মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : ১৬তম সংখ্যা

 


সম্পাদকীয়

ছোটকাগজ, নামের সাথে ছোট শব্দটি জুড়ে থাকলেও এটি প্রকাশের যে সার্বিক কাজ তাকে  ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। কলম চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহীত ফসল যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট করে কাগজটিকে সাজিয়ে তুলতে সম্পাদকের শ্রম আপাত দৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও তা কিন্তু নয়। অর্থ সংক্রান্ত বিষয় অনুল্লেখ করেও বলা যায়, খরচা আছে। তবে এই শ্রম ব্যয় সার্থক হয় যখন কাগজটি বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছায় এবং সমাদৃত হয়।

আমরা যে জায়গা (সামর্থ্য এবং পরিস্থিতি) থেকে এই কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি তাতে পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে পত্রিকাটির হার্ডকপি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া খুবই কষ্টকরতাই আন্তর্জালের সহায়তায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবার কাছে আমাদের এই সামান্য কাজকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ব করছি আমরা প্রতিনিয়তএকটি ছোটকাগজ হিসেবে আমরা যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রাখছি ঠিক সেভাবেই  নিজের লেখার পাশাপাশি প্রতাপ'কে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ন্যূনতম শ্রম দানের মাধ্যমে আমাদের সহযোগী হোন, লেখক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে এই অনুরোধ আমাদের

আমরা আশা রাখি, প্রতাপ প্রকাশের পর আমাদের লেখকবৃন্দ সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, whatsapp ইত্যাদিতে পত্রিকাটির লিংক সহ নিজের লেখা পোস্ট করতে কোন কার্পণ্য করবেন না। ইতি -                                         

-শৈলেন দাস


  অমলেন্দু চক্রবর্তী

   । অনুপ্রেরণা । 

    মুক্ত পৃথিবীর বিস্তীর্ণ আকাশে

    জ্যোৎস্নার চাঁদসূর্যের আলো,

    মেঘ ও রোদের খেলা। বাতাসে পাখি,

    কীট পতঙ্গডুবন্ত সূর্যের কোলে            পুরো কবিতা পড়ুন ✒

 

পিংকী দাস

। বসন্ত এসে গেছে ।

 

বসন্ত মানে প্রকৃতির হারানো প্রেম

হিল্লোল পাতায় ভাসে ফাগুন।

বসন্ত মানে নীল দিগন্ত

শিমুলপলাশকৃষ্ণচুড়ার আগুন।।

                              পুরো কবিতা পড়ুন ✒


স্মৃতি দাস

। দারিদ্রের চাবুক ।

   টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার বছর খানেক পরে গীতশ্রী চন্ডিকাপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে এপোয়েন্টমেন্ট পেল। শিলচরের প্রাণকেন্দ্রে বসবাস করা গীতশ্রী কখনো পাড়া গাঁ বলতে কোথাও  যায়নি।  চণ্ডিকাপুর গ্রাম আদতেই একটি অনুন্নত গ্রাম। রাস্তায় কিছু মানুষ  চলাফেরা করছে। চেহারা বা পোশাক দেখে সবাইকেই বেশ গরীব বলে বোধ হচ্ছে।

পুরো গল্প পড়ুন ✒


"মনটি দুধের মতো, সেই মনকে যদি সংসার জলে রাখ, তা হলে দুধে-জলে মিশে যাবে। তাই দুধকে দই পেতে মাখন তুলতে হয়। যখন নির্জনে সাধন করে মনরূপ দুধ থেকে জ্ঞান ভক্তিরূপ মাখন তোলা হল তখন সেই মাখন অনায়াসে সংসার জলে রাখা যায়।

সে মাখন কখনও সংসার জলের সঙ্গে মিশে যাবে না-সংসার জলের উপর নির্লিপ্ত হয়ে ভাসবে।"

শ্রীরামকৃষ্ণ


প্ৰমিলা দাস এর দুটি কবিতা   
। নিয়তি ।

বলব কি করে মনের জ্বালা তোমায়
জীবনমানেই তো জ্বলন্ত প্ৰদীপ
কালোতে সারাটা মহিমা ভাসালো।
সারাবেলা খেটে খেটে
বিকেলে পান্তা জুটে,

চন্দ্রিমা দত্ত

  । তবুও মায়া ... ।

কারা যেন চারপাশে কর্কশ হয়ে উঠছে খুব . . .

