রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : ১৮তম সংখ্যা (পূজা সংখ্যা - ১৪৩২)

সম্পাদকীয় …

শরতের আকাশে মেঘের ভেলাদিগন্তে কাশফুলের শুভ্র হাসি— যেন বাংলার মাটিতে ফিরে আসে এক চিরন্তন প্রতীক্ষার ঋতু। ঢাকের আওয়াজশঙ্খধ্বনি আর শিউলির গন্ধ মিশে যায় উৎসবের আবেশে। আমাদের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এ কেবল ধর্মীয় আচার নয়এ আমাদের সংস্কৃতির মহাযজ্ঞমিলনের গানবাঙালি জীবনের মহোৎসব।

বাংলা সাহিত্যে শারদ ঋতুর এই মাহাত্ম্য চিরকাল অমলিন। কবিদের কলমে কাশফুলের শুভ্রতাশরতের নীল আকাশপূজার ঢাকের শব্দ আর মানুষের মিলনমেলা যেমন ফুটে উঠে অপার সৌন্দর্যে। তেমনি পূজার আনন্দে মিশে থাকে প্রেমবেদনা আর আশার অমৃতধারা। বাংলা পূজা বার্ষিকী মানেই এক নতুন আলোনতুন স্বপ্ননতুন সৃজনের জগৎ— যা পাঠকের হাতে তুলে দেয় এক ঋতুচক্রের নবীন প্রভাত। এই ধারায় প্রতাপ’ তার ক্ষুদ্র অথচ অটল পদক্ষেপে হাজির পূজা সংখ্যা ১৪৩২ নিয়ে। এখানে রয়েছে কাব্যের সুরগল্পের রঙপ্রবন্ধের দীপ্তি— আর তার সঙ্গে সমাজের নাড়ির স্পন্দন।

আমাদের এই ছোট কাগজের স্বপ্ন— শরতের আকাশের মতো বিশালকাশফুলের মতো নির্মল। পাঠকের কাছে এই সংখ্যা হয়ে ওঠবে উৎসবের সঙ্গীসৃষ্টির জাগরণে নতুন প্রেরণা এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পূজার এই আনন্দের মৌসুমে আমাদের কামনা— সাহিত্যের আলোর সঙ্গে সমাজচেতনার বন্ধন আরও দৃঢ় হোক।

শুভ শারদীয়া …

-          শৈলেন দাস



    । সুচরিতা দাস ।

মায়ের আঁচলের গন্ধ ছাড়া একদিন ঘুম আসত না যার,
 
মাঝরাতে কখনো মায়ের কথা মনে পড়ে বুকটা ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠে আজ।

             সতীর জন্য

                  । অসিত চক্রবর্তী ।

ভেবেছিলামচুপিসারে অন্ধকারেই বেরুবো

কেউ বলবে না , -- যাচ্ছো কোথায়?

কার সাথেকেন যাচ্ছোকোথায় যাচ্ছো?



             বসন্ত

    সানীভট্টাচার্য 

বসন্ত মানেই শীত- শেষ,

বসন্ত মানেই ঋতু বিশেষ।


           নৌকা বিহার

উত্তর মেরুর বরফ গলা জলে সদ্যস্নাত হয় বোষ্টুমী,

নীড় ভোলা দলছুট বারবার ফিরে আসার গান গায়।‌‍‌


                     আমার উমা

ভোরের বাতায়নে লাগুক শরৎ সূর্যের লালিমা

শিউলি ফুলে সজ্জিত হোক হৃদয়ের আঙিনা।


                 আমাদের গ্রাম

               । সুজিতা দাস 

আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলায়,

ঘাঘরা নদীর 6th AP ব্রিজের দক্ষিণ তীরে

ছোটো একটি গ্রামসন্ন্যাসীটিলা।


        অমলেন্দু চক্রবর্তী 

চশমার  কাচ দুটি  ধীরে ধীরে

            ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে -

লালকে হলুদ দেখি,     

                 নীলকে বেগুনি;


                     মণিহার

 

