রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৩

               আমার তুমি 

                 । পিয়ালী ঘোষ ।

আমার তুমি কোন এক বিকেলে আসা বৃষ্টি, 

যার কাছে নির্দ্বিধায় নিজেকে হারিয়ে দিতে পারি।

আমার তুমি আকাশের সেই চাঁদ , 

যাকে দেখে কাটিয়ে দিতে পারি পুরো রাত।

তুমি আমার সুগন্ধি ফুল,

 গন্ধে যার করে আকুল।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


কালপুরুষ

। রাজীব কুমার দাস ।

গগনের অন্তহীন সীমানায় সময়ের নিঃশব্দ স্রষ্টা

অসীম পথ পেরোয়- সূর্যোদয় থেকে নক্ষত্রের বিলয়,

আদি থেকে অন্ত- সে এক সীমাহীন গণিত

এক নিঃশ্বাসে জন্মধারা, এক নিঃশ্বাসে প্রলয়।



ত্রিনয়নীর সংসার

       । রিপন দাস ।

দিন-রাত সহ্য করে,

দায়িত্বে থাকেন রত;

কেমন করে এগিয়ে যাবেন,

ভাবেন সবার মত।



           মা

      । রাজন দাস ।

কোথায় গেলে, মাগো তুমি,

আমায় একা রেখে।

তোমায় ছাড়া বলো, মাগো,

ঘুমাই কেমন করে।



তর্পণ

। গীতশ্রী ভট্টাচার্য্য ।

    চোখ কচলে উঠে বসে কুসুম। মা কই! পাশে নেই তো। ছোট্ট দুটো পায়ে নেমে আসে খাট থেকে। লাল টুকটুকে পা। কাল রাতেই মা আলতা পরিয়ে দিয়েছে। ঘরে তখনও নীল রাতআলো জ্বলছে। দরজাটা খোলা। মা তাহলে বাইরে। সিঁড়ি থেকে ঝপাং করে উঠোনে লাফ দেয় বালিকা। মা চমকে উঠে।  পুরো গল্পটি পড়ুন

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩২

 আবেগের অন্য নাম শনবিল

               । সুচরিতা দাস ।

অনেকের কাছে তুমি নিতান্তই একখানা জলাশয়, 

হয়তোবা শুধুই খানিকটা অবসর সময়ের বিনোদন! 

ওরা জানেনা কত অবহেলিত জাতির

তুমি সুখ দুঃখ উত্থান পতনের সাথী, 

কত কালের সাক্ষ্য বহন করছে

তোমার বুকে শেকড় গেড়ে ওই হিজলের দল ! 

পুরো কবিতা পড়ুন


কবিতার সঙ্গে সহবাস 

            । হরপ্রসাদ কর্মকার ।

কোনও কারণ ছাড়াই রাতের বেলা 

চোখে ঘুম আসে না এমন তো নয়। 

কবিতার শরীরে দৃষ্টি নিবদ্ধ হলে... 

বর্ণে-গন্ধে মেতে ওঠে শালীন-সহবাস ।

পুরো কবিতা পড়ুন


                সম্ভাবনা

           । রঘুনন্দন ভট্টাচার্য ।

একদিন ওরা মুছে দিতে চেয়েছিল তোমাকে,

আঘাতে আঘাতে ভাঙতে চেয়েছিল শিরদাঁড়া,

কালো মেঘ দাপটে ছেয়েছিল দিগন্ত -

যেন কোথাও না থাকে তোমার কোনো ছাপ ।

পুরো কবিতা পড়ুন


                প্রশ্ন

             । আকাশ ধর ।

সূর্য উঠলেও চারিদিকে ঘোড় অন্ধকার।

বলতে পারিস বিধি পৃথিবীটা কার।।

কার চোখেতে জল জমেছে, খরা হৃদয়ে।

কার চুল হল এলোমেলো, গোলাপ লাগিয়ে।।

                                                              পুরো কবিতা পড়ুন


                 হৃদয় হরিণী 

                   । সুমন দাস ।

তুমি এসেছিলে হঠাৎ, বসন্তের মতো,

চোখে তোমার ছিল অনন্ত নীরবতা।

আমি ডেকেছিলাম নাম ধরে—

তুমি হেসে বলেছিলে, “আমি হৃদয় হরিণী?”

