রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ নিয়ে প্রথম লেখা

 

। আরতি দাশ ।

মানব জাতির অস্তিত্ব এবং তার ভবিষ্যতের জন্য নিরলস সাহিত্যচর্চা যে কত জরুরি তাই উঠে এসেছে গত রবিবার মালিনীবিল হংসবীণা ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায়। কবি শৈলেন দাস সম্পাদিত 'প্রতাপ' সাহিত্য পত্রিকার উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিক, শিল্পী এবং প্রবুদ্ধ নাগরিকরা খোলা মনে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেন এবং সাহিত্যই যে পীড়িত মানুষের পরম নিশ্চিত আশ্রয় হতে পারে তার উল্লেখ করেন।

জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী বারীন্দ্র দাস কর্তৃক উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের পর তরুণ আইনজীবী সুবীর দাস অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। শহর সংলগ্ন হওয়া সত্ত্বেও (পুরসভার অন্তর্ভুক্ত) এই অঞ্চলটি খুবই পশ্চাদপদ, খেটে খাওয়া দিনমজুরদের আবাসস্থল। এই অঞ্চল থেকে শৈলেন দাস যে পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তার পেছনেও রয়েছে পিছিয়ে পড়া, অজ্ঞাত, উপেক্ষিত লোকদের আশা-আকাঙক্ষা তুলে ধরা এবং গ্রামগঞ্জ মফস্বলের লেখক-লেখিকা, যাঁরা প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তাঁদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা।

প্রখ্যাত কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ এবং ছবি গুপ্তা কর্তৃক সাময়িকীটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর উপস্থিত সুধীবৃন্দ তাঁদের বক্তব্য রাখেন। বয়োবৃদ্ধ কবি ছবি গুপ্তা অসুস্থ শরীর নিয়েও ছুটে এসেছেন শৈলেন দাসের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালভাসার টানে। তিনি জানান, নিতান্ত কৈশোর থেকে শৈলেনকে বড় হতে দেখেছেন এবং তাঁর কাব্যচর্চার সঙ্গে প্রথম থেকেই তিনি পরিচিত। সুতরাং শৈলেন দাস কর্তৃক সম্পাদিত পত্রিকা প্রকাশ তাঁর জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। একই অনুভূতি ব্যক্ত করলেন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানটি খুবই ব্যতিক্রমী। বই-পুস্তক বা পত্রপত্রিকার প্রকাশ অনুষ্ঠান সাধারণত হয়ে থাকে শহরের কয়েকটি বিশেষ চিহ্নিত স্থানে-বাঁধাধরা গতানুগতিক পরম্পরায়। কিন্তু এখানে শহরে থেকেও সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশে, উন্মুক্ত মাঠে মেরাপ বেঁধে চন্দ্রাণ্ডপ টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত হয়েছেন সর্বশ্রেণির মানুষ। শহরের পোশাকি ভদ্রলোকরাই শুধু নন, খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকরাও মঞ্চ আলোকিত করে বসেছেন। তিনি বলেন, সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ এই ভঙ্গুর ক্ষয়িষ্ণু সমাজের জন্য নিশ্চিতভাবেই এক সুসংবাদ। সাহিত্য মানববিদ্যা চর্চার হাতিয়ার। মানুষ যত সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহী হবে, ততই বিত্ত-বাসনার অন্তহীন ইঁদুর দৌড় থেকে মুক্তি পাবে। হৃদয়বৃত্তি থেকেই সাহিত্যের সৃষ্টি হয়, মানুষ এই চর্চা থেকে যত দূরে সরে যাচ্ছে ততই দানব হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত, দিল্লির গণধর্ষণের কথাও উঠে আসে। তিনি রাষ্ট্রনায়কদের অভিযুক্ত করে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষকে নীতিহীন, লম্পট, প্রতারক এবং পরস্বাপহরণকারী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা বা নীতিপাঠ এখন বাধ্যতামূলক নয়, সন্তানদের অর্থ উপার্জনকারী রোবট হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এই ভোগবাদী মানসিকতায় নীতি, নৈতিকতা, সংবেদনশীলতা কোনও কিছুরই স্থান নেই। তাই পাহাড় সমান কেলেঙ্কারি আর নারীদের প্রতি এ ধরনের অত্যাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে। যত সু- সাহিত্য চর্চা হবে, ততই মানুষ আবার মনুষ্যত্বের পথে ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি বিজয়কুমার ভট্টাচার্য, কবি-সাংবাদিক বিমলকান্তি দাস, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও লেখক নবারুণ দে, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী গৌতম ভট্টাচার্য, পুর কমিশনার দিলীপকুমার পাল, বিশিষ্ট নাগরিক নবেন্দুকুমার দাস, কবি মৃদুলা ভট্টাচার্য, শিল্পী বারীন্দ্রকুমার দাস, সমাজকর্মী অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ। সব বক্তাই সমাজ জীবনে সাহিত্যের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবের উল্লেখ করেন এবং পড়াশোনার দিকে মানুষ যত ঝুঁকবে ততই সমাজ জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

[ সৌজন্যে, দৈনিক যুগশঙ্খ ]

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৯

একটি পবিত্র তীর্থস্থান নুনকুলি
। রাহুল দাস।

    বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার অন্তর্গত একটি গ্ৰাম হলো শ্রীকোনা লালমাটি। গ্ৰামটি শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্ৰামে "নুনকুলি" নামে একটি পবিত্র তীর্থস্থান রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর "শিব চতুর্দশীর" দিনে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। ভক্তের সমাবেশে ঐ দিন মেলাও বসে সেখানে। প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়, কারণ অনেক দূর থেকে ভক্তবৃন্দরা এদিন পুজো দিতে আসে। এই স্থানটির "নুনকুলি" নামকরণের একটি কারণ আছে। সেটি হল   পুরোটা পড়ুন ❤