            রঞ্জন কুমার বণিক 
 
দুঃখ তো সবার জীবনেই আসে,

তারপরে সুখ হাসনাহেনার মতও হাসে ।

বিষণ্ণতা আর মোহ যদি হৃদয় করে কালো,

বিরহকে মণিহার আর মুক্তো করে ব্যাথার মুকুটে জ্বালো ।


                          তফাত

       আনওয়ারুল হক বড়ভূইয়া 

রাতকে ফুটবলের মত লাথ মেরে মেরে

নর্দমায় ফেলে শেয়ালেরা রোজ

তারপর ঘুমন্ত কুকুরেরা জেগে ওঠে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়


            ব্যর্থতা

 সুস্মিতা দাস চৌধুরী 

মনে হচ্ছে প্রতিটা দিন

ব্যর্থতায় গুমড়ে মরছি

চেষ্টাই তো করছি,

ছুটে চলছি গন্তব্যে

দিন পার হচ্ছে অস্বস্তিকর মন্তব্যে


                  প্রকৃতি

         শমিতা ভট্টাচার্য 

প্রকৃতির বাইরে আর ভেতরে প্রকৃতি...

খুঁজে ফিরে চেতনার আলো,

নিবিড় আঁধার যেথা উজ্জ্বল হয়ে

নশ্বর জীবন লাগে ভালো।


            কত কবিতা

       । স্বাতীলেখা রায় 

কত  কবিতার খাতা হলদে হয়

ঝকঝকে ঘর  দুয়ারে-

কত কবিতা খুঁজে  পায়  না

 হারানো সময়েছড়ানো পথ -


              বরাভয়

        মমতা চক্রবর্তী 

কুচক্রীবিশ্বাসঘাতকের ভারে

মাটি কাঁদছে

অনাদরে অপমানে হারিয়ে যাচ্ছে

বনস্থলি ...


       রাখী দাস 

একটি বছরের অপেক্ষাটা

শেষ হলো তাই,

পুজোর জন্য সবাই মিলে

শপিং করতে যাই।।


                         স্মৃতিরেখা

                       শিপ্রা দাস 

আকাশ নীল - নীলাভ আঁচলকোথাও সাদা ভেলা

জুড়ে আছেশরতের মায়ামাখা সুগন্ধ।

কোন ক্ষোভ নেইকোন কষ্ট নেই,

অথচ নীরবতায় নিবিড় হয়ে আছে 


                      । আগমনী ।

ঢাকের সুর বাজেকাঁপে আকাশ বাতাস,

মহালয়ার সুরে জাগে শিউলির সুবাস।

 

। রাখিও তোমার শরণে ।

হে প্রভুরাখিও আমায়

তোমার চরণতলে,

ভুলের আঁধার ঢেকে দিলে

জাগিও আলোর বলে।


         শতদল আচার্য 

তোমার অষ্টাদশী মেয়েটাকে দেখলেই

তোমার কথা মনে পড়ে।

মেয়েটির হাঁটা চলাকথা বলা

সব কিছুতে তোমার ছবি।



                    আগমনী আলো

                        সদয় দাস 

ঢাক বাজছেকাশর বাজছেমা আসছে ঘরে,

নতুন নতুন ড্রেস পরবে পুজোর এই ভরে।


মা আসছে এই জগতেকত যে রূপ ধরে,

ভিড়ের মধ্যে আমার শুধু মাকেই মনে পড়ে।


          । প্রিয়তমা ।

প্রিয়তমা তুমি ছিলে অচেনা,

তোমার সাথে আমার আগে

কখনো হয়নি দেখা 

 

     । শরৎ এলো ।

শরৎ এলোমনে দোলা দিল

প্রাণে পেল সাড়া।

শিউলিজুঁইকাশফুলের

সৌরভে মেতে ওঠে পাড়া।


           কিস্তি

        । আদিমা মজুমদার 

কবিতা লিখার ডায়েরি ভরে যায়

ঘরের কিস্তি গাড়ির কিস্তি

এডুকেশন কিস্তি...

মোবাইল খুললে শুধু ই এম আই!


