শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

নতুন দিগন্ত

 


। কুসুম কলিতা ।


বুকের মাঝে মৃদু ছন্দে আঘাত করে যায়,

বাতাসে ভাসে মহানন্দে সুর শুনতে পায়।


প্রকৃতি ডাকে সাড়া বিশ্বে খুশি ছড়িয়ে পড়ে,

মনের মধ্যে রয়েছে ইচ্ছে আনন্দ যেন ভরে।


নানান রকম ফুলের গন্ধ হৃদয় করে জয়,

মৌমাছি অলি হয়েছে অন্ধ ফুলের লাগে ভয়।


পাখির গানে আনে আনন্দ মন ভালো লাগে,

অপূর্ব শোভা রূপে স্বাচ্ছন্দ্য হৃদি মাঝে জাগে।


নীল আকাশে অসীম অনন্ত মেঘ উড়ে গেলো ,

হৃদয় জুড়ে নতুন দিগন্ত রবি আলো দিলো।

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ নিয়ে প্রথম লেখা

 

। আরতি দাশ ।

মানব জাতির অস্তিত্ব এবং তার ভবিষ্যতের জন্য নিরলস সাহিত্যচর্চা যে কত জরুরি তাই উঠে এসেছে গত রবিবার মালিনীবিল হংসবীণা ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়। কবি শৈলেন দাস সম্পাদিত 'প্রতাপ' সাহিত্য পত্রিকার উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিক, শিল্পী এবং প্রবুদ্ধ নাগরিকরা খোলা মনে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেন এবং সাহিত্যই যে পীড়িত মানুষের পরম নিশ্চিত আশ্রয় হতে পারে তার উল্লেখ করেন।

জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী বারীন্দ্র দাস কর্তৃক উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের পর তরুণ আইনজীবী সুবীর দাস অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। শহর সংলগ্ন হওয়া সত্ত্বেও (পুরসভার অন্তর্ভুক্ত) এই অঞ্চলটি খুবই পশ্চাদপদ, খেটে খাওয়া দিনমজুরদের আবাসস্থল। এই অঞ্চল থেকে শৈলেন দাস যে পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তার পেছনেও রয়েছে পিছিয়ে পড়া, অজ্ঞাত, উপেক্ষিত লোকদের আশা-আকাঙক্ষা তুলে ধরা এবং গ্রামগঞ্জ মফস্বলের লেখক-লেখিকা, যাঁরা প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তাঁদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা।

প্রখ্যাত কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ এবং ছবি গুপ্তা কর্তৃক সাময়িকীটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর উপস্থিত সুধীবৃন্দ তাঁদের বক্তব্য রাখেন। বয়োবৃদ্ধ কবি ছবি গুপ্তা অসুস্থ শরীর নিয়েও ছুটে এসেছেন শৈলেন দাসের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালভাসার টানে। তিনি জানান, নিতান্ত কৈশোর থেকে শৈলেনকে বড় হতে দেখেছেন এবং তাঁর কাব্যচর্চার সঙ্গে প্রথম থেকেই তিনি পরিচিত। সুতরাং শৈলেন দাস কর্তৃক সম্পাদিত পত্রিকা প্রকাশ তাঁর জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। একই অনুভূতি ব্যক্ত করলেন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানটি খুবই ব্যতিক্রমী। বই-পুস্তক বা পত্রপত্রিকার প্রকাশ অনুষ্ঠান সাধারণত হয়ে থাকে শহরের কয়েকটি বিশেষ চিহ্নিত স্থানে-বাঁধাধরা গতানুগতিক পরম্পরায়। কিন্তু এখানে শহরে থেকেও সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশে, উন্মুক্ত মাঠে মেরাপ বেঁধে চন্দ্রাণ্ডপ টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত হয়েছেন সর্বশ্রেণির মানুষ। শহরের পোশাকি ভদ্রলোকরাই শুধু নন, খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরাও মঞ্চ আলোকিত করে বসেছেন। তিনি বলেন, সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ এই ভঙ্গুর ক্ষয়িষ্ণু সমাজের জন্য নিশ্চিতভাবেই এক সুসংবাদ। সাহিত্য মানববিদ্যা চর্চার হাতিয়ার। মানুষ যত সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহী হবে, ততই বিত্ত-বাসনার অন্তহীন ইঁদুর দৌড় থেকে মুক্তি পাবে। হৃদয়বৃত্তি থেকেই সাহিত্যের সৃষ্টি হয়, মানুষ এই চর্চা থেকে যত দূরে সরে যাচ্ছে ততই দানব হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির গণধর্ষণের কথাও উঠে আসে। তিনি রাষ্ট্রনায়কদের অভিযুক্ত করে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষকে নীতিহীন, লম্পট, প্রতারক এবং পরস্বাপহরণকারী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা বা নীতিপাঠ এখন বাধ্যতামূলক নয়, সন্তানদের অর্থ উপার্জনকারী রোবট হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এই ভোগবাদী মানসিকতায় নীতি, নৈতিকতা, সংবেদনশীলতা কোনও কিছুরই স্থান নেই। তাই পাহাড় সমান কেলেঙ্কারি আর নারীদের প্রতি এ ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে। যত সু- সাহিত্য চর্চা হবে, ততই মানুষ আবার মনুষ্যত্বের পথে ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি বিজয়কুমার ভট্টাচার্য, কবি-সাংবাদিক বিমলকান্তি দাস, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও লেখক নবারুণ দে, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী গৌতম ভট্টাচার্য, পুর কমিশনার দিলীপকুমার পাল, বিশিষ্ট নাগরিক নবেন্দুকুমার দাস, কবি মৃদুলা ভট্টাচার্য, শিল্পী বারীন্দ্রকুমার দাস, সমাজকর্মী অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ। সব বক্তাই সমাজ জীবনে সাহিত্যের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবের উল্লেখ করেন এবং পড়াশোনার দিকে মানুষ যত ঝুঁকবে ততই সমাজ জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