   তোদের দেখতে ইচ্ছা করে

                  । সুনীল রায় ।

রোজ সকালে তোদের প্রভাতী শুভেচ্ছা পাই 

আমিও যথারীতি আগে পরে শুভেচ্ছা জানাই।

এই যান্ত্রিক সৌজন্য বিনিময়, প্রাণ হীন ভালবাসা 

এখন নাই একে অপরের ঘরে রোজ যাওয়া আসা।

জানিস, সেদিন সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম তোর ঘরে    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


    সামাজিক কার্পেট

           । মৃদুলা ভট্টাচার্য ।

এক,

ভাবনার অভিন্ন হৃদয়ে পথ চলতে চলতে

নিয়ন্ত্রণহীন জীবন থমকে দাঁড়ায় -

ধুলো কাদা মাখা সামাজিক কার্পেট নীচে।

অস্থি মজ্জা শরীর শুষে নেওয়ার আবেগ 

উত্তেজনায় ছট্ফট্ করে, রক্ত ঝরে ফিনকি দিয়ে   পুরো কবিতা পড়ুন ❤


      রক্ত ক্ষরণ

     । সৈকত মজুমদার ।

আমার একজন ভাঙা হৃদয়ের মানুষ প্রয়োজন 

যাকে কেউ ভালোবেসে ছেড়ে গেছে বিনাদোষে!

যার একটা নিষ্পাপ হৃদয় ছিল, আর আজ

প্রাক্তনের অবহেলায় সে দিবানিশি ভুগছে!  

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤


       বেকারত্ব

         । রাজু দাস ।

বয়সটাও প্রায় ত্রিশ এর কাছাকাছি 

সংসারের অনটন ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে 

এদিকে জিনিস পত্রের দাম বলতে  কাশ ছুঁয়া

বাবারও সেই আগের মতো ইনকাম নেই

মাথার উপর তিন তিনটি বিয়ে, 

কিন্তু আমি?       পুরো কবিতা পড়ুন ❤

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৮

  শৈলেন দাস

। ভয় ।

কিছু সুন্দর মুহূর্ত যেমন

আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে সাহিত্য চর্চা 

বা অন্যকোন সেবামূলক কাজে

নিজেকে জড়িত রাখা

আমার আত্মতৃপ্তি বা শ্লাঘার কারণ।  পুরো কবিতা পড়ুন ❤


মমতা চক্রবর্তী 

। সেই কিশোরী ।

নৌকার পিঠে 

আলকাতরা মাখা ছেলেটির   

 চোখ - কান চঞ্চল হয়ে ওঠে

 সেই কিশোরীর জন্য

 পুরো কবিতা পড়ুন ❤                                                     

  

    অজিত দেবনাথ 

     । শেকল বাঁধা প্রাচীরে ।

তবুও যেতে হয় সমস্ত বন্ধনীর ওপারে 

অব্যক্ত ভালোবাসার দহনে

যেখানে বৃক্ষ সেজে ওঠে স্নায়ুর ধারাজলে 

উত্তরের হাওয়ায় নড়ে অহিংসার ধূলিকণা  পুরো কবিতা পড়ুন ❤


   চম্পক সাহা

 । বন্যার তান্ডব ।

বাঁশের বেড়া, টিনের চাল 

দিবা রাত্রি থাকি সুখে

পাহাড়ে বৃষ্টি, নদীর বুক ভেসে 

চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ!

পুরো কবিতা পড়ুন ❤



  প্রমিলা দাস

          । আশা ।

আশায় ভরা মধুময় জীবনে

     মানুষ আশায় বাঁচে 

আশা আছে বলেই সবার জীবনে

     আনন্দে খুশিতে নাচে।    পুরো কবিতা পড়ুন ❤

রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৭

সম্পাদকীয় ...
    প্রত্যেক কবিই যেমন তাঁর সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে একটি কবিতাকে পুর্ণতা প্রদান করেন ঠিক তেমনই একজন সম্পাদকও তার পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে যারপরনাই চেষ্টা করে। কবি ও সম্পাদক উভয়েই তৃপ্তি লাভ করে যখন পাঠকের কাছে তা সমাদৃত হয়।
- শৈলেন দাস



আমি এক পরিব্রাজক বাংলাদেশী 

 । শতদল আচার্য ।

আমি এক বাংলাদেশী

হ্যাঁ আমি বাংলাদেশী

গল্পটা যারা জানে না 

তারা কেবল এই কথাই বলে

পুরো কবিতা পড়ুন ➽

 

শনবিল ও কৈবর্ত জাতি

। অধীর দাস ।

শনবিলে জন্ম আমার পূর্ব পারে বসতি

অধিকাংশ লোক আমরা কৈবর্ত জনজাতি।

কাজ কর্মে সুবিধা নেই, মৎস্য চাষ করি

তাই নাকি সবাই বলে, কৈবর্ত নীচু জাতি

পুরো কবিতা পড়ুন ➽



ভাসমান আর্তি

। নবীনকিশোর রায় ।

কোলাহল থেমে গেলে 

আলগা হতে থাকে

নীরব ভাঙনের সেতুর জোড়।

পুরো কবিতা পড়ুন ➽




বেলা হারায়

         । তানিয়া দাস ।

         আকাশেতে লক্ষ তারা

            তারই মাঝে চন্দ্রতারা 

        অন্ধকারে দেখায় সে

             দিনের আলো গভীরে

পুরো কবিতা পড়ুন ➽


সুশান্ত স্মরণে

। শৈলেন দাস ।

এখনও শীতের প্রকোপ বাড়েনি তেমন

শহরজুড়ে নেমে আসেনি ঘন কুয়াশা

তবুও তোমার সুঠাম শরীরের উষ্ণতা

ক্রমশ কমে কমে হঠাৎ

শুষে নিল নিমেষে চূড়ান্ত শীতলতা!

রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৬

    আমাদের গল্প কবিতা গানে ছবিতে নৃত্যে নিত্যদিনের আলাপচারিতায় ধ্বনিত হক এই অঙ্গীকার "উনিশ আত্মপরিচয় আমার" 

- শৈলেন দাস



আমি বাংলাকে ভালোবাসি
      । সুজিতা দাস ।

বাংলা আমার প্রথম ভাষা

শিখেছি মায়ের কাছে ....

আমি বাংলায় হাঁসি বাংলায় কাঁদি

বাঁচি আমি বাংলাকেই ভালোবেসে

                                     পুরো কবিতাটি পড়ুন 


শর্মিষ্ঠা দেবনাথ এর নৃত্য ]

 

মাতৃভাষার আত্মা দর্শনে এক খোঁজ

। অসিত চক্রবর্তী ।

    জানি, বলে লাভ নেই। লিখে লাভ নেই। যা লিখবো বা বলবো, তাতো সবার জানা। চুপ করে কিল হজম করছেন সবাই। কারণ, অভিযুক্ত তো নিজেই। আসামে বাংলার সর্বনাশ করছি আমরাই।

   উনিশে মে'র আত্মবলিদানের‌ লক্ষ্যবিন্দু ছিল  মাতৃভাষা বাংলায় শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেটা পেতে গিয়ে রক্ত দিতে হল। বরাকে সরকারি ভাষা পেল বাংলা। আমরা কি মাতৃভাষা বাংলায় পড়াচ্ছি সন্তানদের? আমরা কি মাতৃভাষা বাংলাকে বরাকে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুইজ হিসাবে ব্যবহার করছি? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আসামে বাংলার প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে এই প্রশ্নেই।   পুরোটা পড়ুন ❤


  ভাষার চেতনা
       । শর্মি দে ।

নতুন করে জেগে উঠলো 'কবির শহর'...
নিভৃত শব্দে ফুঁসছে কলম, 
কবে শুনবে "ওরা" ভাষার আর্তনাদ 
কেন আজও জ্বলে ওঠে এগারো শহিদের
রক্তমাখা বিশ্বাস?
কেন ওরা দেখতে পায় না---
                                    পুরো কবিতাটি পড়ুন 



উনিশে মে

। অভিজিৎ পাল ।


উনিশ আমার জাতিসত্তা, অহং
রক্তমাখা লাল, 
উনিশে আমি শহীদ বাঙালি
শচীন্দ্র, কানাইলাল। 
উনিশ আমার স্টেশন চত্বর
শোকের রক্তবন্যা,   পুরো কবিতাটি পড়ুন 


উনিশের একাদশ
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।

উনিশো একষট্টির সেই উনিশে মে,
নিশি কেটে রবি যেন উদিল থেমে,
'বাংলা' নিয়ে মাতামাতি লাগিল যখন
প্রতিবাদের সাহায্য নিতে হলো তখন,
চারিদিক ক্ষোভ সহ শুধু অনশন—
                                পুরো কবিতাটি পড়ুন 

শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৫

    "তেমন রাবার নেই মুছে উনিশে মে" কবি করুণা রঞ্জন ভট্টাচার্যের এই বাণী শ্বাশত। বরাকে বাঙালীর দৈনন্দিন জীবনে হাজারও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ভাষা কেন্দ্রিক আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে উনিশের চেতনাকে স্তিমিত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যারা তাদের জানিয়ে রাখি, কবির এই প্রদীপ্ত ঘোষণাই আমাদেরও দৃঢ় অঙ্গীকার।
- শৈলেন দাস



মহান উনিশ, তুমি আছো

  । সীমা পুরকায়স্থ ।

উনিশ, তুমি আছো ট্রেনে ঘুরে ফেরা
ফেরিওয়ালার মুখের বেসুরো গানে।
বাংলায় কথা বলা, রুমাল, টর্চ, ঘড়ি
চেইন, পার্স আদি বিক্রেতার মুখের বুলিতে
তুমি আছো কৃষকের ঘরের
অভাবী ছাত্রের বর্ণমালার বইয়ে।
ওরা মূর্খ! ইংরেজি, আসামি, হিন্দী
অনেকেই বোঝে না।
ওরা দেশ, রাজ্য, ভাষা, জাতি, ধর্ম
বিভাগের চিন্তায় বিভোর নয়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত এক করে
নিজে বাঁচে, পরিবার বাঁচায়, দেশকে বাঁচায়।
বড়লোকের সুউচ্চ অট্টালিকা গড়ে নয়,
বাঁচায় মাটি - গ্রামের ক্ষেতে, বৃহদাকার বটবৃক্ষে।
সুরক্ষিত করে প্রাণের ভাষা - নবান্ন উৎসবে,
লোক সংস্কৃতিতে, লোক গানে।
আনে প্রশান্তি বাংলার ঘরে ঘরে, 
শস্য শ্যামল সোনার ক্ষেতে।

 


 । রাহুল দাস।

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
রক্ষা করতে বঙ্গ মায়ের সম্মান
হাসতে হাসতে তোমরা করে দিলে
কত সতেজ প্রাণের বলিদান।
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় 
কত না করলে লড়াই,
অবশেষে রেল জংশনে 
জীবন উৎসর্গ করলে,
একটি ভগিনী আর দশটি ভাই।

 

ওহে শহীদ,
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী
কৃতজ্ঞ থাকবো চিরকাল।
ওহে অমর শহীদ তোমাদের চরণে 
জানাই আমি শতকোটি প্রণাম 
আশীর্বাদ করুন আমাকে 
যেন আমিও রক্ষা করতে পারি 
আমার মায়ের সম্মান।

