শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৮

             নিঃশব্দতা

 
           । পিংকী দাস ।
 
নিঃশব্দতার ভেতরেও গল্প লেখা হয়
শব্দহীন এক অনুভবে জেগে থাকে ক্ষত। 
সেঁজুতির আলসে সন্ধ্যাতারা আনাড়ি হাতে
স্মৃতি হাওড়ায় বুড়ো ছাতিমের হিম গন্ধে। 
পুরো কবিতা পড়ুন



   মাতোমাকে বলছি
    । মমতা চক্রবর্তী ।
মা---------
শুনছো
আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে...
জানো মা----
রাজার হট্টহাসি,কোটালের চোখ রাঙানো
বড়ো অসহায় করে তোলে
                                                                        পুরো কবিতা পড়ুন


তোমার গল্পের শিরোনাম

   । সোনালী গোস্বামী ।

কোনো একদিন বসে নিরালায়..
কেদারায় চড়ে চায়ের চুমুকে,
কতো অজানা গল্পের হারিয়ে যাওয়া দেশে..
খুঁজে পেতাম নিজেকে তোমার সেই গল্পের আমিতে।
পুরো কবিতা পড়ুন
               

ঘুড়ি উৎসব
 
 । প্রমিলা দাস ।
 
ঘুড়িঘুড়ি মন,

ফাগুনের পবনে ডাকে সারাক্ষণ।

হারানো ছেলেবেলা

পুনঃ শনবিলে দিল দেখা।

পুরো কবিতা পড়ুন


           জুবিনের গান 
 
      । আদিমা মজুমদার ।
 
মৃত্যু যে এত সুন্দর হতে পারেজানতাম না।
জুবিনতুমি দেখিয়ে দিয়েছো
জীবিত জুবিন থেকে মৃত জুবিন কত শক্তিশালী, কত মহান।
জুবিন তোমার মৃত্যু আমাদের জোট বাঁধতে শেখায়শেখায় প্রতিবাদের ভাষা,
বিনা অস্ত্রে যুদ্ধ করতে মাঠে নামায়বর্বরতা নিষ্ঠুরতা তোমাকে কাঁদায়। 
পুরো কবিতা পড়ুন

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৭

গল্পের পিরামিড

। শাশ্বতী পুরকায়স্থ (চৌধুরী) ।

 মনের ক্যাম্পাসের করিডরে আত্মহত্যা করছে, এক রং তুলির ফেস্টুন। ফুলকারীরা তখন আবছায়ার মাঝে- অসংযত মেঘেদের লুকোচুরি খেলায় '-চাঁদ'একা,কিছু ক্ষতবিক্ষত চুরমার ইচ্ছেরা ইমারত গড়ে নির্দ্বিধায় অথচ,মুহূর্তের কারচুপি গুলু ফাঁকতালে পরে থাকে।  পুরো গদ্য কবিতাটি পড়ুন


আশা 

। শিপ্রা দাশ ।

    এক অতি সাধারণ গরিব পরিবারের মেয়ে আশা। আরও পাঁচ পাঁচটা মেয়ের মতনই অনেক স্বপ্ন ছিল আশার জীবনে। সেই স্বপ্ন পূরণ হবার আগেই,গরিব বাবা পাঠশালার গণ্ডি পেরুতে না পেরুতেই বিয়ে দিয়ে দেন। সেও বাধ্য হয়ে সেই বিয়েকে মেনে নেয়। আশা স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতেই শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশ করে। স্বামী নিতান্তই ছোটখাটো কাজ করেই সংসারের হাল টানে। রোজকার অভাব অনটনের মধ্য দিয়েই চলতো তাদের সংসার।  পুরো গল্পটি পড়ুন


ফিরে দেখা ২০২৫ 

। মীনাক্ষী নাথ ।

বছরটি নয় শুধু ৩৬৫ দিনের সমষ্টি 
বিশেষ অভিজ্ঞতার যেন এক প্রতিকৃতি। 
এপ্রিলে পাহালগাম হত্যাকাণ্ড হয় যদি ক্রিয়া, 
মে তে অপারেশন সিন্দুর তারই প্রতিক্রিয়া।।

স্মার‌্যকথা

। মঙ্গলা দত্ত রিমি ।

কথা রা হারিয়ে যায় কথাদের ভীড়ে,
চেনা কন্ঠস্বরে বৃষ্টিস্নাত হয় প্রকৃতি অমানিশার ঘোরে।
নীরবতার নিঠুর সুরে উচ্ছাস উঠে শান্ত সরিৎ এর বুক জুড়ে,
চেনা মুখগুলো আজ বড্ড অচেনা কুহকিনী নীড়ে।
পুরো কবিতাটি পড়ুন


টুকরো বনের গল্প

। ড. কাত্যায়নী দত্ত চৌধুরী ।

    জেন জি ও জেন আলফার সাথে আমাদের মিলিনিয়েলাদের বিস্তর ফারাক। কিন্তু ছেলেমেয়েদের টিচার গাইড হওয়ার সুবাদে এই ব্যবধান তো অতিক্রম করতেই হয়, দূরত্ব বেশি হলে মনের ঠিক কাছাকাছি পৌঁছনো যায় না। এইতো কিছুদিন আগের কথা, তখনো এই দফার পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যায়গুলো পড়ানো হয় নি। একজন জেন জি বললেন, " ম্যাডাম তুমি কান্তারা (সিনেমা) দেখেছো? কী অ্যানিমেশন দিয়েছে দেখার মতো!" আমার আগ্রহ হলো, জানতে চাইলাম, " এই সো কলড্ অ্যানিমেশন ছাড়া আর কী দেখলি?"  পুরো প্রবন্ধটি পড়ুন


রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৬

   তোমাতেই থাকতে চাই

           । সুমন দাস ।

তোমার চোখের ভেতর আমি

একটা ছোট্ট ঘর বানাতে চাই,

যেখানে সকাল হবে তোমার পলকে,

রাত হবে শুধু তোমার নিঃশ্বাসে।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


পাখি এবং দক্ষিণ কাছাড়ের বাম অঞ্চলের পল্লীজীবন

। দেবতোষ নাথ ।

        বৈচিত্র্যেভরা এই পৃথিবীতে পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সৃষ্টির পর মুহূর্ত থেকেই এই প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে। পৃথিবীতে মানবরূপী জীবের আবির্ভাবের পর এই প্রক্রিয়া আরো দ্রুততর হতে থাকলো। আর বিংশ শতকের মধ্যভাগ থেকেই পৃথিবী যেন সম্পূর্ণ পাল্টে গেল। প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টে যেতে থাকলো মানুষের মানসিকতা, চিন্তা ভাবনা। নগরায়নের দ্রুত অগ্রগতিতে ধ্বংস হতে থাকলো প্রকৃতি, উদাও হয়ে যেতে থাকলো পল্লীর শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ। বিজ্ঞানের এই জয় জয়কারে একদিকে যেমন আজ গোটা পৃথিবী মানুষের হাতের মুঠোয় এসে গেলো, মানুষ সুখ-সুবিধে উপভোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে যেমন পৌঁছে গেল, তেমনি প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত হলো, মানুষ ক্রমে যন্ত্রমানব হয়ে ওঠতে থাকলো। মনের আবেগ-উচ্ছ্বাস, প্রেম-ভালোবাসা হারিয়ে গেলো ঐশ্বর্যের বাহ্য আড়ম্বরের মধ্যে।  পুরো প্রবন্ধটি পড়ুন


ভালোবাসা ও মানুষের অস্তিত্ব

। প্রতীমরাজ ভট্টাচার্য ।

মানুষ জন্ম নেয় একা, কিন্তু বাঁচে ভালোবাসার ভেতর দিয়ে। পৃথিবীর ইতিহাস যত পুরোনো, ভালোবাসার গল্পও ততটাই চিরন্তন। সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ তার হৃদয়ের ভাষায়, তার স্পর্শে, তার চোখের নীরবতায় ভালোবাসার অর্থ খুঁজে এসেছে। কেউ তা খুঁজেছে দেবতার মধ্যে, কেউ প্রকৃতির, কেউ মানুষের মুখে।  পুরো লেখাটি পড়ুন


        রাজা ভীমের প্রতি

          । শৈলেন দাস ।

হে রাজন,

দ্বিতীয় রামপাল এবং তার মিত্রদের

অসম আক্রমণের বিরুদ্ধে

তোমার অসীম পরাক্রম এবং বীরত্ব

কৈবর্ত যোদ্ধাদের যেভাবে

উদ্বুদ্ধ এবং উত্তেজিত করেছিল

তাতে তোমার আত্মবিশ্বাস কি এতটাই

দৃঢ় এবং প্রগাঢ় হয়েছিল যে -

পুরো কবিতাটি পড়ুন


                  বধূবরণ

           । আকাশ ধর ।

আজি রাজপ্রাসাদে বাজলো সানাই,

জয়ডঙ্কা কাশি।

মন্দিরা মৃদঙ্গ খোল,

বাজলো রাশি রাশি।।

পুরো কবিতাটি পড়ুন

বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৫

আত্মহনন

। পিয়ালী ঘোষ ।

শ্রীভূমি জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম বারইগ্রাম নামক জায়গার একটি মধ্যবিত্ত পরিবার হচ্ছে দাস বাবুদের পরিবার। পরিবারে দাস বাবু অর্থাৎ গোপি দাস, উনার স্ত্রী রাধারানী আর দুই মেয়ে জ্যোতি ও আরতি। দাস বাবু এবং রাধারানীর প্রথম কন্যা সন্তান হচ্ছে জ্যোতি। ছোটবেলা থেকেই অনেক দুঃখ-কষ্ট, বঞ্চনার মধ্যে বড় হয়েছে এই দুই বোন। দাস বাবু খুব একটা বিশেষ টাকা উপার্জন করতেন না। চাষবাসের মাধ্যমে যা টাকা উপার্জন করতেন, তা দিয়ে খুব কষ্টে তাদের জীবন কাটতো। মা-বাবার পড়াশোনা নেই বলে কম কথা শুনতে হয়নি দুই বোনকে। আরতি খুব একটা পড়াশোনায় ভালো নয়, তবে জ্যোতি বেশ অনেকটাই মেধাবী ছিল। গান, নাচ, চিত্র আঁকা, রান্নাবান্না—কোন কিছুই তার অজানা ছিল না পড়াশোনার সাথে সাথে। এক কথায় বলতে গেলে সর্বগুণসম্পন্ন হচ্ছে জ্যোতি। পুরো গল্প পড়ুন


          মাটির প্রদীপ 

      । মীনাক্ষী নাথ ।

আসছে পূজো শ্যামা মায়ের

    দ্বীপাবলীর উৎসব 

আলোর সজ্জায় কাটবে রাত 

    সাজো সাজো রব।

                                                                           পুরো কবিতা পড়ুন


ঘাতক মোবাইল 

। পল্লব দে ।

।। প্রথম দৃশ্য ।।

মা - (বাচ্চাকে কোলে নিয়ে) ওলে .. ওলে .. সোনা মা আমার, আমার পাখি ! এখন আমার সোনা মোবাইলে গান শুনবে ।

(গান ধরেছেন)

"আমার সোনার ছোট্ট মোবাইল 

শুনায় শুধু গল্প- গান 

গানের তালে তাল মিলিয়ে 

সোনা আহ্লাদে আটখান।

দেখা না যায় যে ঝলমল আলো না দেখা যায় মুখ,

তবুও সেথায় লুকায় হাজার রং এর সুখ।"



কবি তুমিই কবিতা

। মোঃ পারভেজ ইসলাম আনন্ত ।

— আপনি কবি মানুষ,

আপনি যা লিখবেন, সেটাই সাজানো গোছানো হবে।

আমি ছোট্ট মানুষ,

আমি কি বা লিখতে পারি?



