সম্পাদকীয় …
ছোটকাগজ, নামের সাথে ছোট শব্দটি জুড়ে থাকলেও এটি প্রকাশের যে সার্বিক কাজ তাকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। কলম চাষিদের কাছ
থেকে সংগৃহীত ফসল যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট করে কাগজটিকে সাজিয়ে তুলতে সম্পাদকের শ্রম
আপাত দৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও তা কিন্তু নয়। অর্থ সংক্রান্ত বিষয় অনুল্লেখ
করেও বলা যায়, খরচা আছে। তবে এই শ্রম ব্যয় সার্থক হয় যখন কাগজটি
বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছায় এবং সমাদৃত হয়।
আমরা যে জায়গা (সামর্থ্য এবং পরিস্থিতি) থেকে এই
কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি তাতে পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে পত্রিকাটির হার্ডকপি পৌঁছানোর
প্রক্রিয়া খুবই কষ্টকর। তাই আন্তর্জালের সহায়তায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবার কাছে আমাদের
এই সামান্য কাজকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ব করছি আমরা প্রতিনিয়ত। একটি ছোটকাগজ হিসেবে আমরা যেভাবে মানুষের কাছে
পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রাখছি ঠিক সেভাবেই নিজের লেখার পাশাপাশি প্রতাপ'কে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ন্যূনতম শ্রম দানের মাধ্যমে আমাদের সহযোগী হোন, লেখক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে এই অনুরোধ
আমাদের।
আমরা আশা রাখি, প্রতাপ প্রকাশের পর আমাদের লেখকবৃন্দ সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, whatsapp ইত্যাদিতে পত্রিকাটির লিংক সহ নিজের লেখা পোস্ট করতে কোন কার্পণ্য করবেন না। ইতি -
-শৈলেন দাস
অমলেন্দু চক্রবর্তী
। অনুপ্রেরণা ।
মুক্ত পৃথিবীর বিস্তীর্ণ আকাশে
জ্যোৎস্নার চাঁদ, সূর্যের আলো,
মেঘ ও রোদের খেলা। বাতাসে পাখি,
কীট পতঙ্গ, ডুবন্ত সূর্যের কোলে পুরো কবিতা পড়ুন ✒
পিংকী দাস
। বসন্ত এসে গেছে ।
বসন্ত মানে প্রকৃতির হারানো প্রেম
হিল্লোল পাতায় ভাসে ফাগুন।
বসন্ত মানে নীল দিগন্ত
শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচুড়ার আগুন।।
স্মৃতি দাস
। দারিদ্রের চাবুক ।
টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার বছর খানেক পরে গীতশ্রী চন্ডিকাপুর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে এপোয়েন্টমেন্ট পেল। শিলচরের প্রাণকেন্দ্রে বসবাস করা গীতশ্রী কখনো পাড়া গাঁ বলতে কোথাও যায়নি। চণ্ডিকাপুর গ্রাম আদতেই একটি অনুন্নত গ্রাম। রাস্তায় কিছু মানুষ চলাফেরা করছে। চেহারা বা পোশাক দেখে সবাইকেই বেশ গরীব বলে বোধ হচ্ছে।
"মনটি দুধের মতো, সেই মনকে যদি সংসার জলে রাখ, তা হলে দুধে-জলে মিশে যাবে। তাই দুধকে দই পেতে মাখন তুলতে হয়। যখন নির্জনে সাধন করে মনরূপ দুধ থেকে জ্ঞান ভক্তিরূপ মাখন তোলা হল তখন সেই মাখন অনায়াসে সংসার জলে রাখা যায়।
সে মাখন কখনও সংসার জলের সঙ্গে মিশে যাবে না-সংসার জলের উপর নির্লিপ্ত হয়ে ভাসবে।"
শ্রীরামকৃষ্ণ
প্ৰমিলা দাস এর দুটি কবিতা
। নিয়তি ।বলব কি করে মনের জ্বালা তোমায়জীবনমানেই তো জ্বলন্ত প্ৰদীপকালোতে সারাটা মহিমা ভাসালো।সারাবেলা খেটে খেটেবিকেলে পান্তা জুটে,
চন্দ্রিমা দত্ত
। তবুও মায়া ... ।
কারা যেন চারপাশে কর্কশ হয়ে উঠছে খুব . . .