 


। সপ্তমিতা নাথ ।

ফাগুনের রং লাগিয়ে সবে গেল বসন্ত ,
কোন তান্ডবের জোয়ার নিয়ে বৈশাখ দ্বারে দ্বারস্ত,
যে স্টেশনে ছুটে যায় সবাই বরণ করিতে অতিথি আগন্তুক,
সেই স্টেশনেই শেষ ঠিকানা ফেরাতে মাতৃভাষার তরী ডুবন্ত।

মস্ত বড় এক জামাট আবেগ ভেঙ্গে চুরমার
রাজপথে সেদিন লাঞ্চিত মা, হয়ে তার ভাষা ছারখার
প্ত রোদে হঠাৎ হলো বৃষ্টিবিহীন বজ্রপাত,
যখন ওরা কারা করলো ভাষার শরীরে আঘাত।

বরাক সেদিন স্তব্ধ বধির, গভীর নিরাশায়
কেমনে বইবে? গাইবে? কলকল নীরব বিদিশায়
হাজার পাখির সুরের মূর্ছনা মুছে গেল
বেদনায়, স্কুল-কলেজের সিলেট পেন্সিল
ব্ল্যাকবোর্ডও কথা দিল কথা না বলার।

তবে ভাইয়েরা হাল ছাড়েনি হার মানেনি
মিছিলের পর মিছিল করে বুক পেতে দিতে ওরা পিছায় নি।
রাউন্ডের পর রাউন্ড পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করতে ওরাও থামেনি !!
রক্ত হাতে একে অপরে ধরে দশ ভাই এক বোন
মাটিতে লুটায়, তবুও মাকে লুটাতে দেয়নি।

বিরাট আয়োজনে তারাপুর রেল স্টেশন থেকে,
প্রেমতলা দিয়ে ভাষার ভাষা প্রেম রক্ত বয়ে যায়।
বিজয় কলসে প্রেম ধারা ভরে রাখে সবাই,
উনিশ এলে কলস খুলে নিজেকে নিজে রক্ত তিলক পরায়।


 

  । পুষ্পিতা দাস ।


৬১ আর ৭১ এ যারা, 

ত্যাগ করেছেন নিজ প্রাণ।

তাদের জন্য গাইছি আমরা,

উনিশ, একুশের গান।

দুই বাংলার বীর শহীদদের জানাই,

আজ শতকোটি প্রণাম।

তোমার জন্য হয়েছে আজ,

বিশ্ব বাংলার নাম।

রবী আমার অহংকার,

নজরুল আমার ভালোবাসা।

তোমাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে,

পেয়েছি এই বাংলা ভাষা।


তোমাদের স্মরি


 । জয়ন্তী দত্ত ।

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
ঐ শোনা‌ যায় মহাকালের ডাক
খড়্গ হাতে উদ্যত, করিতে ছেদন
আমাদের সাধের বাংলাভাষা।
কত সাধনার ধন, কত রক্তের বন্যায় রঞ্জিত মাটি,
ত আত্মত্যাগ্ এগুলো কি বিফলে যাবে? 

ওগো তোমরা শোনো 
কান পেতে শোনো 
মহাকালের বারতা। হিংসাস্রয়ীর কপটতা
আগ্রাসনে লিপ্ত চিত্ত
ধূর্ত শকুনীর দলের ভাবনা
কিভাবে করা যায় নির্মূল 
মাতৃ দুগ্ধ সম মোদের মাতৃভাষা।

ওগো তোমরা শোনো 
তোমরা কান পেতে শোনো 
যে শ্লোগান মুখরিত ছিল তোমাদের বিজয় ধ্বনি
যাতে পেল স্হান মাতৃভাষা।
লাঞ্ছনার কবলে পড়ে সে 
যন্ত্রণায় কাতরায় তবু ছাড়ে না নিজ অধিকার,
ভুলেনি তোমাদের শেখানো বুলি
"প্রাণ দেবো, ভাষা দেবনা",
"রক্ত দেবো তবু জবান‌ দেবোনা"।

তোমাদের তেজস্বীতা গেঁথে আছে বরাকের জনমন। 
এখনো আছে প্রতিবাদে মুখর
তোমরা কান পেতে শোনো।
বরাকের জনগণ তোমাদের স্মরণে শ্রদ্ধায়, 
প্রেরণায় প্রদীপ্ত।

বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৪

আজ 'রবি পুজোর' দিন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। নিজের সাহিত্যকীর্তির মাধ্যমে আজও তিনি সকলের মাঝে জীবিত, তাঁর সৃষ্টি অমর।আজকের এই বিশেষ দিনে আমাদের পক্ষ থেকে সবার প্রতি রইল অফুরান শুভেচ্ছা। নিজের পছন্দের মানুষকে শেয়ার করে রবিকবির জন্মদিনের বার্তা পৌঁছে দিন ঘরে ঘরে।  - শৈলেন দাস


ড. অর্পিতা রানী দাস

"বাঙালির গর্বিত সংস্কৃতির ইতিহাসে বেঁচে আছে দুটি-তিনটি বাংলা তারিখ -১লা বৈশাখ, ২৫শে বৈশাখ, ৭ই পৌষ, ২২শে শ্রাবণ। এর মধ্যে তিনটিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামক মহাপুরুষকে ঘিরে।" রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হতো, ঘটা করে সাড়ম্বরে এ দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি, বাঙালির ভাষা ও সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন-মানসিকতা বিকাশে রবীন্দ্রনাথের গৌরবোজ্জ্বল অবদানের প্রতি ঋণ স্বীকার করে।  পুরোটা পড়ুন ❤


