রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৩

নববর্ষ উদযাপন বাঙালী সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। তাই বাংলা সাহিত্যে নববর্ষ একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। প্রচুর গল্প, কবিতা রচিত হয়েছে নববর্ষকে উপলক্ষ করে। আমাদের এই সংখ্যাটি এরই একটি সংযোজন। নববর্ষের আলোয় সবার জীবনের সকল অনুভূতি সত্য হোক।

-শৈলেন দাস


বর্ষ আবাহন

। সুস্মিতা অধিকারী ।

গভীর আলোয় চির নতুন বৈশাখী প্রভাত
চিহ্ন রেখে যাক তবে সুখপাখিটার। 
মনের কোণে যত আবছা স্মৃতি মুছে যাক শেষের পথে
জাপটে ধরে থাক তবে তীব্রতর চির নতুনের উত্তরাশা।


নববর্ষের বার্তা 

। প্রণীতা দাস ।

পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে

এলো নববর্ষ

সকলের হৃদয়ে জাগে তাই

নতুনের আনন্দ।    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


নতুন বছর

। পায়েলিয়া চক্রবর্তী ।

নতুন বছর নিয়ে আসুক সবার মনে,
এক মুঠো ‌নতুন আশা।
ঐ পথভুলা পাগল গ্রেমিকের‌‌ মনে‌‌ নতুন বছর
ফিরিয়ে আনুক তার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ।

‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤


পহেলা বৈশাখ

। রাহুল দাস ।

পহেলা বৈশাখ 
বড় আনন্দের দিন
চৈত্র শেষে আসে।
নব রঙে, নব উদ্যমে, 
খুশির ডঙ্কা বাজে।     ‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤


প্রতিজ্ঞা

। ছন্দা দাম ।

নতুন প্রভাতের অরুণ আলো প্রাণবায়ু ভরে যায় হৃদঅলিন্দে

নব নব স্বপনে মননে গোপনে, নব ইচ্ছেরা সতত সুর সাধে।

কত ব্যর্থ আশা, জমাট দূরাশা গুমরে গুমরে মরে অবচেতনে..

চায় মেলতে ডানা, ঝাপটায় দোটানা, তবু সাহসী মন না মানে।।


 যুদ্ধের পাখি -২

। কিশোর রঞ্জন দে।

কথা ছিল  ১৪৩১এর প্রথম রবিবারে 

গুটিগুটি পায়ে জানালা খুললেই

নাকে আসবে গন্ধরাজের তুমুল বাতাস। 

 'ভারতবর্ষের শাশ্বত প্রাণ-বীণা' ঢুকবে কানে,

‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদতারা

 


।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।


সূর্য আঁধারে ঢাকে আবার আলো ছড়ায়।

আলো আঁধারি তার অনিবার্য দিনপঞ্জী ।

আলোর সড়কপথে চলতে চাই

তাই ভালোবাসি আলোকে ।


যেখানে সেখানে হাত প্রসারিত করলে 

কাটা যেতে পারে প্রণয়মুখী হাত 

হাত ধরব তো সহযোদ্ধার


চাঁদতারা আজও আকাশে ওঠে 

কিন্তু তারা মিশুকে নয়। কথা বলেনা। 

অলক্ষ্যে কেউ শাসায় কিনা তাও জানিনা।


একঝাঁক উদার তারা আর প্রেমময় চাঁদ 

                        দাওনা আকাশে হে গোবিন্দ 

আমি ডুবে মরি রাইয়ের সাথে।।


রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

বসন্তের ভালোলাগা

 


                                        - শৈলেন দাস 

ভরদুপুরে প্রায় দেড় ঘন্টা ড্রাইভ করার পর ব্লকের রাস্তা অতিক্রম করে একটি কালো রংয়ের ফোর'হুইলার এসে থামলো গ্রামের  শেষ প্রান্তে গ্রামটির নাম সন্তোষপুর। ধীর পায়ে গাড়ি থেকে নামল সোহিনী ঘাড় ঘুরিয়ে দুচোখ ভরে দেখল সবদিক তারপর কল করল মোবাইলে।