[ সৌজন্যে, দৈনিক যুগশঙ্খ ]

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৯

একটি পবিত্র তীর্থস্থান নুনকুলি
। রাহুল দাস।

    বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার অন্তর্গত একটি গ্ৰাম হলো শ্রীকোনা লালমাটি। গ্ৰামটি শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্ৰামে "নুনকুলি" নামে একটি পবিত্র তীর্থস্থান রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর "শিব চতুর্দশীর" দিনে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। ভক্তের সমাবেশে ঐ দিন মেলাও বসে সেখানে। প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়, কারণ অনেক দূর থেকে ভক্তবৃন্দরা এদিন পুজো দিতে আসে। এই স্থানটির "নুনকুলি" নামকরণের একটি কারণ আছে। সেটি হল   পুরোটা পড়ুন ❤


   তোদের দেখতে ইচ্ছা করে

                  । সুনীল রায় ।

রোজ সকালে তোদের প্রভাতী শুভেচ্ছা পাই 

আমিও যথারীতি আগে পরে শুভেচ্ছা জানাই।

এই যান্ত্রিক সৌজন্য বিনিময়, প্রাণ হীন ভালবাসা 

এখন নাই একে অপরের ঘরে রোজ যাওয়া আসা।

জানিস, সেদিন সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম তোর ঘরে    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


    সামাজিক কার্পেট

           । মৃদুলা ভট্টাচার্য ।

এক,

ভাবনার অভিন্ন হৃদয়ে পথ চলতে চলতে

নিয়ন্ত্রণহীন জীবন থমকে দাঁড়ায় -

ধুলো কাদা মাখা সামাজিক কার্পেট নীচে।

অস্থি মজ্জা শরীর শুষে নেওয়ার আবেগ 

উত্তেজনায় ছট্ফট্ করে, রক্ত ঝরে ফিনকি দিয়ে   পুরো কবিতা পড়ুন ❤


      রক্ত ক্ষরণ

     । সৈকত মজুমদার ।

আমার একজন ভাঙা হৃদয়ের মানুষ প্রয়োজন 

যাকে কেউ ভালোবেসে ছেড়ে গেছে বিনাদোষে!

যার একটা নিষ্পাপ হৃদয় ছিল, আর আজ

প্রাক্তনের অবহেলায় সে দিবানিশি ভুগছে!  

