রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৪

জুবিন গর্গ স্মরণে বিশেষ সংখ্যা

আসামের আকাশে যেন নিভে গেছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
প্রয়াত সংগীতশিল্পী, আমাদের সকলের প্রেরণা ও গর্ব
জুবিন গর্গ তাঁর অকাল প্রয়াণে রেখে গেলেন এক অপূরণীয় শূন্যতা।
তিনি শুধু গায়ক ছিলেন না,
ছিলেন এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক,
যিনি গানকে মানুষের আবেগ, মাটি ও জীবনের সঙ্গে বেঁধেছিলেন।
তাঁর কণ্ঠে বেজে উঠেছে ভালোবাসা, সংগ্রাম, স্বপ্ন
আর আত্মপরিচয়ের সুর।
আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এই মহামানবকে
এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে
আমাদের এই বিশেষ সংখ্যা উৎসর্গ করা হলো তাঁকে।
                                                                 - শৈলেন দাস।

অসমের আকাশে চিরন্তন সুর

            । রুমা দাস।

অসমের আকাশে যে পাখি গান গায়,

নদীর ঢেউ যে ছন্দ তোলে,

মাঠের ঘাসে যে সুর দোলে

তার ভেতরেই তুমি ছিলে,জুবিন।


         জুবিন দা 
। সুরজ কুমার নাথ ।
এমন তো কথা ছিল না জুবিন দা,
মাঝপথে থেমে যাওয়া।
তোমার গানে গানে অনেক ছবি এঁকেছি প্রাণে,
এখন সে ছবিগুলো 'তাসের ঘর'...... 
এমন তো কথা ছিল না জুবিন দা।
তোমার সুরে সুরে ভোর হয়, বেঁচে থাকা হয়, ভালোবাসা হয়............ ।

পুরো কবিতা পড়ুন



অমরত্বের মহাপ্রতিস্বর


। ড. অর্পিতা দাস ।

জাতিহীন,ধর্মহীন,দেবতাহীন দিগন্তে—

তিনি দাঁড়ালেন অনন্ত জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে।

কপট সভ্যতার আবরণ ছিন্নভিন্ন করলো তাঁর সুরতরঙ্গ।


মায়া

। রিপন দাস ।

দিনরাত্রি তোমার মধুর সুর,

মনে উঠে বেজে।

চলে গেলে বহু দূর,

রাজপুত্র সেজে।

পুরো কবিতা পড়ুন


ভালো থেকো জুবিন দা 
। মঙ্গলা দত্ত রিমি ।
নীলাম্বু সৈকতে আছড়ে পড়া
লোনা জলের ঢেউ টাও জানে জুবিন দা,
আজও তোমার কন্ঠস্বরে সুনামির হিল্লোল
খেলা করে হৃদয়ের আনাচে কানাচে।
তুমি বড্ড প্রিয় জুবিন দা, বড্ড প্রিয়।
ভেঙে পড়া স্তম্ভের গায়েও লেগে থাকে
তার বিশাল ইতিহাসের গন্ধ,
আর তুমি ভাবছো, 
কেউ তোমায় মনে রাখবে কি রাখবে না?
পুরো কবিতা পড়ুন


স্মৃতির কাননে 

। চাঁদনী দাস ।

স্মৃতির কাননে 

     তোমার গানের কলি,

            মরমে রহিবে গাঁথা ;

   তোমার দেওয়া ভালোবাসা, 

      সত্যিই আজও অসহায়। 

পুরো কবিতা পড়ুন


আমাদের সম্পদ জুবিন গর্গ

। পিয়ালী ঘোষ ।

শোকের সুর বাজে আজ অন্তরে,
চোখের কোনে জমেছে জল। 
সুসজ্জিত তুমি আজ , চারিপাশে কত লোকজন । 
ফুলের বাগানে তুমি সেই ফুল,
যার গন্ধে শুধু আসাম নয় গোটা ভারত ছিল সুগন্ধিত।
সুরের হাত ধরে রাজপথে এসেছিল এক নাম- জুবিন গর্গ।