স্মরণাতীত 

। বরুণ দাস ।

হয়তো সবাই জানে না, যত বেশি সুন্দর নকশিকাঁথা

ততো বেশি সেলাই তার বুকে,

পাহাড় জানেনা একদিন সমুদ্র কে ভালোবেসে

দুঃখ পেতে হয়েছিল অরণ্যকে।

পুরো কবিতা পড়ুন


বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

এগিয়ে চলো পাশে আছে অগণিত কলম

। চান্দ্রেয়ী দেব ।

    ঘুম ভাঙতেই জানালার পর্দা সরাতেই চোখে দাগ কাটে পরিষ্কার আকাশে ঝকঝকে নীল রং ছড়ানো। স্নিগ্ধ হাওয়ার পরশে প্রাণ ফিরে পায় কাশফুল প্রায় একটা বছর পার করার পর। হঠাৎ শরতের প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হয় এক নির্ভেজাল সৃষ্টি। এই সৃষ্টির অভ্যন্তরে কবিতা এবং গল্পেরা ঠাঁই পেয়েছে অনাবিল কালের জন্য। অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই ঘামের বিন্দুরা মাথা উঁচু করে সকলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আজ পরিচিত নামে পূজা সংখ্যা "প্রতাপ সমাজ ও সাহিত্যের প্রতিভাস" সম্পাদক শৈলেন দাসকে আমার শ্রদ্ধা এবং প্রণাম জানাই। কবিতা বিভাগের প্রতিটা কবিতাই মনছোঁয়া। যাদের লেখায় এই সংখ্যাটি প্রত্যেকের হৃদয় অবধি পৌঁছবেই তারা হলেন শর্মি দে, অনন্যা ভট্টাচার্য, সুচরিতা দাস, শতদল আচার্য, অর্পিতা দাস, অসিত চক্রবর্তী, সানি ভট্টাচার্য, মঙ্গলা দত্ত রিমি, সুজিতা দাস, অমলেন্দু চক্রবর্তী, স্বাতীলেখা রায়, শমিতা ভট্টাচার্য, আদিমা মজুমদার, শান্তশ্রী সোম, মাম্পী দাস, বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য, নীলাদ্রি ভট্টাচার্য, হরপ্রসাদ কর্মকার এবং শৈলেন দাস। গল্প বিভাগের তিনটি গল্প এবং একটি প্রবন্ধ পাঠকের মনে সমাদৃত হবে এই কথা দাবি রেখে বলতে পারি।

    একটা বই জানেন কখন পড়তে ইচ্ছে হয় যখন প্রচ্ছদটা ডাক দেয় কারণে অকারণে। নির্দ্বিধায় বলছি পড়ন্ত দুপুরে ডাকবে আপনাকে বইয়ের শেলফ থেকে। এই অপূর্ব সুন্দর প্রচ্ছদের জন্য শিল্পী শ্রেয়ান দাসকে কুর্নিশ জানাই। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ পড়ে অনবদ্য সৃষ্টিদের স্পর্শ করতে পেরেছি বলে আমি ধন্য। সাহিত্যের দরবারে প্রতাপ তুমি উজ্জ্বল মুখ। এভাবেই ভয়হীন হয়ে এগিয়ে চলো অগণিত কলম তোমার পাশে আছে।

https://pratapsomajosahitya.blogspot.com/2025/09/blog-post_28.html

প্রতাপ : বরাকের জল-বাতাস-মাটির প্রতিফলন যেখানে

। ডঃ পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী ।

শরৎ আবারও এলো, সঙ্গে নিয়ে এলো প্রাণের মেয়ে উমাকে। সাদা মেঘের ভেলা নতুন দিল্লীর আকাশে, তবে মাঝে মাঝে কালো মেঘের ও লুকোচুরি। এই নিয়ে দশটি বছর , পূজোর সময়টায় আমার জন্ম শহর, বেড়ে ওঠার শহরের আকাশ বাতাস মাটি জলের স্পর্শ পাওয়া হয় না, মেয়েবেলায় ফিরে যাওয়া হয় না কিন্তু তা সত্বেও শিলচর এবং বরাক উপত্যকা থেকে প্রকাশিত পূজোসংখ্যাগুলো আমাকে পরিপূর্ণ করে রাখে। "প্রতাপঃ সমাজ ও সাহিত্যের প্রতিভাস" চিরদিনই আমার মনের খুব কাছের একটা লিটল মাগ্যাজিন। যে জলবহর , যে মাটি আমাকে দিনরাত চুম্বকের মতন আকর্ষণ করে, তারই প্রতিফলন ঘটে এর পাতায় পাতায়। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। 

পূজোর ঠিক কদিন আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের আসামের গর্ব, আমাদের প্রাণের শিল্পী জুবিনদাকে, তাই এই ঘোরতর বেদনার চোরাস্রোতের মধ্যেই দেবীকে আবাহন। আর সেই সময়টাতে প্রতাপের “জুবিন গর্গ স্মরণে বিশেষ সংখ্যা” আর “পূজা সংখ্যাঃ ১৪৩২” দুটো সংখ্যাই ছুঁয়ে গেছে আমার শারদ প্রহর।   