    । বিষ্ণুপদ দাস 

যেখানে দেখতে পাই

পথের ধারের গাছের ছায়ায়

পথকুকুর  ঘুমোয় নিশ্চিন্তে শান্তিতে,

সেখানে শান্তির বাস।


'দুর্গা' তুমি অবিরত জেগে থেকো 'চৈতন্যে'

। পুষ্পিতা দাস ।

ও- মা দুটো তো প্রায় বেজেই গেলো। আমি তো এখনো রেডি হইনি। আজও আদ্যা আবার রাগ করবে। বলেছিল - ঠিক দুটোয় রেডি থাকবি কিন্তু। অদিতি বিড়বিড় করছিল। ঠিক তখনই ডোরবেল বেজে উঠলো।

-- উমাদিদিদেখবে গো কে এসেছেদরজা খুলে উমাদি উত্তর দিল -- দিদিআর্যাদিদি গো।

-- এসে গেছি। এ-ই তো জানতাম - রেডি হোসনি তো -- তুই টাইমে রেডি হয়ে যাবিসেটা হয়!

সেলফি পয়েন্ট

। সৈকত মজুমদার ।

স্কুল কলেজ জীবনে প্রেম ভালোবাসায় আবেগ কাজ করেবিবেক তখন নাবালক। স্কুলের গন্ডি পেরোতেই বোঝা যায় প্রেম ভালোবাসা জীবনের সব নয়তার বাইরেও একটা জগত আছে। প্রেম ভাত দেয় নাবোঝাপড়া দেয়। আর পরিশ্রমের ফলই সেই জগতের জোয়ার ভাটা সামলে জীবন নৌকা বায়।


  । রাণা চক্রবর্তী 

ব্রহ্মার বরে

দুর্গমাসুর বেদজ্ঞান লাভ করে

তার কুফল

বিপ্রগণ বেদমন্ত্র বিস্মৃত হোন।

ঋষিরা যজ্ঞে

অসমর্থ আহুতি প্রদানে।


 অপর্ণা কুমার 

শরতের নীল আকাশে

ভাসে আগমনীর সুর,

মা দুর্গার আগমনে

দূর থেকে যায় মিলে সুর।


                         দেশের নারী

                        মাম্পী দাস 

কেউ বলে দেবী তো কেউ বলে মনমোহিনী।

আমি বলি তিনি দেবী যিনি হলেন সর্বত্যাগী 

মাটি পাথরে নয় গো দেবীতিনি বিরাজিত সেখানে।

যেখানে মাটি-পাথরের ডেরায় কোমল হাত রূপান্তরিত কংক্রিটে।


                              রুমা দাস 

শরতের নীলিমায় ভেসে আসে অদৃশ্য সঙ্গীত,

শিউলির সুবাসে ভিজে ওঠে প্রভাতের অন্তরঙ্গতা।

কাশদোলায় নদীর তীরে যেন প্রকৃতি নিজেই

উৎসবের আহ্বানপত্র পাঠায় সমগ্র জগৎকে।


      কুসুম কলিতা 

আকাশ জুড়ে রোদের আলো

      বৃষ্টি হয়েছে বন্ধ,

মা আসছেন চারদিকে যে

     পূজো পূজোর গন্ধ ।


কাকতালীয়

। সত্যজিৎ নাথ ।

            পিতৃপক্ষে তর্পণ করতে এবারও অন্নপূর্ণা ঘাটে এসেছে মানব। গতবার প্রথম এসেছিল বড়দার সংগে নিজে আগ্রহী হয়ে।  এর আগে বড়দাই আসত শুধু বছরের এই বিশেষ সময়টাতে বাবা ও বাকিদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে। বাবা নেই আজ সাত বছর হতে চলল, বড়দা অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে সে ক্ষতি।


                              অন্ত্যজ

            আব্দুল হালিম বড়ভূইয়া 

নদী বহে চলে নিরন্তর তার অনুকূল গতিতে

কখনও বা গতি বদলায় আপন খেয়াল খুশিতে

বহমান সুবিধায়

 