   শ্রদ্ধাঞ্জলি

। সুজিতা দাস ।

জুবিন স্যার,

আপনি চাইতেন না

কেউ কোনোদিনও

জীবন্ত শাখা থেকে

ভুল ধারণা নিক।


জুবিন তুমি অমর 

  । রূপালী রায় ।

জীবনে যে মানুষ জয় করতে পারে

তাঁর  কোনো মৃত্যু নেই।

যুগ যুগ পরেও মানুষ বেঁচে থাকে

তাঁর কর্মের মধ্যে দিয়ে । 

মৃত্যু  তো শুধু 

শরীরের বিচ্ছেদ ঘটায় 

আত্মার সাথে সম্পর্ক থেকে যায় 

সহস্র যুগের ওপারে ।

পুরো কবিতা পড়ুন


জুবিন গার্গ

। রাজন দাস ।

ভারতের গৌরব, অসমের সন্তান,

জুবিন গার্গ তোমার নাম,

শিল্পী জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র,

তুমি ছিলে কত মহান।

পুরো কবিতা পড়ুন


সাগরের মতো তুমি

। চয়ন ঘোষ ।

মিশে গেছো সাগরের মাঝে, হে মহানায়ক,

তুমিও ছিলে সাগরের মতো— অসীম, গভীর, এক বিশাল।

নীরব ঢেউয়ের ভাঁজে তব অনন্ত গান বাজে,

তুমি ছিলে নির্ভীক জোয়ার, তুমি ছিলে দুর্বার প্রাণ।

পুরো কবিতা পড়ুন


তুমি রবে অমর -অনন্ত 

। রাহুল দাস।

হে অমর শিল্পী 

তুমি রবে নীরবে,

চিরদিন সবার অন্তরে ...

নানা ভাষায় গেয়ে  গান

স্নেহ ভালোবাসার  বন্ধনে 

জড়িয়েছো সবার প্রাণ।

পুরো কবিতা পড়ুন


আমাদের প্রিয় জুবিন দা

। অপর্ণা কুমার ।

হারিয়ে গেলেন

আমাদের প্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুবিন দা।

কিন্তু আজও তিনি রয়ে গেছেন আমাদের হৃদয়ে।

পুরো কবিতা পড়ুন


অসমবাসীর হৃদয়ে জুবিন দা

। মাধুরী দাস ।

যে সুরে ভরে ওঠে মন, আজ সে সুরই নিঃশব্দ,

তবু প্রতিধ্বনিতে বাজে তোমার অমর কণ্ঠ।

তুমি গান গাইলে, নিস্তব্ধ রাতও জেগে ওঠে,

অশ্রুঝরা মনও খুঁজে পায় শান্তির আলো।

পুরো কবিতা পড়ুন


শেষ বিদায়

। গোপেন্দ্র দাস ।

পৃথিবীর নিয়ম সবার জন্য সমান—

যে এসেছে, একদিন বিদায় নিতেই হয়।

মৃত্যু অমোঘ, কারো পক্ষে রোধ করা নয়,

তবুও মানুষ বেঁচে থাকে তার রেখে যাওয়া কর্মে।

পুরো কবিতা পড়ুন


  জুবিন দা স্মরণে

। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।

এ শতকের মহামানব,

তুমি কেন চলে গেলে আমায় ছেড়ে?

মায়াবিনী রাতের পরে

প্রভাত হলো না কেন?

পুরো কবিতা পড়ুন

 

জুবিনের গান

। শেখর মালাকার ।

সুরের নদী বইছে ধীরে, হৃদয় ছুঁয়ে যায়,

জুবিন গার্গের কণ্ঠস্বর, অশ্রু হাসি ছড়ায়।

তার গানে মিশে থাকে ভালোবাসার রঙ,

কখনো ব্যথা, কখনো সুখ— জীবনেরই সঙ্গ।

পুরো কবিতা পড়ুন


আবার এসো ফিরে 

। প্রিয়তোষ শর্মা ।

তুমি আবার এসো ফিরে

ব্রহ্মপুত্রের তীরে

নিয়ে জীবনের গান,

তুমি আবার এসো ফিরে

সংগীতের সুরে

জুড়াতে মোদের প্রাণ।

পুরো কবিতা পড়ুন

প্রতাপ : ১৮তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩২)

