 |
প্রচ্ছদ : শুভজিৎ পাল |
সম্পাদকীয় .........
বছরের
সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব,
দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটে। পূজা মানেই আনন্দ, উৎসব এবং বইয়ের পাতায় হারিয়ে যাওয়ার এক অপূর্ব সুযোগ। বছরের এই বিশেষ সময়ে, প্রতাপ এর পূজা সংখ্যা লেখক ও পাঠকদের জন্য এক অন্যরকম
আনন্দ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। বরাক উপত্যকার সাহিত্যের অঙ্গনে প্রতাপ তার
স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রাখার প্রয়াস বরাবরই করে আসছে। এ বছর, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের পূজা সংখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্নতর একটি
দৃষ্টিকোণ থেকে সাজানো হয়েছে, যেখানে আমরা
বরাবরের মতই প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি নতুন ও অনভিজ্ঞ
লেখকদের, যাদের অধিকাংশই বরাক উপত্যকার প্রান্তিক
জনগোষ্ঠী কৈবর্ত সম্প্রদায়ের।
প্রতিভার
বিকাশ তখনই সম্ভব,
যখন তাকে সঠিক মঞ্চে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাই
প্রতিবারই প্রতাপের উন্মোচন উপলক্ষে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি।
একজন নবাগত লেখক তার লেখাটি যখন পাঠকের সামনে তুলে ধরে, তখন তার মধ্যে থাকে এক অপরিসীম সৃজনশীল উদ্দীপনা ও
আত্মবিশ্বাস। তাদের সেই অমলিন আগ্রহ ও আবেগকেই আমরা সাদরে গ্রহণ করে থাকি।
নবাগতদের এই উৎসাহ এবং উদ্দীপনাকে আরেকটু জাগিয়ে দিতে এবার থেকে আমরা দুজন লেখককে
সম্মাননা প্রদান করব। যারা অবশ্যই নিজেদের সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি প্রতাপ এর
প্রচার এবং প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং সাহিত্যচর্চায় আমাদের টিকিয়ে
রাখতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
এই
সংখ্যায় পাঠকরা খুঁজে পাবেন বিভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্ম যাতে কখনো উঠে এসেছে
আমাদের চারপাশের জীবনের প্রতিচ্ছবি, কখনো ব্যক্তিগত অনুভূতি, আর কখনো বা
সমাজের প্রতি গভীর দৃষ্টি। নতুন লেখকদের লেখার মধ্যে থাকা সেই সতেজতা, কাঁচা অভিজ্ঞতা এবং আবেগ পাঠকদের মনকে স্পর্শ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমাদের সাহিত্যিকদের
সৃজনশীলতা এবং প্রজ্ঞার মিশেলে এই সংখ্যাটি এক অসাধারণ অনুভূতি বয়ে আনবে বলে আমরা
আশা করি।
প্রতাপ এর
পাঠকরা যেমন বরাবরই আমাদের সঙ্গে থেকেছেন, তেমনই এবারও আমাদের উৎসাহিত করবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের এই
সৃষ্টিশীলতাকে স্বাগত জানিয়ে আমাদেরকে ভবিষ্যতে আরও সৃজনশীল সাহিত্য প্রকাশের পথে
এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগাবেন। প্রতাপ এর এই সংখ্যাটি আমাদের নির্বাচিত কয়েকজন
লেখকদের আর্থিক সহযোগিতায় পূর্ণতা লাভ করেছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সবাইকে
শারদীয় শুভেচ্ছা। শুভ দুর্গোৎসব।
- শৈলেন দাস
 |
সুখেন দাস |
কস্তুরীর সন্ধানে
। সুখেন দাস ।
এ বর্ষার নাকি বসন্তেরই ফুলের কোনো সুগন্ধি
এপার ওপার খুঁজেছি চারদিকে।
অনেক খুঁজেছি অনেক দেখেছি তবুও বুঝে উঠতে পারিনি
গন্ধটা ভেসে আসছে কোনদিকে ।।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
প্রিয়তোষ শর্মা |
জীবন
। প্রিয়তোষ শর্মা ।
আমৃত্যু বেঁচে থাকতে হবে
মৃত্যুর স্বাধীনতা নেই বলে!
জানা নেই মনে
কীই বা জীবনের মানে!