নদী নীরবে এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে

এটাই নদীর নিজস্বতা


                 চিঠি-ঘোষণা

            । ড. অর্পিতা দাস 

 প্রিয়তম,

আজ আমি তোমাকে ডাকঘর থেকে নয়,

সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন কলাম থেকে লিখছি।


মাতৃভাষার চেতনা

- যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস

"যে জাতি নিজ ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পারে নাসে জাতি কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না।” বঙ্কিমচন্দ্র কথিত এই নিজ ভাষা হচ্ছে মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শুধু কি একটি ভাষানা। মাতৃভাষা একটি জাতির আত্মপরিচয়। তার সামগ্রিক সংস্কৃতির বাহক। মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা অন্য ভাষা-সংস্কৃতিকে সহজে আয়ত্ত করতে পারি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। তাই এই ভাষা আমার প্রাণের স্পন্দনআত্মপরিচয়ের প্রতীকমনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। বাংলা ভাষার মধ্যেই খুঁজে পাই বিশ্ব চরাচরের যাবতীয় মাধুর্যবাংলা ভাষার মতো আর কোন ভাষা আমার 'কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়াপ্রাণকে আকুল করতে পারে না। 


          শর্মি দে 

তোমায় একটা চিঠি লিখবো

কী নিয়ে লিখবো ভেবে মনটা হাহাকার করে।

চাঁদের দিকে তাকাতেই সে বললো

"আমার শরৎ আসুক, সেখানেই লেখো!"


 প্রমিলা দাস ।

মুদলে আঁখি

যায় উড়ে পাখি,

দূর তেপান্তরের মাঠে

সাত সমুদ্র তেরো নদীর ঘাটে।


  নীলাদ্রি ভট্টাচার্য 

তুমি আকাশ রূপের ভেতর

জাতকের মাটি

আস্তানার জন্মান্তর কৃতকর্ম।


                  অনুভব

     বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য 

কোনও কোনও মানুষ বাড়ি হয়ে যায়

তাদের দেখলে মনে হয়মস্ত একটা ছাদ!

যার তলে শুয়ে থাকা যায় বড় নিশ্চিন্তে

কাঁদা যায়হাসা যায়খুশগল্পে বিভোর-


 সুরজ কুমার নাথ 

সময় হয় না কথা বলারভালোবাসার

সময় হয় না খোলা আকাশের গায়ে ছবি আঁকার।

টেবিলের উপর রবি নজরুল সুকান্তের কবিতায় জমে ধুলোর আস্তরণ,

সময় হয় না সেগুলোতে নিজের জীবন খুঁজে পাওয়ার।


       হরপ্রসাদ কর্মকার 

ভাঙ্গা সেতুর মতো দাঁড়িয়ে আছে সময়

মানুষ আশ্রয় খুঁজছেমানুষ পরিচয় খুঁজছে।

অথচ আকাশে তার অনিশ্চয়তার মেঘ

তবু বুকে তার আশা ভরসার দোদুল দোল।


        নিশীথে

 মানসী সিনহা 

সময় যখন ফুরোয়

   বিবর্তন এবং পরিবর্তন নামক

             জাগতিক শব্দ গুলো

খুউব ভয়ংঙ্কর

          আতংকময় হয়ে উঠে


 শান্তশ্রী সোম 

কনকনে শীতে,

মোলায়েম শ্বেতশুভ্র তুষারে মোড়া

ইউক্যালিপটাস গাছে,

এখন পাতাঝরার গান।


            শরৎ

 অনন্যা ভট্টাচার্য 

ভোরের নীল শিরায়

আবৃত সফেদ কুয়াশা

যেন দার্শনিকের অনন্ত নোটবুক,

সব রেখাই হয় প্রশ্নচিহ্ন

অনন্তের বুকে অপার বিস্ময়।


       মুনাফিক স্বজন

আজকাল বরাক নদীর জলে

জ্যোৎস্নার আলো উপচে পড়লে

আমি ভীষণ অস্থির হয়ে উঠি

জল ছল ছল করে চোখের কোণে।


             বিষ বীজ

জন্মের ওপারে কোন ঈশ্বর বসে নেই

যে লিখে রেখেছে আমাদের ভাগ্য

বরং এখানেই রয়েছে নিষ্ঠুর অমানুষেরা!




রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩৩

               আমার তুমি 

                 । পিয়ালী ঘোষ ।

আমার তুমি কোন এক বিকেলে আসা বৃষ্টি, 

যার কাছে নির্দ্বিধায় নিজেকে হারিয়ে দিতে পারি।

আমার তুমি আকাশের সেই চাঁদ , 

যাকে দেখে কাটিয়ে দিতে পারি পুরো রাত।

তুমি আমার সুগন্ধি ফুল,

 গন্ধে যার করে আকুল।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


কালপুরুষ

। রাজীব কুমার দাস ।

গগনের অন্তহীন সীমানায় সময়ের নিঃশব্দ স্রষ্টা

অসীম পথ পেরোয়- সূর্যোদয় থেকে নক্ষত্রের বিলয়,

আদি থেকে অন্ত- সে এক সীমাহীন গণিত

এক নিঃশ্বাসে জন্মধারা, এক নিঃশ্বাসে প্রলয়।



ত্রিনয়নীর সংসার

       । রিপন দাস ।

দিন-রাত সহ্য করে,

দায়িত্বে থাকেন রত;

কেমন করে এগিয়ে যাবেন,

ভাবেন সবার মত।



           মা

      । রাজন দাস ।

কোথায় গেলে, মাগো তুমি,

আমায় একা রেখে।

তোমায় ছাড়া বলো, মাগো,

ঘুমাই কেমন করে।



তর্পণ

। গীতশ্রী ভট্টাচার্য্য ।

    চোখ কচলে উঠে বসে কুসুম। মা কই! পাশে নেই তো। ছোট্ট দুটো পায়ে নেমে আসে খাট থেকে। লাল টুকটুকে পা। কাল রাতেই মা আলতা পরিয়ে দিয়েছে। ঘরে তখনও নীল রাতআলো জ্বলছে। দরজাটা খোলা। মা তাহলে বাইরে। সিঁড়ি থেকে ঝপাং করে উঠোনে লাফ দেয় বালিকা। মা চমকে উঠে।  পুরো গল্পটি পড়ুন

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩২

 আবেগের অন্য নাম শনবিল

               । সুচরিতা দাস ।

অনেকের কাছে তুমি নিতান্তই একখানা জলাশয়, 

হয়তোবা শুধুই খানিকটা অবসর সময়ের বিনোদন! 

ওরা জানেনা কত অবহেলিত জাতির

তুমি সুখ দুঃখ উত্থান পতনের সাথী, 

কত কালের সাক্ষ্য বহন করছে

তোমার বুকে শেকড় গেড়ে ওই হিজলের দল ! 

পুরো কবিতা পড়ুন


কবিতার সঙ্গে সহবাস 

            । হরপ্রসাদ কর্মকার ।

কোনও কারণ ছাড়াই রাতের বেলা 

চোখে ঘুম আসে না এমন তো নয়। 

কবিতার শরীরে দৃষ্টি নিবদ্ধ হলে... 

বর্ণে-গন্ধে মেতে ওঠে শালীন-সহবাস ।

পুরো কবিতা পড়ুন


                সম্ভাবনা

           । রঘুনন্দন ভট্টাচার্য ।

একদিন ওরা মুছে দিতে চেয়েছিল তোমাকে,

আঘাতে আঘাতে ভাঙতে চেয়েছিল শিরদাঁড়া,

কালো মেঘ দাপটে ছেয়েছিল দিগন্ত -

যেন কোথাও না থাকে তোমার কোনো ছাপ ।

পুরো কবিতা পড়ুন


                প্রশ্ন

             । আকাশ ধর ।

সূর্য উঠলেও চারিদিকে ঘোড় অন্ধকার।

বলতে পারিস বিধি পৃথিবীটা কার।।

কার চোখেতে জল জমেছে, খরা হৃদয়ে।

কার চুল হল এলোমেলো, গোলাপ লাগিয়ে।।

                                                              পুরো কবিতা পড়ুন


                 হৃদয় হরিণী 

                   । সুমন দাস ।

তুমি এসেছিলে হঠাৎ, বসন্তের মতো,

চোখে তোমার ছিল অনন্ত নীরবতা।

আমি ডেকেছিলাম নাম ধরে—

তুমি হেসে বলেছিলে, “আমি হৃদয় হরিণী?”