রূপালী গুহ

রবীন্দ্রনাথ ও বৈশাখ মাস একে অপরের পরিপূরক। বাঙালির কাছে দুয়েরই গুরুত্ব অপরিসীম। বছরের যা কিছু পুরোনো সেসব বিদায় দিয়ে যেমন বৈশাখ সাড়ম্বরে নুতনকে বরণ করে, তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন আধুনিক বাঙালির রুচির নির্মাতা। পুরোটা পড়ুন ❤


অঞ্জু এন্দো

২৫ শে বৈশাখ আপামর বাঙালির আত্মশ্লাঘার দিন। এ যে আমাদের প্রাণের ঠাকুর বরীন্দ্রনাথের শুভ জন্মদিন। নতুন বছর২৫ শে বৈশাখবাংলা ভাষাউনিশের একাদশ ভাষা শহিদ যেন বিনি সুতোয় মালা গাঁথা। বাংলার নববর্ষ বয়ে আনে বাঙালির অহংকারের দিন পঁচিশে বৈশাখকেআবার বিশ্বজুড়ে বরাকের আত্মপরিচয়ের দিন উনিশ আসে পঁচিশের জন্ম শতবর্ষের হাত ধরে। পুরোটা পড়ুন ❤


বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

বিশ্বজনীন একাত্মতার এমন আকুল আর্তির সত্যিই কি কোনো প্রয়োজন ছিল? আত্মসংযম আর মূর্ত বিনয়ের প্রতীক বিশ্বকবির এ স্বীকারোক্তিই আজ যুগ যুগান্ত ধরে উত্তরসূরিদের পাথেয় হয়ে আছে। সুনিপুণ হাতের গাঁথা মালা কি কোনোদিন শুকোতে পারে? সে সংগীতের কুসুম আবহমান কাল ধরে হয়ে আছে স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক। এর তুলনা আগেও কোনোদিন ছিল না আর পরেও কোনোদিন হবে না। এ ফুলের তুলনা শুধু নিজেই।  পুরোটা পড়ুন ❤

 

শান্তনু গঙ্গারিডি

তোমাকে যেতে হয়নি চিকেন-নেক পেরিয়ে নরকাসুর পাহাড়ের পাশে বয়ে যাওয়া সুশীতল পানীয়ের খোঁজে।

ট্রেন থেকে নেমে নদী পারাপার। ঘাটে নেমে অনেকটা কষ্ট করে বন্ধুর সৌজন্যে একখানি মটর-গাড়ির বন্দোবস্তে চড়াই উতরাই পেরিয়ে শৈল শহরে পৌঁছে প্রশান্তির সারি সারি পাইনাস খাসিয়া। এদিকে ওদিকে ছড়ানো ঝরনার শব্দ। ঘণ্টার সুরের মতো ঝিঁঝি পোকার একটানা গান।

কলিকাতা হইতে আগত কবিকে "কুবলেঈ" বলে স্বাগত জানায় এক শ বছর আগের সেদিন ১৯১৯এর ১১ই অক্টোবর।  পুরোটা পড়ুন ❤

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : ১৬তম সংখ্যা

 


সম্পাদকীয়

ছোটকাগজ, নামের সাথে ছোট শব্দটি জুড়ে থাকলেও এটি প্রকাশের যে সার্বিক কাজ তাকে  ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। কলম চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহীত ফসল যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট করে কাগজটিকে সাজিয়ে তুলতে সম্পাদকের শ্রম আপাত দৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও তা কিন্তু নয়। অর্থ সংক্রান্ত বিষয় অনুল্লেখ করেও বলা যায়, খরচা আছে। তবে এই শ্রম ব্যয় সার্থক হয় যখন কাগজটি বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছায় এবং সমাদৃত হয়।

আমরা যে জায়গা (সামর্থ্য এবং পরিস্থিতি) থেকে এই কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি তাতে পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে পত্রিকাটির হার্ডকপি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া খুবই কষ্টকরতাই আন্তর্জালের সহায়তায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবার কাছে আমাদের এই সামান্য কাজকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ব করছি আমরা প্রতিনিয়তএকটি ছোটকাগজ হিসেবে আমরা যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রাখছি ঠিক সেভাবেই  নিজের লেখার পাশাপাশি প্রতাপ'কে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ন্যূনতম শ্রম দানের মাধ্যমে আমাদের সহযোগী হোন, লেখক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে এই অনুরোধ আমাদের

আমরা আশা রাখি, প্রতাপ প্রকাশের পর আমাদের লেখকবৃন্দ সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, whatsapp ইত্যাদিতে পত্রিকাটির লিংক সহ নিজের লেখা পোস্ট করতে কোন কার্পণ্য করবেন না। ইতি -                                         

-শৈলেন দাস


  অমলেন্দু চক্রবর্তী

   । অনুপ্রেরণা । 

    মুক্ত পৃথিবীর বিস্তীর্ণ আকাশে

    জ্যোৎস্নার চাঁদসূর্যের আলো,

    মেঘ ও রোদের খেলা। বাতাসে পাখি,

    কীট পতঙ্গডুবন্ত সূর্যের কোলে            পুরো কবিতা পড়ুন ✒

 

পিংকী দাস

। বসন্ত এসে গেছে ।

 

বসন্ত মানে প্রকৃতির হারানো প্রেম

হিল্লোল পাতায় ভাসে ফাগুন।

বসন্ত মানে নীল দিগন্ত

শিমুলপলাশকৃষ্ণচুড়ার আগুন।।

                              পুরো কবিতা পড়ুন ✒


স্মৃতি দাস

। দারিদ্রের চাবুক ।

   টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার বছর খানেক পরে গীতশ্রী চন্ডিকাপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে এপোয়েন্টমেন্ট পেল। শিলচরের প্রাণকেন্দ্রে বসবাস করা গীতশ্রী কখনো পাড়া গাঁ বলতে কোথাও  যায়নি।  চণ্ডিকাপুর গ্রাম আদতেই একটি অনুন্নত গ্রাম। রাস্তায় কিছু মানুষ  চলাফেরা করছে। চেহারা বা পোশাক দেখে সবাইকেই বেশ গরীব বলে বোধ হচ্ছে।