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤


       বেকারত্ব

         । রাজু দাস ।

বয়সটাও প্রায় ত্রিশ এর কাছাকাছি 

সংসারের অনটন ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে 

এদিকে জিনিস পত্রের দাম বলতে  কাশ ছুঁয়া

বাবারও সেই আগের মতো ইনকাম নেই

মাথার উপর তিন তিনটি বিয়ে, 

কিন্তু আমি?       পুরো কবিতা পড়ুন ❤

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৮

  শৈলেন দাস

। ভয় ।

কিছু সুন্দর মুহূর্ত যেমন

আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে সাহিত্য চর্চা 

বা অন্যকোন সেবামূলক কাজে

নিজেকে জড়িত রাখা

আমার আত্মতৃপ্তি বা শ্লাঘার কারণ।  পুরো কবিতা পড়ুন ❤


মমতা চক্রবর্তী 

। সেই কিশোরী ।

নৌকার পিঠে 

আলকাতরা মাখা ছেলেটির   

 চোখ - কান চঞ্চল হয়ে ওঠে

 সেই কিশোরীর জন্য

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤                                                     

  

    অজিত দেবনাথ 

     । শেকল বাঁধা প্রাচীরে ।

তবুও যেতে হয় সমস্ত বন্ধনীর ওপারে 

অব্যক্ত ভালোবাসার দহনে

যেখানে বৃক্ষ সেজে ওঠে স্নায়ুর ধারাজলে 

উত্তরের হাওয়ায় নড়ে অহিংসার ধূলিকণা  পুরো কবিতা পড়ুন ❤


   চম্পক সাহা

 । বন্যার তান্ডব ।

বাঁশের বেড়া, টিনের চাল 

দিবা রাত্রি থাকি সুখে

পাহাড়ে বৃষ্টি, নদীর বুক ভেসে 

চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ!

পুরো কবিতা পড়ুন ❤



  প্রমিলা দাস

          । আশা ।

আশায় ভরা মধুময় জীবনে

     মানুষ আশায় বাঁচে 

আশা আছে বলেই সবার জীবনে

     আনন্দে খুশিতে নাচে।    পুরো কবিতা পড়ুন ❤

রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৭

সম্পাদকীয় ...
    প্রত্যেক কবিই যেমন তাঁর সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে একটি কবিতাকে পুর্ণতা প্রদান করেন ঠিক তেমনই একজন সম্পাদকও তার পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে যারপরনাই চেষ্টা করে। কবি ও সম্পাদক উভয়েই তৃপ্তি লাভ করে যখন পাঠকের কাছে তা সমাদৃত হয়।
- শৈলেন দাস



আমি এক পরিব্রাজক বাংলাদেশী 

 । শতদল আচার্য ।

আমি এক বাংলাদেশী

হ্যাঁ আমি বাংলাদেশী

গল্পটা যারা জানে না 

তারা কেবল এই কথাই বলে

পুরো কবিতা পড়ুন ➽

 

শনবিল ও কৈবর্ত জাতি

। অধীর দাস ।

শনবিলে জন্ম আমার পূর্ব পারে বসতি

অধিকাংশ লোক আমরা কৈবর্ত জনজাতি।

কাজ কর্মে সুবিধা নেই, মৎস্য চাষ করি

তাই নাকি সবাই বলে, কৈবর্ত নীচু জাতি

পুরো কবিতা পড়ুন ➽



ভাসমান আর্তি

। নবীনকিশোর রায় ।

কোলাহল থেমে গেলে 

আলগা হতে থাকে

নীরব ভাঙনের সেতুর জোড়।

পুরো কবিতা পড়ুন ➽




বেলা হারায়

         । তানিয়া দাস ।

         আকাশেতে লক্ষ তারা

            তারই মাঝে চন্দ্রতারা 

        অন্ধকারে দেখায় সে

             দিনের আলো গভীরে

পুরো কবিতা পড়ুন ➽


সুশান্ত স্মরণে

। শৈলেন দাস ।

এখনও শীতের প্রকোপ বাড়েনি তেমন

শহরজুড়ে নেমে আসেনি ঘন কুয়াশা

তবুও তোমার সুঠাম শরীরের উষ্ণতা

ক্রমশ কমে কমে হঠাৎ

শুষে নিল নিমেষে চূড়ান্ত শীতলতা!

রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৬

    আমাদের গল্প কবিতা গানে ছবিতে নৃত্যে নিত্যদিনের আলাপচারিতায় ধ্বনিত হক এই অঙ্গীকার "উনিশ আত্মপরিচয় আমার" 

- শৈলেন দাস



আমি বাংলাকে ভালোবাসি
      । সুজিতা দাস ।

বাংলা আমার প্রথম ভাষা

শিখেছি মায়ের কাছে ....