পুরো কবিতা পড়ুন

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩১

হতেম যদি মানুষ

     । পুষ্পিতা দাস ।

- ও আপনি?
- কতটুকু লাগবে?
- এইতো, কাটার পর দেড়-দুকেজি হলেই হবে।
-ঠিক আছে। রেডি করে রাখছি। আপনার বাকী কাজ সেরে একটু দূরে দাঁড়াবেন। আমরা আপনার হাতে দিয়ে আসব।   পুরো গদ্যটি পড়ুন

লুকোচুরি

। সুজিতা দাস ।

তুমি কি 

গাছের আড়ালে,

মেঘের আড়ালে,

শান্ত, স্নিগ্ধ জোছনায়

শীতল ছায়ার চেহারা নিয়ে লুকিয়ে আছো?

 

        নিয়তি 

    । নীলাদ্রি ভট্টাচার্য ।

অন্তিম লগ্নে মনে হলো

দূরত্বে তুমি একা

এক ব্যাকুল রক্ত ঘুর্ণিতে তুমি নতমস্তক 


যা আসছে মনে

। অঞ্জলি দে নন্দী, মম ।

ভিয়েতনামের বিমানবন্দরে রয়েছি।

মুম্বাই যাব, অপেক্ষা করছি।

এলাম বালি, ইন্দোনেশিয়া থেকে।

বেশ কিছুটা ক্লান্তও হয়েছি।

সেই সকাল থেকে উড়োজাহাজে চড়ছি।


   প্রিয় বান্ধবীরা

       । রাখী দাস ।

প্রথমে বলি একটি মেয়ে

নামটি তার প্রিয়াংকা,

দেখতে যত শান্ত-শিষ্ট 

তবুও মনে আশঙ্কা।।

পুরো কবিতাটি পড়ুন

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩০

                  অবুঝ প্রেম

                      । সদয় দাস ।

বাতাসে ভেসে বেড়ায় প্রেম প্রেম গন্ধ, 

ভাবনাতে শিহরিত - আছে যত রন্ধ্র।


নয়নে আঁকা তোমার প্রেমময় ছবিটা, 

শব্দের মালা গেঁথে লিখি আমি কবিতা।

পুরো কবিতা পড়ুন


মা, যে কথাগুলো তোমায় বলা হয়নি

। পুষ্পিতা দাস ।

ছোটবেলা যখন আমার জ্বর হতো মা, আর তুমি আমার পাশে বসে কপালে জলপট্টি দিতে, তখন মনে হতো তুমি পাশে না থাকলে হয়তো জ্বরটাকে আর সারিয়েই উঠতে পারব না। ভাবতাম, তুমি না থাকলে কী যে হতো! তখন জ্বরটাই কত বড় ব্যাপার ছিল, আর তোমার উপস্থিতি আমার সব অসহায়তার উপশম। আর আজ দেখো মা—জ্বর তো নয়, একের পর এক ঝড় আমার জীবনের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। আর তোমার আত্মজা অশ্বত্থ বৃক্ষের মতো অটল। সেসব কত ঝড়ের সাক্ষী তো তুমি নিজেই ছিলে মা। পাছে তুমি ভেঙে না পড়ো, এই ভেবে আমার কষ্ট হচ্ছে—তা আমি কখনোই তোমার কাছে প্রকাশ করিনি। বাকী অংশ পড়ুন ....


                  শ্রাবণের গাথা

                 । রঞ্জন কুমার বণিক ।

শালুক ফুলের দিঘীর মালকিন, চুইয়ে পড়া জোৎস্নার চাঁদ,

ঝিরি ঝিরি শ্রাবণধারায় জুড়ালো আমার কাব্যময়ী রাত ।

গ্রীষ্মের দহন বেলায় পোড়ে তছনছ হল হৃদয়,

তারপরেও কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বেঁচে কিছু রয় ।

পুরো কবিতা পড়ুন


        প্রেমের ব্যাকরণ

               । রুমা দাস !