পুরো গল্প পড়ুন ✒


"মনটি দুধের মতো, সেই মনকে যদি সংসার জলে রাখ, তা হলে দুধে-জলে মিশে যাবে। তাই দুধকে দই পেতে মাখন তুলতে হয়। যখন নির্জনে সাধন করে মনরূপ দুধ থেকে জ্ঞান ভক্তিরূপ মাখন তোলা হল তখন সেই মাখন অনায়াসে সংসার জলে রাখা যায়।

সে মাখন কখনও সংসার জলের সঙ্গে মিশে যাবে না-সংসার জলের উপর নির্লিপ্ত হয়ে ভাসবে।"

শ্রীরামকৃষ্ণ


প্ৰমিলা দাস এর দুটি কবিতা   
। নিয়তি ।

বলব কি করে মনের জ্বালা তোমায়
জীবনমানেই তো জ্বলন্ত প্ৰদীপ
কালোতে সারাটা মহিমা ভাসালো।
সারাবেলা খেটে খেটে
বিকেলে পান্তা জুটে,

চন্দ্রিমা দত্ত

  । তবুও মায়া ... ।

কারা যেন চারপাশে কর্কশ হয়ে উঠছে খুব . . .

পিয়ানো বাজায় যে হাওয়া,  চুপ হয়ে যায়

নিরুপায় ডোমের মতো ক্রমশ করুণ হয় সময়

 সকল ভালোলাগা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে ঐ

   পুরো কবিতা পড়ুন ✒

চয়ন ঘোষ 
। মুখোমুখি ।

আপন ভেবে অজস্র অক্ষরমালা গেঁথেছি
হৃদয় কাননে; ভালোবেসেছিলাম অজান্তে,
নির্মম অন্যায়, উদ্যত তর্জনীর আঘাতে;
আমায় বার বার অসহিষ্ণু করে তুলেছে ।

    
                 পুরো কবিতা পড়ুন ✒



 দেবলীনা রায় 

। স্বামীজীর বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনের ১২৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কিছু কথা ।


ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনীষীদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এক সাধারণ মানব থেকে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা অনন্য ইতিহাস বিদ্যমান। তিনি তো শুধু ধর্মগুরু ছিলেন না, ছিলেন মানবতাবাদী, সমাজসেবক ও দেশপ্রেমিক। প্রত্যক্ষভাবে তিনি রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না, কিন্তু পরোক্ষভাবে তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক ভাবনার দ্বারা পরাধীন ভারতকে মুক্ত করার জন্য যুবসমাজকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, উদ্বুদ্ধ করেছেন। 
                                                                                                                         পুরোটা পড়ুন ✒

বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য

। ভ্রূণ ।

সব শব্দ ফুরিয়ে গেলে

নীরবতার ভ্রূণ জন্মায়

বুকের গর্ভে, তা'কে

লালন করা যায়

চুমু খাওয়া যায়

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


শতদল আচার্য

। নতুন গল্প ।

তোমাকে নতুন করে শুনানোর মত

কিছু নেই আমার কাছে

যা চর্বিত চর্বন ছাড়া ।

এই বয়সে বসন্তে বসন্তে  দৌড়ে যাই না

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


সনথ রায়  

। লালের শোভায় ।

প্রকৃতি সাজে লাল রঙেতে

পলাশ করে রাজ 
দক্ষিণা হাওয়া ধানের পাতা
কৃষক করে কাজ।


 সজল দাস

 । মনোহারিণী ২ ।

স্মিতা তোমার মৃদু হাসি যেন ধান ক্ষেতে বাতাসের ঢেউ।

শত বছর সাধনায়ও এমন হাসি পারবে নাতো কেউ।

মনে পড়ে তোমার রক্তিম ঠোঁটের নিচে

কালো বিন্দুর মত সেই ছোট্ট তিলটার কথা?

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


সুস্মিতা দাস চৌধুরী

 । ভালোবাসি ।

ভালো আমিও বাসি

শুধু চেপে যে রাখি

কবে বুজবে যে তুমি

সেই কথা ভাবি আমি

                     পুরো কবিতা পড়ুন ✒

 

 স্বাতীলেখা রায় এর দুটি কবিতা

। সব কবিতাই ।

কবিতা নিয়ে ভাবনা যতখানি

ঠিক ততখানি বয়ানে আসে না

মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়

অনেকক্ষণ অন্যক্ষণ    পুরো কবিতা পড়ুন ✒


    রূপালী রায়
             । স্মার্ট ফোন ।

    মুখ গুজে বসে থাকি

    ফোনের পর্দায়

    হাসিখুশিদুঃখবিষাদ

    সবই এইখানটায়। 

                         পুরো কবিতা পড়ুন ✒


 নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য

 । ক্ষতস্থান ।

যথাযথ বৃষ্টির ক্ষতস্থানে

প্রতিফলিত শব্দরা শরীরত্যাগের আগে

আমায় ডাকছে

পুরাতন স্থবির তাদের দৃঢ়স্বর

অচূর্ণ তিরতির মায়াবী কণ্ঠ

পুরো কবিতা পড়ুন ✒



যোগেন্দ্র
 চন্দ্র 
দাস 

। আপেল বা আলু কাটার পর কালো হয়ে যায় কেন? ।

    আপেল বা  আলুর দেহ এমন অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত এবং এতে হাজার হাজার এনজাইম আছে। এরমধ্যে যার কারনে ফেলে রাখা কর্তিত দেহ লালচে বা কালচে হয়ে যায়। সেটি হল, পলিফেনল অক্সিডেজ নামক একটি এনজাইম। একে টাইরোসিনেজ বলে। পুরোটা পড়ুন ✒

 

 

চান্দ্রেয়ী দেব

 । কিচ্ছু চাইনি আমি ।

কিচ্ছু চাইনি আমি শুধুই চেয়েছি....