মাত্র মিনিট সাতেকের হাঁটাপথ, তারপর টিলার উপরে পর্যটন স্থল। জায়গাটির নাম "পাঁচাল"। সেখানে ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে শিলচর থেকে এসেছে সে। সামাজিক মাধ্যমে এই উৎসবের কথা জেনে আগ্রহ প্রকাশ করতেই সাড়া দিয়েছিল তার ফেসবুক ফ্রেন্ড ধীরেন দাস। সে-ই জানিয়েছিল, এই উৎসব শিশুদের নিয়ে। শিশুরা প্রাণের আনন্দে হই হই রই রই করে রঙ-রঙিলা ঘুড়ি উড়ায় আর বসন্তবাতাস সেই ঘুড়িদের সাথে লাগিয়ে দেয় হুটোপুটি। মেয়েরা আলপনা দেয়, ছোট্ট ছোট্ট মেয়েরা মায়ের, দিদিদের শাড়ি পরে সেজেগুজে আসে নাচবে-গাইবে বলে। বয়সের কোন বাধা নেই, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গ্রামের সবাই চলে আসে ঘুড়ি উৎসবের আনন্দ-হাটে।

সোহিনীর মনে প্রথমে কিছুটা সঙ্কোচ ছিল। শুধুমাত্র ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে ধীরেনের ডাকে এখানে তার চলে আসা ঠিক হয়েছে কি? সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে আজকাল কত রকম অপকর্মই তো চরিতার্থ করছে কিছু লোকে! কিন্তু না, এখানে আসার পর ভীষণ ভাল লাগল তার। ধীরেন সোহিনীকে ঘুরে দেখালো চারপাশ। পাঁচালের পশ্চিম দিকে বিস্তৃত শনবিল। পূর্ব দিকে ছোটকোনা গ্রাম। ধীরেন হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিল ফেসবুকে সোহিনীর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা প্রীতিভাজনব্যক্তি'র বাড়ি। সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় সেখানকার আরও দু একজন বন্ধুর সাথে পরিচিত হল সে। তারপর সবাই মিলে কিছু ছবি তুলল মুঠোফোনে।

সোহিনী দেখল ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে শিলচর থেকে কবি চন্দ্রিমা দত্তও এসেছেন তার প্রিয়জনদের সাথে। অন্যদের সাথে আলাপচারিতায় ব্যস্ত কবি। সোহিনী কাছ থেকে কবিকে দেখার মনোবাসনা নিয়ে এগিয়ে যেতেই শুনতে পেল কবি বলছেন - 'শনবিলের এই ঘুড়ি উৎসব যেন প্রান্তিক এই এলাকার মানুষের প্রাণের উৎসব। কোনও কৃত্রিম দেখনদারি ব্যপারই নেই। বয়স এখানে কোনও বাঁধা নয়, আনন্দই শেষ কথা। তাছাড়া এই ধরনের ছোট ছোট উৎসবগুলোর আয়োজন বলতে গেলে এক নিভৃত আন্দোলনও বটে। আমার বিশ্বাস, একদিন সরকারের সুনজরে শনবিল আসবে আর শনবিলের গোটা সমাজ উন্নততর জীবনে যাপন করবে তাদের দিন।' সোহিনীরও মনে হল ঠিক তাই। এই উৎসবের আনন্দ আমেজ তার মনকেও ছুঁয়েছে ভীষণভাবে। সে অনুভব করল এই উৎসবের আয়োজক সংস্থার সবাই তো বটেই এখানকার সাধারণ মানুষও খুব আন্তরিক এবং সমাজবন্ধু। তারা অপরিচিত সোহিনীকেও নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিল আপন ভেবে। আর ধীরেনের ব্যবহারে তো সে অভিভূত একেবারে।

দুপুর গড়িয়ে এখন বিকেল। টিলার সবুজ মাঠ দিয়ে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে সোহিনী। ধীরেন একদৃষ্টে তাকিয়ে কিছুক্ষণ দেখল তাকে। তারপর ডেকে বলল - 'কেমন লাগল আমাদের গ্রাম, বললে না যে? এখানকার মানুষজন, এই ঘুড়ি উৎসব।' ঘুরে দাঁড়ালো সোহিনী। বেশ কিছুক্ষণ চারপাশে দেখার পর, দুবাহু ছড়ায়ে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে উচ্চস্বরে বলল- 'আই লভ ইট।' তারপর এগিয়ে এসে লাজুক হেসে ধীরেনের চোখে চোখ রেখে বলল - 'শনবিল আমার খুব প্রিয় এবং এখানকার মানুষজনও।' বলেই চটপট গাড়িতে উঠে পড়ল সে। বসন্তের মধুর ভালোলাগার মুগ্ধতা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল ধীরেন, চারপাশের বিশাল টিলা আর উঁচু নীচু প্রান্তর জুড়ে কেবল সহজিয়া আনন্দের ঢেউ ...।