পিয়ানো বাজায় যে হাওয়া,  চুপ হয়ে যায়

নিরুপায় ডোমের মতো ক্রমশ করুণ হয় সময়

 সকল ভালোলাগা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে ঐ

   পুরো কবিতা পড়ুন ✒

চয়ন ঘোষ 
। মুখোমুখি ।

আপন ভেবে অজস্র অক্ষরমালা গেঁথেছি
হৃদয় কাননে; ভালোবেসেছিলাম অজান্তে,
নির্মম অন্যায়, উদ্যত তর্জনীর আঘাতে;
আমায় বার বার অসহিষ্ণু করে তুলেছে ।

    
                 পুরো কবিতা পড়ুন ✒



 দেবলীনা রায় 

। স্বামীজীর বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনের ১২৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কিছু কথা ।


ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনীষীদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এক সাধারণ মানব থেকে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা অনন্য ইতিহাস বিদ্যমান। তিনি তো শুধু ধর্মগুরু ছিলেন না, ছিলেন মানবতাবাদী, সমাজসেবক ও দেশপ্রেমিক। প্রত্যক্ষভাবে তিনি রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না, কিন্তু পরোক্ষভাবে তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক ভাবনার দ্বারা পরাধীন ভারতকে মুক্ত করার জন্য যুবসমাজকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, উদ্বুদ্ধ করেছেন। 
                                                                                                                         পুরোটা পড়ুন ✒

বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য

। ভ্রূণ ।

সব শব্দ ফুরিয়ে গেলে

নীরবতার ভ্রূণ জন্মায়

বুকের গর্ভে, তা'কে

লালন করা যায়

চুমু খাওয়া যায়

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


শতদল আচার্য

। নতুন গল্প ।

তোমাকে নতুন করে শুনানোর মত

কিছু নেই আমার কাছে

যা চর্বিত চর্বন ছাড়া ।

এই বয়সে বসন্তে বসন্তে  দৌড়ে যাই না

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


সনথ রায়  

। লালের শোভায় ।

প্রকৃতি সাজে লাল রঙেতে

পলাশ করে রাজ 
দক্ষিণা হাওয়া ধানের পাতা
কৃষক করে কাজ।


 সজল দাস

 । মনোহারিণী ২ ।

স্মিতা তোমার মৃদু হাসি যেন ধান ক্ষেতে বাতাসের ঢেউ।

শত বছর সাধনায়ও এমন হাসি পারবে নাতো কেউ।

মনে পড়ে তোমার রক্তিম ঠোঁটের নিচে

কালো বিন্দুর মত সেই ছোট্ট তিলটার কথা?

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


সুস্মিতা দাস চৌধুরী

 । ভালোবাসি ।

ভালো আমিও বাসি

শুধু চেপে যে রাখি

কবে বুজবে যে তুমি

সেই কথা ভাবি আমি

                     পুরো কবিতা পড়ুন ✒

 

 স্বাতীলেখা রায় এর দুটি কবিতা

। সব কবিতাই ।

কবিতা নিয়ে ভাবনা যতখানি

ঠিক ততখানি বয়ানে আসে না

মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়

অনেকক্ষণ অন্যক্ষণ    পুরো কবিতা পড়ুন ✒


    রূপালী রায়
             । স্মার্ট ফোন ।

    মুখ গুজে বসে থাকি

    ফোনের পর্দায়

    হাসিখুশিদুঃখবিষাদ

    সবই এইখানটায়। 

                         পুরো কবিতা পড়ুন ✒


 নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য

 । ক্ষতস্থান ।

যথাযথ বৃষ্টির ক্ষতস্থানে

প্রতিফলিত শব্দরা শরীরত্যাগের আগে

আমায় ডাকছে

পুরাতন স্থবির তাদের দৃঢ়স্বর

অচূর্ণ তিরতির মায়াবী কণ্ঠ

পুরো কবিতা পড়ুন ✒



যোগেন্দ্র
 চন্দ্র 
দাস 

। আপেল বা আলু কাটার পর কালো হয়ে যায় কেন? ।

    আপেল বা  আলুর দেহ এমন অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত এবং এতে হাজার হাজার এনজাইম আছে। এরমধ্যে যার কারনে ফেলে রাখা কর্তিত দেহ লালচে বা কালচে হয়ে যায়। সেটি হল, পলিফেনল অক্সিডেজ নামক একটি এনজাইম। একে টাইরোসিনেজ বলে। পুরোটা পড়ুন ✒

 

 

চান্দ্রেয়ী দেব

 । কিচ্ছু চাইনি আমি ।

কিচ্ছু চাইনি আমি শুধুই চেয়েছি....

একমুঠো ফুরফুরে সকালের রোদ

গা ভাসাতে চাই নতুন দিনের শুরুতে

কিচ্ছু চাইনি আমি শুধুই চেয়েছি....

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


ভাস্কর জ্যোতি দাস

। সাবধান! ।

ফুটবল ফুটবল

তোমার খবর কী?

