বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ : শুভজিৎ পাল

সম্পাদকীয় .........

বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব, দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটে। পূজা মানেই আনন্দ, উৎসব এবং বইয়ের পাতায় হারিয়ে যাওয়ার এক অপূর্ব সুযোগ। বছরের এই বিশেষ সময়ে, প্রতাপ এর পূজা সংখ্যা লেখক ও পাঠকদের জন্য এক অন্যরকম আনন্দ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। বরাক উপত্যকার সাহিত্যের অঙ্গনে প্রতাপ তার স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রাখার প্রয়াস বরাবরই করে আসছে। এ বছর, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পূজা সংখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্নতর একটি দৃষ্টিকোণ থেকে সাজানো হয়েছে, যেখানে আমরা বরাবরের মতই প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি নতুন ও অনভিজ্ঞ লেখকদের, যাদের অধিকাংশই বরাক উপত্যকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কৈবর্ত সম্প্রদায়ের।

প্রতিভার বিকাশ তখনই সম্ভব, যখন তাকে সঠিক মঞ্চে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাই প্রতিবারই প্রতাপের উন্মোচন উপলক্ষে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। একজন নবাগত লেখক তার লেখাটি যখন পাঠকের সামনে তুলে ধরে, তখন তার মধ্যে থাকে এক অপরিসীম সৃজনশীল উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস। তাদের সেই অমলিন আগ্রহ ও আবেগকেই আমরা সাদরে গ্রহণ করে থাকি। নবাগতদের এই উৎসাহ এবং উদ্দীপনাকে আরেকটু জাগিয়ে দিতে এবার থেকে আমরা দুজন লেখককে সম্মাননা প্রদান করব। যারা অবশ্যই নিজেদের সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি প্রতাপ এর প্রচার এবং প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং সাহিত্যচর্চায় আমাদের টিকিয়ে রাখতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।

এই সংখ্যায় পাঠকরা খুঁজে পাবেন বিভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্ম যাতে কখনো উঠে এসেছে আমাদের চারপাশের জীবনের প্রতিচ্ছবি, কখনো ব্যক্তিগত অনুভূতি, আর কখনো বা সমাজের প্রতি গভীর দৃষ্টি। নতুন লেখকদের লেখার মধ্যে থাকা সেই সতেজতা, কাঁচা অভিজ্ঞতা এবং আবেগ পাঠকদের মনকে স্পর্শ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমাদের সাহিত্যিকদের সৃজনশীলতা এবং প্রজ্ঞার মিশেলে এই সংখ্যাটি এক অসাধারণ অনুভূতি বয়ে আনবে বলে আমরা আশা করি।

প্রতাপ এর পাঠকরা যেমন বরাবরই আমাদের সঙ্গে থেকেছেন, তেমনই এবারও আমাদের উৎসাহিত করবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের এই সৃষ্টিশীলতাকে স্বাগত জানিয়ে আমাদেরকে ভবিষ্যতে আরও সৃজনশীল সাহিত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগাবেন। প্রতাপ এর এই সংখ্যাটি আমাদের নির্বাচিত কয়েকজন লেখকদের আর্থিক সহযোগিতায় পূর্ণতা লাভ করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। শুভ দুর্গোৎসব।

                                                                                                             - শৈলেন দাস


সুখেন দাস

    কস্তুরীর সন্ধানে

          । সুখেন দাস ।

এ বর্ষার নাকি বসন্তেরই ফুলের কোনো সুগন্ধি

এপার ওপার খুঁজেছি চারদিকে।

অনেক খুঁজেছি অনেক দেখেছি তবুও বুঝে উঠতে পারিনি

গন্ধটা ভেসে আসছে কোনদিকে ।।

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


প্রিয়তোষ শর্মা

       জীবন

  । প্রিয়তোষ শর্মা ।

 আমৃত্যু বেঁচে থাকতে হবে

 মৃত্যুর স্বাধীনতা নেই বলে!