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-২

 
বাংলা সাহিত্য অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আমরা শুরু করেছি আমাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে। ভালো লাগলে উৎসাহ দেবেন অন্যথায় এড়িয়ে যাবেন। এই সংখ্যায় কেউ জীবনে প্রথমবারের মতো কলম ধরেছেন তো কেউ প্রতাপ এ প্রথম লিখেছেন।

সবাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন আমাদের এই সামান্য প্রয়াসকে। - শৈলেন দাস



পথহারা পথিক
। রাহুল দাস ।

পথহারা পথিক আমি

নেই কোনো ঠিকানা।

উদ্দেশ্যে বিহীন পথে

আমার অবাধ আনাগোনা।

                                                                                     পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔


আমার অতীতে বসন্ত ...
। সুচরিতা দাস ।


আমার অতীতের রং ধূসর, 

সমস্ত মলিনতার আস্তরণে বিবর্ণ, ফানসে। 

আমার অতীতে কোনোদিন দোল উৎসব আসেনি, 

কে জানে কখনও হয়তো বসন্ত এসে চলেও গেছে! 
                                     পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔
 

অপরূপা নববর্ষ
। শুভ্রাংশু নাথ মজুমদার ।


নববর্ষ, তুমি তখনই হর্ষ।

যখন দাও জ্ঞানের স্পর্শ।।

নববর্ষ, তুমি তখনই বিমর্ষ।
                                                                        থাকে না যখন হৃদয়ের স্পর্শ।।

পুরনো স্মৃতি
। সুজিতা দাস ।


অনেক পুরনো স্মৃতি

আজ অবধি মনে পড়ে

হৃদয়ে বাজে

তোমার মধুর কন্ঠ -


পাখির মাঝরাত
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।


কখন ডুবে গেল বেলা;

কিন্তু পাখির চিকির-মিকির,

অন্ধকারেও সেই শব্দধ্বনি,

ক্লান্ত শরীর গাছের আগায়
                                   পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪

বিড়ালের রাস্তা অতিক্রম করা অমঙ্গল কেন?

 


-          যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস

 

বিড়াল রাস্তা কাটলে গাড়ির চালক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, তারপর যায় কেন? এমনকি মানুষ হেঁটে যাচ্ছে এমন সময়ও বিড়াল রাস্তা কাটলে মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ে কেন? এর কারণ কি? এই প্রথা অনেক পুরনো। সেই কোন যুগ থেকে চলে আসছে। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি?

আগেকার দিনে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল। গরুদের সামনে দিয়ে বিড়াল গেলেই তারা অস্থির হয়ে পড়তো। গরুদের অস্থিরতার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটততাই গরুর গাড়ির চালক বিড়াল রাস্তা কাটলে গরুদের শান্ত করার জন্য কিছুক্ষণ গাড়ি থামিয়ে দিত। সেই অভ্যাসই হয়ত এককালে কুসংস্কারে পরিণত হয়। তারপর থেকেই সম্ভবত যেকোনো গাড়ির সামনে দিয়ে বিড়াল গেলেই গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার রীতি শুরু হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রাহুকে অশুভ গ্রহ বলে। রাহুর প্রভাবে অমঙ্গল বা দুর্ঘটনা যোগ আছে। বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে বিড়াল রাহুর বাহন। এই কারণেই বিড়াল পথ ঘাটলে অশুভ বলে মনে করা হয়। কারণ বিড়াল পথ কাটছে মানে সেখানে রাহুর প্রভাব আছে। তাই যেকোনো অমঙ্গল আসতে পারে বলে ধরে নিয়েই বিড়াল পথ কাটলে গাড়ি থামানোর রীতি শুরু হয়।

বিদেশেও এই রীতি প্রচলিত আছে। আগেকার দিনে ইউরোপীয় দেশগুলোতে একসময় পোষা কুকুর, বিড়াল রাস্তা পার হওয়ার সময় তাদের পিছু পিছু বাড়ির ছোট বাচ্চারা ছুটে যেত এবং প্রায়ই গাড়ির তলায় চাপা পড়ার ঘটনা ঘটত। তাই অনেক দেশে সরকারি নির্দেশ ছিল কুকুর, বিড়াল রাস্তা পার হলে কিছুক্ষণ থেমে দেখতে হবে যে পেছন পেছন কোন বাচ্চা আসছে কিনা।