আমি বাংলায় হাঁসি বাংলায় কাঁদি

বাঁচি আমি বাংলাকেই ভালোবেসে

                                     পুরো কবিতাটি পড়ুন 


শর্মিষ্ঠা দেবনাথ এর নৃত্য ]

 

মাতৃভাষার আত্মা দর্শনে এক খোঁজ

। অসিত চক্রবর্তী ।

    জানি, বলে লাভ নেই। লিখে লাভ নেই। যা লিখবো বা বলবো, তাতো সবার জানা। চুপ করে কিল হজম করছেন সবাই। কারণ, অভিযুক্ত তো নিজেই। আসামে বাংলার সর্বনাশ করছি আমরাই।

   উনিশে মে'র আত্মবলিদানের‌ লক্ষ্যবিন্দু ছিল  মাতৃভাষা বাংলায় শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেটা পেতে গিয়ে রক্ত দিতে হল। বরাকে সরকারি ভাষা পেল বাংলা। আমরা কি মাতৃভাষা বাংলায় পড়াচ্ছি সন্তানদের? আমরা কি মাতৃভাষা বাংলাকে বরাকে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুইজ হিসাবে ব্যবহার করছি? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আসামে বাংলার প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে এই প্রশ্নেই।   পুরোটা পড়ুন ❤


  ভাষার চেতনা
       । শর্মি দে ।

নতুন করে জেগে উঠলো 'কবির শহর'...
নিভৃত শব্দে ফুঁসছে কলম, 
কবে শুনবে "ওরা" ভাষার আর্তনাদ 
কেন আজও জ্বলে ওঠে এগারো শহিদের
রক্তমাখা বিশ্বাস?
কেন ওরা দেখতে পায় না---
                                    পুরো কবিতাটি পড়ুন 



উনিশে মে

। অভিজিৎ পাল ।


উনিশ আমার জাতিসত্তা, অহং
রক্তমাখা লাল, 
উনিশে আমি শহীদ বাঙালি
শচীন্দ্র, কানাইলাল। 
উনিশ আমার স্টেশন চত্বর
শোকের রক্তবন্যা,   পুরো কবিতাটি পড়ুন 


উনিশের একাদশ
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।

উনিশো একষট্টির সেই উনিশে মে,
নিশি কেটে রবি যেন উদিল থেমে,
'বাংলা' নিয়ে মাতামাতি লাগিল যখন
প্রতিবাদের সাহায্য নিতে হলো তখন,
চারিদিক ক্ষোভ সহ শুধু অনশন—
                                পুরো কবিতাটি পড়ুন 

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৫

    "তেমন রাবার নেই মুছে উনিশে মে" কবি করুণা রঞ্জন ভট্টাচার্যের এই বাণী শ্বাশত। বরাকে বাঙালীর দৈনন্দিন জীবনে হাজারও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ভাষা কেন্দ্রিক আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে উনিশের চেতনাকে স্তিমিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যারা তাদের জানিয়ে রাখি, কবির এই প্রদীপ্ত ঘোষণাই আমাদেরও দৃঢ় অঙ্গীকার।
- শৈলেন দাস



মহান উনিশ, তুমি আছো

  । সীমা পুরকায়স্থ ।

উনিশ, তুমি আছো ট্রেনে ঘুরে ফেরা
ফেরিওয়ালার মুখের বেসুরো গানে।
বাংলায় কথা বলা, রুমাল, টর্চ, ঘড়ি
চেইন, পার্স আদি বিক্রেতার মুখের বুলিতে
তুমি আছো কৃষকের ঘরের
অভাবী ছাত্রের বর্ণমালার বইয়ে।
ওরা মূর্খ! ইংরেজি, আসামি, হিন্দী
অনেকেই বোঝে না।
ওরা দেশ, রাজ্য, ভাষা, জাতি, ধর্ম
বিভাগের চিন্তায় বিভোর নয়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত এক করে
নিজে বাঁচে, পরিবার বাঁচায়, দেশকে বাঁচায়।
বড়লোকের সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ে নয়,
বাঁচায় মাটি - গ্রামের ক্ষেতে, বৃহদাকার বটবৃক্ষে।
সুরক্ষিত করে প্রাণের ভাষা - নবান্ন উৎসবে,
লোক সংস্কৃতিতে, লোক গানে।
আনে প্রশান্তি বাংলার ঘরে ঘরে, 
শস্য শ্যামল সোনার ক্ষেতে।

 


 । রাহুল দাস।

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
রক্ষা করতে বঙ্গ মায়ের সম্মান
হাসতে হাসতে তোমরা করে দিলে
কত সতেজ প্রাণের বলিদান।
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় 
কত না করলে লড়াই,
অবশেষে রেল জংশনে 
জীবন উৎসর্গ করলে,
একটি ভগিনী আর দশটি ভাই।