 জানা নেই মনে

 কীই বা জীবনের মানে!

 [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


প্রদীপ চন্দ্র দাস
            প্রতিচ্ছায়়া

             । প্রদীপ চন্দ্র দাস ।

 এসো এসো এসো তুমি

             রাগঅভিমান ছাড়ি

পড়িয়ে দেব তোমার গলে

       ভালোবাসার মালাখানি।

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


চম্পক সাহা

        বেকারত্ব

         । চম্পক সাহা ।

 স্কুল কলেজ পাশ করেমরছি যে বেঘুরে

 চাকরিটা পাবো কোথায়?

 দিন রাত এক করেফর্ম ফিল আপ করি

 চাকরি পাবার-  কি যে উপায়!

 [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤



অজিত দেবনাথ
  আচ্ছন্ন কুয়াশার সংরাগে

         । অজিত দেবনাথ ।

জানালার কার্নিশ টপকে বেরিয়ে আসে শব্দের মিছিল

নির্বোধ পৃথিবীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিবে বলে

রাজপথে হারায় কত গ্ৰথিত সংলাপ

নিদ্রাহীন রাতের ত্রস্ত পদচারণ

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


অপাংশু দেবনাথ
         প্রতিনিধি

        । অপাংশু দেবনাথ ।

  আলোকিত শূন্যতাকে অতিক্রম করতে পারছিনা,

  আমার চারিদিকে হেঁটে যাচ্ছে অর্ধমৃত মানুষের শরীর,

  জনান্তিকে কে যেন বলে গেলো আমিও তাদেরই একজন।

   [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤



মানসী সিনহা
অচেনা পৃথিবী

। মানসী সিনহা ।

১.

আর ভালো লাগে না এই অচেনা পৃথিবী

দাও ফিরিয়ে আমায় সেই

অনন্যা মূর্ত্ত স্মৃতি

 [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤ 


অভিজিৎ দাস

            গন্তব্য

          । অভিজিৎ দাস ।

  কোথাও বা হেঁটেছি,কোথাও যেনো ভেসেছি

  থমকেছি এসে মোহনায়।

  জীবন দোয়ারেপ্রেমের জোয়ারে

  পাড়ি দিয়েছি ভাঙ্গা নায়।

  [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া 

একটা কথার জন্য রোহিণী

      । আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া ।

একটা কথার জন্য বেঁচে আছি রোহিণী

একটা কথার জন্য তুলোধুনো  করি 'আরব্য রজনী'

আরও একটা কথা যদি বলা যায়

সুখে অ-সুখে এ জীবনটা এগিয়ে যায়

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


সুরজ কুমার নাথ

দুর্গা

। সুরজ কুমার নাথ ।

  দুর্গা তার মায়ের কাছে বায়না ধরেছে, এবার দুর্গা পূজায় সে কোন জামা কাপড় কিনবে না। তার তিনশো টাকা চাই। প্রতি বছর দুর্গার মা দুর্গাকে নতুন জামা কিনে দেন। তবে মাকে কখনো পুজোয় নতুন শাড়ি পরতে দেখেনি সে। বাবা নেই, কে-ই বা কিনে দেবে! সামান্য রেশনের চাল আর লোকের বাড়ি কাজ করে যে উপার্জন তাতেই কোনো রকমে ঘর ও মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালান দুর্গার মা। [পুরো গল্পটা পড়তে ক্লিক করুন এখানে] ❤