বড়বেলায়ে আমরা আর প্রেমে পড়ি না,

গোধূলির কাঁপা রঙে হারিয়ে যাওয়া নয়,

চাই নরম কাঁধ,শান্ত আশ্বাস,

চাই স্নেহের নিঃশব্দ আশ্রয়।


            বর্ষা কাল

         । শেখর মালাকার ।

আকাশ ভরে মেঘের ভেলা,

বৃষ্টি নামে, ঝর ঝর ধ্বনির মেলা।

পাখিরা উড়ে খুঁজে নেয় ঠাঁই,

ধানক্ষেতে নেমে আসে জলরাশি চাই।

পুরো কবিতা পড়ুন



শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৯

 এই সময়টা আমার নয়

         । শৈলেন দাস ।

এই সময়টা আমার নয়

মেঘে বাদলে জুটি

কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ সেই ঘর

যেখানে আমি থাকি।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


 ভালোবাসার অন্য নাম কাব্য

                  । মঙ্গলা দত্ত রিমি ।

মন খারাপের গল্পগুলো যখন ফিজিক্স কিংবা

কেমিস্ট্রি ক্লাসের চাপে বলা হয়ে উঠে না,

গরম কফির কাপ থেকে উঠে আসা বাষ্পেরাও

একটা সময় পর জমাট বাঁধে ওজোন স্তরের গায়ে।

    পুরো কবিতাটি পড়ুন


          কবির পরিচয়

                । গোপেন দাস ।

সে নয় কেবল শব্দের কারিগর,

তার কলমে গাঁথা থাকে নীরবতার রঙ।

জল পড়ার শব্দ, হাওয়ার ছোঁয়া,

তাকেও সে তো কবিতায় আনে ঢঙ।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


দিনমজুর বাবা

। সুস্মিতা দাস চৌধুরী ।

বাবা মানেই জীবন মধুময়,

আমাদের নেই যে কোনও ভয়।

বাবা হলো একটু স্বস্তির ছায়া,

যেখানে পাওয়া যায় অনেক মায়া।

 

               প্রার্থনা

                 । রাজন দাস ।

রাত্রি শেষে প্রভাত হলো,

  এলো সূর্যের আলো।

অজ্ঞানতা নাশ করো হে,

  দাও হে জ্ঞানের আলো।



শর্ত সাপেক্ষে হোল সেল রেট এ রঙ কিনতে যোগাযোগ করুন



শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৮


    রোদেলা দুপুর

           । কুসুম কলিতা।

দুপুরের প্রখর রোদে জর্জরিত শরীর

একটু শীতল বাতাস চাই,

ঝিলিমিলি করে রবির তীব্র রোদে

কোনো ধরনের শান্তি নাই।

পুরো কবিতাটি পড়ুন



                বসন্তের সুর

                   । সদয় দাস ।

বসন্ত এলো হাসি ছড়িয়ে রঙিন ফুলের বনে,

কোকিল ডাকে মধুর সুরে, সুর বয়ে যায় মনে।

শিমুল-পলাশ রাঙিয়ে দিল আকাশ-ধরা পথ,

দক্ষিণ হাওয়া বয়ে আনে সৌরভ ভরা রথ।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


‘বিধি’, এ কেমন খেলা?

। রাজিয়া পারভিন সিদ্দিকী চৌধুরী ।

‘বিধি’, এ তোমার কেমন নিয়ম?

যারা রক্তমাখা ঘামে নিজেকে উজাড় করে —

তাদের কপালেই কেন দুঃখ আর সব বোঝা কাঁধে?