পুরো কবিতা পড়ুন

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩১

হতেম যদি মানুষ

     । পুষ্পিতা দাস ।

- ও আপনি?
- কতটুকু লাগবে?
- এইতো, কাটার পর দেড়-দুকেজি হলেই হবে।
-ঠিক আছে। রেডি করে রাখছি। আপনার বাকী কাজ সেরে একটু দূরে দাঁড়াবেন। আমরা আপনার হাতে দিয়ে আসব।   পুরো গদ্যটি পড়ুন

লুকোচুরি

। সুজিতা দাস ।

তুমি কি 

গাছের আড়ালে,

মেঘের আড়ালে,

শান্ত, স্নিগ্ধ জোছনায়

শীতল ছায়ার চেহারা নিয়ে লুকিয়ে আছো?

 

        নিয়তি 

    । নীলাদ্রি ভট্টাচার্য ।

অন্তিম লগ্নে মনে হলো

দূরত্বে তুমি একা

এক ব্যাকুল রক্ত ঘুর্ণিতে তুমি নতমস্তক 


যা আসছে মনে

। অঞ্জলি দে নন্দী, মম ।

ভিয়েতনামের বিমানবন্দরে রয়েছি।

মুম্বাই যাব, অপেক্ষা করছি।

এলাম বালি, ইন্দোনেশিয়া থেকে।

বেশ কিছুটা ক্লান্তও হয়েছি।

সেই সকাল থেকে উড়োজাহাজে চড়ছি।


   প্রিয় বান্ধবীরা

       । রাখী দাস ।

প্রথমে বলি একটি মেয়ে

নামটি তার প্রিয়াংকা,

দেখতে যত শান্ত-শিষ্ট 

তবুও মনে আশঙ্কা।।

পুরো কবিতাটি পড়ুন

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-৩০

                  অবুঝ প্রেম

                      । সদয় দাস ।

বাতাসে ভেসে বেড়ায় প্রেম প্রেম গন্ধ, 

ভাবনাতে শিহরিত - আছে যত রন্ধ্র।


নয়নে আঁকা তোমার প্রেমময় ছবিটা, 

শব্দের মালা গেঁথে লিখি আমি কবিতা।

পুরো কবিতা পড়ুন


মা, যে কথাগুলো তোমায় বলা হয়নি

। পুষ্পিতা দাস ।

ছোটবেলা যখন আমার জ্বর হতো মা, আর তুমি আমার পাশে বসে কপালে জলপট্টি দিতে, তখন মনে হতো তুমি পাশে না থাকলে হয়তো জ্বরটাকে আর সারিয়েই উঠতে পারব না। ভাবতাম, তুমি না থাকলে কী যে হতো! তখন জ্বরটাই কত বড় ব্যাপার ছিল, আর তোমার উপস্থিতি আমার সব অসহায়তার উপশম। আর আজ দেখো মা—জ্বর তো নয়, একের পর এক ঝড় আমার জীবনের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। আর তোমার আত্মজা অশ্বত্থ বৃক্ষের মতো অটল। সেসব কত ঝড়ের সাক্ষী তো তুমি নিজেই ছিলে মা। পাছে তুমি ভেঙে না পড়ো, এই ভেবে আমার কষ্ট হচ্ছে—তা আমি কখনোই তোমার কাছে প্রকাশ করিনি। বাকী অংশ পড়ুন ....


                  শ্রাবণের গাথা

                 । রঞ্জন কুমার বণিক ।

শালুক ফুলের দিঘীর মালকিন, চুইয়ে পড়া জোৎস্নার চাঁদ,

ঝিরি ঝিরি শ্রাবণধারায় জুড়ালো আমার কাব্যময়ী রাত ।

গ্রীষ্মের দহন বেলায় পোড়ে তছনছ হল হৃদয়,

তারপরেও কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বেঁচে কিছু রয় ।

পুরো কবিতা পড়ুন


        প্রেমের ব্যাকরণ

               । রুমা দাস !