সুজিতা দাস
           ফেসবুক

   । সুজিতা দাস ।

অনেক মানুষের দ্বারা নির্মিত এই ফেসবুক

হারিয়ে গেছে নববর্ষের দিনে অনেক পরিচিত মুখ

এখানে যে যার মত যায় আসে   

বিপদে কেউ থাকেনা পাশে  

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


প্রমিলা দাস
             দুর্গা মা

            । প্রমিলা দাস ।

  ভুবনমোহিনী মা আমার আসছে

  খুশির জোয়ার আনন্দের বন্যা বয়ে

  আলতা রং পা, কালো কাজল নয়নে

  কাশ ফুল আর শিউলির সুবাসে

  [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


রূপালী রায়

  অচেনা কবিতা

    । রূপালী রায় ।

আমি পাহাড় খুঁজতে যাই যখনই

গল্প খুঁজে ফেলি।

রং- এর নেশায় মাতাল হয়ে

খেলি রং-এর লুকোচুরি।

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


সুস্মিতা দাস চৌধুরী
 অভিনয়

  । সুস্মিতা দাস চৌধুরী। 

  ভালবাসার নামে 

  কেন করলে অভিনয়

  কি পাবে এর বিনিময়?

  কেন করলেএসব মায়ার ছল

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


সুস্মিতা অধিকারী
বোধন

। সুস্মিতা অধিকারী ।

অন্তস্থলে মৃদু-মন্দ হৃদিপটে শরৎ

 কালের  স্তব্ধ দরজায় মা তোর নিমন্ত্রণ!

কেতকী-যুঁথী, কাশ ফুলে  সাদা মেঘ

মাধুকরী হয়ে ভেসে যায় দিগন্ত

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


রাজু দাস
  আমিও একটা চাকরি করি

                  । রাজু দাস ।

  আমিও একটা চাকরি করি

  হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, কিন্তু 

  লোয়ার লেভেলের

  তাও আবার বেসরকারি। 

  [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


শ্যামলী ভট্টাচার্য্য পাল
এবার জ্যান্ত হয়ে আয় মা

     । শ্যামলী ভট্টাচার্য্য পাল ।

মৃণ্ময়ী এবার জ্যান্ত হয়ে আয় মা!

মা ছাড়া সকলকে তো আর

সব কথা বলা যায় না।

কেন আজ মন উচাটন,

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


ভালোবাসা এমন কেনো 

             । সানি ভট্টাচার্য ।

তোমার ভালোবাসার অন্তহীন জবাব দিয়ে যাবে হৃদয়
আমি থাকি না কেনো যেখানেই।
হৃদয়ে ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছি
হ্যাঁ, থাকবো হয়তো তোমার ভাবনা নিয়ে আরো কিছু বছর।

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤

 

উজ্জ্বলা দাস

   এবার পূজো

    । উজ্জ্বলা দাস ।

এবার পূজো অন্যরকম

চারপাশটা বেশ শান্ত,

প্রতিবাদের দাবিতে আজ

সকলেই যেন ক্লান্ত!

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤



সুনীল রায়
        এবার জেগে উঠো

             । সুনীল রায় ।

 দেরী হয়েছে অনেক এবার জেগে উঠো

 অনেক সহেছ অত্যাচার আর অবিচার

 যতো নিপীড়িতঅবহেলিতজাগো এবার

 হিসাব চাইবিচার চাইএবার জেগে উঠো।

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤



শতদল আচার্য

ভালবাসার সন্ধ্যা

। শতদল আচার্য ।

কতটা হাত প্রসারিত করলে ভালবাসায়

তোমার ছুঁয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নামে।

আমার এক একটা সন্ধ্যা বিকাল

মন খারাপের ঔষধি

তোমার কাছেই ছিল।  [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤

 

বিষ্ণুপদ দাস
     একটি নতুন ভোর

              । বিষ্ণুপদ দাস ।

 একটি নতুন ভোর আবার আসুক

 ধরণী নতুন করে মধুর হাসুক।

 নবীন আলোর বানে সব ধুয়ে মুছে

 বিভেদের গ্লানি যত যাক চলে ঘুচে।

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


 ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার
যা দেবী সর্বভূতেষু....

 । ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার ।

যে সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে ফিরে যায়

বারবার, বোধের দেয়াল হতে,

প্রহরীর রাডারে থাকেনা চিহ্ন

অথচ আশ্চর্য্য

[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤


শৈলেন দাস
নাইন্টিজ এর প্রেম
। শৈলেন দাস ।

শিলচর শহরের বড় একটি শপিংমলে কাজ করে সনকা। লাঞ্চের পর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ক্যাশ কাউন্টার সামলানোর দায়িত্ব তার। তারপর ভাওয়াল পয়েন্ট থেকে অটো বা ই-রিক্সা করে বাড়ি ফেরা। তারাপুর ওভার ব্রিজের পাশের একটি গলিতে থাকে সে। সেন্ট্রাল রোডের মত জায়গায় রাত আটটা কোন বেশি রাত নয়। একটা না একটা গাড়ি পাওয়া যায়ই। কোন কোন দিন তো মল থেকে বের হতে নয়টা বেজে যায়। তখনও গাড়ি পেতে অসুবিধা হয় না। নিত্যদিনের যাতায়াততাই এখানকার অটো বা ই-রিক্সা চালকদের সাথে মোটামুটি মুখ চেনা হয়ে গেছে তার।    [পুরো গল্পটা পড়তে ক্লিক করুন এখানে] ❤

[প্রকাশক : অদিতি দাস  □ নেতাজী লেন, আশ্রম রোড শিলচর  মুদ্রণ : অঞ্জলি ডিজিটাল]

 

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

প্রতাপ : পূজা সংখ্যা - ১৪৩১ প্রকাশিত

 


প্রকাশিত হল সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক ছোটকাগজ প্রতাপ এর পূজা সংখ্যা ১৪৩১। ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুর ১১ ঘটিকায় আশ্রম রোডের নেতাজি লেনে অবস্থিত সম্পাদক শৈলেন দাসের নিজ বাসভবনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি শিবানী গুপ্ত, সমাজকর্মী কুলেন্দ্র দাস, সুনীল রায়, শিক্ষক যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস, কবি অভিজিৎ পাল ও স্মৃতি দাস একযোগে ছোটকাগজটির আবরণ উন্মোচন করেন। এবারের সংখ্যায় রয়েছে আটত্রিশ জনের কবিতা, তিন জনের গল্প ও দুজনের প্রবন্ধ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন গুয়াহাটির সুপরিচিত চিত্রকর শুভজিৎ পাল। প্রতাপ এর নিজস্বতা বজায় রাখতে গিয়ে এই সংখ্যাটিতে গ্রাম বরাকের নতুন লেখকদের যেমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনি শিলচর ও করিমগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখা ও রয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের একজন এবং ত্রিপুরার দুজন স্বনামধন্য কবির কবিতাও রয়েছে।

প্রতাপ এর এই পূজা সংখ্যা উন্মোচন উপলক্ষে সৃজনশীল উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস তথা অমলিন আগ্রহ ও আবেগ নিয়ে সাহিত্যচর্চায় ব্রতী চাতলা হাওরের হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষিকা প্রনিতা দাসকে উদীয়মান কবি হিসাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। নিজের সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি বরাকের সাহিত্য আঙ্গিনায় গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে চলা প্রতাপকে জন্ম লগ্ন থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সৃজনী সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি মৃদুলা ভট্টাচার্যকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে উত্তরীয় দিয়ে বরণ করার মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সুখেন দাস রঞ্জন কুমার বনিক সুস্মিতা দাস চৌধুরী রূপালী রায় অভিজিৎ দাস মানবেন্দ্র চক্রবর্তী জয়ন্তী দত্ত রাহুল দাস সুরাজ কুমার নাথ সুজিতা দাস সুরোজ শুক্লবৈদ্য সুচরিতা দাস পায়েলিয়া চক্রবর্তী সুমঙ্গল দাস শ্যামলী ভট্টাচার্য পাল সুকান্ত দাস সঙ্গীতা দেব রাজু দাস শংকর চন্দ্রনাথ নীলাদ্রি ভট্টাচার্য গোপেন্দ্র দাস সানি ভট্টাচার্য আনোয়ারুল হক বড়ভূঁইয়া চয়ন ঘোষ ড. অর্পিতা দাস আব্দুল হালিম বড়ভূঁইয়া ও শৈলেন দাস। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন কুলেন্দ্র দাস শিবানী গুপ্ত সুজিত দাস সুনীল রায় নিতিশ দাস অভিজিৎ পাল যুগেন্দ্র চন্দ্র দাস স্মৃতি দাস মৃদুলা ভট্টাচার্য প্রনিতা দাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতাপের সম্পাদক শৈলেন দাস।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সে রয়ে গেছে