একমুঠো ফুরফুরে সকালের রোদ

গা ভাসাতে চাই নতুন দিনের শুরুতে

কিচ্ছু চাইনি আমি শুধুই চেয়েছি....

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


ভাস্কর জ্যোতি দাস

। সাবধান! ।

ফুটবল ফুটবল

তোমার খবর কী?

সবসময়ই খাচ্ছো শুধু

রামের শ্যামের লাথি।

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


    সুমঙ্গল দাস

        । সঞ্চয় ।

    ভন-ভন ফন-ফন

    মাথা গরম নেই ধন।

    দ্রব্যমূল্য লাগাম ছাড়া

    দুশ্চিন্তা রোজ করছে তাড়া।

     পুরো কবিতা পড়ুন ✒


অভিজিৎ পাল

 । ল্যাংটো কথা ।

ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলের বাজারে,

বেরং হাতে রঙ বেচতে চলেছি।

মুখোশের গালে রঙ মেখে-

সে রঙ মলিন হতে দেখেছি।

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


প্রসেনজিৎ দাস

। বিশ্বাস ।

বর্তমানে বিশ্বাস নেই কারো উপর ;

দান্দাবাজ বাটপারিতে ভরা অন্তর।

চোর ঘুরে সাধুর বেশে, রাজা করে ভিক্ষা

কে আসল? কে নকল? কে দেবে শিক্ষা।

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া

। এখনও প্রতীয়মান ।

খুব সুন্দর শান বাঁধানো একটা ফটো ফ্রেম ছিল

দূর থেকে দেখা যেতো তাঁর সোনালী ঝলক

আগলে রেখেছিলাম শোকেসের উপর

একদিন অজান্তেই পড়ে গিয়ে

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


শান্তশ্রী সোম 

। অচিনপুর ।

স্বপ্নে অনেকেই ধরা দেয় সে ক্যুইন ভিক্টোরিয়া থেকে শুরু করে মায় পাশের পাড়ার পাগলা বিশু অব্দি গত বছর বরম বাবার মেলার সময় টুক করে একপাক ঘুরে গেছে স্বপ্না বাড়িতে তখন তার সে কী খাতির পুরোটা পড়ুন ✒


অভিজিৎ দাস

।  নদী ও তট ।

তোমার আমার গল্পখানা,

নদী ও তটের মতো।

বিচ্ছেদ হবে না কখনো,

আসুক না সে বাধা শত।



শিপ্রা দাশ

। স্পন্দন ।

হিমেল হাওয়া শেষে প্রকৃতি সেজেছে

বসন্তের শিমূল পলাশ ছেয়ে আছে।

 

 সতেজ গাছ জুড়ে রাঙা বাহারি ফুল

 মেঘলা বসন্তে চঞ্চল হাওয়ায় দুলদুল।


রানা চক্রবর্তী

। মানস সুন্দরী ।

নূপুরের নিক্বণে চলে মানস সুন্দরী
নাকছাবি যেন মহুয়া ফুল
আমার পানে তাকালে একবার
দেখবো তার নয়নতারার ফুল
কর্ণমূলে ক্যামেলিয়া হরিদ্রা বসনে

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


আদিমা মজুমদার

 । কাস্তে হাতুড়ি ।

কাস্তে হাতুড়ি তারা

আর পদ্মফুলে

এতোটাই বিবাদ,

লক্ষ তারার মাঝে

পুরো কবিতা পড়ুন ✒



       সুখেন দাস

       । মোবাইল ফোন ।

মোবাইল যে আজ সবার নিত্য সঙ্গী,

ছোট বড়ো সবাইকে করতে হয় কত ভঙ্গী?

এর ব্যবহারের নাই যে কোন তুলনা,

তারে নিয়েই আজ এত জল্পনাকল্পনা।


    মৃদুলা ভট্টাচার্য

         । কবিতারা ।

 কবিতারা ভোরের আলো কিংবা

 সন্ধ্যার আবছায়া মাখা সৌম্যতা জড়িয়ে

 রাতের শরীরে ভালোবাসার স্বপ্ন আঁকে;

 স্বপ্ন আঁকে আগামীর অপেক্ষায়,

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


   প্রদীপ চন্দ্র দাস

       । চল না সবে তোমরা ।

চল না সবে তোমরা চল না সবে

একটু ঘুরে দেখে আসি  ঐ প্রান্তরে।

স্বপ্নের দেশ সে যে বড়ই অপরূপ!