পিয়ানো বাজায় যে হাওয়া, চুপ হয়ে যায়
নিরুপায় ডোমের মতো ক্রমশ করুণ হয় সময়
সকল ভালোলাগা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে ঐ
চয়ন ঘোষ
। মুখোমুখি ।
আপন ভেবে অজস্র অক্ষরমালা গেঁথেছি
হৃদয় কাননে; ভালোবেসেছিলাম অজান্তে,
নির্মম অন্যায়, উদ্যত তর্জনীর আঘাতে;
দেবলীনা রায়
। স্বামীজীর বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনের ১২৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কিছু কথা ।
বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য
। ভ্রূণ ।
সব শব্দ ফুরিয়ে গেলে
নীরবতার ভ্রূণ জন্মায়
বুকের গর্ভে, তা'কে
লালন করা যায়
চুমু খাওয়া যায়
। নতুন গল্প ।
তোমাকে নতুন করে শুনানোর মত
কিছু নেই আমার কাছে
যা চর্বিত চর্বন ছাড়া ।
এই বয়সে বসন্তে বসন্তে দৌড়ে যাই না
। লালের শোভায় ।
পলাশ করে রাজপ্রকৃতি সাজে লাল রঙেতে
দক্ষিণা হাওয়া ধানের পাতা
কৃষক করে কাজ।
সজল দাস
। মনোহারিণী ২ ।
স্মিতা তোমার মৃদু হাসি যেন ধান ক্ষেতে বাতাসের ঢেউ।
শত বছর সাধনায়ও এমন হাসি পারবে নাতো কেউ।
মনে পড়ে তোমার রক্তিম ঠোঁটের নিচে
কালো বিন্দুর মত সেই ছোট্ট তিলটার কথা?
সুস্মিতা দাস চৌধুরী
। ভালোবাসি ।
ভালো আমিও বাসি
শুধু চেপে যে রাখি
কবে বুজবে যে তুমি
সেই কথা ভাবি আমি
পুরো কবিতা পড়ুন ✒
স্বাতীলেখা রায় এর দুটি কবিতা
। সব কবিতাই ।
কবিতা নিয়ে ভাবনা যতখানি
ঠিক ততখানি বয়ানে আসে না
মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়
অনেকক্ষণ অন্যক্ষণ
। স্মার্ট ফোন ।রূপালী রায়মুখ গুজে বসে থাকি
ফোনের পর্দায়
হাসি, খুশি, দুঃখ, বিষাদ
সবই এইখানটায়।
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য
। ক্ষতস্থান ।
যথাযথ বৃষ্টির ক্ষতস্থানে
প্রতিফলিত শব্দরা শরীরত্যাগের আগে
আমায় ডাকছে
পুরাতন স্থবির তাদের দৃঢ়স্বর
অচূর্ণ তিরতির মায়াবী কণ্ঠ
যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস
। আপেল বা আলু কাটার পর কালো হয়ে যায় কেন? ।
আপেল বা আলুর দেহ এমন অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত এবং এতে হাজার হাজার এনজাইম আছে। এরমধ্যে যার কারনে ফেলে রাখা কর্তিত দেহ লালচে বা কালচে হয়ে যায়। সেটি হল, পলিফেনল অক্সিডেজ নামক একটি এনজাইম। একে টাইরোসিনেজ বলে। পুরোটা পড়ুন ✒
চান্দ্রেয়ী দেব
। কিচ্ছু চাইনি আমি ।
কিচ্ছু চাইনি আমি শুধুই চেয়েছি....
একমুঠো ফুরফুরে সকালের রোদ
গা ভাসাতে চাই নতুন দিনের শুরুতে
কিচ্ছু চাইনি আমি শুধুই চেয়েছি....
। সাবধান! ।
ফুটবল ফুটবল
তোমার খবর কী?
