতেহার কিংবা ভিশন ডকুমেন্ট,

অমৃত মহোৎসব - সে তো বড্ড তেতো!

 

কতো রঙের পতাকার বাতাস লেগেছে গায়,

শুকায়নি তবু বঞ্চিত শরীরের ঘাম

দেয়নি কেউ দুমুঠো ভাতের নিশ্চয়তা।


কেন এসেছো!?

 


।। পিঙ্কী দাস ।।

ওহে ঊনিশ কেন এসেছ তুমি?

লাল টগবগে সব ফুল নিয়ে।

ওহে ঊনিশ কেন এসেছ তুমি?

এত আনন্দ উত্তেজনা নিয়ে

শহীদের মায়ের বুকে আঘাত দিতে?

উত্তর দাও! আমায় উত্তর দাও!

 

উত্তরে "ঊনিশ" বলে উঠে-

ওহে শহীদের মাতা

আমি এসেছি কেন জানো?

তোমার বুকে ১৯৬১-র আঘাত দিতে নয়

আমি এসেছি

১৯ শে‌ মে আর লাল ফুল নিয়ে

ভাষার সে শহীদদের বরণ করতে

জমি

 


।। নীলাদ্রি ভট্টাচার্য ।।

 

মেঘ নিয়ে ওঠার পথে

সমাহিত বৃষ্টি প্রবেশ

সুদীর্ঘকাল থামাতে পারেনি

ফলনের আগুন

 

ভেসে আসে মনের এলাকায়

দেহ ছাড়া

জলের একাত্ম কথা

 

লিপিবদ্ধ

 

ভয়শূন্য 

 

পরিপাটি

 

আমানত

সংযমের আপন চুম্বন।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩

প্রতাপ এর কথা



।। মঞ্জরী হীরামণি রায় ।।

শৈলেন দাস বরাক উপত্যকার সাহিত্য চর্চায় এক পরিচিত নাম। শৈলেনের কবিতা আমি প্রথম ওঁর কন্ঠেই পাঠ শুনেছিলাম শনবিলে একটি অনুষ্ঠানে। সেদিন আমার সাথে ছিলেন আরও এক তরুণ কবি  মৌপিয়া চৌধুরী।  আমরা দুজনেই মুগ্ধ হয়েছিলাম একটাই কারণে, কারণ  শৈলেনের কলম শিকড়কে আঁকড়ে ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে শহরে পড়াশোনা এবং বসবাস শৈলেনের, কিন্তু তিনি শিকড়কে ভুলে যাননি। তাই তো তিনি লিখতে পারেন ---

" হাওর জলাভূমি চাষবাস
নদী ঝিল বিল এবং মাছ
এসবই আমার লিগ্যাসী এখন
এমনটাই সবার ধারণা এবং বিশ্বাস।
তবে জেনে রাখা ভালো এবং প্রয়োজন
সামাজিক ন্যায়, সুশাসন সংস্থাপনে
অন্ত্যজ শ্রেণীর একটি বিদ্রোহই
আমার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। "

আর ঠিক এ কারণেই তিনি পত্রিকা করছেন।  'প্রতাপ' শৈলেনের ঐকান্তিক চেষ্টায় সত্যিকার অর্থেই একটি অবহেলিত জনগোষ্ঠীর "সমাজ ও সাহিত্যের প্রতিভাস"। তা বলে কী প্রতিষ্ঠিত লেখকরা লিখছেন না?  অবশ্যই লিখছেন। এ উপত্যকার যাঁরা বিশিষ্ট, যাঁরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমানা অতিক্রম করেছেন সাহিত্য কৃতিতে তাঁরাও কিন্তু 'প্রতাপ' -য়ে লিখছেন। আর এটাই আমাদের বরাক উপত্যকার সৌহার্দ্য, পাশে থাকার স্পর্ধা।

#৯ম_উত্তর_পূর্বাঞ্চলীয়_বাংলা_ছোট_পত্রিকা_সম্মেলন --য়ে  যে সংখ্যাটি উন্মোচিত হলো, সেটি 'প্রতাপ' এর চতুর্দশ প্রকাশ। ২০১২ থেকে পত্রিকাটি শৈলেন অনিয়মিতভাবে বের করে যাচ্ছেন। এবারের সংখ্যাটি সাজিয়েছেন  কবিতায়  কবিতায়। এ'তে লিখেছেন রানা চক্রবর্তী, সুজিৎ দাস, দোলনচাঁপা দাস পাল, সুশান্ত ভট্টাচার্য,  স্মৃতি দাস, বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য,  শতদল আচার্য, নীলাদ্রী ভট্টাচার্য, মঞ্জরী হীরামণি, শৈলেন দাস, দেবলীনা রায়, আব্দুল হালিম বড়ভুঁইয়া, কুসুম কলিতা, সুখেন দাস, আনুয়ারুল হক, সুশীল দাস, সজল দাস, চন্দন ঘোষ, বিষ্ণুপদ দাস, পিংকি দাস, মানসী সিনহা, সুচরিতা দাস, ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার, দেবরাজ শুভ, সুরজ কুমার নাথ,  জয়মনি দাস। 