বড়বেলায়ে আমরা আর প্রেমে পড়ি না,

গোধূলির কাঁপা রঙে হারিয়ে যাওয়া নয়,

চাই নরম কাঁধ,শান্ত আশ্বাস,

চাই স্নেহের নিঃশব্দ আশ্রয়।


            বর্ষা কাল

         । শেখর মালাকার ।

আকাশ ভরে মেঘের ভেলা,

বৃষ্টি নামে, ঝর ঝর ধ্বনির মেলা।

পাখিরা উড়ে খুঁজে নেয় ঠাঁই,

ধানক্ষেতে নেমে আসে জলরাশি চাই।

পুরো কবিতা পড়ুন



শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৯

 এই সময়টা আমার নয়

         । শৈলেন দাস ।

এই সময়টা আমার নয়

মেঘে বাদলে জুটি

কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ সেই ঘর

যেখানে আমি থাকি।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


 ভালোবাসার অন্য নাম কাব্য

                  । মঙ্গলা দত্ত রিমি ।

মন খারাপের গল্পগুলো যখন ফিজিক্স কিংবা

কেমিস্ট্রি ক্লাসের চাপে বলা হয়ে উঠে না,

গরম কফির কাপ থেকে উঠে আসা বাষ্পেরাও

একটা সময় পর জমাট বাঁধে ওজোন স্তরের গায়ে।

    পুরো কবিতাটি পড়ুন


          কবির পরিচয়

                । গোপেন দাস ।

সে নয় কেবল শব্দের কারিগর,

তার কলমে গাঁথা থাকে নীরবতার রঙ।

জল পড়ার শব্দ, হাওয়ার ছোঁয়া,

তাকেও সে তো কবিতায় আনে ঢঙ।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


দিনমজুর বাবা

। সুস্মিতা দাস চৌধুরী ।

বাবা মানেই জীবন মধুময়,

আমাদের নেই যে কোনও ভয়।

বাবা হলো একটু স্বস্তির ছায়া,

যেখানে পাওয়া যায় অনেক মায়া।

 

               প্রার্থনা

                 । রাজন দাস ।

রাত্রি শেষে প্রভাত হলো,

  এলো সূর্যের আলো।

অজ্ঞানতা নাশ করো হে,

  দাও হে জ্ঞানের আলো।



শর্ত সাপেক্ষে হোল সেল রেট এ রঙ কিনতে যোগাযোগ করুন



শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৮


    রোদেলা দুপুর

           । কুসুম কলিতা।

দুপুরের প্রখর রোদে জর্জরিত শরীর

একটু শীতল বাতাস চাই,

ঝিলিমিলি করে রবির তীব্র রোদে

কোনো ধরনের শান্তি নাই।

পুরো কবিতাটি পড়ুন



                বসন্তের সুর

                   । সদয় দাস ।

বসন্ত এলো হাসি ছড়িয়ে রঙিন ফুলের বনে,

কোকিল ডাকে মধুর সুরে, সুর বয়ে যায় মনে।

শিমুল-পলাশ রাঙিয়ে দিল আকাশ-ধরা পথ,

দক্ষিণ হাওয়া বয়ে আনে সৌরভ ভরা রথ।

পুরো কবিতাটি পড়ুন


‘বিধি’, এ কেমন খেলা?

। রাজিয়া পারভিন সিদ্দিকী চৌধুরী ।

‘বিধি’, এ তোমার কেমন নিয়ম?

যারা রক্তমাখা ঘামে নিজেকে উজাড় করে —

তাদের কপালেই কেন দুঃখ আর সব বোঝা কাঁধে?