সবসময়ই খাচ্ছো শুধু
রামের শ্যামের লাথি।
। সঞ্চয় ।
ভন-ভন ফন-ফন
মাথা গরম নেই ধন।
দ্রব্যমূল্য
লাগাম ছাড়া
দুশ্চিন্তা রোজ
করছে তাড়া।
অভিজিৎ পাল
। ল্যাংটো কথা ।
ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলের বাজারে,
বেরং হাতে রঙ বেচতে চলেছি।
মুখোশের গালে রঙ মেখে-
সে রঙ মলিন হতে দেখেছি।
প্রসেনজিৎ দাস
। বিশ্বাস ।
বর্তমানে বিশ্বাস নেই কারো উপর ;
দান্দাবাজ বাটপারিতে ভরা অন্তর।
চোর ঘুরে সাধুর বেশে, রাজা করে ভিক্ষা
কে আসল? কে নকল? কে দেবে শিক্ষা।
আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া
। এখনও প্রতীয়মান ।
খুব সুন্দর শান বাঁধানো একটা ফটো ফ্রেম ছিল
দূর থেকে দেখা যেতো তাঁর সোনালী ঝলক
আগলে রেখেছিলাম শোকেসের উপর
একদিন অজান্তেই পড়ে গিয়ে
শান্তশ্রী সোম
। অচিনপুর ।
স্বপ্নে অনেকেই ধরা দেয়। সে ক্যুইন ভিক্টোরিয়া থেকে শুরু করে মায় পাশের পাড়ার পাগলা বিশু অব্দি। গত বছর বরম বাবার মেলার সময় টুক করে একপাক ঘুরে গেছে স্বপ্না। বাড়িতে তখন তার সে কী খাতির। পুরোটা পড়ুন ✒
অভিজিৎ দাস
। নদী ও তট ।
তোমার আমার গল্পখানা,
নদী ও তটের মতো।
বিচ্ছেদ হবে না কখনো,
আসুক না সে বাধা শত।
শিপ্রা দাশ
। স্পন্দন ।
হিমেল হাওয়া শেষে প্রকৃতি সেজেছে
বসন্তের শিমূল পলাশ ছেয়ে আছে।
সতেজ গাছ জুড়ে রাঙা বাহারি ফুল
মেঘলা বসন্তে চঞ্চল হাওয়ায় দুলদুল।
রানা চক্রবর্তী
। মানস সুন্দরী ।
নূপুরের নিক্বণে চলে মানস সুন্দরী
নাকছাবি যেন মহুয়া ফুল
আমার পানে তাকালে একবার
দেখবো তার নয়নতারার ফুল
কর্ণমূলে ক্যামেলিয়া হরিদ্রা বসনে
আদিমা মজুমদার
। কাস্তে হাতুড়ি ।
কাস্তে হাতুড়ি তারা
আর পদ্মফুলে
এতোটাই বিবাদ,
লক্ষ তারার মাঝে
। মোবাইল ফোন ।
মোবাইল যে আজ সবার নিত্য সঙ্গী,
ছোট বড়ো সবাইকে করতে হয় কত ভঙ্গী?
এর ব্যবহারের নাই যে কোন তুলনা,
তারে নিয়েই আজ এত জল্পনাকল্পনা।
মৃদুলা ভট্টাচার্য
। কবিতারা ।
কবিতারা ভোরের আলো কিংবা
সন্ধ্যার আবছায়া মাখা সৌম্যতা জড়িয়ে
রাতের শরীরে ভালোবাসার স্বপ্ন আঁকে;
স্বপ্ন আঁকে আগামীর অপেক্ষায়,
প্রদীপ চন্দ্র দাস
। চল না সবে তোমরা ।
চল না সবে তোমরা চল না সবে
একটু ঘুরে দেখে আসি ঐ প্রান্তরে।
স্বপ্নের দেশ সে যে বড়ই অপরূপ!
নয়ন মোহিত করে তার শতরূপ।
আমি একটি মেয়ে এটাই কি আমার অপরাধ
না কি হয়ে মেয়ে জন্ম নেওয়া ভুল?
কতো বীর বীরাঙ্গনার রক্তে রাঙানো
স্বাধীন দেশের বুকেও আজ আমরা
দিন দিন পরাধীনতায় ভুক্তভোগী?