[ প্রতাপ : নবম সংখ্যা ] 


। সুকান্ত দাস ।


জানি কবেই চলে গেছে সে

মেঠো রাস্তার পথিকের মত

তবুও সে রয়ে গেছে দু চোখের পলকে,

যার স্বপ্ন দিয়ে যায় শত।


সাগরের ঢেউয়ের মতো

অভিনেতা চঞ্চল হৃদয়,

শুকনো বালিয়াড়ি স্তুপে

এক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়

মনে কত প্রশ্ন আসে

তবে কি সে নয়?


স্মৃতিগুলো আজও জীবিত রয়েছে,

মনের ডায়েরীর পাতায়

সে আজও রয়ে গেছে

ভগ্ন হৃদয়ের ব্যথায়।।

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-১০

               শূণ্য

     । যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস ।

আমি আদি, আমি অন্ত, আমি গোলাকার

দুইদিকে প্রসারিত আমার সংসার

ডান যদি ধন হয়, বাম হয় ঋণ

আমা দ্বারা গুণেতে আমাতেই লীন।

                               পুরো কবিতা পড়ুন ❤


              প্রেমকথা

      । শর্মী দে । 

আবছায়া ভোরের গায়ে লেগে থাকে 

কিছু কৌতূহল!

কিশোরীর মধুবনী পাড়েও লেগে 

আছে মোহনার গন্ধ

                                    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


    প্রতিক্ষার প্রতি মুহূর্ত
          । সজল দাস ।

মাছরাঙ্গা পাখির ঠোঁটে ভর করে 

প্রতিদিন সাতরঙা সূর্য নামে,

বিষন্ন বৃষ্টি ভেজা দুপুরে চিলের কান্নায়

ভিজিয়ে দিয়ে যায় হৃদয়ের সব অলিন্দ।

                                                 পুরো কবিতা পড়ুন ❤



জীবনটা বড়ই অদ্ভুত ও বিচিত্র

       । প্রণীতা দাস ।

বিচিত্র এই জীবনে ঘটে চলে
অসংখ্য বিচিত্র সব ঘটনা।
হাঁসি কান্না, আনন্দ বেদনা
দুঃখ সুখ, ভালো মন্দের মিশেলে
এগিয়ে চলে জীবনখানা।
                        পুরো কবিতা পড়ুন ❤


[অনুগল্প]                  স্বপ্নের সেলফি
                               । চন্দন পাল । 

   কি একটা কাজে বহিরাজ্যে গিয়ে (ইউপি সম্ভবত) হাতে কিছু সময় বেঁচেছিল। কোথাও গিয়ে আশপাশ দেখার শখ বরাবরই। কিন্তু তাজমহল দেখার মত সময় হবে না, আগের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিরাপত্তা বিধি ও লাইন কাটতে কাটতেই একঘন্টা চলে যায়।

      ছায়াময় গ্রাম্য! পথ থেকে বড় রাস্তায় উঠে এক ভটভটি (সেভেন সিটার) অটোঅলাকে জিজ্ঞেস করলাম তাজমহলের আগে কোন দর্শনীয় স্থান কিনা... সে হিন্দিতে বললো, "আছে, রথচটি"। বললাম, 'রথচটি'!, চলো, আমি যাবো। সে চালু হল, পথে লোক নিল, লোক নামালো। কিন্তু রাস্তাটি সংকীর্ণ! কেন বুঝে উঠতে পারছিলাম না। শুধু একটা গাড়িই চলাচলের সুবিধা আছে। মাঝে মাঝে সবুজ পাহাড়, লুঙা, নদী, আকাশের বিচিত্র রূপ দেখা দিচ্ছিল আর আমার শখ মিটছিল। যার লোভে আমি আশেপাশে ঘুরতাম। গাড়িতে স্বল্পদূরযাত্রী মেয়ে দুজন বাংলায় কথা বলছিল।   পুরো গল্প পড়ুন ❤