সবসময়ই খাচ্ছো শুধু

রামের শ্যামের লাথি।

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


    সুমঙ্গল দাস

        । সঞ্চয় ।

    ভন-ভন ফন-ফন

    মাথা গরম নেই ধন।

    দ্রব্যমূল্য লাগাম ছাড়া

    দুশ্চিন্তা রোজ করছে তাড়া।

     পুরো কবিতা পড়ুন ✒


অভিজিৎ পাল

 । ল্যাংটো কথা ।

ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলের বাজারে,

বেরং হাতে রঙ বেচতে চলেছি।

মুখোশের গালে রঙ মেখে-

সে রঙ মলিন হতে দেখেছি।

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


প্রসেনজিৎ দাস

। বিশ্বাস ।

বর্তমানে বিশ্বাস নেই কারো উপর ;

দান্দাবাজ বাটপারিতে ভরা অন্তর।

চোর ঘুরে সাধুর বেশে, রাজা করে ভিক্ষা

কে আসল? কে নকল? কে দেবে শিক্ষা।

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া

। এখনও প্রতীয়মান ।

খুব সুন্দর শান বাঁধানো একটা ফটো ফ্রেম ছিল

দূর থেকে দেখা যেতো তাঁর সোনালী ঝলক

আগলে রেখেছিলাম শোকেসের উপর

একদিন অজান্তেই পড়ে গিয়ে

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


শান্তশ্রী সোম 

। অচিনপুর ।

স্বপ্নে অনেকেই ধরা দেয় সে ক্যুইন ভিক্টোরিয়া থেকে শুরু করে মায় পাশের পাড়ার পাগলা বিশু অব্দি গত বছর বরম বাবার মেলার সময় টুক করে একপাক ঘুরে গেছে স্বপ্না বাড়িতে তখন তার সে কী খাতির পুরোটা পড়ুন ✒


অভিজিৎ দাস

।  নদী ও তট ।

তোমার আমার গল্পখানা,

নদী ও তটের মতো।

বিচ্ছেদ হবে না কখনো,

আসুক না সে বাধা শত।



শিপ্রা দাশ

। স্পন্দন ।

হিমেল হাওয়া শেষে প্রকৃতি সেজেছে

বসন্তের শিমূল পলাশ ছেয়ে আছে।

 

 সতেজ গাছ জুড়ে রাঙা বাহারি ফুল

 মেঘলা বসন্তে চঞ্চল হাওয়ায় দুলদুল।


রানা চক্রবর্তী

। মানস সুন্দরী ।

নূপুরের নিক্বণে চলে মানস সুন্দরী
নাকছাবি যেন মহুয়া ফুল
আমার পানে তাকালে একবার
দেখবো তার নয়নতারার ফুল
কর্ণমূলে ক্যামেলিয়া হরিদ্রা বসনে

 পুরো কবিতা পড়ুন ✒


আদিমা মজুমদার

 । কাস্তে হাতুড়ি ।

কাস্তে হাতুড়ি তারা

আর পদ্মফুলে

এতোটাই বিবাদ,

লক্ষ তারার মাঝে

পুরো কবিতা পড়ুন ✒



       সুখেন দাস

       । মোবাইল ফোন ।

মোবাইল যে আজ সবার নিত্য সঙ্গী,

ছোট বড়ো সবাইকে করতে হয় কত ভঙ্গী?

এর ব্যবহারের নাই যে কোন তুলনা,

তারে নিয়েই আজ এত জল্পনাকল্পনা।


    মৃদুলা ভট্টাচার্য

         । কবিতারা ।

 কবিতারা ভোরের আলো কিংবা

 সন্ধ্যার আবছায়া মাখা সৌম্যতা জড়িয়ে

 রাতের শরীরে ভালোবাসার স্বপ্ন আঁকে;

 স্বপ্ন আঁকে আগামীর অপেক্ষায়,

পুরো কবিতা পড়ুন ✒


   প্রদীপ চন্দ্র দাস

       । চল না সবে তোমরা ।

চল না সবে তোমরা চল না সবে

একটু ঘুরে দেখে আসি  ঐ প্রান্তরে।

স্বপ্নের দেশ সে যে বড়ই অপরূপ!

নয়ন মোহিত করে তার শতরূপ।



     রাজু দাস
   । একটি মেয়ের কান্না ।
আমি একটি মেয়ে এটাই কি আমার অপরাধ
না কি হয়ে মেয়ে জন্ম নেওয়া ভুল?
কতো বীর বীরাঙ্গনার রক্তে রাঙানো
স্বাধীন দেশের বুকেও আজ আমরা
দিন দিন পরাধীনতায় ভুক্তভোগী?
জানি এর কোনো বিচার নেই
                                             পুরো কবিতা পড়ুন