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
প্রদীপ চন্দ্র দাস |
প্রতিচ্ছায়়া । প্রদীপ চন্দ্র দাস ।
এসো এসো এসো তুমি
রাগ, অভিমান ছাড়ি
পড়িয়ে দেব তোমার গলে
ভালোবাসার মালাখানি।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
চম্পক সাহা |
বেকারত্ব
। চম্পক সাহা ।
স্কুল কলেজ পাশ করে, মরছি যে বেঘুরে
চাকরিটা পাবো কোথায়?
দিন রাত এক করে, ফর্ম ফিল আপ করি
চাকরি পাবার- কি যে উপায়!
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
অজিত দেবনাথ |
আচ্ছন্ন কুয়াশার সংরাগে । অজিত দেবনাথ ।
জানালার কার্নিশ টপকে বেরিয়ে আসে শব্দের মিছিল
নির্বোধ পৃথিবীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিবে বলে
রাজপথে হারায় কত গ্ৰথিত সংলাপ
নিদ্রাহীন রাতের ত্রস্ত পদচারণ
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
অপাংশু দেবনাথ |
প্রতিনিধি । অপাংশু দেবনাথ ।
আলোকিত শূন্যতাকে অতিক্রম করতে পারছিনা,
আমার চারিদিকে হেঁটে যাচ্ছে অর্ধমৃত মানুষের শরীর,
জনান্তিকে কে যেন বলে গেলো আমিও তাদেরই একজন।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
মানসী সিনহা |
অচেনা পৃথিবী। মানসী সিনহা ।
১.
আর ভালো লাগে না এই অচেনা পৃথিবী
দাও ফিরিয়ে আমায় সেই
অনন্যা মূর্ত্ত স্মৃতি
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
অভিজিৎ দাস |
গন্তব্য
। অভিজিৎ দাস ।
কোথাও বা হেঁটেছি,কোথাও যেনো ভেসেছি
থমকেছি এসে মোহনায়।
জীবন দোয়ারে, প্রেমের জোয়ারে
পাড়ি দিয়েছি ভাঙ্গা না’য়।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া |
একটা কথার জন্য রোহিণী
। আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া ।
একটা কথার জন্য বেঁচে আছি রোহিণী
একটা কথার জন্য তুলোধুনো করি 'আরব্য রজনী'
আরও একটা কথা যদি বলা যায়
সুখে অ-সুখে এ জীবনটা এগিয়ে যায়
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
সুরজ কুমার নাথ |
দুর্গা
। সুরজ কুমার নাথ ।
দুর্গা তার মায়ের কাছে বায়না
ধরেছে, এবার দুর্গা পূজায় সে কোন
জামা কাপড় কিনবে না। তার তিনশো টাকা চাই। প্রতি বছর দুর্গার মা দুর্গাকে নতুন জামা
কিনে দেন। তবে মাকে কখনো পুজোয় নতুন শাড়ি পরতে দেখেনি সে। বাবা নেই, কে-ই বা কিনে
দেবে! সামান্য রেশনের চাল আর লোকের বাড়ি কাজ করে যে উপার্জন
তাতেই কোনো রকমে ঘর ও মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালান দুর্গার মা। [পুরো গল্পটা পড়তে ক্লিক করুন এখানে] ❤
 |
সুজিতা দাস |
ফেসবুক
। সুজিতা দাস ।
অনেক মানুষের দ্বারা নির্মিত এই
ফেসবুক
হারিয়ে গেছে নববর্ষের দিনে অনেক
পরিচিত মুখ
এখানে যে যার মত যায় আসে
বিপদে কেউ থাকেনা পাশে
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
প্রমিলা দাস |
দুর্গা মা । প্রমিলা দাস ।
ভুবনমোহিনী মা আমার আসছে
খুশির জোয়ার আনন্দের বন্যা বয়ে
আলতা রং পা, কালো কাজল নয়নে
কাশ ফুল আর শিউলির সুবাসে
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
রূপালী রায় |
অচেনা কবিতা
। রূপালী রায় ।
আমি পাহাড় খুঁজতে যাই যখনই
গল্প খুঁজে ফেলি।
রং- এর নেশায় মাতাল হয়ে
খেলি রং-এর লুকোচুরি।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
সুস্মিতা দাস চৌধুরী |
অভিনয় । সুস্মিতা দাস চৌধুরী।
ভালবাসার নামে
কেন করলে অভিনয়
কি পাবে এর বিনিময়?