আমি নিজে জুবিনদার বিশাল ভক্ত, একসময় আমার একটা ফেসবুক ফেন পেইজও ছিল, “Zubeen Garg: The Jewel of Assam”, নামে। ২০০৯-১০ সালেই যার ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ১২০০০। ২০১২ তে জুবিনদা নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ শুরু করার পর,নিজের ব্যস্ততার কারণে, আর মেসেজ বক্সে প্রতিদিন ফ্যানদের হাজার হাজার মেসেজের রিপ্লাই দেবার লোড থেকে মুক্ত হবার জন্যে আস্তে আস্তে নিজের পেজটাকে সরিয়ে ফেলি। ফ্যানদের ভালবাসা ,এবং ক্রেজ এডমিন হিসেবে অনুভব করেছি তখনই। ২০১৭ তে দিল্লীর “Northeast Calling” উৎসবে পেয়েছিলাম সরাসরি সাক্ষাত। দেখেছিলাম, তাঁকে ঘিরে জনসমুদ্রের উন্মাদনা। প্রতাপের পাতায় পাতায় যেন সেই ভালোবাসারই সুর। 

জুবিন গর্গ স্মরণে বিশেষ সংখ্যা্র প্রতিটি লেখা অনবদ্য। রুমা দাসের “নদীর ঢেউ যে ছন্দ তোলে,মাঠের ঘাসে যে সুর দোলে,তার ভেতরেই তুমি ছিলে,জুবিন“,সুরজ কুমার নাথ “এমন তো কথা ছিল না জুবিন দা,মাঝপথে থেমে যাওয়া”, ড. অর্পিতা দাসের “জাতিহীন,ধর্মহীন,দেবতাহীন দিগন্তে—তিনি দাঁড়ালেন অনন্ত জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে” প্রত্যেকটা লাইনেই হৃদয়ের অভিব্যক্তি। 

প্রজ্ঞাদীপ্তা ভট্টাচার্যের কলমে জুবিন যেন ছবির মতনই আকার নেন, রিপন দাসের মায়ায় “চলে গেলে বহু দূর,রাজপুত্র সেজে” রাজাই তো ছিলেন জুবিন। মঙ্গলা দত্ত রিমির কথায় “নীলাম্বু সৈকতে আছড়ে পড়া লোনা জলের ঢেউটাও জানে জুবিন দা,আজও তোমার কন্ঠস্বরে সুনামির হিল্লোল”, চাঁদনী দাসের কথায়, “তোমার দেওয়া ভালোবাসা, সত্যিই আজও অসহায়”, পিয়ালী ঘোষের ভাষায় “যার গন্ধে শুধু আসাম নয় গোটা ভারত ছিল সুগন্ধিত, সুরের হাত ধরে রাজপথে এসেছিল এক নাম- জুবিন গর্গ”, সুজিতা দাসের কবিতা যেন জুবিনের কাছে সরাসরি চিঠি, কথকতা। রূপালী রায়ের কলমে বাস্তবের সুর, “জীবনে যে মানুষ জয় করতে পারে,তাঁর কোনো মৃত্যু নেই”, রাজন দাস, চয়ন ঘোষ , রাহুল দাসের কলমে প্রকাশ পেয়েছে জুবিনের বিশালতা ব্যপ্তি,অপর্ণা কুমার , মাধুরী দাস , অনুরাগ ভৌমিক, গোপেন্দ্র দাস ,সুরজ শুক্লবৈদ্যের কলমে ধ্বনিত বেদনার সুর। শেখর মালাকার, প্রিয়তোষ শর্মার লেখায় সব হারানোর পর আবার ফিরে পাওয়ার আর্তি,অনুরোধ ও কামনা। 

প্রতাপের পূজো সংখ্যাটাও বরাবরের মতনই আকর্ষনীয়, যা সেজে ওঠেছে বরাকের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের গল্প-কবিতার আল্পনায়। বরাকের পূজোর গন্ধ ভেসে এসেছে আমার জানালায়, সুচরিতা দাস, অসিত চক্রবর্তী, সানি ভট্টাচার্য, মঙ্গলা দত্ত রিমি, সুজিতা দাস, অমলেন্দু চক্রবর্তী, রঞ্জন কুমার বনিক, আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া, সুস্মিতা দাসচৌধুরী, শমিতা ভট্টাচার্য, স্বাতীলেখা রায়, মমতা চক্রবর্তী, রাখী দাস, শিপ্রা দাস, গোপেন্দ্র দাস, শতদল আচার্য, সদয় দাস, রাহুল দাস, আদিমা মজুমদার, বিষ্ণুপদ দাস, রাণা চক্রবর্তী, অপর্ণা কুমার, মাম্পী দাস, রুমা দাস, কুসুম কলিতা, আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া, অর্পিতা দাস, শর্মি দে, প্রমিলা দাস, নীলাদ্রী ভট্টাচার্য, বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য, সুরজ কুমার নাথ, হর প্রসাদ কর্মকার, মানসী সিনহা, শান্তশ্রী সোম, অনন্যা ভট্টাচার্য, শৈলেন দাস দাদার কবিতার হাত ধরে। পুষ্পিতা দাস, সৈকত মজুমদার, সত্যজিৎ নাথের লেখা তিনটি গল্প আর যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের কলমে প্রবন্ধ ছড়িয়ে দিয়ে গেছে অনাবিল ভালোলাগা, আর ছোট্ট শ্রেয়ানের আঁকা প্রচ্ছদটাও কি অপূর্ব। সব মিলিয়ে প্রতাপ আবারও অনন্য। অনেক অনেক শুভ কামনা এবং ভালোবাসা “প্রতাপঃ সমাজ ও সাহিত্যের প্রতিভাস” কে।