দেবযানী ভট্টাচার্য

       । একুশের দেখা ।

ভোরের আজান দেয় আহূতির ডাক

প্রাণের ভাষার টানে মানুষের ঢল

মাটির কপাল জুড়ে শঙ্কার রেখা

রাজপথের  মিছিলে সেদিন একুশের  দেখা।



সুলতা রানি দাস

। মুক্তি ।

আমি মুক্তি চাই

মুক্ত প্রাণের আশায় দিনগুনি।

গ্রহ নক্ষত্র অন্ধকারে ঘেরা অমাবস্যায়

নিজেকে চেনা বড় দায়,

তাই খুঁজে একা ফিরি।

পুরো কবিতা পড়ুন


চম্পক সাহা

। স্বভাব ।

স্বভাব অতি মূল্যবান

যদি হয় ভালো

সমাজ করে ধন্য ধন্য,

যদি হয় ঘৃণ্য

সমাজে হয় আলোচিত । পুরো কবিতা পড়ুন

 


    সুশীল দাস

        । অপেক্ষা ।

অনেক কথা জমিয় রেখেছি মনে

তােমাকে বলবো বলে গোপনে

কিছু কথা চোখের ভাষায়ভালবাসায়,

কিছু কথা উথলে ওঠবে

পুরো কবিতা পড়ুন


আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া 

। জুপিটারের ঈগল ।

এখন আর বাড়িতে ওঠান হয় না

অথবা ওঠানের কি কাজ ! 

বাইরে কিন্তু সমাজসম্মত তো আছিই

তবুও আমার হৃদপিণ্ডটা রোজ খায় জুপিটারের ঈগল   পুরো কবিতা পড়ুন


      ছন্দা দাম

           । মুসাফির ।

একদিন ঝরে যাবে পাখি হৃদয়ের পালক সব...

কোন এক আলো ডোবা সন্ধ্যের অদেখা আঁধারে,

একদিন চলে যাবে বনজ্যোৎস্নার মায়াময় ছায়ায় গা ধুয়ে

পথিক এক অচেনা অজানা জগতের ওপারে।

পুরো কবিতা পড়ুন


 কানু চক্রবর্তী
। শিক্ষা পদ্ধত ।

ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে অনেক দিন গত হয়েছেসাতাত্তর বছর হতে চললএখনকার দিনে সাতাত্তর বছর কতজন বাঁচেকিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারতের ঠিক ঠিক উন্নতি হয়নি এর অনেক কারণ রয়েছেরাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জন্য করাপশন দিন দিন বেড়েই চলেছে,সাথে ধর্মীয় কুসংস্কারজাতিভেদ প্রথাআর সবকিছুর মূলে রয়েছে   পুরোটা পড়ুন ✒


বিদ্যুৎ  কায়স্থ

       । হে বর্ষা ।

হে বর্ষাপ্রতিবার তোমার এই ঘন কালো মেঘ

করিতেছে কত ঘরকত জন নিস্তানা।

হয়েছে নিশ্বঃহয়েছে বিশ্ব

তোমার এই প্রকোপ বলে,

তোমার এই রূপের কি করিব মূল্য নিরূপণ?

                                                                                                         পুরো কবিতা পড়ুন


ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার

                ।  যশ ।

ক্যানভাসটা কখনওই সাদা থাকেনা

আদিরও "আদি" থাকেথাকে আধার,

সীমিত থাকে রঙঅন্য উপাদান

স্বত্বরজ,তমের সীমিত কম্বিনেশন!

পুরো কবিতা পড়ুন


ইমাদ উদ্দিন বুলবুল

। অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্ম শতবার্ষিকী ।

    উত্তরপূর্ব ভারতে একজন ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক ত্রিপুরার অদ্বৈত মল্লবর্মণ ১২ জানুয়ারি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন তিনি জন্মগতভাবে মৎস্য শিকারি বংশে জন্মেছিলেন। নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শিখে সাহিত্য চর্চা শুরু করেতিনি মৎস্যজীবিদের জীবন ভিত্তিক উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ লিখেছিলেনযা তাঁর জীবদ্দশায় কলকাতার মোহাম্মদী সাময়িকীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।  পুরোটা পড়ুন ✒


সুরজ কুমার নাথ
। বড়দিন ।

    আজ ২৫শে ডিসেম্বর। পাশের বাড়ির কাকিমণি নিখিলকে ডেকে হাতে দুটি বড় বড় কেকের টুকরো তুলে দিলেন খাওয়ার জন্য। আর অপেক্ষা না করে দৌড়ে বাড়ি এসে নিখিল মাকে বলে, "মাজানো আজ বড়দিন।    পুরোটা পড়ুন ✒


সুমন দাস

। তোমায় ভালো রাখতে ।

তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে
এখন কেনো আমি এতো চুপচাপ। 
তুমি ডাকলেও প্রায় এড়িয়ে চলি
সময়ের কাছে যে আমি অসহায়।