তাছাড়া কালো বিড়াল ইউরোপে এভিল এবং উইচ্ক্রাফট এর সাথে জড়িত। অন্ধকার রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ির সামনে বিড়াল এলে তাকে মাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপর সওয়ার এর উপর ইভিল স্প্যাল চেপে বসবে এই আশঙ্কায় কালো বিড়াল দেখলে গাড়ি থামানোর প্রথা চালু হয়।

রাস্তার বিড়াল তার নিজের প্রয়োজনে রাস্তা অতিক্রম করে। কোন অশনি সংকেত দেওয়ার জন্য নয়। কখনো শিকারের জন্য কখনো খাবারের সন্ধানে আবার কখনো হয়তো বেড়ানোর জন্য তারা সাধারণত রাস্তা অতিক্রম করে থাকে।

 

একমাত্র জনসচেতনতা এবং মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়িয়ে এই কুপ্রথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

অব্যক্ত প্রেম

 


-সৈকত মজুমদার


    ঈশিতা খুবই শান্ত, লাজুক ভাবগম্ভীর স্বভাবসিদ্ধ একটা মেয়ে। দেখতে বেশ সুন্দরী ও আকর্ষণীয়। আমি ওকে কলেজের নবীনবরণ থেকে দেখছি, একা বিলোনীয়া শহরে ভাড়া থেকে পড়াশোনা করছে। কলেজে ওঠার পর দ্বিতীয় বর্ষে বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়, তখন বাড়ির লোকদের শায়েস্তা করার জন্য এক বান্ধবীর বাড়িতে কিছুদিন সে লুকিয়ে থাকে।

    এখনো কোনো ছেলের চোখে চোখ রাখেনি, প্রেমের প্রস্তাব যে পায়নি এমন নয়। সে এসব প্রেম ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না, ওর কাছে এসব নাটক মনে হয়! আজ অবধি ঈশিতা কারো প্রেমে পড়েনি। কারণ, নিজের অনেক বান্ধবীদের দেখেছে প্রেম করতে। আবার কিছুদিন পর ওদের মধ্যে ব্রেকআপ হয়। হয়তো ঈশিতা এসব দেখে নিজে আর প্রেমে এগোনোর সাহস পায়নি। যদিও কলেজের অন্যান্য মেয়েদের চাইতে ঈশিতা অনেক রূপসী ছিল। ওর মনের মধ্যে প্রেম সম্বন্ধে সব সময় একটা ভয় বিরাজ করত। সে ভাবত, প্রেম মানে যন্ত্রণা অথবা প্রতারণা!!

    একদিন এই ঈশিতার প্রেমে পড়ে যায় সৌম্য, তা সকলেরই ধারনাতীত ছিল। ঈশিতাকে ওর ভালো লাগে এবং মনে মনে ভালোবাসত। কিন্তু মুখে বলেনি কখনো। তারপর হঠাৎ কয়েকদিন ধরে ঈশিতা কলেজ আসেনি, ওকে না দেখতে পেয়ে সৌম্যর খুব মন খারাপ হয়ে যায় এবং ঈশিতার এক বান্ধবীর কাছে ওর খবর জানতে চায়। তখন বন্ধুরা নানা ব্যঙ্গোক্তি করে। সৌম্যর খুব খারাপ লাগে।

    তারপর সে মনে মনে স্থির করে, এবার যেদিন কলেজ আসবে সেদিনই ঈশিতাকে প্রপোজ করবে। একাকী এ বিষয়ে রাতদিন প্র্যাকটিস করে, আর রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে।

-    "আমি অন্যদের মতো অভিনয় করতে পারি না, যেটুটু ভালোবাসি শুধু মন থেকেই।"

    হঠাৎ একদিন কলেজ গেইটে মুখোমুখি সৌম্য-ঈশিতা, ধবধবে সাদা একটা প্রাইভেট গাড়ি থেকে হাসিমুখে নামে ঈশিতা। পরনে শাড়ি, কপালে সিঁদুর!