https://pratapsomajosahitya.blogspot.com/2025/09/blog-post_60.html

https://pratapsomajosahitya.blogspot.com/2025/09/blog-post_28.html

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৪


জুবিন গর্গ স্মরণে বিশেষ সংখ্যা
আসামের আকাশে যেন নিভে গেছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। প্রয়াত সংগীতশিল্পী, আমাদের সকলের প্রেরণা ও গর্ব জুবিন গর্গ তাঁর অকাল প্রয়াণে রেখে গেলেন এক অপূরণীয় শূন্যতা। তিনি শুধু গায়ক ছিলেন না, ছিলেন এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক, যিনি গানকে মানুষের আবেগ, মাটি ও জীবনের সঙ্গে বেঁধেছিলেন। তাঁর কণ্ঠে বেজে উঠেছে ভালোবাসা, সংগ্রাম, স্বপ্ন আর আত্মপরিচয়ের সুর। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এই মহামানবকে এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে আমাদের এই বিশেষ সংখ্যা উৎসর্গ করা হলো তাঁকে।
                                                                 - শৈলেন দাস।

অসমের আকাশে চিরন্তন সুর

            । রুমা দাস।

অসমের আকাশে যে পাখি গান গায়,

নদীর ঢেউ যে ছন্দ তোলে,

মাঠের ঘাসে যে সুর দোলে

তার ভেতরেই তুমি ছিলে,জুবিন।


         জুবিন দা 
। সুরজ কুমার নাথ ।
এমন তো কথা ছিল না জুবিন দা,
মাঝপথে থেমে যাওয়া।
তোমার গানে গানে অনেক ছবি এঁকেছি প্রাণে,
এখন সে ছবিগুলো 'তাসের ঘর'...... 
এমন তো কথা ছিল না জুবিন দা।
তোমার সুরে সুরে ভোর হয়, বেঁচে থাকা হয়, ভালোবাসা হয়............ ।

পুরো কবিতা পড়ুন


মায়া

। রিপন দাস ।

দিনরাত্রি তোমার মধুর সুর,

মনে উঠে বেজে।

চলে গেলে বহু দূর,

রাজপুত্র সেজে।

পুরো কবিতা পড়ুন


ভালো থেকো জুবিন দা 
। মঙ্গলা দত্ত রিমি ।
নীলাম্বু সৈকতে আছড়ে পড়া
লোনা জলের ঢেউ টাও জানে জুবিন দা,
আজও তোমার কন্ঠস্বরে সুনামির হিল্লোল
খেলা করে হৃদয়ের আনাচে কানাচে।
তুমি বড্ড প্রিয় জুবিন দা, বড্ড প্রিয়।
ভেঙে পড়া স্তম্ভের গায়েও লেগে থাকে
তার বিশাল ইতিহাসের গন্ধ,
আর তুমি ভাবছো, 
কেউ তোমায় মনে রাখবে কি রাখবে না?
পুরো কবিতা পড়ুন


আমাদের সম্পদ জুবিন গর্গ

। পিয়ালী ঘোষ ।

শোকের সুর বাজে আজ অন্তরে,
চোখের কোনে জমেছে জল। 
সুসজ্জিত তুমি আজ , চারিপাশে কত লোকজন । 
ফুলের বাগানে তুমি সেই ফুল,
যার গন্ধে শুধু আসাম নয় গোটা ভারত ছিল সুগন্ধিত।
সুরের হাত ধরে রাজপথে এসেছিল এক নাম- জুবিন গর্গ।

   শ্রদ্ধাঞ্জলি

। সুজিতা দাস ।

জুবিন স্যার,

আপনি চাইতেন না

কেউ কোনোদিনও

জীবন্ত শাখা থেকে

ভুল ধারণা নিক।


জুবিন গার্গ

। রাজন দাস ।

ভারতের গৌরব, অসমের সন্তান,

জুবিন গার্গ তোমার নাম,

শিল্পী জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র,

তুমি ছিলে কত মহান।

পুরো কবিতা পড়ুন


সাগরের মতো তুমি

। চয়ন ঘোষ ।

মিশে গেছো সাগরের মাঝে, হে মহানায়ক,

তুমিও ছিলে সাগরের মতো— অসীম, গভীর, এক বিশাল।

নীরব ঢেউয়ের ভাঁজে তব অনন্ত গান বাজে,

তুমি ছিলে নির্ভীক জোয়ার, তুমি ছিলে দুর্বার প্রাণ।

পুরো কবিতা পড়ুন


তুমি রবে অমর -অনন্ত 

। রাহুল দাস।

হে অমর শিল্পী 

তুমি রবে নীরবে,

চিরদিন সবার অন্তরে ...

নানা ভাষায় গেয়ে  গান

স্নেহ ভালোবাসার  বন্ধনে 

জড়িয়েছো সবার প্রাণ।

পুরো কবিতা পড়ুন


আমাদের প্রিয় জুবিন দা

। অপর্ণা কুমার ।

হারিয়ে গেলেন

আমাদের প্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুবিন দা।

কিন্তু আজও তিনি রয়ে গেছেন আমাদের হৃদয়ে।

পুরো কবিতা পড়ুন


   অসমবাসীর হৃদয়ে জুবিন দা

               । মাধুরী দাস ।

যে সুরে ভরে ওঠে মন, আজ সে সুরই নিঃশব্দ,
তবু প্রতিধ্বনিতে বাজে তোমার অমর কণ্ঠ।
তুমি গান গাইলে, নিস্তব্ধ রাতও জেগে ওঠে,
অশ্রুঝরা মনও খুঁজে পায় শান্তির আলো।
পুরো কবিতা পড়ুন


শেষ বিদায়

। গোপেন্দ্র দাস ।

পৃথিবীর নিয়ম সবার জন্য সমান—

যে এসেছে, একদিন বিদায় নিতেই হয়।

মৃত্যু অমোঘ, কারো পক্ষে রোধ করা নয়,

তবুও মানুষ বেঁচে থাকে তার রেখে যাওয়া কর্মে।

পুরো কবিতা পড়ুন

 