                         পুরো কবিতা পড়ুন ✒


উজ্জ্বলা দাস

"কেউ একজন থাকুক"

হ্যাঁসবাই চায় কেউ একজন থাকুক

যে মানুষটা তাকে খুব ভালোবাসবে

তাকে সন্মান করবে।

                                            পুরো কবিতা পড়ুন ✒



শৈলেন দাস
। জলাভূমি ।

    শহরের শরীর ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। নতুন নতুন এলাকা যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার উপর সরকার পৌরসভাকে পৌরনিগমে উন্নীত করার অধিসুচনা জারি করায় শহরের লাগোয়া একপশলা জমিও এখন শহরের অন্তর্ভুক্ত। এমতাবস্থায় একসময়ের শহরতলী দুর্গাবিল এখন শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে। শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের বসতবাড়ি যেন 'গোল্ড ফিল্ডসদৃশ। তাই এখানকার বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য সরকারি প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েও বাতিল হয়ে গিয়েছে।   পুরোটা পড়ুন ✒

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-৩

নববর্ষ উদযাপন বাঙালী সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। তাই বাংলা সাহিত্যে নববর্ষ একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। প্রচুর গল্প, কবিতা রচিত হয়েছে নববর্ষকে উপলক্ষ করে। আমাদের এই সংখ্যাটি এরই একটি সংযোজন। নববর্ষের আলোয় সবার জীবনের সকল অনুভূতি সত্য হোক।

-শৈলেন দাস


বর্ষ আবাহন

। সুস্মিতা অধিকারী ।

গভীর আলোয় চির নতুন বৈশাখী প্রভাত
চিহ্ন রেখে যাক তবে সুখপাখিটার। 
মনের কোণে যত আবছা স্মৃতি মুছে যাক শেষের পথে
জাপটে ধরে থাক তবে তীব্রতর চির নতুনের উত্তরাশা।


নববর্ষের বার্তা 

। প্রণীতা দাস ।

পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে

এলো নববর্ষ

সকলের হৃদয়ে জাগে তাই

নতুনের আনন্দ।    পুরো কবিতা পড়ুন ❤


নতুন বছর

। পায়েলিয়া চক্রবর্তী ।

নতুন বছর নিয়ে আসুক সবার মনে,
এক মুঠো ‌নতুন আশা।
ঐ পথভুলা পাগল গ্রেমিকের‌‌ মনে‌‌ নতুন বছর
ফিরিয়ে আনুক তার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ।

‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤


পহেলা বৈশাখ

। রাহুল দাস ।

পহেলা বৈশাখ 
বড় আনন্দের দিন
চৈত্র শেষে আসে।
নব রঙে, নব উদ্যমে, 
খুশির ডঙ্কা বাজে।     ‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤


প্রতিজ্ঞা

। ছন্দা দাম ।

নতুন প্রভাতের অরুণ আলো প্রাণবায়ু ভরে যায় হৃদঅলিন্দে

নব নব স্বপনে মননে গোপনে, নব ইচ্ছেরা সতত সুর সাধে।

কত ব্যর্থ আশা, জমাট দূরাশা গুমরে গুমরে মরে অবচেতনে..

চায় মেলতে ডানা, ঝাপটায় দোটানা, তবু সাহসী মন না মানে।।


 যুদ্ধের পাখি -২

। কিশোর রঞ্জন দে।

কথা ছিল  ১৪৩১এর প্রথম রবিবারে 

গুটিগুটি পায়ে জানালা খুললেই

নাকে আসবে গন্ধরাজের তুমুল বাতাস। 

 'ভারতবর্ষের শাশ্বত প্রাণ-বীণা' ঢুকবে কানে,

‌‌পুরো কবিতা পড়ুন ❤

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদতারা

 


।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।


সূর্য আঁধারে ঢাকে আবার আলো ছড়ায়।

আলো আঁধারি তার অনিবার্য দিনপঞ্জী ।

আলোর সড়কপথে চলতে চাই

তাই ভালোবাসি আলোকে ।


যেখানে সেখানে হাত প্রসারিত করলে 

কাটা যেতে পারে প্রণয়মুখী হাত 

হাত ধরব তো সহযোদ্ধার


চাঁদতারা আজও আকাশে ওঠে 

কিন্তু তারা মিশুকে নয়। কথা বলেনা। 

অলক্ষ্যে কেউ শাসায় কিনা তাও জানিনা।


একঝাঁক উদার তারা আর প্রেমময় চাঁদ 

                        দাওনা আকাশে হে গোবিন্দ 

আমি ডুবে মরি রাইয়ের সাথে।।


রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

বসন্তের ভালোলাগা

 