    সৌম্য বজ্রাহত ব্যক্তির ন্যায় অপলক চোখে চেয়ে  থাকে।

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-১


 শুরু হল প্রতাপ এর নতুন পথ চলা। ভিন্ন সময়, ভিন্ন বিষয়, যখন যা খুশি মনে হয়; সুযোগ হলেই পৌঁছে  যাব পাঠকের কাছে। আশা করি আমাদের এই উদ্যোগ সবার ভাল লাগবে এবং স্বেচ্ছায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। ইতি -
- শৈলেন দাস

 



উত্তরাধিকার  

ড. পিংকী পুরকায়স্থ চন্দ্রানী 

 

আমার চারাগাছটি, 

শুষ্কতার মধ্যেও খুঁজে নেয়

জল ভেজা গন্ধ

ভাটিয়ালী স্নিগ্ধতা।

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤

 

যা চাইনি তা অনায়াসেই পেয়েছি  

সুলতা রানি দাস


যা চাইনি তা অনায়াসেই পেয়েছি 

যা চেয়েছি তা পাইনি,

না পাওয়ার দুঃখ ব্যথা 

সবই আজ ধুলিস্যাৎ, 

                                                                                        পড়ুন পুরো কবিতা ❤


ভালোবাসার রং 


অভিজিৎ চক্রবর্তী


 ভালোবাসার রং খেলা তো...

 ফুরিয়ে গেছে কবে!

 যখন ছিল না এই জন-পরিজন,

 রং এর  ই'উৎসবে।

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤


আবীর দেওয়া  

বিষ্ণুপদ দাস


আমার এ মন দিলাম তোমায়

দাও গো তোমার মন,

চাই না আমি তোমার কাছে 

অন‍্য কোনো ধন।

পড়ুন পুরো কবিতা ❤


মা  

সুস্মিতা দাস চৌধুরী

মা সত্যি তুমি কত  আপন 
বোঝাতে পারবে না
আমার এই হাতের কলম।

মা তুমি কত ভালো
আমাকে দেখালে এই
 সুন্দর পৃথিবী র আলো।

 পড়ুন পুরো কবিতা ❤


রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

খাদ্যই মূখ্য কবিতা ছাড়

 


।। আরিফুল ইসলাম ।।

 

অথচ,

তিনি বললেন,

আমাকে একবেলা খাবার দাও

আমি তোমাকে

এক ফর্মা কবিতা দেবো ।

 

যদি,

তিনবেলা খাবার দাও,

এক ডায়েরি কবিতা পাবে ।

 

 

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

দোকানদার

 


।। মুজিব ইরম ।।

 

খুলে রাখি টংঘর মুদির দোকান

আমাদের গ্রামে

বসে থাকি

তেপথী পথের মোড়ে

চেয়ে চেয়ে দেখি

ফুটে থাকে জারুল হিজল

ধানগাছ গর্ভবতী হয়

বৃষ্টি নামে

বৃষ্টি ধরে

খালগুলি নদী হয়ে ওঠে

 

আমি বড়ো ব্যবসায়ী লোক

খুলে রাখি টংঘর মুদির দোকান

তোমাদের খালপাড়ে আমাদের গ্রামে।

বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪

আমি আরো ব্যস্ত হতে চাই

 


।। সুখেন দাস ।।

 

আমি আরো ব্যস্ত হতে চাই!

নিজেকে নিজের মতো করে রাখতে চাই।

আমি চাই না কোনো ভোগ বিলাসী!

দুঃখ হলেও নিজেকে নিজের মতো করে হাসি।

 

আমি আরও ব্যস্ত হতে চাই!

নিজেকে একটু শান্তিতে বাঁচাতে চাই।

আমি চাই না কোনো রূপের রূপবতী!

চাই না কোনো অতল জলের মোতি!

 

আমি আরো ব্যস্ত হতে চাই!

নিজেকে নিজের মতো করে তৈরী করতে চাই।

আমি চাই না কোনো দয়াহীন রাজা হতে!

শুধু মিলেমিশে থাকতে চাই সবার সাথে।

 

আমি আরো ব্যস্ত হতে চাই!

নিজেকে তোমাদের কাছে সমঝে দিতে চাই।

আমি চাই না কখনো নিজের জন্য!

তোমাদের আনন্দ খুশিতেই আমি ধন্য।

 

আমি আরো ব্যস্ত হতে চাই!

 সমাজের হিতে কাজ করে যেতে চাই।

পাড়াপড়শি ভাই বন্ধু, সবার সাথে রাখতে চাই পরিচয়!

সমাজও যেন চিনে; সুখে আমি, শান্তিতে মা, পিতা বিজয়

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...