সম্পাদকীয় …

শরতের আকাশে মেঘের ভেলাদিগন্তে কাশফুলের শুভ্র হাসি— যেন বাংলার মাটিতে ফিরে আসে এক চিরন্তন প্রতীক্ষার ঋতু। ঢাকের আওয়াজশঙ্খধ্বনি আর শিউলির গন্ধ মিশে যায় উৎসবের আবেশে। আমাদের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এ কেবল ধর্মীয় আচার নয়এ আমাদের সংস্কৃতির মহাযজ্ঞমিলনের গানবাঙালি জীবনের মহোৎসব।

বাংলা সাহিত্যে শারদ ঋতুর এই মাহাত্ম্য চিরকাল অমলিন। কবিদের কলমে কাশফুলের শুভ্রতাশরতের নীল আকাশপূজার ঢাকের শব্দ আর মানুষের মিলনমেলা যেমন ফুটে উঠে অপার সৌন্দর্যে। তেমনি পূজার আনন্দে মিশে থাকে প্রেমবেদনা আর আশার অমৃতধারা। বাংলা পূজা বার্ষিকী মানেই এক নতুন আলোনতুন স্বপ্ননতুন সৃজনের জগৎ— যা পাঠকের হাতে তুলে দেয় এক ঋতুচক্রের নবীন প্রভাত। এই ধারায় প্রতাপ’ তার ক্ষুদ্র অথচ অটল পদক্ষেপে হাজির পূজা সংখ্যা ১৪৩২ নিয়ে। এখানে রয়েছে কাব্যের সুরগল্পের রঙপ্রবন্ধের দীপ্তি— আর তার সঙ্গে সমাজের নাড়ির স্পন্দন।

আমাদের এই ছোট কাগজের স্বপ্ন— শরতের আকাশের মতো বিশালকাশফুলের মতো নির্মল। পাঠকের কাছে এই সংখ্যা হয়ে ওঠবে উৎসবের সঙ্গীসৃষ্টির জাগরণে নতুন প্রেরণা এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পূজার এই আনন্দের মৌসুমে আমাদের কামনা— সাহিত্যের আলোর সঙ্গে সমাজচেতনার বন্ধন আরও দৃঢ় হোক।

শুভ শারদীয়া …

-          শৈলেন দাস



    । সুচরিতা দাস ।

মায়ের আঁচলের গন্ধ ছাড়া একদিন ঘুম আসত না যার,
 
মাঝরাতে কখনো মায়ের কথা মনে পড়ে বুকটা ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে আজ।

             সতীর জন্য

                  । অসিত চক্রবর্তী ।

ভেবেছিলামচুপিসারে অন্ধকারেই বেরুবো

কেউ বলবে না , -- যাচ্ছো কোথায়?

কার সাথেকেন যাচ্ছোকোথায় যাচ্ছো?



             বসন্ত

    সানীভট্টাচার্য 

বসন্ত মানেই শীত- শেষ,

বসন্ত মানেই ঋতু বিশেষ।


           নৌকা বিহার

উত্তর মেরুর বরফ গলা জলে সদ্যস্নাত হয় বোষ্টুমী,

নীড় ভোলা দলছুট বারবার ফিরে আসার গান গায়।‌‍‌


                     আমার উমা

ভোরের বাতায়নে লাগুক শরৎ সূর্যের লালিমা

শিউলি ফুলে সজ্জিত হোক হৃদয়ের আঙিনা।


                 আমাদের গ্রাম

               । সুজিতা দাস 

আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলায়,

ঘাঘরা নদীর 6th AP ব্রিজের দক্ষিণ তীরে

ছোটো একটি গ্রামসন্ন্যাসীটিলা।


        অমলেন্দু চক্রবর্তী 

চশমার  কাচ দুটি  ধীরে ধীরে

            ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে -

লালকে হলুদ দেখি,     

                 নীলকে বেগুনি;


                     মণিহার

 