                                        - শৈলেন দাস 

ভরদুপুরে প্রায় দেড় ঘন্টা ড্রাইভ করার পর ব্লকের রাস্তা অতিক্রম করে একটি কালো রংয়ের ফোর'হুইলার এসে থামলো গ্রামের  শেষ প্রান্তে গ্রামটির নাম সন্তোষপুর। ধীর পায়ে গাড়ি থেকে নামল সোহিনী ঘাড় ঘুরিয়ে দুচোখ ভরে দেখল সবদিক তারপর কল করল মোবাইলে।

মাত্র মিনিট সাতেকের হাঁটাপথ, তারপর টিলার উপরে পর্যটন স্থল। জায়গাটির নাম "পাঁচাল"। সেখানে ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে শিলচর থেকে এসেছে সে। সামাজিক মাধ্যমে এই উৎসবের কথা জেনে আগ্রহ প্রকাশ করতেই সাড়া দিয়েছিল তার ফেসবুক ফ্রেন্ড ধীরেন দাস। সে-ই জানিয়েছিল, এই উৎসব শিশুদের নিয়ে। শিশুরা প্রাণের আনন্দে হই হই রই রই করে রঙ-রঙিলা ঘুড়ি উড়ায় আর বসন্তবাতাস সেই ঘুড়িদের সাথে লাগিয়ে দেয় হুটোপুটি। মেয়েরা আলপনা দেয়, ছোট্ট ছোট্ট মেয়েরা মায়ের, দিদিদের শাড়ি পরে সেজেগুজে আসে নাচবে-গাইবে বলে। বয়সের কোন বাধা নেই, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গ্রামের সবাই চলে আসে ঘুড়ি উৎসবের আনন্দ-হাটে।

সোহিনীর মনে প্রথমে কিছুটা সঙ্কোচ ছিল। শুধুমাত্র ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে ধীরেনের ডাকে এখানে তার চলে আসা ঠিক হয়েছে কি? সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে আজকাল কত রকম অপকর্মই তো চরিতার্থ করছে কিছু লোকে! কিন্তু না, এখানে আসার পর ভীষণ ভাল লাগল তার। ধীরেন সোহিনীকে ঘুরে দেখালো চারপাশ। পাঁচালের পশ্চিম দিকে বিস্তৃত শনবিল। পূর্ব দিকে ছোটকোনা গ্রাম। ধীরেন হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিল ফেসবুকে সোহিনীর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা প্রীতিভাজনব্যক্তি'র বাড়ি। সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় সেখানকার আরও দু একজন বন্ধুর সাথে পরিচিত হল সে। তারপর সবাই মিলে কিছু ছবি তুলল মুঠোফোনে।

সোহিনী দেখল ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে শিলচর থেকে কবি চন্দ্রিমা দত্তও এসেছেন তার প্রিয়জনদের সাথে। অন্যদের সাথে আলাপচারিতায় ব্যস্ত কবি। সোহিনী কাছ থেকে কবিকে দেখার মনোবাসনা নিয়ে এগিয়ে যেতেই শুনতে পেল কবি বলছেন - 'শনবিলের এই ঘুড়ি উৎসব যেন প্রান্তিক এই এলাকার মানুষের প্রাণের উৎসব। কোনও কৃত্রিম দেখনদারি ব্যপারই নেই। বয়স এখানে কোনও বাঁধা নয়, আনন্দই শেষ কথা। তাছাড়া এই ধরনের ছোট ছোট উৎসবগুলোর আয়োজন বলতে গেলে এক নিভৃত আন্দোলনও বটে। আমার বিশ্বাস, একদিন সরকারের সুনজরে শনবিল আসবে আর শনবিলের গোটা সমাজ উন্নততর জীবনে যাপন করবে তাদের দিন।' সোহিনীরও মনে হল ঠিক তাই। এই উৎসবের আনন্দ আমেজ তার মনকেও ছুঁয়েছে ভীষণভাবে। সে অনুভব করল এই উৎসবের আয়োজক সংস্থার সবাই তো বটেই এখানকার সাধারণ মানুষও খুব আন্তরিক এবং সমাজবন্ধু। তারা অপরিচিত সোহিনীকেও নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিল আপন ভেবে। আর ধীরেনের ব্যবহারে তো সে অভিভূত একেবারে।