যাদের হাতে কৃপণতা, হৃদয়ে নিষ্ঠুরতা

আর স্বার্থের চাহনি —

পুরো কবিতাটি পড়ুন



            স্বার্থপর

         । অপর্ণা কুমার ।

কিছু মানুষ আসে অল্প সময়ের জন্য

কিন্তু দুঃখ দিয়ে যায় দীর্ঘ সময়ের জন্য।

কেউ নতুনকে পেয়ে পুরাতনকে ভুলে যায়,

আবার কেউ হাজারো নতুনের ভিড়ে

পুরাতনকে খুঁজে বেড়ায়।




কবিতা আমার প্রেমিক

        । মাম্পী দাস ।

কবিতা আমার সেই অনুভূতি,

যেখানে না বলা কথাগুলোও হয় বিবৃতি।

তাই কবিতাকে হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করি আমি।

কবিতা আমার চিরদিনের সুখ-দুঃখের স্মৃতি।

পুরো কবিতাটি পড়ুন



শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৭


            শূন্য মনের মানুষ

               । মাম্পী দাস ।

       আমি নির্জন অন্ধকারে

       আগাছায় পড়ে থাকা একবিন্দু শিশির

       সূর্য উঠেই প্রথম যাকে চুষে নেয়।

       আমি পৃথিবীতে আসা ওই সেই অভাগিনী

       যে শূন্য থলিতে বের হয়ে

       শূন্য থলিতেই ঘরে ফিরে।

       পুরো কবিতা পড়ুন এখানে



            নিঝুম রজনী

           । চান্দ্রেয়ী দেব ।

নিঝুম রজনী আমি তোমাকে চাই...

 

প্রহর অন্তিমের দালানে পৌঁছে যেতেই

গুটি কয়েক ঝিঁঝিঁপোকার কথোপকথনে

একলা জেগে থাকা চন্দ্রমার গা ছুঁয়ে

নিস্তব্ধতা ভেসে আসে সুদূর পথ হতে

                       পুরো কবিতা পড়ুন এখানে

 


         কন্যে - ১

         । সুচরিতা দাস ।

      তথাকথিত আপন ঘরে থেকেও সে, 

      আজীবন যাযাবর, 

      একদিনকার নিজের বাড়িতে যেতে আজ, 

      তার চাই অন্য কারো অনুমোদন স্বাক্ষর! 

      পুরো কবিতা পড়ুন এখানে 



ফ্রম হেয়ার টু হেয়ার 

। সোমদত্তা দাস ।

সূচি এই প্রায় তিন বছর পর নিজের শহরে ফিরে এসছে। বাড়িতে দুদিন রেস্ট করে আজ বেরিয়ে পড়েছে শহরটাকে একটু ঘুরে নিতে। সেই পুরনো স্পটস্। মল পার্ক আরও কত জায়গা। যতসব কাণ্ডকারখানা। আজকের ডেসটিনেশন মল্। মলের থার্ড ফ্লোরে উঠেই টয় শপের দিকে ছুটে সূচি। কত স্মৃতি এখানে। কলেজ কালের প্রেম, কোচিং বাঙ্ক করে এখানে আসা। স্মৃতি রোমন্থনের সাথে চলছিল পুতুল দেখা। হঠাৎ কেউ পাশ থেকে তার নাম ধরে ডাকে ---

--- সূচি ! তুই! এখানে! কবে এসছিস? 

--- আরে শুভম! এই তো লাস্ট উইকে এলাম রে। তুই বল, কেমন আছিস?  


         আলোর ঠিকানা

          । রঘুনন্দন ভট্টাচার্য্য ।

মাঝরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যখন উড়ান ভরি,

মাটির চঞ্চলতা তখন হারিয়ে যায় -

ঠিক বাদুড় বা চামচিকার ডানার শব্দের মত।

কেউ জানে না কোন অভিমান নীরবে কাঁদে,

অনুভূতিরা পাড়ি দেয় মায়াবী ঘুমের দেশে,

শীতল মেঘের স্পর্শে তারা ভুলে যায় নিজেকে!      পুরো কবিতা পড়ুন এখানে

রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৬



উনিশে মে আমাদের আত্মপরিচয়

। মহুয়া চৌধুরী ।

    মহাকালের নিরবর্ত্তি পথ পরিক্রমায় মানব সভ্যতা সেই সুদূর অতীত থেকে কালে কালান্তরে বিভিন্ন উপাদানকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে। এই অন্তহীন যাত্রায় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি একটি-অপরিহার্য উপাদান।