নয়ন মোহিত করে তার শতরূপ।



     রাজু দাস
   । একটি মেয়ের কান্না ।
আমি একটি মেয়ে এটাই কি আমার অপরাধ
না কি হয়ে মেয়ে জন্ম নেওয়া ভুল?
কতো বীর বীরাঙ্গনার রক্তে রাঙানো
স্বাধীন দেশের বুকেও আজ আমরা
দিন দিন পরাধীনতায় ভুক্তভোগী?
জানি এর কোনো বিচার নেই
                                             পুরো কবিতা পড়ুন



দেবযানী ভট্টাচার্য

       । একুশের দেখা ।

ভোরের আজান দেয় আহূতির ডাক

প্রাণের ভাষার টানে মানুষের ঢল

মাটির কপাল জুড়ে শঙ্কার রেখা

রাজপথের  মিছিলে সেদিন একুশের  দেখা।



সুলতা রানি দাস

। মুক্তি ।

আমি মুক্তি চাই

মুক্ত প্রাণের আশায় দিনগুনি।

গ্রহ নক্ষত্র অন্ধকারে ঘেরা অমাবস্যায়

নিজেকে চেনা বড় দায়,

তাই খুঁজে একা ফিরি।

পুরো কবিতা পড়ুন


চম্পক সাহা

। স্বভাব ।

স্বভাব অতি মূল্যবান

যদি হয় ভালো

সমাজ করে ধন্য ধন্য,

যদি হয় ঘৃণ্য

সমাজে হয় আলোচিত । পুরো কবিতা পড়ুন

 


    সুশীল দাস

        । অপেক্ষা ।

অনেক কথা জমিয় রেখেছি মনে

তােমাকে বলবো বলে গোপনে

কিছু কথা চোখের ভাষায়ভালবাসায়,

কিছু কথা উথলে ওঠবে

পুরো কবিতা পড়ুন


আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া 

। জুপিটারের ঈগল ।

এখন আর বাড়িতে ওঠান হয় না

অথবা ওঠানের কি কাজ ! 

বাইরে কিন্তু সমাজসম্মত তো আছিই

তবুও আমার হৃদপিণ্ডটা রোজ খায় জুপিটারের ঈগল   পুরো কবিতা পড়ুন


      ছন্দা দাম

           । মুসাফির ।

একদিন ঝরে যাবে পাখি হৃদয়ের পালক সব...

কোন এক আলো ডোবা সন্ধ্যের অদেখা আঁধারে,

একদিন চলে যাবে বনজ্যোৎস্নার মায়াময় ছায়ায় গা ধুয়ে

পথিক এক অচেনা অজানা জগতের ওপারে।

পুরো কবিতা পড়ুন


 কানু চক্রবর্তী
। শিক্ষা পদ্ধত ।

ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে অনেক দিন গত হয়েছেসাতাত্তর বছর হতে চললএখনকার দিনে সাতাত্তর বছর কতজন বাঁচেকিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারতের ঠিক ঠিক উন্নতি হয়নি এর অনেক কারণ রয়েছেরাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জন্য করাপশন দিন দিন বেড়েই চলেছে,সাথে ধর্মীয় কুসংস্কারজাতিভেদ প্রথাআর সবকিছুর মূলে রয়েছে   পুরোটা পড়ুন ✒


বিদ্যুৎ  কায়স্থ

       । হে বর্ষা ।

হে বর্ষাপ্রতিবার তোমার এই ঘন কালো মেঘ

করিতেছে কত ঘরকত জন নিস্তানা।

হয়েছে নিশ্বঃহয়েছে বিশ্ব

তোমার এই প্রকোপ বলে,

তোমার এই রূপের কি করিব মূল্য নিরূপণ?

                                                                                                         পুরো কবিতা পড়ুন


ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার

                ।  যশ ।

ক্যানভাসটা কখনওই সাদা থাকেনা

আদিরও "আদি" থাকেথাকে আধার,

সীমিত থাকে রঙঅন্য উপাদান

স্বত্বরজ,তমের সীমিত কম্বিনেশন!

পুরো কবিতা পড়ুন


ইমাদ উদ্দিন বুলবুল

। অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্ম শতবার্ষিকী ।

    উত্তরপূর্ব ভারতে একজন ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক ত্রিপুরার অদ্বৈত মল্লবর্মণ ১২ জানুয়ারি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন তিনি জন্মগতভাবে মৎস্য শিকারি বংশে জন্মেছিলেন। নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শিখে সাহিত্য চর্চা শুরু করেতিনি মৎস্যজীবিদের জীবন ভিত্তিক উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ লিখেছিলেনযা তাঁর জীবদ্দশায় কলকাতার মোহাম্মদী সাময়িকীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।  পুরোটা পড়ুন ✒


সুরজ কুমার নাথ
। বড়দিন ।

    আজ ২৫শে ডিসেম্বর। পাশের বাড়ির কাকিমণি নিখিলকে ডেকে হাতে দুটি বড় বড় কেকের টুকরো তুলে দিলেন খাওয়ার জন্য। আর অপেক্ষা না করে দৌড়ে বাড়ি এসে নিখিল মাকে বলে, "মাজানো আজ বড়দিন।    পুরোটা পড়ুন ✒


সুমন দাস

। তোমায় ভালো রাখতে ।

তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে
এখন কেনো আমি এতো চুপচাপ। 
তুমি ডাকলেও প্রায় এড়িয়ে চলি
সময়ের কাছে যে আমি অসহায়।

                         পুরো কবিতা পড়ুন ✒


উজ্জ্বলা দাস

"কেউ একজন থাকুক"

হ্যাঁসবাই চায় কেউ একজন থাকুক

যে মানুষটা তাকে খুব ভালোবাসবে

তাকে সন্মান করবে।

                                            পুরো কবিতা পড়ুন ✒



শৈলেন দাস
। জলাভূমি ।

    শহরের শরীর ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। নতুন নতুন এলাকা যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার উপর সরকার পৌরসভাকে পৌরনিগমে উন্নীত করার অধিসুচনা জারি করায় শহরের লাগোয়া একপশলা জমিও এখন শহরের অন্তর্ভুক্ত। এমতাবস্থায় একসময়ের শহরতলী দুর্গাবিল এখন শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে। শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের বসতবাড়ি যেন 'গোল্ড ফিল্ডসদৃশ। তাই এখানকার বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য সরকারি প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েও বাতিল হয়ে গিয়েছে।   পুরোটা পড়ুন ✒

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...