দুপুর গড়িয়ে এখন বিকেল। টিলার সবুজ মাঠ দিয়ে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে সোহিনী। ধীরেন একদৃষ্টে তাকিয়ে কিছুক্ষণ দেখল তাকে। তারপর ডেকে বলল - 'কেমন লাগল আমাদের গ্রাম, বললে না যে? এখানকার মানুষজন, এই ঘুড়ি উৎসব।' ঘুরে দাঁড়ালো সোহিনী। বেশ কিছুক্ষণ চারপাশে দেখার পর, দুবাহু ছড়ায়ে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে উচ্চস্বরে বলল- 'আই লভ ইট।' তারপর এগিয়ে এসে লাজুক হেসে ধীরেনের চোখে চোখ রেখে বলল - 'শনবিল আমার খুব প্রিয় এবং এখানকার মানুষজনও।' বলেই চটপট গাড়িতে উঠে পড়ল সে। বসন্তের মধুর ভালোলাগার মুগ্ধতা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল ধীরেন, চারপাশের বিশাল টিলা আর উঁচু নীচু প্রান্তর জুড়ে কেবল সহজিয়া আনন্দের ঢেউ ...।

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতাপ : অনলাইন-২

 
বাংলা সাহিত্য অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আমরা শুরু করেছি আমাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে। ভালো লাগলে উৎসাহ দেবেন অন্যথায় এড়িয়ে যাবেন। এই সংখ্যায় কেউ জীবনে প্রথমবারের মতো কলম ধরেছেন তো কেউ প্রতাপ এ প্রথম লিখেছেন।

সবাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন আমাদের এই সামান্য প্রয়াসকে। - শৈলেন দাস



পথহারা পথিক
। রাহুল দাস ।

পথহারা পথিক আমি

নেই কোনো ঠিকানা।

উদ্দেশ্যে বিহীন পথে

আমার অবাধ আনাগোনা।

                                                                                     পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔


আমার অতীতে বসন্ত ...
। সুচরিতা দাস ।


আমার অতীতের রং ধূসর, 

সমস্ত মলিনতার আস্তরণে বিবর্ণ, ফানসে। 

আমার অতীতে কোনোদিন দোল উৎসব আসেনি, 

কে জানে কখনও হয়তো বসন্ত এসে চলেও গেছে! 
                                     পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔
 

অপরূপা নববর্ষ
। শুভ্রাংশু নাথ মজুমদার ।


নববর্ষ, তুমি তখনই হর্ষ।

যখন দাও জ্ঞানের স্পর্শ।।

নববর্ষ, তুমি তখনই বিমর্ষ।
                                                                        থাকে না যখন হৃদয়ের স্পর্শ।।

পুরনো স্মৃতি
। সুজিতা দাস ।


অনেক পুরনো স্মৃতি

আজ অবধি মনে পড়ে

হৃদয়ে বাজে

তোমার মধুর কন্ঠ -


পাখির মাঝরাত
। সুরজ শুক্লবৈদ্য ।


কখন ডুবে গেল বেলা;

কিন্তু পাখির চিকির-মিকির,

অন্ধকারেও সেই শব্দধ্বনি,

ক্লান্ত শরীর গাছের আগায়
                                   পুরো কবিতা পড়ুন ✔✔

বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪

বিড়ালের রাস্তা অতিক্রম করা অমঙ্গল কেন?

 


-          যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস

 

বিড়াল রাস্তা কাটলে গাড়ির চালক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, তারপর যায় কেন? এমনকি মানুষ হেঁটে যাচ্ছে এমন সময়ও বিড়াল রাস্তা কাটলে মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ে কেন? এর কারণ কি? এই প্রথা অনেক পুরনো। সেই কোন যুগ থেকে চলে আসছে। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি?

আগেকার দিনে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল। গরুদের সামনে দিয়ে বিড়াল গেলেই তারা অস্থির হয়ে পড়তো। গরুদের অস্থিরতার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটততাই গরুর গাড়ির চালক বিড়াল রাস্তা কাটলে গরুদের শান্ত করার জন্য কিছুক্ষণ গাড়ি থামিয়ে দিত। সেই অভ্যাসই হয়ত এককালে কুসংস্কারে পরিণত হয়। তারপর থেকেই সম্ভবত যেকোনো গাড়ির সামনে দিয়ে বিড়াল গেলেই গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার রীতি শুরু হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রাহুকে অশুভ গ্রহ বলে। রাহুর প্রভাবে অমঙ্গল বা দুর্ঘটনা যোগ আছে। বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে বিড়াল রাহুর বাহন। এই কারণেই বিড়াল পথ ঘাটলে অশুভ বলে মনে করা হয়। কারণ বিড়াল পথ কাটছে মানে সেখানে রাহুর প্রভাব আছে। তাই যেকোনো অমঙ্গল আসতে পারে বলে ধরে নিয়েই বিড়াল পথ কাটলে গাড়ি থামানোর রীতি শুরু হয়।