            রঞ্জন কুমার বণিক 
 
দুঃখ তো সবার জীবনেই আসে,

তারপরে সুখ হাসনাহেনার মতও হাসে ।

বিষণ্ণতা আর মোহ যদি হৃদয় করে কালো,

বিরহকে মণিহার আর মুক্তো করে ব্যাথার মুকুটে জ্বালো ।


                          তফাত

       আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া 

রাতকে ফুটবলের মত লাথ মেরে মেরে

নর্দমায় ফেলে শেয়ালেরা রোজ

তারপর ঘুমন্ত কুকুরেরা জেগে ওঠে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়


            ব্যর্থতা

 সুস্মিতা দাস চৌধুরী 

মনে হচ্ছে প্রতিটা দিন

ব্যর্থতায় গুমড়ে মরছি

চেষ্টাই তো করছি,

ছুটে চলছি গন্তব্যে

দিন পার হচ্ছে অস্বস্তিকর মন্তব্যে


                  প্রকৃতি

         শমিতা ভট্টাচার্য 

প্রকৃতির বাইরে আর ভেতরে প্রকৃতি...

খুঁজে ফিরে চেতনার আলো,

নিবিড় আঁধার যেথা উজ্জ্বল হয়ে

নশ্বর জীবন লাগে ভালো।


            কত কবিতা

       । স্বাতীলেখা রায় 

কত  কবিতার খাতা হলদে হয়

ঝকঝকে ঘর  দুয়ারে-

কত কবিতা খুঁজে  পায়  না

 হারানো সময়েছড়ানো পথ -


              বরাভয়

        মমতা চক্রবর্তী 

কুচক্রীবিশ্বাসঘাতকের ভারে

মাটি কাঁদছে

অনাদরে অপমানে হারিয়ে যাচ্ছে

বনস্থলি ...


       রাখী দাস 

একটি বছরের অপেক্ষাটা

শেষ হলো তাই,

পুজোর জন্য সবাই মিলে

শপিং করতে যাই।।


                         স্মৃতিরেখা

                       শিপ্রা দাস 

আকাশ নীল - নীলাভ আঁচলকোথাও সাদা ভেলা

জুড়ে আছেশরতের মায়ামাখা সুগন্ধ।

কোন ক্ষোভ নেইকোন কষ্ট নেই,

অথচ নীরবতায় নিবিড় হয়ে আছে 


                      । আগমনী ।

ঢাকের সুর বাজেকাঁপে আকাশ বাতাস,

মহালয়ার সুরে জাগে শিউলির সুবাস।

 

। রাখিও তোমার শরণে ।

হে প্রভুরাখিও আমায়

তোমার চরণতলে,

ভুলের আঁধার ঢেকে দিলে

জাগিও আলোর বলে।


         শতদল আচার্য 

তোমার অষ্টাদশী মেয়েটাকে দেখলেই

তোমার কথা মনে পড়ে।

মেয়েটির হাঁটা চলাকথা বলা

সব কিছুতে তোমার ছবি।



                    আগমনী আলো

                        সদয় দাস 

ঢাক বাজছেকাশর বাজছেমা আসছে ঘরে,

নতুন নতুন ড্রেস পরবে পুজোর এই ভরে।


মা আসছে এই জগতেকত যে রূপ ধরে,

ভিড়ের মধ্যে আমার শুধু মাকেই মনে পড়ে।


          । প্রিয়তমা ।

প্রিয়তমা তুমি ছিলে অচেনা,

তোমার সাথে আমার আগে

কখনো হয়নি দেখা 

 

     । শরৎ এলো ।

শরৎ এলোমনে দোলা দিল

প্রাণে পেল সাড়া।

শিউলিজুঁইকাশফুলের

সৌরভে মেতে ওঠে পাড়া।


           কিস্তি

        । আদিমা মজুমদার 

কবিতা লিখার ডায়েরি ভরে যায়

ঘরের কিস্তি গাড়ির কিস্তি

এডুকেশন কিস্তি...

মোবাইল খুললে শুধু ই এম আই!