যাদের হাতে কৃপণতা, হৃদয়ে নিষ্ঠুরতা

আর স্বার্থের চাহনি —

পুরো কবিতাটি পড়ুন



            স্বার্থপর

         । অপর্ণা কুমার ।

কিছু মানুষ আসে অল্প সময়ের জন্য

কিন্তু দুঃখ দিয়ে যায় দীর্ঘ সময়ের জন্য।

কেউ নতুনকে পেয়ে পুরাতনকে ভুলে যায়,

আবার কেউ হাজারো নতুনের ভিড়ে

পুরাতনকে খুঁজে বেড়ায়।




কবিতা আমার প্রেমিক

        । মাম্পী দাস ।

কবিতা আমার সেই অনুভূতি,

যেখানে না বলা কথাগুলোও হয় বিবৃতি।

তাই কবিতাকে হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করি আমি।

কবিতা আমার চিরদিনের সুখ-দুঃখের স্মৃতি।

পুরো কবিতাটি পড়ুন



শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

প্রতাপ : অনলাইন-২৭


            শূন্য মনের মানুষ

               । মাম্পী দাস ।

       আমি নির্জন অন্ধকারে

       আগাছায় পড়ে থাকা একবিন্দু শিশির

       সূর্য উঠেই প্রথম যাকে চুষে নেয়।

       আমি পৃথিবীতে আসা ওই সেই অভাগিনী

       যে শূন্য থলিতে বের হয়ে

       শূন্য থলিতেই ঘরে ফিরে।

       পুরো কবিতা পড়ুন এখানে



            নিঝুম রজনী

           । চান্দ্রেয়ী দেব ।

নিঝুম রজনী আমি তোমাকে চাই...

 

প্রহর অন্তিমের দালানে পৌঁছে যেতেই

গুটি কয়েক ঝিঁঝিঁপোকার কথোপকথনে

একলা জেগে থাকা চন্দ্রমার গা ছুঁয়ে

নিস্তব্ধতা ভেসে আসে সুদূর পথ হতে

                       পুরো কবিতা পড়ুন এখানে

 


         কন্যে - ১

         । সুচরিতা দাস ।

      তথাকথিত আপন ঘরে থেকেও সে, 

      আজীবন যাযাবর, 

      একদিনকার নিজের বাড়িতে যেতে আজ, 

      তার চাই অন্য কারো অনুমোদন স্বাক্ষর! 

      পুরো কবিতা পড়ুন এখানে 



ফ্রম হেয়ার টু হেয়ার 

। সোমদত্তা দাস ।

সূচি এই প্রায় তিন বছর পর নিজের শহরে ফিরে এসছে। বাড়িতে দুদিন রেস্ট করে আজ বেরিয়ে পড়েছে শহরটাকে একটু ঘুরে নিতে। সেই পুরনো স্পটস্। মল পার্ক আরও কত জায়গা। যতসব কাণ্ডকারখানা। আজকের ডেসটিনেশন মল্। মলের থার্ড ফ্লোরে উঠেই টয় শপের দিকে ছুটে সূচি। কত স্মৃতি এখানে। কলেজ কালের প্রেম, কোচিং বাঙ্ক করে এখানে আসা। স্মৃতি রোমন্থনের সাথে চলছিল পুতুল দেখা। হঠাৎ কেউ পাশ থেকে তার নাম ধরে ডাকে ---

--- সূচি ! তুই! এখানে! কবে এসছিস? 

--- আরে শুভম! এই তো লাস্ট উইকে এলাম রে। তুই বল, কেমন আছিস?  


         আলোর ঠিকানা

          । রঘুনন্দন ভট্টাচার্য্য ।

মাঝরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যখন উড়ান ভরি,

মাটির চঞ্চলতা তখন হারিয়ে যায় -

ঠিক বাদুড় বা চামচিকার ডানার শব্দের মত।

কেউ জানে না কোন অভিমান নীরবে কাঁদে,

অনুভূতিরা পাড়ি দেয় মায়াবী ঘুমের দেশে,

শীতল মেঘের স্পর্শে তারা ভুলে যায় নিজেকে!      পুরো কবিতা পড়ুন এখানে

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় পোষ্ট

আকর্ষণীয় পোষ্ট

এগিয়ে চলো পাশে আছে অগণিত কলম

। চান্দ্রেয়ী দেব ।     ঘুম ভাঙতেই জানালার পর্দা সরাতেই চোখে দাগ কাটে পরিষ্কার আকাশে ঝকঝকে নীল রং ছড়ানো। স্নিগ্ধ হাওয়ার পরশে প্রাণ ফিরে পা...