বিদেশেও এই রীতি প্রচলিত আছে। আগেকার দিনে ইউরোপীয় দেশগুলোতে একসময় পোষা কুকুর, বিড়াল রাস্তা পার হওয়ার সময় তাদের পিছু পিছু বাড়ির ছোট বাচ্চারা ছুটে যেত এবং প্রায়ই গাড়ির তলায় চাপা পড়ার ঘটনা ঘটত। তাই অনেক দেশে সরকারি নির্দেশ ছিল কুকুর, বিড়াল রাস্তা পার হলে কিছুক্ষণ থেমে দেখতে হবে যে পেছন পেছন কোন বাচ্চা আসছে কিনা।

তাছাড়া কালো বিড়াল ইউরোপে এভিল এবং উইচ্ক্রাফট এর সাথে জড়িত। অন্ধকার রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ির সামনে বিড়াল এলে তাকে মাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপর সওয়ার এর উপর ইভিল স্প্যাল চেপে বসবে এই আশঙ্কায় কালো বিড়াল দেখলে গাড়ি থামানোর প্রথা চালু হয়।

রাস্তার বিড়াল তার নিজের প্রয়োজনে রাস্তা অতিক্রম করে। কোন অশনি সংকেত দেওয়ার জন্য নয়। কখনো শিকারের জন্য কখনো খাবারের সন্ধানে আবার কখনো হয়তো বেড়ানোর জন্য তারা সাধারণত রাস্তা অতিক্রম করে থাকে।

 

একমাত্র জনসচেতনতা এবং মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়িয়ে এই কুপ্রথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

অব্যক্ত প্রেম

 


-সৈকত মজুমদার


    ঈশিতা খুবই শান্ত, লাজুক ভাবগম্ভীর স্বভাবসিদ্ধ একটা মেয়ে। দেখতে বেশ সুন্দরী ও আকর্ষণীয়। আমি ওকে কলেজের নবীনবরণ থেকে দেখছি, একা বিলোনীয়া শহরে ভাড়া থেকে পড়াশোনা করছে। কলেজে ওঠার পর দ্বিতীয় বর্ষে বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়, তখন বাড়ির লোকদের শায়েস্তা করার জন্য এক বান্ধবীর বাড়িতে কিছুদিন সে লুকিয়ে থাকে।

    এখনো কোনো ছেলের চোখে চোখ রাখেনি, প্রেমের প্রস্তাব যে পায়নি এমন নয়। সে এসব প্রেম ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না, ওর কাছে এসব নাটক মনে হয়! আজ অবধি ঈশিতা কারো প্রেমে পড়েনি। কারণ, নিজের অনেক বান্ধবীদের দেখেছে প্রেম করতে। আবার কিছুদিন পর ওদের মধ্যে ব্রেকআপ হয়। হয়তো ঈশিতা এসব দেখে নিজে আর প্রেমে এগোনোর সাহস পায়নি। যদিও কলেজের অন্যান্য মেয়েদের চাইতে ঈশিতা অনেক রূপসী ছিল। ওর মনের মধ্যে প্রেম সম্বন্ধে সব সময় একটা ভয় বিরাজ করত। সে ভাবত, প্রেম মানে যন্ত্রণা অথবা প্রতারণা!!

    একদিন এই ঈশিতার প্রেমে পড়ে যায় সৌম্য, তা সকলেরই ধারনাতীত ছিল। ঈশিতাকে ওর ভালো লাগে এবং মনে মনে ভালোবাসত। কিন্তু মুখে বলেনি কখনো। তারপর হঠাৎ কয়েকদিন ধরে ঈশিতা কলেজ আসেনি, ওকে না দেখতে পেয়ে সৌম্যর খুব মন খারাপ হয়ে যায় এবং ঈশিতার এক বান্ধবীর কাছে ওর খবর জানতে চায়। তখন বন্ধুরা নানা ব্যঙ্গোক্তি করে। সৌম্যর খুব খারাপ লাগে।

    তারপর সে মনে মনে স্থির করে, এবার যেদিন কলেজ আসবে সেদিনই ঈশিতাকে প্রপোজ করবে। একাকী এ বিষয়ে রাতদিন প্র্যাকটিস করে, আর রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে।

-    "আমি অন্যদের মতো অভিনয় করতে পারি না, যেটুটু ভালোবাসি শুধু মন থেকেই।"

    হঠাৎ একদিন কলেজ গেইটে মুখোমুখি সৌম্য-ঈশিতা, ধবধবে সাদা একটা প্রাইভেট গাড়ি থেকে হাসিমুখে নামে ঈশিতা। পরনে শাড়ি, কপালে সিঁদুর!

    সৌম্য বজ্রাহত ব্যক্তির ন্যায় অপলক চোখে চেয়ে  থাকে।

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

প্রতাপ : ১৭তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩১)

প্রচ্ছদ  :  শুভজিৎ   পাল সম্পাদকীয় ......... বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত উৎসব , দুর্গাপূজা। এই সময়টিতে বাঙালির প্রাণের মিলন , সংস্কৃতি আর ঐতিহ...