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

সমাজকে এগিয়ে নিতে চাই সঠিক নেতৃত্ব

বিমলকান্তি দাস


মানুষের অগ্রগতির ইতিহাস যতই পর্যালোচনা করা যায়, দেখা যায় আদিম অবস্থা থেকে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছতে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। নানা সময়ে নানা সঙ্কট সভ্যতার অগ্রগমনে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। কখনও যুদ্ধের দামামা, কখনও বা ধর্মীয় কিংবা ভাষা-বর্ণের বিপর্যয় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এই সমস্ত কিছু থেকে উত্তরণের উপায় বের করেছে এক শ্রেণির মানুষই। এদের ত্যাগ তিতিক্ষা এবং বহুস্তরীয় আত্মবলিদান সঙ্কট নিরসনের পথ বাৎলে দিয়েছে। যদিও এদের এই মহানুভবতার সঠিক মূল্যায়ণ অনেক ক্ষেত্রেই করা হয়নি। এমনকি অনেকের জীবদ্দশায়ই বরং বিরূপ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এরপরও তাঁরা থেমে থাকেন নি। নিন্দা বা প্রশংসায় বিচলিতও হননি। মানুষের কল্যাণের জন্য যেটুকু করতে হবে সেটাই করে গেছেন বিনা দ্বিধায় এবং নিজস্ব তাগিদে।


সমাজ দেহের এরা চালিকা শক্তি। বিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু। এক কথায় এরা সমাজের নেতা। কিন্তু এই নেতৃত্বে এদের কেউ বৃত করেন না। আহ্বান কিংবা সহযোগিতাও না। উল্টে এদের সমূলে বিনষ্ট করতে একটি চক্র উঠে পড়ে লাগে। কায়েমি স্বার্থে অন্ধ ওইসব ফরেববাজদের কাহিনি কারও অজানা নয়। এরপরও সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে। এবং ভবিষ্যতে আরও দ্রুততর লয়ে এগিয়ে যাবে মানুষের জয়যাত্রা।


নেতৃত্ব কারা দিতে সক্ষম? তার আভাস আমরা এই কছত্র লেখায় কিছুটা হলেও পেয়েছি। স্বামী বিবেকানন্দ, কেশবচন্দ্র সেন, রাজা রামমোহন রায়, হাজি মহম্মদ মহাসিন, সক্রেটিস, কিং মার্টিন লুথার, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী কোপারনিকাস কিংবা গ্যালিলিও প্রমুখ এবং আরও অনেকে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে মানুষের ভ্রান্ত ধারণাগুলি ভেঙে দিয়েছেন। এদের অনমনীয় ভূমিকা সমাজকে এগিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করেছে, একই ভাবে সমাজদেহ পুনর্গঠনে মাইল ফলকের মতো কাজ করেছে। তবে এঁদের কেউই কারও হাতের পুতুল বা কোনও শক্তির দ্বারা পরিচালিত নন। সমাজের অসুস্থতা দূর করতে এঁরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন। এবং তাদের মহামূল্যবান অবদানের জন্য কোনও বিনিময় মূল্য প্রত্যাশা তো করেনই নি, বরং অনেকেই তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন- অসহনীয় যাতনা, কঠোর সমালোচনা এমনকী কঠিন কঠোর মৃত্যুর পরোয়ানা।