সুলতা রানি দাস
। মুক্তি ।
আমি মুক্তি চাই
মুক্ত প্রাণের আশায় দিনগুনি।
গ্রহ নক্ষত্র অন্ধকারে ঘেরা অমাবস্যায়
নিজেকে চেনা বড় দায়,
তাই খুঁজে একা ফিরি।
। স্বভাব ।
স্বভাব অতি মূল্যবান
যদি হয় ভালো
সমাজ করে ধন্য ধন্য,
যদি হয় ঘৃণ্য
সমাজে হয় আলোচিত ।
। অপেক্ষা ।
অনেক কথা জমিয় রেখেছি মনে
তােমাকে বলবো বলে গোপনে
কিছু কথা চোখের ভাষায়, ভালবাসায়,
কিছু কথা উথলে ওঠবে
। জুপিটারের ঈগল ।
এখন আর বাড়িতে ওঠান হয় না
অথবা ওঠানের কি কাজ !
বাইরে কিন্তু সমাজসম্মত তো আছিই
তবুও আমার হৃদপিণ্ডটা রোজ খায় জুপিটারের ঈগল পুরো কবিতা পড়ুন
। মুসাফির ।
একদিন ঝরে যাবে পাখি হৃদয়ের পালক সব...
কোন এক আলো ডোবা সন্ধ্যের অদেখা আঁধারে,
একদিন চলে যাবে বনজ্যোৎস্নার মায়াময় ছায়ায় গা ধুয়ে
পথিক এক অচেনা অজানা জগতের ওপারে।
ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে অনেক দিন গত হয়েছে, সাতাত্তর বছর হতে চলল।এখনকার দিনে সাতাত্তর বছর কতজন বাঁচে? কিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারতের ঠিক ঠিক উন্নতি হয়নি। এর অনেক কারণ রয়েছে, রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জন্য করাপশন দিন দিন বেড়েই চলেছে,সাথে ধর্মীয় কুসংস্কার, জাতিভেদ প্রথা, আর সবকিছুর মূলে রয়েছে পুরোটা পড়ুন ✒
বিদ্যুৎ কায়স্থ
। হে বর্ষা ।
হে বর্ষা, প্রতিবার তোমার এই ঘন কালো মেঘ
করিতেছে কত ঘর, কত জন নিস্তানা।
হয়েছে নিশ্বঃ, হয়েছে বিশ্ব
তোমার এই প্রকোপ বলে,
তোমার এই রূপের কি করিব মূল্য নিরূপণ?
। যশ ।
ক্যানভাসটা কখনওই সাদা থাকেনা
আদিরও "আদি" থাকে, থাকে আধার,
সীমিত থাকে রঙ, অন্য উপাদান
স্বত্ব, রজ,তমের সীমিত কম্বিনেশন!
ইমাদ উদ্দিন বুলবুল
। অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্ম শতবার্ষিকী ।
উত্তরপূর্ব ভারতে একজন ক্ষণজন্মা সাহিত্যিক ত্রিপুরার অদ্বৈত মল্লবর্মণ ১২ জানুয়ারি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মগতভাবে মৎস্য শিকারি বংশে জন্মেছিলেন। নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শিখে সাহিত্য চর্চা শুরু করেতিনি মৎস্যজীবিদের জীবন ভিত্তিক উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ লিখেছিলেন, যা তাঁর জীবদ্দশায় কলকাতার মোহাম্মদী সাময়িকীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। পুরোটা পড়ুন ✒
আজ ২৫শে ডিসেম্বর। পাশের বাড়ির কাকিমণি নিখিলকে ডেকে হাতে দুটি বড় বড় কেকের টুকরো তুলে দিলেন খাওয়ার জন্য। আর অপেক্ষা না করে দৌড়ে বাড়ি এসে নিখিল মাকে বলে, "মা, জানো আজ বড়দিন। পুরোটা পড়ুন ✒
। তোমায় ভালো রাখতে ।
তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে
উজ্জ্বলা দাস
"কেউ একজন থাকুক"
হ্যাঁ, সবাই চায় কেউ একজন থাকুক
যে মানুষটা তাকে খুব ভালোবাসবে
তাকে সন্মান করবে।
শহরের শরীর ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। নতুন নতুন এলাকা যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার উপর সরকার পৌরসভাকে পৌরনিগমে উন্নীত করার অধিসুচনা জারি করায় শহরের লাগোয়া একপশলা জমিও এখন শহরের অন্তর্ভুক্ত। এমতাবস্থায় একসময়ের শহরতলী দুর্গাবিল এখন শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে। শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের বসতবাড়ি যেন 'গোল্ড ফিল্ড' সদৃশ। তাই এখানকার বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য সরকারি প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পুরোটা পড়ুন ✒