কেন করলে, এসব মায়ার ছল
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
সুস্মিতা অধিকারী |
বোধন
। সুস্মিতা অধিকারী ।
অন্তস্থলে মৃদু-মন্দ হৃদিপটে শরৎ
কালের স্তব্ধ দরজায় মা তোর নিমন্ত্রণ!
কেতকী-যুঁথী, কাশ ফুলে সাদা মেঘ
মাধুকরী হয়ে ভেসে যায় দিগন্ত
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
রাজু দাস |
আমিও একটা চাকরি করি
। রাজু
দাস ।
আমিও একটা চাকরি করি
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, কিন্তু
লোয়ার লেভেলের
তাও আবার বেসরকারি।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
শ্যামলী ভট্টাচার্য্য পাল |
এবার জ্যান্ত হয়ে আয় মা
। শ্যামলী ভট্টাচার্য্য পাল ।
মৃণ্ময়ী এবার জ্যান্ত হয়ে আয় মা!
মা ছাড়া সকলকে তো আর
সব কথা বলা যায় না।
কেন আজ মন উচাটন,
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
ভালোবাসা এমন কেনো
। সানি ভট্টাচার্য ।
তোমার ভালোবাসার অন্তহীন জবাব দিয়ে যাবে হৃদয়
আমি
থাকি না কেনো যেখানেই।
হৃদয়ে
ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছি
হ্যাঁ, থাকবো
হয়তো তোমার ভাবনা নিয়ে আরো কিছু বছর।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
উজ্জ্বলা দাস |
এবার পূজো
। উজ্জ্বলা দাস ।
এবার পূজো অন্যরকম
চারপাশটা বেশ শান্ত,
প্রতিবাদের দাবিতে আজ
সকলেই যেন ক্লান্ত!
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
সুনীল রায় |
এবার জেগে উঠো । সুনীল রায় ।
দেরী হয়েছে অনেক এবার জেগে উঠো
অনেক সহেছ অত্যাচার আর অবিচার
যতো নিপীড়িত, অবহেলিত, জাগো এবার
হিসাব চাই, বিচার চাই, এবার জেগে উঠো।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
শতদল আচার্য |
ভালবাসার সন্ধ্যা
। শতদল আচার্য ।
কতটা হাত প্রসারিত করলে ভালবাসায়
তোমার ছুঁয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নামে।
আমার এক একটা সন্ধ্যা বিকাল
মন খারাপের ঔষধি
তোমার কাছেই ছিল। [এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
বিষ্ণুপদ দাস |
একটি নতুন ভোর । বিষ্ণুপদ দাস ।
একটি নতুন ভোর আবার আসুক
ধরণী নতুন করে মধুর হাসুক।
নবীন আলোর বানে সব ধুয়ে মুছে
বিভেদের গ্লানি যত যাক চলে ঘুচে।
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার |
যা দেবী সর্বভূতেষু....
। ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার ।
যে সিগন্যাল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে ফিরে যায়
বারবার, বোধের দেয়াল হতে,
প্রহরীর রাডারে থাকেনা চিহ্ন
অথচ আশ্চর্য্য –
[এখানে পড়ুন পুরো কবিতা] ❤
 |
শৈলেন দাস |
নাইন্টিজ এর প্রেম। শৈলেন দাস ।
শিলচর শহরের বড় একটি শপিংমলে কাজ করে সনকা। লাঞ্চের পর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ক্যাশ কাউন্টার সামলানোর দায়িত্ব তার। তারপর ভাওয়াল পয়েন্ট থেকে অটো বা ই-রিক্সা করে বাড়ি ফেরা। তারাপুর ওভার ব্রিজের পাশের একটি গলিতে থাকে সে। সেন্ট্রাল রোডের মত জায়গায় রাত আটটা কোন বেশি রাত নয়। একটা না একটা গাড়ি পাওয়া যায়ই। কোন কোন দিন তো মল থেকে বের হতে নয়টা বেজে যায়। তখনও গাড়ি পেতে অসুবিধা হয় না। নিত্যদিনের যাতায়াত, তাই এখানকার অটো বা ই-রিক্সা চালকদের সাথে মোটামুটি মুখ চেনা হয়ে গেছে তার। [পুরো গল্পটা পড়তে ক্লিক করুন এখানে] ❤
[প্রকাশক : অদিতি দাস
□ নেতাজী লেন, আশ্রম রোড শিলচর □ মুদ্রণ : অঞ্জলি ডিজিটাল]