জুবিনের গান

। শেখর মালাকার ।

সুরের নদী বইছে ধীরে, হৃদয় ছুঁয়ে যায়,

জুবিন গার্গের কণ্ঠস্বর, অশ্রু হাসি ছড়ায়।

তার গানে মিশে থাকে ভালোবাসার রঙ,

কখনো ব্যথা, কখনো সুখ— জীবনেরই সঙ্গ।

পুরো কবিতা পড়ুন




প্রতাপ : ১৮তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩২)

সম্পাদকীয় …

শরতের আকাশে মেঘের ভেলাদিগন্তে কাশফুলের শুভ্র হাসি— যেন বাংলার মাটিতে ফিরে আসে এক চিরন্তন প্রতীক্ষার ঋতু। ঢাকের আওয়াজশঙ্খধ্বনি আর শিউলির গন্ধ মিশে যায় উৎসবের আবেশে। আমাদের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এ কেবল ধর্মীয় আচার নয়এ আমাদের সংস্কৃতির মহাযজ্ঞমিলনের গানবাঙালি জীবনের মহোৎসব।

বাংলা সাহিত্যে শারদ ঋতুর এই মাহাত্ম্য চিরকাল অমলিন। কবিদের কলমে কাশফুলের শুভ্রতাশরতের নীল আকাশপূজার ঢাকের শব্দ আর মানুষের মিলনমেলা যেমন ফুটে উঠে অপার সৌন্দর্যে। তেমনি পূজার আনন্দে মিশে থাকে প্রেমবেদনা আর আশার অমৃতধারা। বাংলা পূজা বার্ষিকী মানেই এক নতুন আলোনতুন স্বপ্ননতুন সৃজনের জগৎ— যা পাঠকের হাতে তুলে দেয় এক ঋতুচক্রের নবীন প্রভাত। এই ধারায় প্রতাপ’ তার ক্ষুদ্র অথচ অটল পদক্ষেপে হাজির পূজা সংখ্যা ১৪৩২ নিয়ে। এখানে রয়েছে কাব্যের সুরগল্পের রঙপ্রবন্ধের দীপ্তি— আর তার সঙ্গে সমাজের নাড়ির স্পন্দন।

আমাদের এই ছোট কাগজের স্বপ্ন— শরতের আকাশের মতো বিশালকাশফুলের মতো নির্মল। পাঠকের কাছে এই সংখ্যা হয়ে ওঠবে উৎসবের সঙ্গীসৃষ্টির জাগরণে নতুন প্রেরণা এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পূজার এই আনন্দের মৌসুমে আমাদের কামনা— সাহিত্যের আলোর সঙ্গে সমাজচেতনার বন্ধন আরও দৃঢ় হোক।

শুভ শারদীয়া …

-          শৈলেন দাস



    । সুচরিতা দাস ।

মায়ের আঁচলের গন্ধ ছাড়া একদিন ঘুম আসত না যার,
 
মাঝরাতে কখনো মায়ের কথা মনে পড়ে বুকটা ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে আজ।

             সতীর জন্য

                  । অসিত চক্রবর্তী ।

ভেবেছিলামচুপিসারে অন্ধকারেই বেরুবো

কেউ বলবে না , -- যাচ্ছো কোথায়?

কার সাথেকেন যাচ্ছোকোথায় যাচ্ছো?



             বসন্ত

    সানীভট্টাচার্য 

বসন্ত মানেই শীত- শেষ,

বসন্ত মানেই ঋতু বিশেষ।


           নৌকা বিহার

উত্তর মেরুর বরফ গলা জলে সদ্যস্নাত হয় বোষ্টুমী,

নীড় ভোলা দলছুট বারবার ফিরে আসার গান গায়।‌‍‌


                     আমার উমা

ভোরের বাতায়নে লাগুক শরৎ সূর্যের লালিমা

শিউলি ফুলে সজ্জিত হোক হৃদয়ের আঙিনা।


                 আমাদের গ্রাম

               । সুজিতা দাস 

আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলায়,

ঘাঘরা নদীর 6th AP ব্রিজের দক্ষিণ তীরে

ছোটো একটি গ্রামসন্ন্যাসীটিলা।


        অমলেন্দু চক্রবর্তী 

চশমার  কাচ দুটি  ধীরে ধীরে

            ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে -

লালকে হলুদ দেখি,     

                 নীলকে বেগুনি;


                     মণিহার

 

            রঞ্জন কুমার বণিক 
 
দুঃখ তো সবার জীবনেই আসে,

তারপরে সুখ হাসনাহেনার মতও হাসে ।

বিষণ্ণতা আর মোহ যদি হৃদয় করে কালো,

বিরহকে মণিহার আর মুক্তো করে ব্যাথার মুকুটে জ্বালো ।


                          তফাত

       আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া 

রাতকে ফুটবলের মত লাথ মেরে মেরে

নর্দমায় ফেলে শেয়ালেরা রোজ

তারপর ঘুমন্ত কুকুরেরা জেগে ওঠে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়


            ব্যর্থতা

 সুস্মিতা দাস চৌধুরী 

মনে হচ্ছে প্রতিটা দিন

ব্যর্থতায় গুমড়ে মরছি

চেষ্টাই তো করছি,

ছুটে চলছি গন্তব্যে

দিন পার হচ্ছে অস্বস্তিকর মন্তব্যে


                  প্রকৃতি

         শমিতা ভট্টাচার্য 

প্রকৃতির বাইরে আর ভেতরে প্রকৃতি...