প্রতিষ্ঠিত কবিদের সাথে এখানে একেবারেই নূতনরা লিখেছেন। লিখেছেন পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতিভাবান  ছেলে-মেয়েরা। সম্পাদকের সামান্য কথাও রয়েছে। ছোট্ট করে  প্রচ্ছদও রয়েছে ৮ পাতার এই অণু পত্রিকাটিতে। 

এগিয়ে যাও শৈলেন ; এগিয়ে নিয়ে চলো প্রান্তিক জনদের।  অফুরান শুভেচ্ছা সহ পাশে আছি।

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩

প্রতাপ- এর গান ভাসে হিজলের ছায়ায়



।। শর্মিলা দত্ত ।। 
‘প্রতাপ’ এগিয়ে চলেছে ........
এবং বহুদূর তার যাত্রা --- এ আমাদের একান্ত বিশ্বাসের উচ্চারণ।

‘একটি ভাটিয়ালি গান থেকে আমার জন্ম
বহু যুগ আগে, পদ্মানদীর বুকে, আমার এক পূর্বপুরুষ—
এক কৈবর্ত পুরুষ- এক বলিষ্ঠ ও উদাসীন ইলিশ-শিকারী মাঝি
শেষ রাতে, টিপ টিপ বৃষ্টির ভিতরে,
প্রবল ঘুর্ণিময় নদীজলে শক্ত হাতে বৈঠা টেনে টেনে
একটি ভাটিয়ালি গান গেয়েছিলেন—

সেই গান থেকে আমার জন্ম
আমার পিতৃ-পিতামহের
মাতৃ-মাতামহের জন্ম .....' (আত্মপরিচয়, রনজিৎ দাশ)
এমনই মানব জন্মের মানবতার বহুধা কথা নিয়ে ‘প্রতাপ’- এর চলমান সাহিত্যজীবন। সম্পাদক দৃপ্তকণ্ঠে আমাদের জানিয়েছেন, ‘শহরকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চার আসরের সাথে গ্রাম-বরাকের যোগসূত্র গড়ে তোলাই ‘প্রতাপ’-এর উদ্দেশ্য'।— এমন কথা বহু পত্রিকার সম্পাদকীয়তে প্রথমে উচ্চারিত হতে দেখা যায় কিন্তু পরে— এবং ক্রমশ তা অপসৃয়মান কিন্তু অবশ্যই ব্যতিক্রম ‘প্রতাপ’। প্রতাপ এর পাতা জুড়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ জলজ অঞ্চল - শনবিল, চাতলা হাওরের অজস্র কথকতা। তরুণ প্রজন্মের এমন লেখার প্রবণতাকে আন্তরিকভাবে কুর্নিশ করি। স্যালুট জানাই সম্পাদককে যিনি প্রতিনিয়ত উৎসাহ এবং তাগাদা দিয়ে ভালবেসে লিখিয়ে নেন তাদের কলমে বহু সুখ-কথা কিংবা দুঃখগাথা, বঞ্চনার স্বরলিপি অথবা হিজলের ছায়ায় নদীর সাথে ঘাটের সখ্যতার কথা। এ-সবই রয়েছে ‘প্রতাপ’-এর পাতা জুড়ে।

গ্রাম-রাকের ছোট দুধপাতিল, শ্রীকোনার সাহারজুম, দ্বিগরশ্রীকোনা, বিস্তীর্ন চাতলার শ্যামপুর, হরিনগর, রাজপুর, বাঘমারা, রতনপুর এলাকার লেখকরা লিখে চলেছেন তাঁদের অনুভব ও ভাবনার কথা। তাঁদের এই লিখে যাওয়াই-অমাদের কাছে আগামীর প্রত্যয়। সময়, কাল তাঁদেরকে যে যার মতো করে তুলে ধরবে অবশ্যই।
সম্পাদক ‘প্রতাপ’ – এর মাধ্যমে বারবার অনুরোধ রেখেছেন নবপ্রজন্ম যেন নিজেদের এলাকার সমৃদ্ধ ভাবনাকে, লেখনীতে তুলে ধরেন। ‘গ্রাম-বরাকের নতুন প্রজন্ম ‘প্রতাপ’ কে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করার প্রাথমিক মাধ্যম হিসাবে গ্রহন করলেই স্বকীয়তা বজায় থাকবে পত্রিকাটির, সার্থক হবে পত্রিকা গোষ্ঠীর নিরলস প্রয়াসের'- সম্পদকের এ উচ্চারণ অসাধারণ! ‘প্রতাপ’- এর অন্তরনামাই এই কথাকে সমর্থন করে। দু'একজন খ্যাত নামা লেখক ছাড়া বাকি সবাই প্রায় তরুন প্রজন্মের এ বিষয়টাই আমায় মুগ্ধ করেছে, ‘প্রতাপ’কে প্রশ্রয় দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। পত্রিকার মান রাখার তাড়নায় নিজের উচ্চারনের ক্ষতি করেননি সম্পাদক। মানের পরিধি, উচ্চতা – এসব বিষয়ে শেষ কথা বলার আমরা কেউ নেই। কাল-মহাকাল ঠিক চিনিয়ে দেবে আমাদের কে কোথায় আছি বা থাকবো। মাটির গল্প নিয়ে জলজ বাতাসে হিজলের ছায়ায় ‘প্রতাপ’-এর উড়ান হোক অনন্ত অসীম।

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...