    মানব শিশু জন্ম থেকে মাতৃনির্ভর। মাকে অনুসরণ করেই তার জীবনপথে চলার শুরু। তাই ভাষা শিক্ষাও সে তার মায়ের কাছ থেকেই পেয়ে থাকে। মুখের ভাষা এজন্যই আমাদের কাছে মাতৃভাষা।

    আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। হাজার বছরের কালের পরিক্রমায় বাংলা ভাষা একটি নির্দিষ্ট রূপ গ্রহন করে বর্তমানে এক ঐতিহ্যময় ভাষায় পরিগণিত। সমগ্র বিশ্বের সভ্য সমাজে বাংলা এক বিশিষ্ট ভাষা রূপে সর্বজন স্বীকৃত।  বিশদে পড়ুন...


       উনিশ মে আন্দোলনের বীরাঙ্গনাদে

র গল্প

। শতদল আচার্য ।

    পৃথিবীর অনেক আন্দোলনের মত উনিশ মে ৬১ এক ইতিহাস তৈরী করে আছে। বড় বড় বিপ্লবের সাথে উনিশ মে-র মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বরাক উপত্যকার মতো ছোট ভূখন্ডের এই আন্দোলন আজ এক ইতিহাস। এই রক্তাক্ত ঘটনা অনেক আন্দোলন থেকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিচার করলে অনেক বড়। উনিশের মে'র আন্দোলন নিজের মাতৃভাষা বাঁচানোর আন্দোলন। অনেকের মতো এই বরাক উপত্যকাকে প্রান্তিক বলে চিহ্নিত করতে চাই না। যদিও এই উপত্যকা রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত হয়েছে বারবার তবুও এখানের এ প্রাণশক্তি সমস্ত বেড়াজালকে বারবার ভেঙেছে। বিশদে পড়ুন...



        উনিশ  তুমি

  । পরিমল কর্মকার। 

উনিশ   তুমি শুধু দুটি সংখ্যা নও,। 

তোমার ভিতরে রয়েছে মাতৃভাষা কেড়ে নেওয়ার বুলেটের গন্ধ। 


রক্তে ভেজা শহীদের আত্মত্যাগে ভাষা সম্মান বাঁচিয়ে রাখার চেতনা। 

বিশদে পড়ুন...



 উনিশ -একুশে বলি 

 । অসিত চক্রবর্তী ।

    উনিশে মে একটি তারিখ মাত্র নয়, একটি দিন। সে দিনটি শুধুমাত্র একটি দিনই নয় - ইতিহাস। প্রত্যেক মাতৃভাষাপ্রেমী মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। কেননা মাতৃভাষা রক্ষার জন্য এই দিনটি এক বলিদান দিবস। আমি এই দিবসটিকে "শহীদ" দিবস বলবো না। বলবো না দুটি কারণে। প্রথমতঃ এটি আরবি শব্দ, যে ভাষাকে ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সে রক্তের দাগ এখনো টাটকা, গাঢ় লাল। কালো হয়ে যায়নি।‌ সেই রাজাকাররা আজ আবার বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আবার বাঙালিদের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছে। যেন ঠিক পহেলগাঁও, পরিচয় জিজ্ঞেস করে বাঙালি হিন্দু নিধন। পাক‌সেনারা সেদিন যেভাবে খুঁজে খুঁজে হিন্দু পাড়ায় হামলা চালিয়েছিল আজ পঞ্চান্ন বছর পর তারই পুনরাবৃত্তি চলছে।‌ আজ আবার ভারত শত্রু-রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।  বিশদে পড়ুন...