খুঁজে ফিরে চেতনার আলো,

নিবিড় আঁধার যেথা উজ্জ্বল হয়ে

নশ্বর জীবন লাগে ভালো।


            কত কবিতা

       । স্বাতীলেখা রায় 

কত  কবিতার খাতা হলদে হয়

ঝকঝকে ঘর  দুয়ারে-

কত কবিতা খুঁজে  পায়  না

 হারানো সময়েছড়ানো পথ -


              বরাভয়

        মমতা চক্রবর্তী 

কুচক্রীবিশ্বাসঘাতকের ভারে

মাটি কাঁদছে

অনাদরে অপমানে হারিয়ে যাচ্ছে

বনস্থলি ...


       রাখী দাস 

একটি বছরের অপেক্ষাটা

শেষ হলো তাই,

পুজোর জন্য সবাই মিলে

শপিং করতে যাই।।


                         স্মৃতিরেখা

                       শিপ্রা দাস 

আকাশ নীল - নীলাভ আঁচলকোথাও সাদা ভেলা

জুড়ে আছেশরতের মায়ামাখা সুগন্ধ।

কোন ক্ষোভ নেইকোন কষ্ট নেই,

অথচ নীরবতায় নিবিড় হয়ে আছে 


                      । আগমনী ।

ঢাকের সুর বাজেকাঁপে আকাশ বাতাস,

মহালয়ার সুরে জাগে শিউলির সুবাস।

 

। রাখিও তোমার শরণে ।

হে প্রভুরাখিও আমায়

তোমার চরণতলে,

ভুলের আঁধার ঢেকে দিলে

জাগিও আলোর বলে।


         শতদল আচার্য 

তোমার অষ্টাদশী মেয়েটাকে দেখলেই

তোমার কথা মনে পড়ে।

মেয়েটির হাঁটা চলাকথা বলা

সব কিছুতে তোমার ছবি।



                    আগমনী আলো

                        সদয় দাস 

ঢাক বাজছেকাশর বাজছেমা আসছে ঘরে,

নতুন নতুন ড্রেস পরবে পুজোর এই ভরে।


মা আসছে এই জগতেকত যে রূপ ধরে,

ভিড়ের মধ্যে আমার শুধু মাকেই মনে পড়ে।


          । প্রিয়তমা ।

প্রিয়তমা তুমি ছিলে অচেনা,

তোমার সাথে আমার আগে

কখনো হয়নি দেখা 

 

     । শরৎ এলো ।

শরৎ এলোমনে দোলা দিল

প্রাণে পেল সাড়া।

শিউলিজুঁইকাশফুলের

সৌরভে মেতে ওঠে পাড়া।


           কিস্তি

        । আদিমা মজুমদার 

কবিতা লিখার ডায়েরি ভরে যায়

ঘরের কিস্তি গাড়ির কিস্তি

এডুকেশন কিস্তি...

মোবাইল খুললে শুধু ই এম আই!


    । বিষ্ণুপদ দাস 

যেখানে দেখতে পাই

পথের ধারের গাছের ছায়ায়

পথকুকুর  ঘুমোয় নিশ্চিন্তে শান্তিতে,

সেখানে শান্তির বাস।


'দুর্গা' তুমি অবিরত জেগে থেকো 'চৈতন্যে'

। পুষ্পিতা দাস ।

ও- মা দুটো তো প্রায় বেজেই গেলো। আমি তো এখনো রেডি হইনি। আজও আদ্যা আবার রাগ করবে। বলেছিল - ঠিক দুটোয় রেডি থাকবি কিন্তু। অদিতি বিড়বিড় করছিল। ঠিক তখনই ডোরবেল বেজে উঠলো।

-- উমাদিদিদেখবে গো কে এসেছেদরজা খুলে উমাদি উত্তর দিল -- দিদিআর্যাদিদি গো।

-- এসে গেছি। এ-ই তো জানতাম - রেডি হোসনি তো -- তুই টাইমে রেডি হয়ে যাবিসেটা হয়!

সেলফি পয়েন্ট

। সৈকত মজুমদার ।

স্কুল কলেজ জীবনে প্রেম ভালোবাসায় আবেগ কাজ করেবিবেক তখন নাবালক। স্কুলের গন্ডি পেরোতেই বোঝা যায় প্রেম ভালোবাসা জীবনের সব নয়তার বাইরেও একটা জগত আছে। প্রেম ভাত দেয় নাবোঝাপড়া দেয়। আর পরিশ্রমের ফলই সেই জগতের জোয়ার ভাটা সামলে জীবন নৌকা বায়।


  । রাণা চক্রবর্তী 

ব্রহ্মার বরে

দুর্গমাসুর বেদজ্ঞান লাভ করে

তার কুফল

বিপ্রগণ বেদমন্ত্র বিস্মৃত হোন।

ঋষিরা যজ্ঞে

অসমর্থ আহুতি প্রদানে।


 অপর্ণা কুমার 

শরতের নীল আকাশে

ভাসে আগমনীর সুর,

মা দুর্গার আগমনে

দূর থেকে যায় মিলে সুর।


                         দেশের নারী

                        মাম্পী দাস 

কেউ বলে দেবী তো কেউ বলে মনমোহিনী।

আমি বলি তিনি দেবী যিনি হলেন সর্বত্যাগী 

মাটি পাথরে নয় গো দেবীতিনি বিরাজিত সেখানে।

যেখানে মাটি-পাথরের ডেরায় কোমল হাত রূপান্তরিত কংক্রিটে।


                              রুমা দাস 

শরতের নীলিমায় ভেসে আসে অদৃশ্য সঙ্গীত,

শিউলির সুবাসে ভিজে ওঠে প্রভাতের অন্তরঙ্গতা।

কাশদোলায় নদীর তীরে যেন প্রকৃতি নিজেই

উৎসবের আহ্বানপত্র পাঠায় সমগ্র জগৎকে।


      কুসুম কলিতা 

আকাশ জুড়ে রোদের আলো

      বৃষ্টি হয়েছে বন্ধ,

মা আসছেন চারদিকে যে

     পূজো পূজোর গন্ধ ।


কাকতালীয়

। সত্যজিৎ নাথ ।

            পিতৃপক্ষে তর্পণ করতে এবারও অন্নপূর্ণা ঘাটে এসেছে মানব। গতবার প্রথম এসেছিল বড়দার সংগে নিজে আগ্রহী হয়ে।  এর আগে বড়দাই আসত শুধু বছরের এই বিশেষ সময়টাতে বাবা ও বাকিদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে। বাবা নেই আজ সাত বছর হতে চলল, বড়দা অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে সে ক্ষতি।