    । বিষ্ণুপদ দাস 

যেখানে দেখতে পাই

পথের ধারের গাছের ছায়ায়

পথকুকুর  ঘুমোয় নিশ্চিন্তে শান্তিতে,

সেখানে শান্তির বাস।


'দুর্গা' তুমি অবিরত জেগে থেকো 'চৈতন্যে'

। পুষ্পিতা দাস ।

ও- মা দুটো তো প্রায় বেজেই গেলো। আমি তো এখনো রেডি হইনি। আজও আদ্যা আবার রাগ করবে। বলেছিল - ঠিক দুটোয় রেডি থাকবি কিন্তু। অদিতি বিড়বিড় করছিল। ঠিক তখনই ডোরবেল বেজে উঠলো।

-- উমাদিদিদেখবে গো কে এসেছেদরজা খুলে উমাদি উত্তর দিল -- দিদিআর্যাদিদি গো।

-- এসে গেছি। এ-ই তো জানতাম - রেডি হোসনি তো -- তুই টাইমে রেডি হয়ে যাবিসেটা হয়!

সেলফি পয়েন্ট

। সৈকত মজুমদার ।

স্কুল কলেজ জীবনে প্রেম ভালোবাসায় আবেগ কাজ করেবিবেক তখন নাবালক। স্কুলের গন্ডি পেরোতেই বোঝা যায় প্রেম ভালোবাসা জীবনের সব নয়তার বাইরেও একটা জগত আছে। প্রেম ভাত দেয় নাবোঝাপড়া দেয়। আর পরিশ্রমের ফলই সেই জগতের জোয়ার ভাটা সামলে জীবন নৌকা বায়।


  । রাণা চক্রবর্তী 

ব্রহ্মার বরে

দুর্গমাসুর বেদজ্ঞান লাভ করে

তার কুফল

বিপ্রগণ বেদমন্ত্র বিস্মৃত হোন।

ঋষিরা যজ্ঞে

অসমর্থ আহুতি প্রদানে।


 অপর্ণা কুমার 

শরতের নীল আকাশে

ভাসে আগমনীর সুর,

মা দুর্গার আগমনে

দূর থেকে যায় মিলে সুর।


                         দেশের নারী

                        মাম্পী দাস 

কেউ বলে দেবী তো কেউ বলে মনমোহিনী।

আমি বলি তিনি দেবী যিনি হলেন সর্বত্যাগী 

মাটি পাথরে নয় গো দেবীতিনি বিরাজিত সেখানে।

যেখানে মাটি-পাথরের ডেরায় কোমল হাত রূপান্তরিত কংক্রিটে।


                              রুমা দাস 

শরতের নীলিমায় ভেসে আসে অদৃশ্য সঙ্গীত,

শিউলির সুবাসে ভিজে ওঠে প্রভাতের অন্তরঙ্গতা।

কাশদোলায় নদীর তীরে যেন প্রকৃতি নিজেই

উৎসবের আহ্বানপত্র পাঠায় সমগ্র জগৎকে।


      কুসুম কলিতা 

আকাশ জুড়ে রোদের আলো

      বৃষ্টি হয়েছে বন্ধ,

মা আসছেন চারদিকে যে

     পূজো পূজোর গন্ধ ।


কাকতালীয়

। সত্যজিৎ নাথ ।

            পিতৃপক্ষে তর্পণ করতে এবারও অন্নপূর্ণা ঘাটে এসেছে মানব। গতবার প্রথম এসেছিল বড়দার সংগে নিজে আগ্রহী হয়ে।  এর আগে বড়দাই আসত শুধু বছরের এই বিশেষ সময়টাতে বাবা ও বাকিদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে। বাবা নেই আজ সাত বছর হতে চলল, বড়দা অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে সে ক্ষতি।


                              অন্ত্যজ

            আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া 

নদী বহে চলে নিরন্তর তার অনুকূল গতিতে

কখনও বা গতি বদলায় আপন খেয়াল খুশিতে

বহমান সুবিধায়

 