 

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
ওহে অমর শহীদ তোমাদের চরণে 
জানাই আমি শতকোটি প্রণাম 
আশীর্বাদ করুন আমাকে 
যেন আমিও রক্ষা করতে পারি 
আমার মায়ের সম্মান।

 


। সপ্তমিতা নাথ ।

ফাগুনের রং লাগিয়ে সবে গেল বসন্ত ,
কোন তান্ডবের জোয়ার নিয়ে বৈশাখ দ্বারে দ্বারস্ত,
যে স্টেশনে ছুটে যায় সবাই বরণ করিতে অতিথি আগন্তুক,
সেই স্টেশনেই শেষ ঠিকানা ফেরাতে মাতৃভাষার তরী ডুবন্ত।

মস্ত বড় এক জামাট আবেগ ভেঙ্গে চুরমার
রাজপথে সেদিন লাঞ্চিত মা, হয়ে তার ভাষা ছারখার
প্ত রোদে হঠাৎ হলো বৃষ্টিবিহীন বজ্রপাত,
যখন ওরা কারা করলো ভাষার শরীরে আঘাত।

বরাক সেদিন স্তব্ধ বধির, গভীর নিরাশায়
কেমনে বইবে? গাইবে? কলকল নীরব বিদিশায়
হাজার পাখির সুরের মূর্ছনা মুছে গেল
বেদনায়, স্কুল-কলেজের সিলেট পেন্সিল
ব্ল্যাকবোর্ডও কথা দিল কথা না বলার।

তবে ভাইয়েরা হাল ছাড়েনি হার মানেনি
মিছিলের পর মিছিল করে বুক পেতে দিতে ওরা পিছায় নি।
রাউন্ডের পর রাউন্ড পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করতে ওরাও থামেনি !!
রক্ত হাতে একে অপরে ধরে দশ ভাই এক বোন
মাটিতে লুটায়, তবুও মাকে লুটাতে দেয়নি।

বিরাট আয়োজনে তারাপুর রেল স্টেশন থেকে,
প্রেমতলা দিয়ে ভাষার ভাষা প্রেম রক্ত বয়ে যায়।
বিজয় কলসে প্রেম ধারা ভরে রাখে সবাই,
উনিশ এলে কলস খুলে নিজেকে নিজে রক্ত তিলক পরায়।


 

  । পুষ্পিতা দাস ।


৬১ আর ৭১ এ যারা, 

ত্যাগ করেছেন নিজ প্রাণ।

তাদের জন্য গাইছি আমরা,

উনিশ, একুশের গান।

দুই বাংলার বীর শহীদদের জানাই,

আজ শতকোটি প্রণাম।

তোমার জন্য হয়েছে আজ,

বিশ্ব বাংলার নাম।

রবী আমার অহংকার,

নজরুল আমার ভালোবাসা।

তোমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে,

পেয়েছি এই বাংলা ভাষা।


তোমাদের স্মরি


 । জয়ন্তী দত্ত ।

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
ঐ শোনা‌ যায় মহাকালের ডাক
খড়্গ হাতে উদ্যত, করিতে ছেদন
আমাদের সাধের বাংলাভাষা।
কত সাধনার ধন, কত রক্তের বন্যায় রঞ্জিত মাটি,
ত আত্মত্যাগ্ এগুলো কি বিফলে যাবে? 

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
মহাকালের বারতা। হিংসাস্রয়ীর কপটতা
আগ্রাসনে লিপ্ত চিত্ত
ধূর্ত শকুনীর দলের ভাবনা
কিভাবে করা যায় নির্মূল 
মাতৃ দুগ্ধ সম মোদের মাতৃভাষা।

ওগো তোমরা শোনো 
তোমরা কান পেতে শোনো 
যে শ্লোগান মুখরিত ছিল তোমাদের বিজয় ধ্বনি
যাতে পেল স্হান মাতৃভাষা।
লাঞ্ছনার কবলে পড়ে সে 
যন্ত্রণায় কাতরায় তবু ছাড়ে না নিজ অধিকার,
ভুলেনি তোমাদের শেখানো বুলি
"প্রাণ দেবো, ভাষা দেবনা",
"রক্ত দেবো তবু জবান‌ দেবোনা"।

তোমাদের তেজস্বীতা গেঁথে আছে বরাকের জনমন। 
এখনো আছে প্রতিবাদে মুখর
তোমরা কান পেতে শোনো।
বরাকের জনগণ তোমাদের স্মরণে শ্রদ্ধায়, 
প্রেরণায় প্রদীপ্ত।

বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৪

আজ 'রবি পুজোর' দিন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। নিজের সাহিত্যকীর্তির মাধ্যমে আজও তিনি সকলের মাঝে জীবিত, তাঁর সৃষ্টি অমর।আজকের এই বিশেষ দিনে আমাদের পক্ষ থেকে সবার প্রতি রইল অফুরান শুভেচ্ছা। নিজের পছন্দের মানুষকে শেয়ার করে রবিকবির জন্মদিনের বার্তা পৌঁছে দিন ঘরে ঘরে।  - শৈলেন দাস


ড. অর্পিতা রানী দাস

"বাঙালির গর্বিত সংস্কৃতির ইতিহাসে বেঁচে আছে দুটি-তিনটি বাংলা তারিখ -১লা বৈশাখ, ২৫শে বৈশাখ, ৭ই পৌষ, ২২শে শ্রাবণ। এর মধ্যে তিনটিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামক মহাপুরুষকে ঘিরে।" রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হতো, ঘটা করে সাড়ম্বরে এ দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি, বাঙালির ভাষা ও সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন-মানসিকতা বিকাশে রবীন্দ্রনাথের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের প্রতি ঋণ স্বীকার করে।  পুরোটা পড়ুন ❤


রূপালী গুহ

রবীন্দ্রনাথ ও বৈশাখ মাস একে অপরের পরিপূরক। বাঙালির কাছে দুয়েরই গুরুত্ব অপরিসীম। বছরের যা কিছু পুরোনো সেসব বিদায় দিয়ে যেমন বৈশাখ সাড়ম্বরে নুতনকে বরণ করে, তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন আধুনিক বাঙালির রুচির নির্মাতা। পুরোটা পড়ুন ❤


অঞ্জু এন্দো

২৫ শে বৈশাখ আপামর বাঙালির আত্মশ্লাঘার দিন। এ যে আমাদের প্রাণের ঠাকুর বরীন্দ্রনাথের শুভ জন্মদিন। নতুন বছর২৫ শে বৈশাখবাংলা ভাষাউনিশের একাদশ ভাষা শহিদ যেন বিনি সুতোয় মালা গাঁথা। বাংলার নববর্ষ বয়ে আনে বাঙালির অহংকারের দিন পঁচিশে বৈশাখকেআবার বিশ্বজুড়ে বরাকের আত্মপরিচয়ের দিন উনিশ আসে পঁচিশের জন্ম শতবর্ষের হাত ধরে। পুরোটা পড়ুন ❤


বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

বিশ্বজনীন একাত্মতার এমন আকুল আর্তির সত্যিই কি কোনো প্রয়োজন ছিল? আত্মসংযম আর মূর্ত বিনয়ের প্রতীক বিশ্বকবির এ স্বীকারোক্তিই আজ যুগ যুগান্ত ধরে উত্তরসূরিদের পাথেয় হয়ে আছে। সুনিপুণ হাতের গাঁথা মালা কি কোনোদিন শুকোতে পারে? সে সংগীতের কুসুম আবহমান কাল ধরে হয়ে আছে স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক। এর তুলনা আগেও কোনোদিন ছিল না আর পরেও কোনোদিন হবে না। এ ফুলের তুলনা শুধু নিজেই।  পুরোটা পড়ুন ❤

 

শান্তনু গঙ্গারিডি

তোমাকে যেতে হয়নি চিকেন-নেক পেরিয়ে নরকাসুর পাহাড়ের পাশে বয়ে যাওয়া সুশীতল পানীয়ের খোঁজে।

ট্রেন থেকে নেমে নদী পারাপার। ঘাটে নেমে অনেকটা কষ্ট করে বন্ধুর সৌজন্যে একখানি মটর-গাড়ির বন্দোবস্তে চড়াই উতরাই পেরিয়ে শৈল শহরে পৌঁছে প্রশান্তির সারি সারি পাইনাস খাসিয়া। এদিকে ওদিকে ছড়ানো ঝরনার শব্দ। ঘণ্টার সুরের মতো ঝিঁঝি পোকার একটানা গান।

কলিকাতা হইতে আগত কবিকে "কুবলেঈ" বলে স্বাগত জানায় এক শ বছর আগের সেদিন ১৯১৯এর ১১ই অক্টোবর।  পুরোটা পড়ুন ❤

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...