                              অন্ত্যজ

            আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া 

নদী বহে চলে নিরন্তর তার অনুকূল গতিতে

কখনও বা গতি বদলায় আপন খেয়াল খুশিতে

বহমান সুবিধায়

 

নদী নীরবে এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে

এটাই নদীর নিজস্বতা


                 চিঠি-ঘোষণা

            । ড. অর্পিতা দাস 

 প্রিয়তম,

আজ আমি তোমাকে ডাকঘর থেকে নয়,

সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন কলাম থেকে লিখছি।


মাতৃভাষার চেতনা

- যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস

"যে জাতি নিজ ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পারে নাসে জাতি কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না।” বঙ্কিমচন্দ্র কথিত এই নিজ ভাষা হচ্ছে মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শুধু কি একটি ভাষানা। মাতৃভাষা একটি জাতির আত্মপরিচয়। তার সামগ্রিক সংস্কৃতির বাহক। মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা অন্য ভাষা-সংস্কৃতিকে সহজে আয়ত্ত করতে পারি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। তাই এই ভাষা আমার প্রাণের স্পন্দনআত্মপরিচয়ের প্রতীকমনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। বাংলা ভাষার মধ্যেই খুঁজে পাই বিশ্ব চরাচরের যাবতীয় মাধুর্যবাংলা ভাষার মতো আর কোন ভাষা আমার 'কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়াপ্রাণকে আকুল করতে পারে না। 


          শর্মি দে 

তোমায় একটা চিঠি লিখবো

কী নিয়ে লিখবো ভেবে মনটা হাহাকার করে।

চাঁদের দিকে তাকাতেই সে বললো

"আমার শরৎ আসুক, সেখানেই লেখো!"


 প্রমিলা দাস ।

মুদলে আঁখি

যায় উড়ে পাখি,

দূর তেপান্তরের মাঠে

সাত সমুদ্র তেরো নদীর ঘাটে।


  নীলাদ্রি ভট্টাচার্য 

তুমি আকাশ রূপের ভেতর

জাতকের মাটি

আস্তানার জন্মান্তর কৃতকর্ম।


                  অনুভব

     বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য 

কোনও কোনও মানুষ বাড়ি হয়ে যায়

তাদের দেখলে মনে হয়মস্ত একটা ছাদ!

যার তলে শুয়ে থাকা যায় বড় নিশ্চিন্তে

কাঁদা যায়হাসা যায়খুশগল্পে বিভোর-


 সুরজ কুমার নাথ 

সময় হয় না কথা বলারভালোবাসার

সময় হয় না খোলা আকাশের গায়ে ছবি আঁকার।

টেবিলের উপর রবি নজরুল সুকান্তের কবিতায় জমে ধুলোর আস্তরণ,

সময় হয় না সেগুলোতে নিজের জীবন খুঁজে পাওয়ার।


       হরপ্রসাদ কর্মকার 

ভাঙ্গা সেতুর মতো দাঁড়িয়ে আছে সময়

মানুষ আশ্রয় খুঁজছেমানুষ পরিচয় খুঁজছে।

অথচ আকাশে তার অনিশ্চয়তার মেঘ

তবু বুকে তার আশা ভরসার দোদুল দোল।


        নিশীথে

 মানসী সিনহা 

সময় যখন ফুরোয়

   বিবর্তন এবং পরিবর্তন নামক

             জাগতিক শব্দ গুলো

খুউব ভয়ংঙ্কর

          আতংকময় হয়ে উঠে


 শান্তশ্রী সোম 

কনকনে শীতে,

মোলায়েম শ্বেতশুভ্র তুষারে মোড়া

ইউক্যালিপটাস গাছে,

এখন পাতাঝরার গান।


            শরৎ

 অনন্যা ভট্টাচার্য 

ভোরের নীল শিরায়

আবৃত সফেদ কুয়াশা

যেন দার্শনিকের অনন্ত নোটবুক,

সব রেখাই হয় প্রশ্নচিহ্ন

অনন্তের বুকে অপার বিস্ময়।


       মুনাফিক স্বজন

আজকাল বরাক নদীর জলে

জ্যোৎস্নার আলো উপচে পড়লে

আমি ভীষণ অস্থির হয়ে উঠি

জল ছল ছল করে চোখের কোণে।


             বিষ বীজ

জন্মের ওপারে কোন ঈশ্বর বসে নেই

যে লিখে রেখেছে আমাদের ভাগ্য

বরং এখানেই রয়েছে নিষ্ঠুর অমানুষেরা!




এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

এগিয়ে চলো পাশে আছে অগণিত কলম

। চান্দ্রেয়ী দেব ।     ঘুম ভাঙতেই জানালার পর্দা সরাতেই চোখে দাগ কাটে পরিষ্কার আকাশে ঝকঝকে নীল রং ছড়ানো। স্নিগ্ধ হাওয়ার পরশে প্রাণ ফিরে পা...