নদী নীরবে এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে

এটাই নদীর নিজস্বতা


                 চিঠি-ঘোষণা

            । ড. অর্পিতা দাস 

 প্রিয়তম,

আজ আমি তোমাকে ডাকঘর থেকে নয়,

সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন কলাম থেকে লিখছি।


মাতৃভাষার চেতনা

- যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস

"যে জাতি নিজ ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পারে নাসে জাতি কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না।” বঙ্কিমচন্দ্র কথিত এই নিজ ভাষা হচ্ছে মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শুধু কি একটি ভাষানা। মাতৃভাষা একটি জাতির আত্মপরিচয়। তার সামগ্রিক সংস্কৃতির বাহক। মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা অন্য ভাষা-সংস্কৃতিকে সহজে আয়ত্ত করতে পারি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। তাই এই ভাষা আমার প্রাণের স্পন্দনআত্মপরিচয়ের প্রতীকমনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। বাংলা ভাষার মধ্যেই খুঁজে পাই বিশ্ব চরাচরের যাবতীয় মাধুর্যবাংলা ভাষার মতো আর কোন ভাষা আমার 'কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়াপ্রাণকে আকুল করতে পারে না। 


          শর্মি দে 

তোমায় একটা চিঠি লিখবো

কী নিয়ে লিখবো ভেবে মনটা হাহাকার করে।

চাঁদের দিকে তাকাতেই সে বললো

"আমার শরৎ আসুক, সেখানেই লেখো!"


 প্রমিলা দাস ।

মুদলে আঁখি

যায় উড়ে পাখি,

দূর তেপান্তরের মাঠে

সাত সমুদ্র তেরো নদীর ঘাটে।


  নীলাদ্রি ভট্টাচার্য 

তুমি আকাশ রূপের ভেতর

জাতকের মাটি

আস্তানার জন্মান্তর কৃতকর্ম।


                  অনুভব

     বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য 

কোনও কোনও মানুষ বাড়ি হয়ে যায়

তাদের দেখলে মনে হয়মস্ত একটা ছাদ!

যার তলে শুয়ে থাকা যায় বড় নিশ্চিন্তে

কাঁদা যায়হাসা যায়খুশগল্পে বিভোর-


 সুরজ কুমার নাথ 

সময় হয় না কথা বলারভালোবাসার

সময় হয় না খোলা আকাশের গায়ে ছবি আঁকার।

টেবিলের উপর রবি নজরুল সুকান্তের কবিতায় জমে ধুলোর আস্তরণ,

সময় হয় না সেগুলোতে নিজের জীবন খুঁজে পাওয়ার।


       হরপ্রসাদ কর্মকার 

ভাঙ্গা সেতুর মতো দাঁড়িয়ে আছে সময়

মানুষ আশ্রয় খুঁজছেমানুষ পরিচয় খুঁজছে।

অথচ আকাশে তার অনিশ্চয়তার মেঘ

তবু বুকে তার আশা ভরসার দোদুল দোল।


        নিশীথে

 মানসী সিনহা 

সময় যখন ফুরোয়

   বিবর্তন এবং পরিবর্তন নামক

             জাগতিক শব্দ গুলো

খুউব ভয়ংঙ্কর

          আতংকময় হয়ে উঠে


 শান্তশ্রী সোম 

কনকনে শীতে,

মোলায়েম শ্বেতশুভ্র তুষারে মোড়া

ইউক্যালিপটাস গাছে,

এখন পাতাঝরার গান।


            শরৎ

 অনন্যা ভট্টাচার্য 

ভোরের নীল শিরায়

আবৃত সফেদ কুয়াশা

যেন দার্শনিকের অনন্ত নোটবুক,

সব রেখাই হয় প্রশ্নচিহ্ন

অনন্তের বুকে অপার বিস্ময়।


       মুনাফিক স্বজন

আজকাল বরাক নদীর জলে

জ্যোৎস্নার আলো উপচে পড়লে

আমি ভীষণ অস্থির হয়ে উঠি

জল ছল ছল করে চোখের কোণে।


             বিষ বীজ

জন্মের ওপারে কোন ঈশ্বর বসে নেই

যে লিখে রেখেছে আমাদের ভাগ্য

বরং এখানেই রয়েছে নিষ্ঠুর অমানুষেরা!




এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৮তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩২)

সম্পাদকীয়  … শরতের আকাশে মেঘের ভেলা ,  দিগন্তে কাশফুলের শুভ্র হাসি —  যেন বাংলার মাটিতে ফিরে আসে এক চিরন্তন প্রতীক্ষার ঋতু। ঢাকের আওয়াজ , ...