বাংলা ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

। সুনীল রায়।

    *মে মাস* এলেই মনে হয় এটা ভাষা আন্দোলনের মাস। মাতৃ ভাষার তথা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত ঢেলে দেবার ইতিহাসের মাস। ১৯৬১ র মে মাস বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষের মাস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষে দেওয়া শ্রদ্ধার্ঘ্য, এর ফুল গুলো তখনও সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায় নি । ১৯৬১ সনে একাদশ ভাষা শহিদ, শতাধিক আহত দের রক্তে রবীন্দ্রনাথ, ঋষি বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, জীবনানন্দ, নজরুল, মাইকেল মধুসূদন, শরৎ চট্টোপাধ্যায়ের তথা বিশ্বের মাতৃভাষা বাংলা ভাষার বেদী মূলে বুকের রক্ত ও আত্ম বলিদান দিয়ে ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেল শিলচরের ভাষা সেনানীরা। স্বাধীন ভারতের সব চাইতে কলঙ্কের দিন - যে এই প্রথম স্বাধীন ভারতের সশস্ত্র পুলিশ নিরস্ত্র নিরপরাধ সম্পূর্ণ শান্তি পূর্ণ ভাবে শিলচর স্টেশন নিকট বর্তী দাবদাহে তপ্ত রেল লাইনে ৫ জৈষ্ঠ্যের (১৩৬৮ বঙ্গাব্দ ) দগ্ধ হয়ে অবস্থান রত সত্যাগ্রহীদের বর্বরের মতো ঠান্ডা মাথায় খুন করার কলঙ্কিত ইতিহাস। পৃথিবীর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম সেদিনই শিলচরে সদ্য ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে আসা কিশোরী কমলা ভট্টাচার্য্যকে হত্যা করেছিল আসাম পুলিশ। আর একজন ছাত্র শচীন্দ্র পালকেও হত্যা করেছিল। তিনিও সে বছরই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছেন। সঙ্গে আরও নয় জনকে হত্যা করেছিল পুলিশ।  বিশদে পড়ুন...

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৫


     মেঘলা আকাশ 

         । অপর্ণা কুমার ।

     ঝড়ের শেষে দুপুর দেশে

     লালন বুকে পলাশ চোখে, 

     মনের ভেতর মেঘের হাওয়া বয়

     প্রিয় তোমার কিসের এত ভয়। 

     Continue reading...



     মৃত্যুর ওপারে

     । ড. কাত্যায়নী দত্ত চৌধুরী ।

আমি কোনোদিন জীবাশ্ম হতে চেয়েছি।

জন্মের ওপারে, মৃত্যুর ওপারে 

চিতা-ভস্ম-হাড়-গোড় ঠেলে দিচ্ছি ভূগর্ভে,

আরো নীচে - আরো গভীরে,

যেখানে জীবাণুর জনপদ নেই, কেউ নেই,

আমার অবশিষ্টাংশের সাথে আমি একা ও অভিন্ন

Continue reading...



      দেখা হবে না

           । সুস্মিতা দাস ।

মরা গাছটাতেও নতুন পাতা জন্মাবে 

পাড়ার সবচেয়ে বখাটে ছেলেটাও বদলে যাবে ,

অগোছালো ছেলেটাকেও

কেউ ভালোবেসে আপন করে নেবে 

কিন্তু, আমাদের আর দেখা হবে না ।




      আছে আলো সেই পাড়ে

                    । রুনা পাল।

      নিভে গেলে দীপের শিখা 

      হয় না সব কিছু শেষ,

      তিমির ছুঁয়ে ওঠে আবার 

      প্রভাতের এক চিরন্তন আবেশ।





  হঠাৎ দেখা

। দীপান্বিতা ভট্টাচার্য ।

এক যুগ পর আবার হঠাৎ দেখা ট্রেনের কামরায়,

কেনো জানি না

আজ ডুবতে ইচ্ছে করছে উল্টোমুখী হাওয়ায়!

মনে হচ্ছে মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞেস করবো...

কেমন আছো?

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

এগিয়ে চলো পাশে আছে অগণিত কলম

। চান্দ্রেয়ী দেব ।     ঘুম ভাঙতেই জানালার পর্দা সরাতেই চোখে দাগ কাটে পরিষ্কার আকাশে ঝকঝকে নীল রং ছড়ানো। স্নিগ্ধ হাওয়ার পরশে প্রাণ ফিরে পা...