সমাজের বৃহত্তর অংশকে ছেড়ে দিলেও ছোট ছোট গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের অগ্রগমনে একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়। গোষ্ঠীপতি বা মোড়লরাও তাদের গোষ্ঠী পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে, বর্তমানেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে নেতার ভূমিকা কতটা নিখুঁত, তার ওপরই আসলে নির্ভর করে সেই সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী সমাজে কী অবদান রাখবে।


অবশ্য, সমাজের বিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে কোনও গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের সংজ্ঞা পাল্টেছে। সেভাবেই এসেছে ধর্মীয় গোষ্ঠী, অর্থনৈতিক গোষ্ঠী, সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়, জাতিগত বা আঞ্চলিক গোষ্ঠী, ভাষিক গোষ্ঠী এবং উগ্রপন্থী সংগঠন বা গোষ্ঠী। কর্পোরেট জগতের আনাচ-কানাচগুলি না হয় এই আলোচনা থেকে বাদই দেওয়া গেল। আমাদের মূল প্রতিপাদ্য- 'সমাজ গঠনে বা একে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই সঠিক নেতৃত্ব।" যে বিষয়টি বর্তমান সময়ের কানাগলিতে হারিয়ে গিয়ে এক অথৈ সাগরে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।


কিন্তু তা বলে কি সমাজ বসে রয়েছে? সে তো তার মতো করে এগিয়ে যেতে চাইছে। তার ডানায় লেগে যাওয়া কটুগন্ধী কাদা ছাড়াতে যারপরনাই চেষ্টা সে করেই চলেছে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন, প্রশাসন ও পুলিশে ঘুষনীতি, শিক্ষার জালিয়াতি, বাণিজ্যে ভেজাল বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি সৎচিন্তায় স্থবিরতা যে সার্বিক সঙ্কট তৈরি করেছে- এর থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু মানুষকেই দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ আত্মবলিদান। মানুষকে নিয়েই তো সমাজ, ফলে এর প্রতিটি সদস্য যদি নিজেদের ভালটুকু নিংড়ে দিতে চান এবং তা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় দিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই কিন্তু প্রত্যাশিত ফলটুকু পাওয়া হয়ে গেল!


এরজন্য যা দরকার- তা হল, সামনে একটা অটল আদর্শ। এবং একজন রোল মডেল। যাকে কেন্দ্র করে সমাজের ছোট ছোট টুকরোগুলো একটা পরিচিত ফোর্স নিয়ে এগিয়ে আসবে। অসম্ভাবনার অনেক জটিলতা পেরিয়ে আসতে পারে মনের জোর। আদর্শটা কী বা সেই রোল মডেলই বা কে- এই প্রশ্নটাও স্বাভাবিকভাবে পাঠককে নাড়া দিতে বাধ্য। আসলে পুণ্যভূমি এই ভারতে কোনও একটি আদর্শ মানুষের জীবনচর্যাই তাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। অতীতে এমন ঘটনা বারবার ঘটেছে। যার ফিরিস্তি দিতে থাকলে এই ছোট্ট পরিসরে কুলোবে না। কিন্তু পর্যালোচনাটা যে একেবারেই গালগল্প নয়, তা বোদ্ধা পাঠককে বলে দিতে হবে না।


এই লেখা তাদের জন্য- যারা সমাজকে নিয়ে ভাবেন, ভাল কিছু করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন এবং কল্যাণকামী মানুষদের নিয়ে একটা দল গড়ার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে থেকেই বেরিয়ে আসে কাঙিক্ষত নেতৃত্ব। কেননা, নেতা তো গঠিত হয় না, নেতা জন্মায়। সমাজকে ভালবেসে, সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলি শেকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে এরা নিজেরাই একদিন সক্রিয় হয়ে ওঠেন। আর তখনই সমূহ অচলায়তন কেটে গিয়ে শুরু হয় নতুন দিনের অনন্ত পথচলা। অন্ধকার কেটে গিয়ে আসে আলোর ঝর্ণা ধারা।

 

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...